সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক কার্যক্রম পরিচালনার নীতিমালা

কার্যক্রম পরিচালনার নীতিমালা

সুজন—সুশাসনের জন্য নাগরিক
কার্যক্রম পরিচালনার নীতিমালা

ধারা-১:
নাম ও ঠিকানা: এই সংগঠনের নাম হবে ‘সুজন—সুশাসনের জন্য নাগরিক’।
‘সুজন’-এর কেন্দ্রীয় সচিবালয়ের ঠিকানা হলো: হেরাল্ডিক হাইট্স, ২/২, ব্লক-এ, মিরপুর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭, বাংলাদেশ; ফোন: ৯১৩০৪৭৯; ই-মেইল: shujan.info@gmail.com; ওয়েব: www.shujan.orgwww.votebd.org

ধারা-২:
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়াসহ রাষ্ট্রের ও সমাজের সকল ক্ষেত্রে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং প্রিয় দেশমাতৃকাকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলাই হবে ‘সুজন’-এর মূল লক্ষ্য।

লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য উদ্দেশ্যসমূহ হবে:

ক. আইনের শাসন, মানবাধিকার সংরক্ষণ, সমতা, ন্যায়-পরায়ণতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা তথা সমাজের সকল স্তরে গণতন্ত্রের চর্চা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নাগরিকদের সচেতন, সক্রিয়, সোচ্চার ও সংগঠিত করা।

খ. সংশ্লিষ্ট সকল ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত সংস্কারের লক্ষ্যে জনমত গঠন ও ‘চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী’ হিসেবে কাজ করা এবং এ সমস্ত ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের নিরীক্ষক ও ‘অতন্দ্র প্রহরী’র ভূমিকা পালন করা।

ধারা-৩:
সংগঠন পরিচালনার মূলনীতি: ‘সুজন’ পরিচালনার মূলনীতি হবে দল নিরপেক্ষতা, একতা, সততা, স্বচ্ছতা, সমতা ও অসাম্প্রদায়িকতা।

ধারা-৪:
সদস্য পদ: সমাজের সৎ, আদর্শবান, চিন্তাশীল ও জনকল্যাণে নিবেদিত যে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ‘সুজন’-এর সদস্য হতে পারবেন। সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিগণ আগ্রহী হলে সুজনের সদস্য হতে পারবেন, তবে কোনো কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ গ্রহণ করতে পারবেন না। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যে স্তরে সদস্যপদের আবেদন করবেন, সেই স্তরের কমিটিই তাঁকে সদস্যপদ প্রদান করতে পারবে। যে কোনো প্রাথমিক সদস্য পরবর্তীতে যে কোনো স্তরের কমিটিতে পদ গ্রহণ করতে পারবেন। তবে ঋণখেলাপি, কর খেলাপি, বিল খেলাপি, কালো টাকার মালিক, ফৌজদারি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত, সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন ব্যক্তি সুজনের সদস্য হতে পারবেন না। ‘সুজন’-এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সদস্যগণকে নির্দিষ্ট হারে বার্ষিক/মাসিক সদস্য ফি প্রদান করতে হবে। ‘সুজন’-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলেই হবেন স্বেচ্ছাব্রতী।

৪.১:
আজীবন সদস্য: সুজন-এর সদস্য পদের জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন যে কোনো ব্যক্তি এককালীন ৫০০০.০০ (পাঁচ হাজার) টাকা ফি-এর বিনিময়ে আজীবন সদস্যপদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন গৃহীত হলে আবেদনকারী সুজন-এর ‘আজীবন সদস্য’ হিসেবে গণ্য হবেন।

