সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক ৩/৭ আসাদ এভিনিউ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭, ফোন: ৮১১২৬২২, ৮১২৭৯৭৫, ওয়েবসাইট: www.shujan.org
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন-২০১২
সুজন পরিচালিত কার্যক্রমসমূহের
প্রতিবেদন
সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক দেশের গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠিত একটি নির্দলীয় নাগরিক সংগঠন। ২০০২ সালের ১২ নভেম্বর এদেশের একদল সচেতন নাগরিকের উদ্যোগে সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কার, নাগরিকদের অধিকার সচেতন, সংগঠিত ও সোচ্চার করা এবং বিভিন্ন ইস্যুতে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে সংগঠনটি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রার্থী নির্বাচনে বিভিন্নমূখী কর্মকান্ডসমূহ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বাস্তবায়ন করছে। উল্লেখ্য যে, ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকে শুরু করে অদ্যাবধি অনুষ্ঠিত সকল জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে ‘সুজন’ ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
গত ৫ জানুয়ারি-২০১২ অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখেও ‘সুজন’ ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করে। কার্যক্রমসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা; মনোনয়নপত্রের সাথে প্রার্থী প্রদত্ত তথ্য একত্রিকরণ ও তুলনামূলক চিত্র তৈরী করে ভোটারদের মাঝে বিতরণ; প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণকে এক মঞ্চে এনে ‘জনগণের মুখোমুখি’ করা; অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন, সমগ্র সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পোস্টারিং ও লিফলেটিং; সুষ্ঠু ও শানি-পূর্ণ পরিবেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রার্থী নির্বাচনের আহ্বানে মানববন্ধন ইত্যাদি।
এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ‘সুজন’ কর্তৃক পরিচালিত কার্যক্রমসমূহের বিবরণ নিম্নে প্রদত্ত হলো:
১. নাগরিক সংলাপ: গত ৩ অক্টোবর-২০১১, বিকাল ৩ টায়, কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তনে, কুমিল্লার সুধীজনদের নিয়ে ‘কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও নাগরিক প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। কুমিল্লা জেলা ‘সুজন’ এর সভাপতি অধ্যক্ষ মমিনুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপটিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ও ‘সুজন’ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জনাব সৈয়দ আবুল মকসুদ অতিথি হিসেবে উপসি’ত ছিলেন। সংলাপটিতে কুমিল্লার বিশিষ্ট নাগরিকগণ নবগঠিত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন বিশেষত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে তাঁদের প্রত্যাশা এবং সচেতন নাগরিক হিসাবে ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে অধ্যক্ষ মুহম্মদ শফিকুর রহমানকে সভাপতি এবং এডভোকেট প্রহ্লাদ দেবনাথকে সম্পাদক করে ‘সুজন’ কুমিল্লা মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হয়।
২. নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা: গত ২৯ নভেম্বর-২০১১, বিকেল ৪:০০টায়, কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তনে ‘সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন এবং ‘সুজন’ এর করণীয়’ এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘সুজন’ কুমিল্লা মহানগর কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মুহম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভাটিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা জেলা কমিটির সম্পাদক জনাব আলী আকবর মাসুম। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসাবে উপসি’ত ছিলেন ‘সুজন’ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। ‘সুজন’ এর নির্বাচনকেন্দ্রিক কার্যক্রমসমূহ সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ‘সুজন’ কুমিল্লা জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মমিনুল হক চৌধুরী, কুমিল্লা জেলা কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ জনাব হারুনুর রশিদ, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও সনাকের আহ্বায়ক আলহাজ্ব শাহ মোঃ আলমগীর খান, জেলা কমিটির সহ-সম্পাদক ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জনাব রাশেদা আক্তার, রোটারিয়ান জনাব আনিসুর রহমান, এডভোকেট মাহবুবুর রহমান, অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ, নারী নেত্রী শাহানা হক, সাবেক ব্যাংকার জনাব অরুণকানি- সাহা, অতিথি জনাব তাজিমা হোসেন মজুমদার প্রমূখ।
