সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক ড. বদিউল আলম মজুমদার,লেখালেখি উপজেলা নির্বাচন ও কিছু প্রাসঙ্গিক বিষয়

উপজেলা নির্বাচন ও কিছু প্রাসঙ্গিক বিষয়


বদিউল আলম মজুমদার
প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধিতা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে অনমনীয়তা প্রদর্শন করছে। বহু প্রতিশ্রুত ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যাহত না করে এর আগে উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারলে, কমিশনের এ উদ্যোগ সম্পর্কে অনেকেরই আপত্তি থাকবে না। তবে সম্প্রতি জারি করা উপজেলা অধ্যাদেশ, ২০০৮ পর্যালোচনা করে নির্বাচনের পরে কী ধরনের উপজেলা সৃষ্টি হবে তা নিয়ে আমাদের মনে গুরুতর সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের আশঙ্কা যে নতুন অধ্যাদেশটির অধীনে নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। বস্তুত, এটি একটি বিকৃত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হয়ে দাঁড়াবে।
স্থানীয় সরকারব্যবস্থা সাধারণত একাধিক স্তরবিশিষ্ট হয় এবং প্রতিটি স্তর স্বায়ত্তশাসন ভোগ করে। বস্তুত, বিভিন্ন স্তরের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ সংজ্ঞাগতভাবেই স্বাধীন সত্তার অধিকারী, পরস্পর নিয়ন্ত্রিত নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন প্রশাসনিক একাংশ বা স্তরের নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানকে যেমন স্থানীয় সরকার বলা যায় না, তেমনিভাবে এক স্তরের অধীনে আরেক স্তর গঠিত হলে বা এক স্তর দ্বারা অন্য স্তর নিয়ন্ত্রিত হলে, তাকেও স্থানীয় সরকার হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। কিনতু সম্প্রতি জারি করা অধ্যাদেশের অধীনে গঠিত উপজেলার কোনো স্বাধীন সত্তা থাকবে না। এতে ইউনিয়ন পরিষদের, বিশেষত পরিষদের চেয়ারম্যানদের একচ্ছত্র আধিপত্য সৃষ্টি হবে।
উপজেলা অধ্যাদেশের ৫ ধারা অনুযায়ী, একজন সরাসরি নির্বাচিত চেয়ারম্যান, একজন নারীসহ দুজন সরাসরি নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলার এলাকাভুক্ত প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়র এবং উপজেলার এলাকাভুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের সদস্য ও কাউন্সিলরদের মধ্য থেকে নির্বাচিত এক-তৃতীয়াংশ সদস্য নিয়ে উপজেলা পরিষদ গঠিত হবে। অর্থাৎ উপজেলার এলাকাধীন ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার চেয়ারম্যান ও মেয়র এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও সদস্যদের বাইরে অন্য কেউই উপজেলা পরিষদের সদস্য হতে পারবেন না। এ বিধানের ফলে উপজেলা পরিষদ এবং এর এলাকাভুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা পরস্পর নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে, যা প্রত্যেক স্তরে স্বাধীন সত্তা সম্পন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ধারণার পরিপন্থী।
এ ধরনের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান অকার্যকর হতে বাধ্য, কারণ একই স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাই এর সদস্য হবে এবং এতে কোনো জবাবদিহিতা থাকবে না। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এতে ‘আঁতাত’ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। আর নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান স্বাধীনচেতা হলে, একই ঘরানার অন্য সদস্যরা তাঁর দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করতে পারেন। তাই আমাদের ধারণা যে নতুন উপজেলা পরিষদ হবে একটি বিকৃত স্থানীয় সরকারব্যবস্থা।
উল্লেখ্য যে অতীতেও বিকৃত উপজেলা পরিষদ সৃষ্টির প্রচেষ্টা হয়। উদাহরণস্বরূপ, উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮-এর ২৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫-এর অধীন একক আঞ্চলিক এলাকা হইতে নির্বাচিত সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য পরিষদের উপদেষ্টা হইবেন এবং পরিষদ উপদেষ্টার পরামর্শ গ্রহণ করিবেন।’ সংসদ সদস্য নিয়ন্ত্রিত এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে স্থানীয় সরকার হিসেবে আখ্যায়িত করা কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়।
উপজেলার ব্যাপারে সর্বাধিক কার্যকর ব্যবস্থা হতো শুধু সরাসরি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে তা গঠন। এমন ব্যবস্থা পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের অনেক প্রদেশে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, পশ্চিমবঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানরা ব্লক পঞ্চায়েতের ‘এক্স অফিসিও’ বা পদাধিকার বলে সদস্য; তাঁরা পূর্ণ সদস্য নন এবং তাঁদের ভোটাধিকার নেই। এর চেয়ে কম কার্যকর ব্যবস্থা হতো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌরসভা মেয়রদের সদস্য করার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা থেকে সরাসরিভাবে নির্বাচিত সদস্য পদের বিধান করা। ২০০৭ সালের জুন মাসে গঠিত ‘স্থানীয় সরকার শক্তিশালী ও গতিশীলকরণ কমিটি’র পক্ষ থেকে এমন বিধানের সুপারিশ পেশ করা হয়।
আরেকটি ক্ষেত্রেও উপজেলা অধ্যাদেশটি অহেতুক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে সাধারণত দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়: নগর স্থানীয় সরকার ও পল্লী স্থানীয় সরকার। এগুলোকে পৃথক সত্তা হিসেবে গণ্য করা হয় এবং পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করা হয় না। কিনতু গত ৩০ জুন জারি করা অধ্যাদেশে সর্বজনস্বীকৃত এ বিভাজনের নীতিকে ভঙ্গ করা হয়। উপজেলা পরিষদকে পল্লীভিত্তিক স্থানীয় সরকারব্যবস্থা হিসেবে গণ্য করা হলেও অধ্যাদেশে সংশ্লিষ্ট এলাকাভুক্ত পৌরসভার মেয়রদের এর সদস্য এবং সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যদের এর সদস্য হওয়ার যোগ্য করা হয়। এ ধরনের জগাখিচুড়ি ব্যবস্থা কাঙ্ক্ষিত নয়।