ধারা-৫:
সাংগঠনিক কাঠামো: ‘সুজন’-এর সাংগঠনিক কমিটির ৪টি স্তর বা পর্যায়ে থাকবে। এই চারটি স্তর হচ্ছে কেন্দ্র, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে জাতীয় ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, জেলা পর্যায়ে জেলা কমিটি, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা কমিটি এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন কমিটি দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও শহরাঞ্চলে সংগঠনের বিস্তৃতির জন্য বিভাগীয় ও সিটি করপোরেশনভুক্ত শহরসমূহে মহানগর কমিটি এবং পৌরসভার আওতাভুক্ত শহরসমূহে পৌর কমিটিসহ ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হবে। আগ্রহী হলে ইউনিয়ন কমিটিসমূহও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করতে পারবে। মহানগর ও পৌর কমিটিসমূহ যথাক্রমে জেলা ও উপজেলা কমিটির সমমর্যাদাসম্পন্ন হবে। প্রয়োজন মনে করলে প্রতিটি স্তরের কমিটি উপদেষ্টা মনোনীত করতে অথবা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করতে পারবে।

মহানগর কমিটিসমূহ মহানগর এলাকা এবং পৌর কমিটিসমূহ পৌরসভা এলাকায় সংগঠনের সার্বিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে। সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা কমিটিসমূহ যথাক্রমে মহানগর এলাকা বহির্ভ‚ত সমগ্র জেলা এবং পৌর এলাকা বহির্ভূত সমগ্র উপজেলায় সংগঠনের সার্বিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে।

বিভাগভিত্তিকভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রমের সমন্বয় সাধনের জন্য প্রতিটি বিভাগে একটি করে বিভাগীয় সমন্বয় কমিটি থাকবে। বিভাগীয় সদরের জেলা কমিটির সভাপতি এই কমিটির আহ্বায়ক এবং বিভাগীয় সদরের জেলা বা মহানগর কমিটির স¤পাদক এই কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি জেলা ও মহানগর কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকগণ হবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য।

সুজনের নীতি ও আদর্শে বিশ্বাসী যে কোনো সামাজিক বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সুজনের সহযোগী সংগঠন হিসেবে কাজ করতে পারবে।

ধারা-৫.১.১:
জাতীয় কমিটি: জাতীয় কমিটি হবে সংগঠনের সর্বোচ্চ সাংগঠনিক কাঠামো। সংগঠনের মৌলিক নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্তসমূহ এই কমিটিতে গৃহীত হবে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং প্রতিটি জেলা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকসহ সর্বমোট ১৮১ জনের সমন্বয়ে জাতীয় কমিটি গঠিত হবে। জাতীয় কমিটির মেয়াদ হবে ২ বছর।

ধারা-৫.১.২:
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি: সংগঠনের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনাসহ সামগ্রিক কার্যনির্বাহের জন্য মূল উদ্যোগী ভূমিকা ও দায়-দায়িত্ব পালন করবে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি। এই কমিটি সংগঠনের মৌলিক নীতিমালার আলোকে সংগঠন পরিচালনার জন্য কর্মকৌশল ও কর্মসূচি নির্ধারণসহ প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করবে। ১ জন সভাপতি, ১ জন সহ-সভাপতি, ১ জন সম্পাদক, ১ জন সহ-সম্পাদক, ১ জন কোষাধ্যক্ষ এবং ১৬ জন নির্বাহী সদস্য সমন্বয়ে সর্বমোট ২১ সদস্য বিশিষ্ট হবে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি। প্রতিটি বিভাগ থেকে বিভাগীয় সদরের জেলা কমিটির সভাপতি পদাধিকারবলে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে নির্বাহী সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন। এই কমিটির মেয়াদ হবে ২ বছর।

ধারা-৫.২:
জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটি: জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নসহ বিভিন্ন পর্যায়ে সুজনের সার্বিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার দায়িত্ব পালনের জন্য যে সকল কমিটি গঠিত হবে তা ১ জন সভাপতি, ১ জন সহ-সভাপতি, ১ জন সম্পাদক, ১ জন সহ-সম্পাদক, ১ জন কোষাধ্যক্ষ এবং কয়েকজন নির্বাহী সদস্য সমন্বয়ে হতে পারে। জেলা কমিটি ২১-২৫, উপজেলা কমিটি ১৭-২১ এবং ইউনিয়ন কমিটি ১৩-১৭ সদস্য বিশিষ্ট হতে পারে। মহানগর, পৌরসভা ও শহরাঞ্চলের ওয়ার্ড কমিটিসমূহের গঠন যথাক্রমে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের অনুরূপ হবে। তবে স্থানীয় বাস্তবতার নিরিখে সংশ্লিষ্ট সকল স্তরের কমিটির কাঠামো ও সদস্য সংখ্যা পরিবর্তিতও হতে পারে। সকল কমিটিরই মেয়াদ হবে ২ বছর।