৩. সংবাদ সম্মেলন:
গত ৩০ নভেম্বর-২০১১, সকাল ১১:৩০ টায়, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘সুজন’ কুমিল্লা মহানগর কমিটির উদ্যোগে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শানি-পূর্ণ পরিবেশে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে, কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কুমিল্লা জেলা ‘সুজন’এর সভাপতি অধ্যক্ষ মমিনুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনটিতে কেন্দ্রীয় ‘সুজন’ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার উপসি’ত ছিলেন। কুমিল্লা জেলা কমিটির সম্পাদক জনাব আলী আকবর মাসুমের স্বাগত বক্তব্যের পর সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সভাপতি অধ্যক্ষ মমিনুল হক চৌধুরী। লিখিত বক্তব্য উপস’াপনের পর কেন্দ্রীয়, জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়াসহ বিভিন্ন ধরনের মতামত তুলে ধরেন।
৪. সুষ্ঠু ও শানি-পূর্ণ পরিবেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রার্থী নির্বাচনে আহ্বানে মানববন্ধন: গত ১৮ ডিসেম্বর-২০১১, সকাল ১০:৩০ টা থেকে ১১:৩০ পর্যন-, কুমিল্লা টাউন হল সংলগ্ন এলাকায় সুষ্ঠু ও শানি-পূর্ণ পরিবেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রার্থী নির্বাচনে আহ্বানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ‘সুজন’ এর কর্মীবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন সমমনা সংগঠন ও সর্বস-রের নাগরিকবৃন্দ উপসি’ত ছিলেন। মানববন্ধন থেকে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে স্ব স্ব অবস’ানে থেকে সুষ্ঠু ও শানি-পূর্ণ পরিবেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহবান জানানো হয়। পাশাপাশি অর্থ বা অন্য কিছুর বিনিময়ে অথবা অন্ধ আবেগের বশবর্তী হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ না করার এবং দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মিথ্যাচারী, যুদ্ধাপরাধী, নারী নির্যাতনকারী, মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারী, সাজাপ্রাপ্ত আসামী, ঋণ খেলাপী, বিল খেলাপী, ধর্মব্যবসায়ী, ভূমিদস্যু, কালোটাকার মালিক অর্থাৎ কোন অসৎ, অযোগ্য ও গণবিরোধী ব্যক্তিদের বর্জন করে সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রার্থীদের নির্বাচিত করার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
মানববন্ধনে জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সর্বস-রের জনগণ অংশগ্রহণ করে।
৫. জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠান: ‘সুজন’ এর উদ্যোগে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মেয়র প্রার্থীগণসহ, সকল সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ১০টি ওয়ার্ডের সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থীগণকে নিয়ে জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ১৯ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ পর্যন- উক্ত অনুষ্ঠানসমূহের আয়োজন করা হয়। ১৯ ডিসেম্বর মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে, ২১ ডিসেম্বর ৩ নং ওয়ার্ড, ২২ ডিসেম্বর ৪ নং ওয়ার্ড, ২৩ ডিসেম্বর ৫ নং ওয়ার্ড, ২৫ ডিসেম্বর ৯ নং ওয়ার্ড, ২৬ ডিসেম্বর ১০ নং ওয়ার্ড, ২৭ ডিসেম্বর ১১ নং ওয়ার্ড, ২৮ ডিসেম্বর ১২ নং ওয়ার্ড, ২৯ ডিসেম্বর ২০ ও ১৩ নং ওয়ার্ড এবং ৩০ ডিসেম্বর ১৮ ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীদের ‘জনগণের মুখোমুখি’ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ১০টি অনুষ্ঠানে ৭১জন এবং সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে ১৫জন কাউন্সিলর প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। মেয়র প্রার্থীদের অনুষ্ঠানটি ‘সুজন’ ও ‘সনাক’ (সচেতন নাগরিক কমিটি)-এর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়। কুমিল্লা জেলা ‘সুজন’ এর সভাপতি অধ্যক্ষ মমিনুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সনাকের আহ্বায়ক আলহাজ্ব শাহ মোঃ আলমগীর খান। অনুষ্ঠানটিতে ‘সুজন’ এর কেন্দ্রীয় সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, টি আই বি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, ‘সুজন’ এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার উপসি’ত ছিলেন।