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচনের অভিজ্ঞতার আলোকে উপজেলা অধ্যাদেশের আরও কয়েকটি বিধান সম্পর্কের্ও নতুন করে ভাবা দরকার। অধ্যাদেশের ১৬(২)(থ) ধারায় সরকার কর্তৃক অনুদানপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কোনো সংস্থার বা খণ্ডকালীন পদে নিয়োজিত ব্যক্তিদের উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে অযোগ্য করা হয়েছে। একই ধারার (১)(গ) অনুসারে, কোনো উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রার্থীর নাম সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। এ দুটি বিধানের ফলে উপজেলা নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা হ্রাস পাবে বলে আমাদের আশঙ্কা। এ ছাড়া শেষোক্ত বিধানটি সম্পূর্ণ ন্যায়-নীতির পরিপন্থী। কারণ, গত জুন মাসে জারি করা অধ্যাদেশে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোটার হওয়ার বিধান করা হলেও এর অনেক আগেই অনেক এলাকায় ভোটার নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করা হয়। তাই এমনি একটি আইনি বিধান করা হবে আগে থেকে জানলে অনেক সম্ভাব্য প্রার্থীই নিজ উপজেলার ভোটার তালিকায় নাম নিবন্ধন করাতেন।
লক্ষণীয় যে নবনির্বাচিত পৌর মেয়র ও সাধারণ আসনের কাউন্সিলরদের এবং সাধারণ আসন থেকে নির্বাচিত সিটি কাউন্সিলরদের প্রায় ৮০ শতাংশের পেশা ব্যবসা বলে তাঁদের হলফনামায় দাবি করেছেন। নবনির্বাচিত সিটি মেয়রদের চারজনই হয় ব্যবসায়ী অথবা অতীতে ব্যবসায়ী ছিলেন। অর্থাৎ শুধু জাতীয় সংসদই নয়, আমাদের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোও ক্রমান্বয়ে ব্যবসায়ীদের করায়ত্ত হয়ে যাচ্ছে, যা সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদের নির্দেশনার পরিপন্থী। ওই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ‘রাষ্ট্র সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিগণ সমন্বয়ে গঠিত স্থানীয় শাসন-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানসমূহকে উৎসাহ দান করিবেন এবং এই সকল প্রতিষ্ঠানসমূহে কৃষক, শ্রমিক এবং মহিলাদিগকে যথাসম্ভব বিশেষ প্রতিনিধিত্ব দেওয়া হইবে।’ অন্যভাবে বলতে গেলে, সাংবিধানিক আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সর্বস্তরের জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান গঠিত হবে, যাতে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর বিশেষ প্রতিনিধিত্ব থাকবে। কিনতু আমাদের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ ক্রমান্বয়ে ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্যতা-অযোগ্যতার মানদণ্ড আরও শিথিল করার প্রয়োজন পড়বে। প্রয়োজন পড়বে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ওপর বিধি-নিষেধ এবং উপজেলার ভোটার তালিকায় প্রার্থীর নাম অন্তর্ভুক্তির বাধ্যবাধকতার অপসারণ।
আরেকটি কারণেও এ দুটি বিধি-নিষেধ ও বাধ্যবাধকতার অপসারণ গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিটি ও পৌর নির্বাচনে যাঁরা মেয়র এবং সাধারণ আসন থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের অনেকেই বিতর্কিত। তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধেই দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এ সব ব্যক্তির নির্বাচিত হওয়ার একটি কারণ হলো প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে সৎ ও যোগ্য তথা সজ্জনদের ব্যাপক অনুপস্থিতি। এ অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে হলেও উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের যোগ্যতার মাপকাঠি শিথিল করা আবশ্যক হয়ে দাঁড়াবে।
উপজেলা অধ্যাদেশের আরও কয়েকটি ধারাও পুনর্বিবেচনা করা আবশ্যক। যেমন, এ অধ্যাদেশে সিটি করপোরেশন অধ্যাদেশের মতো ঋণখেলাপিদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যাপারে কঠোর বিধান নেই। শেষোক্ত অধ্যাদেশে নির্বাচনের এক বছরের মধ্যে ঋণ পুনঃতফসিলকারীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। পক্ষান্তরে নির্বাচনের পূর্বক্ষণে ঋণ পুনঃতফসিলীকরণ করেই যেকোনো ব্যক্তি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। তবে যেহেতু অধ্যাদেশটি উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার এক বছর আগে জারি করা হয়নি, তাই এ বিধানটি এ মুহূর্তে পরিবর্তন করা যৌক্তিক হবে না।
এ ছাড়া অধ্যাদেশের ১৬(২)(ড) ধারা ও ৫ ধারা পরস্পরবিরোধী। ৫ ধারা অনুযায়ী, ইউনিয়ন ও পৌরসভার নির্বাচিত প্রতিনিধিরা উপজেলা পরিষদের সদস্য হতে পারবেন, কিনতু ১৬(২)(ড) ধারায় ‘অন্য কোনো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে’র প্রতিনিধিদের উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক হাইকোর্টের রায়ের আলোকে তথ্য প্রদানের ও নির্দলীয় স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিধানগুলো মূল আইনে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি−মূল আইনে নেই বলে সিটি ও পৌর নির্বাচনের আচরণবিধিতে অন্তর্ভুক্ত নির্দলীয় স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিধান হাইকোর্ট বাতিল করেছে।
পরিশেষে, আমরা মনে করি যে ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনকে ব্যাহত না করে আগে উপজেলা নির্বাচন করা গেলে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কমিশনের এ উদ্যোগের বিরোধিতা করার যৌক্তিকতা অনেকাংশে হারিয়ে ফেলবে। আমরা আরও মনে করি যে উপজেলা অধ্যাদেশে নির্ধারিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও পৌরসভা মেয়র এবং এ দুটি প্রতিষ্ঠানের সংরক্ষিত আসন থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের আধিপত্য সৃষ্টিকারী উপজেলা পরিষদ হবে বিকৃত এবং চেকস অ্যান্ড ব্যালেন্সেস বিবর্জিত একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া সৎ ও যোগ্য প্রার্থীদের উৎসাহিত করার এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে আমরা উপজেলা নির্বাচনের যোগ্যতা-অযোগ্যতার মানদণ্ড শিথিল করার পক্ষে। আমরা সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের এবং বাংলাদেশের যেকোনো এলাকার ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার পক্ষে।
ড. বদিউল আলম মজুমদার: সম্পাদক, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
তথ্য সূত্র: প্রথম আলো, ২০ সেপ্টেম্বর ২০০৮