উপজেলা ও পৌরসভা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক জেলা কমিটির এবং ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক উপজেলা কমিটির সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন। একইভাবে মহানগরের আওতাভুক্ত থানা কমিটির সভাপতি ও স¤পাদক মহানগর কমিটির সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন। অন্যান্য কমিটির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

ধারা-৬:
সদস্যদের দায়-দায়িত্ব: সভাপতি সংগঠন প্রধান এবং সম্পাদক নির্বাহী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সহ-সভাপতি, সভাপতির অনুপস্থিতিতে এবং সহ-সম্পাদক, সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। কোষাধ্যক্ষ অর্থ সংক্রান্ত হিসাব ও নথিপত্র সংরক্ষণসহ তহবিল পরিচালনার যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন। সদস্যগণ সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট সকলকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবেন।

ধারা-৭:
আন্তঃকমিটি সম্পর্ক ও সমন্বয়: কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটি একে অপরের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক, সৌহার্দ্যমূলক এবং পারস্পরিক সহযোগিতার উদ্দেশ্যে কার্যকর আন্তঃসম্পর্ক সৃষ্টি করবে। জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটি ‘সুজন’ এর চেতনা, আদর্শ ও নীতির আলোকে স্থানীয় বাস্তবতার নিরিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। স্থানীয় পর্যায়ে ‘সুজন’-এর কার্যক্রম নিজস্ব পরিকল্পনা, নিজস্ব সম্পদ ও নেতৃত্বে পরিচালিত হবে। কেন্দ্র থেকে মতামত ও পরামর্শ প্রদান করা যেতে পারে, কিন্তু কোনো ব্যাপারে হস্তক্ষেপ বা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার মানসিকতা পরিহার করা হবে। তদ্রুপ জেলা কমিটিও উপজেলার কার্যক্রমে এবং উপজেলা কমিটি ইউনিয়ন কমিটির কার্যক্রমে সহযোগিতা ও পরামর্শের হাত বাড়িয়ে দেবে, কিন্তু হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকবে। স্থানীয় পর্যায়ে কমিটি গঠনের জন্য লজিস্টিক সরবরাহসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানে কেন্দ্রীয় কমিটি সচেষ্ট থাকবে।

জেলা কমিটিকে কেন্দ্রীয় কমিটি, উপজেলা কমিটিকে জেলা কমিটি এবং ইউনিয়ন কমিটিকে উপজেলা কমিটি অনুমোদন দেবে। অন্যান্য কমিটির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

সংগঠনের সার্বিক কর্মকাণ্ডের সমন্বয়ের জন্য কেন্দ্রীয় পর্যায়ে একজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারীসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক সহযোগী সমন্বয়কারী থাকবেন। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগ ও অঞ্চলের কার্যক্রমের সমন্বয়ের জন্য আঞ্চলিক ও এলাকা সমন্বয়কারী থাকবেন।

ধারা-৮:
সদস্যপদ বাতিল/অব্যাহতি ও কমিটি বিলুপ্তি: প্রতিটি স্তরের কমিটিই ‘ধারা-৪’ এর সাথে সঙ্গতি রেখে এবং স্থানীয় বাস্তবতার নিরিখে, যে কোনো ব্যক্তিকে সদস্য পদ প্রদান করতে পারবে এবং সুজনের নীতি-আদর্শ রিরোধী কার্যকলাপের জন্য তাদের সদস্যপদ বাতিল করতে পারবে। অনুরূপভাবে সুজনের নীতি-আদর্শ বিরোধী কার্যকলাপের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিসহ অন্যান্য স্তরের কমিটিসমূহ প্রমাণসাপেক্ষে যে কোনো অধস্তন কমিটিকে বিলুপ্ত করতে পারবে।

