আসন্ন ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমূখর পরিবেশে আয়োজনের জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সুজন নেতৃবৃন্দ। গত ১৩ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১১.৩০টায়, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী হলফনামায় প্রদত্ত প্রার্থীদের তথ্যসমূহের তুলনামূলক বিশ্লেষণ জনগণকে অবগত করার জন্য সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক-এর পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সুজন নেৃতৃবৃন্দ এ আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সুজন নির্বাহী সদস্য ড. হামিদা হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং সুজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে প্রার্থীদের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সর্বমোট ৬৫০ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও, মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রত্যাহারের পর চূড়ান- লড়াইয়ে মেয়র পদে ১৬ জন, সাধারণ আসনে কাউন্সিলর পদে ২৭৭ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৮৯ জন; সর্বমোট ৩৮২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে সর্বমোট ৮১১ প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেও, চূড়ান- লড়াইয়ে মেয়র পদে ২০ জন, সাধারণ আসনে কাউন্সিলর পদে ৩৮৭জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৯৫ জন; সর্বমোট ৫০২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।’
প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ঢাকা উত্তরের ১৬ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৭ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর এবং ৭ জনের স্নাতক। ৩৬টি ওয়ার্ডের ২৭৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ১৬৭ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তার নিচে। শুধুমাত্র এসএসসি’র নিচেই ১৩৩ জন। স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র ৭১ জন। ১২টি ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৮১ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৫২ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তার নিচে। স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র ১৭ জন। ঢাকা দক্ষিণের ২০ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৫ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর ও ৪ জনের স্নাতক। তবে ৫ জন প্রার্থী স্বশিক্ষিত ও ১ জন অষ্টম শ্রেণি পাশ বলে উল্লেখ করেছেন। ঢাকা দক্ষিণের ৫৭টি ওয়ার্ডের ৩৭৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ২৫০ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তার নিচে। আর স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র ৭১ জন। ঢাকা দক্ষিণের ১৯টি ওয়ার্ডের ৯১ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মধ্যে ৬৫ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তার নিচে। স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র ১৬ জন (১৭.৫৮%)।
প্রার্থীদের পেশা সম্পর্কে দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘ঢাকা উত্তরের ১৬ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৯ জন ব্যবসায়ী, ৩ জন চাকরিজীবী, ৪ জন সার্বক্ষণিক রাজনৈতিক কর্মী, একজন সমাজকর্মী, একজন লেখক ও গবেষক এবং একজন কবি ও সাহিত্যিক। ২৭৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ২১২ জনের পেশা ব্যবসা এবং ২০ জন তাঁদের পেশার কথা উল্লেখ করেননি। ৮১ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৩০ জন গৃহিণী এবং ২৯ জন ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত। ঢাকা দক্ষিণের ২০ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ১৪ জনই ব্যবসায়ী। একজন পেশার কথা উল্লেখ করেননি। ঢাকা দক্ষিণের ২০ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ১৪ জনই ব্যবসায়ী। একজন পেশার কথা উল্লেখ করেননি। ৩৭৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৩১৫ জনের পেশাই ব্যবসা। ১৯ জন তাঁদের পেশার কথা উল্লেখ করেননি। ৯১ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৩২ জন গৃহিণী এবং ৩২ জন ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত।’
প্রার্থীদের মামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ঢাকা উত্তরের ১৬ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ১৪ জনের বিরুদ্ধে অতীতে কোন মামলা নেই বা ছিল না। ২৭৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৬৫ জনের বিরুদ্ধে বর্তমানে এবং ৪২ জনের বিরুদ্ধে অতীতে মামলা ছিল। ঢাকা দক্ষিণের ২০ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনের বিরুদ্ধে বর্তমানে এবং ৭ জনের বিরুদ্ধে অতীতে মামলা ছিল। ৩৭৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৯০ জনের বিরুদ্ধে বর্তমানে এবং ৫৮ জনের বিরুদ্ধে অতীতে মামলা ছিল।’