অনুষ্ঠানসমূহে প্রার্থীগণ যেমন তাঁদের বক্তব্যে প্রত্যাশা, পরিকল্পনা ও প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন, অপরদিকে ভোটাররাও বিভিন্ন প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নেয়ার সুযোগ পান। প্রার্থীগণের বক্তব্যের পূর্বে তুলনামূলক চিত্রে প্রকাশিত তাঁদের তথ্যসমূহ উপস্তাপন করা হয় এবং ভোটারদের মধ্যে তা বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে জনস্বার্থেরকে বিবেচনায় রেখে ‘সুজন’ কর্তৃক প্রণীত অঙ্গীকারনামা পাঠ করে শোনানো হয় এবং একমত পোষণ সাপেক্ষে অঙ্গীকারনামায় প্রার্থীদের স্বাক্ষর নেয়া হয়। অঙ্গীকারসমূহের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের পরস্পরের হাত ধরে শপথ বাক্য উচ্চারণ ছিল অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ। শুধুমাত্র প্রার্থীরাই নন অনুষ্ঠানের আর একটি আকর্ষণ ছিল ভোটারদের শপথ। অনুষ্ঠানে ভোটাররা এই মর্মে শপথ করেন যে, ‘‘ভোট প্রদানকে পবিত্র দায়িত্ব মনে করে সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রার্থীর সপক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবো। অর্থ বা অন্য কিছুর বিনিময়ে অথবা অন্ধ আবেগের বশবর্তী হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবো না। দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মিথ্যাচারী, যুদ্ধাপরাধী, নারী নির্যাতনকারী, মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারী, সাজাপ্রাপ্ত আসামী, ঋণ খেলাপী, বিল খেলাপী, ধর্মব্যবসায়ী, ভূমিদস্যু, কালোটাকার মালিক অর্থাৎ কোন অসৎ, অযোগ্য ও গণবিরোধী ব্যক্তিকে ভোট দেবো না, দেবো না, দেব না।
৫. ভোটারদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তথ্য বিতরণসহ সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনের আহ্বান সম্বলিত পোস্টারিং ও লিফলেটিং: ‘সুজন’ এর উদ্যোগে ভোটারদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তথ্যের ভিত্তিতে প্রণীত তুলনামূলক চিত্র বিতরণসহ সমগ্র সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনের আহ্বান সম্বলিত পোস্টারিং ও লিফলেটিং করা হয়। মেয়র পদসহ মোট ১৪টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীগণের তথ্যের ভিত্তিতে এই তুলনামূলক চিত্র প্রণীত হয়। ওয়ার্ডসমূহ হচ্ছে ৩, ৪, ৫, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৮, ২০, ২৬, ২৭ ও সংরক্ষিত ১ (১, ২ ও ৩)। তুলনামূলক চিত্রে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, বর্তমান ও অতীতের ফৌজদারী মামলার তথ্য, আয়ের উৎস, সম্পদের বিবরণ, দায়-দেনার তথ্য ও আয়কর সংক্রান- তথ্য ইত্যাদি সন্নিবেশিত রয়েছে। এছাড়াও তথ্যসীটের একপাশে পোস্টারের রেপ্লিকা ও অপর পাশে ভোটারদের প্রতি ভালো মানুষকে নির্বাচিত করার আহ্বান রয়েছে। পোস্টারে গণবিরোধীদের বর্জন এবং সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রার্থীদের নির্বাচিত করার আহ্বান রয়েছে। এছাড়াও লিফলেটে বিবেককে প্রশ্ন করে প্রার্থীদের সম্পর্কে জেনে-শুনে-বুঝে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান ছিল।
সকল কাজেই-
‘‘আমার ভোট আমি দেব
জেনে-শুনে-বুঝে দেব
সৎ-যোগ্য প্রার্থীকে দেব’’
এই চেতনায় ভোটারদের বলীয়ান করার একটা উদ্যোগ ছিল
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জনসচেতনতামূলক কাজের খরচ
(শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনের এস.ই.এম.বি প্রজেক্ট থেকে প্রাপ্ত অর্থের হিসাব বিবরণী)
খরচের খাতসমূহ:
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের এস.ই.এম.বি প্রজেক্ট থেকে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ | ৩০০,০০০/- | |
ক্র নং |
খরচের খাতসমূহ |
টাকা |
|
পোস্টার, লিফলেট ও তুলনামূলক চিত্র ছাপানোর খরচ | ২২৯,৫০০.০০/- |
|
প্রার্থী প্রদত্ত তথ্য সংগ্রহ ও ডাটা এন্ট্রি | ৩৮,১৪৬.০০/- |
|
পোস্টার, লিফলেট, তুলনামূলক চিত্র লাগানো ও বিতরণ খরচ | ৩৪৯২৫.০০/- |
|
ইলেকশন কমিশন থেকে প্রাপ্ত মোট খরচ | ৩,০২,৫৭১.০০/- |
তিন লক্ষ দুই হাজার পাঁচশত একাত্তর টাকা (মাত্র)
এ খরচের বাইরেও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পোস্টার, লিফলেট প্রার্থীদের তুলনামূলক চিত্র ছাপনো ও অন্যান্য খাতে সুজনে’র তহবিল থেকে ব্যয় করা হয়েছে।
দিলীপ কুমার সরকার
প্রধান সমন্বয়কারী