ধারা-৯:
সভা আহ্বান: জাতীয় কমিটির সভা বছরে কমপক্ষে একবার এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভা বছরে কমপক্ষে চারবার অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় কমিটির সভাটি বার্ষিক সাধারণ সভা হিসেবে গণ্য হবে, যেখানে সংগঠনের কার্যক্রম মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়নসহ বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপিত ও অনুমোদিত হবে।

জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটির সভা প্রতি ২ মাসে একবার অর্থাৎ বছরে কমপক্ষে ছয়বার অনুষ্ঠিত হবে। সকল স্তরের কমিটিই প্রতি বছর বার্ষিক সাধারণ সভা করবে। কমিটির মেয়াদ পূর্ণ হলে বার্ষিক সাধারণ সভা থেকে অথবা সম্মেলন আয়োজন করে সকল স্তরে নতুন কমিটি গঠিত হবে। যে কোনো সভার সিদ্ধান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠের সম্মতিতে গৃহীত হবে।

ধারা ৯.১:
সভায় কোরাম: জাতীয় কমিটির সভায় এক পঞ্চমাংশ এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিসহ অন্যান্য সকল স্তরের কমিটির সভায় এক তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে কোরাম হবে। যে কোনো সভার সিদ্ধান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠের সম্মতিতে গৃহীত হবে।

ধারা-১০:
তহবিল: ‘সুজন’-এর তহবিল সদস্য ভর্তি ফি, সদস্য ফি, স্বেচ্ছা অনুদান ও যে কোনো সহযোগী সংস্থা প্রদত্ত অনুদানের মাধ্যমে গঠিত হবে। এ ছাড়াও কার্যক্রমকে চলমান রাখার জন্য একটি ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা যেতে পারে।

ধারা-১১:
সদস্য ফি/ভর্তি ফি: প্রত্যেক সদস্যকে নির্ধারিত হারে সদস্য ভর্ত্তি ফিসহ বার্ষিক/মাসিক সদস্য ফি প্রদান করতে হবে। সদস্য ভর্তি ফি হবে ২০০.০০ টাকা। কমিটির স্তর ভেদে এবং স্থানীয় প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে বার্ষিক/মাসিক সদস্য ফি নির্ধারণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সকল কমিটিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে এই হার নির্ধারিত হবে।

ধারা-১২:
আর্থিক ব্যবস্থাপনা: তহবিল পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল স্তরে ব্যাংক হিসাব থাকবে। কমিটির সভাপতি, সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের যৌথ নামে ও স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হবে। বছর শেষে আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রতিটি কমিটি বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থাপন করবে। কেন্দ্রীয় কমিটি বার্ষিক সাধারণ সভায় নিরীক্ষা প্রতিবেদনসহ বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে।

ধারা-১৩:
বিবিধ: সুজন-এর কোনো সদস্য জাতীয় সংসদ বা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে, মনোনয়নপত্র দাখিলের পূর্বেই তাকে সংগঠন থেকে পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় তার সদস্য পদ স্থগিত থাকবে। নির্বাচনকালীন সময়ে কোনো রাজনৈতিক দল থেকে মনোনয়ন না নিয়ে থাকলে নির্বাচনের পর তিনি স্বপদে ফিরতে বা সংগঠনের সাথে যুক্ত হতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে এর সপক্ষে সংশ্লিষ্ট কমিটির সভার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

ধারা-১৪:
নীতিমালা সংশোধন ও ব্যাখ্যা: জাতীয় কমিটিতে আলোচনা ও অনুমোদনের মাধ্যমে এই নীতিমালা সংশোধন করা যেতে পারে। কোনো ধারা বা উপ-ধারা সম্পর্কে ব্যাখ্যার প্রয়োজন হলে, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি তা প্রদান করবে।