দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন বর্তমান রাজনৈতিক সংকটকে আরও কঠিন করে তুলবে। জোর করে নির্বাচন করা হলে তাতে তৃতীয় শক্তির অনুপ্রবেশের আশঙ্কা থাকে। বিশিষ্ট নাগরিক ও রাজনীতিবিদদের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করাই হচ্ছে সবচেয়ে ভালো সমাধান। ’সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন: নাগরিক অধিকার ও দায়িত্ব’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এসব মত দেন চট্টগ্রামের সচেতন নাগরিক সমাজ। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রাম জেলা ১৫ নভেম্বর, ২০১৩ শুক্রবার নগরের প্রেসক্লাবে ওই মতবিনিময়ের আয়োজন করে।
সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সাংবিধানিক অধিকার। সব দলের অংশগ্রহণে যাতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, সে বিষয়ে আমাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের প্রথম পদক্ষেপ হলো নির্বাচন নির্বাচন এলেই আমরা সমস্যার মুখোমুখি হই। নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা কি হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো কলহ বিবাদে লিপ্ত হয় এবং জনগণকে একটা অনিশ্চয়তায় ফেলে দেয়। আমরা এর থেকে পরিত্রাণ চাই। পরিত্রাণ পেতে হলে নাগরিকদেরকে সচেতন ও সোচ্চার হতে হবে এবং যথাযথ নাগরিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সুজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার বলেন, দেশের এই সংকটময় মূহুর্তে সুজন নেতৃবৃন্দসহ দেশের চিন্তাশীল নাগরিকগণ কি ভাবছেন তা জানা প্রয়োজন এবং তাদের পরামর্শক্রমে সুজন এর করণীয় নির্ধারণ করা প্রয়োজন। সে জন্যই সুজনের পক্ষ থেকে ৭টি বিভাগে সুজন নেতৃবৃন্দের সাথে বিভাগীয় পরিকল্পনা সভা এবং সচেতন নাগরিকদের সাথে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কি করণীয় তা নিয়ে বিভাগীয় কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের এই মতবিনিময় সভা।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সুজন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি মুহাম্মদ সিকান্দার খান। সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি চন্দন দাস, সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, প্রকৌশলী সুভাষ চন্দ্র বড়ুয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইনুল হাসান চৌধুরী, সুজন জেলা সম্পাদক এডভোকেট আখতার কবীর চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এ বি এম আবু নোমান, ডা. মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক আবুল কাশেম, সহযোগী অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া, ব্যবসায়ী রাখাল চন্দ্র বনিক, প্রকৌশরী সুবাস বড়ুয়া, রাজীতিক মহিতুল ইসলাম প্রমূখ।
উল্লেখ্য, সকালে সুজন চট্টগ্রামের সদস্যগণ ঐ দিনই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বিরাজমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিভাগীয় পরিকল্পনা সভার আয়োজন করে এবং তাদের করণীয় চিহ্নিত করে। সুজন সদস্যরা
* জেলা-উপজেলা কমিটি গঠন
* সুজন বন্ধু কমিটি গঠন
* নতুন ভোটারদের নিয়ে কর্মশালা
* মানব বন্ধন, সমাবেশ
* আলোচনা সভা
* প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের জনগণের মুখোমুখি করা
* সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে স্থানীয় পর্যায়ে প্রশাসন, সুশীল সমাজের সাথে সংখ্যালঘুদের সাথে মতবিনিময়
*প্রার্থীদের হলফনামায় তথ্য সংগ্রহ
* নতুন সদস্য সংগ্রহ প্রভূতি বিষয়ে পরিকল্পনা করেন।