Related Post

সামন্তবাদী প্রথারই বিজয়সামন্তবাদী প্রথারই বিজয়

ড. ব দি উ ল আ ল ম ম জু ম দা র সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চারটি সিটি কর্পোরেশন ও নয়টি পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায়, এসব নির্বাচনে অনেক

স্মরণ: প্রচলিত ধারা তাকে ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছেস্মরণ: প্রচলিত ধারা তাকে ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে

বদিউল আলম মজুমদার শুধু প্রগতিশীল চিন্তা লালনকারীই নয়, মঞ্জু ছিলেন অত্যন্ত নম্র, ভদ্র ও বিনয়ী। একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও মঞ্জুকে আমি কোনোদিন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করতে দেখিনি। বস্তুত

জবাবদিহিতা: নির্বাচনী ইশতেহারে চাই অর্থবহ অঙ্গীকারজবাবদিহিতা: নির্বাচনী ইশতেহারে চাই অর্থবহ অঙ্গীকার

বদিউল আলম মজুমদার প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক দলগুলো প্রথাগতভাবে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করে। নির্বাচন-পরবর্তীকালে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে তারা কী করবে তারই রূপরেখা হলো নির্বাচনী ইশতেহার। ইশতেহারগুলোতে অনেক ভালো