দিলীপ কুমার সরকার প্রার্থীদের আয় সম্পর্কে বলেন, ‘ঢাকা উত্তরের ১৬ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে বছরে ৫ লক্ষ টাকার নিচে আয় করেন ৫ জন, ৫ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা আয় করেন ৭ জন, ২৫ লক্ষ টাকার উপর আয় করেন ১ জন। বছরে কোটি টাকা উপর আয় করেন ২ জন। তারা হলেন জনাব আনিসুল হক (২,১২,২৫,৪২৮ টাকা) এবং জনাব তাবিথ আউয়াল (১,৬০,৩৮,১৬৪ টাকা)। ২৭৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ১৫৫ জন বছরে ৫ লক্ষ টাকার কম আয় করেন। ৮১ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যেও ৪৮ জনের আয় বছরে ৫ লক্ষ টাকা বা তার নিচে। ঢাকা দক্ষিণের ২০ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ১১ জন বছরে ৫ লক্ষ টাকার কম আয় করেন। কোটি টাকার উপর আয়কারী ২ জন প্রার্থী হচ্ছেন জনাব মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ (৭,৮৪,৩৮,৯৮০ টাকা) এবং মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন (১,৭৪,৬৮,৬৮৭ টাকা)। ৩৭৩ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ২৪৬ জন বছরে ৫ লক্ষ টাকার কম আয় করেন। বছরে কোটি টাকার উপরে আয় করেন ৫ জন। ৯১ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ৫৭ জনের আয় বছরে ৫ লক্ষ টাকার কম।’
প্রার্থীদের সম্পদ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ঢাকা উত্তরের ১৬ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৮ জনের সম্পদ ২৫ লক্ষ টাকার নিচে। মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে জনাব আনিসুল হকের সম্পদ ৩৫,১৯,৯১,৮২০ টাকা ও জনাব তাবিথ আওয়ালের সম্পদ ৩৩,৯৭,৮১,১০৪। ২৭৫ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ২১০ জনের সমপদ ২৫ লক্ষ টাকার কম। কোটিপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর সংখ্যা ১৮ জন। ৮১ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৬৭ জনের আয় বছরে ২৫ লক্ষ টাকার কম। ঢাকা দক্ষিণের ২০ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জনের সম্পদ ২৫ লক্ষ টাকার নিচে। মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে কোটিপতি আছেন ৬ জন। জনাব মীর্জা আব্বাস হোসেনের সম্পদ ১১৪,০৬,০৮,০৫৯ টাকা, জনাব সাইদ খোকনের সম্পদ ৫০,৯৬,৫০,০১৩ টাকা এবং জনাব সাইফুদ্দিন আহমেদের সম্পদ ১২,২২,৪০,৬৭১ টাকা। ৩৭৩ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ২৭৮ জনের সমপদ ২৫ লক্ষ টাকার কম। কোটিপতি কাউন্সিলর প্রার্থীর সংখ্যা মোট ১৮ জন। ৯১ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৮৬ জনেরই সমপদ ২৫ লক্ষ টাকার কম।’
প্রার্থীদের ঋণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ঢাকা উত্তরের ১৬ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ৩ জন ঋণ গ্রহীতা। এই সংখ্যা সাধারণ আসনের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে যথাক্রমে ২৭ ও ২ জন। মেয়র প্রার্থী আনিসুল হকের দায়-দেনা রয়েছে ৫,২৯,৪৭,৮৯৭ টাকা। কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে তাঁর ঋণের পরিমাণ ১৬৬,৬৫,৫৫,০০০ টাকা। জনাব তাবিথ আউয়ালের দায়-দেনা রয়েছে ১,৪১,৩৫,৩৫২ টাকা। তাঁর নিজস্ব ঋণের রয়েছে ১, ২০,০০,০০০ টাকা এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে ১৭৩,২৪,৫৫,০০০ টাকা। ঢাকা দক্ষিণের ২০ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ২ জন ঋণ গ্রহীতা। তাঁরা হচ্ছেন জনাব শহীদুল ইসলাম ১৬,৭০,৬২,১৬৪ টাকা এবং জনাব গোলাম মাওলা রনি ৫,৯৬,৪২,৫৩৪ টাকা। কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ঋণ গ্রহণের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৬ ও ২ জন।’
প্রার্থীদের কর প্রদান সম্পর্কে দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘ঢাকা উত্তরের ১৬ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ১৪ জন করদাতা। কর প্রদানকারী ১৪ জনের মধ্যে ৮ জনই কর প্রদান করে ৫ হাজার টাকার কম। ৪ জন মেয়র প্রার্থী লক্ষাধিক টাকা কর প্রদান করেন। ২৭৫ জন সাধারণ আসনের কাউন্সিলর ও ৮১ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে করদাতার হার যথাক্রমে ২০২ জন ও ৪৪ জন। ঢাকা দক্ষিণের ২০ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ১৯ জনই করদাতা। কর প্রদানকারী ১৯ জনের মধ্যে ১০ জনই কর প্রদান করে ৫ হাজার টাকার কম। লক্ষাধিক টাকা কর প্রদান করেন ৫ জন মেয়র প্রার্থী। ৩৭৩ জন কাউন্সিলর ও ৯১ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে করদাতার হার যথাক্রমে ২২০ জন ও ৪৮ জন।’
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘দুই সিটিতেই মেয়র প্রার্থীগণ তরুণ, এটা খুবই ইতিবাচক। কিন’ এ নির্বাচনে মেয়র পদে কোনো নারী প্রার্থী না থাকা এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদেও নারীদের হার কম হওয়া খুবই নেতিবাচক।’ প্রার্থীদের পেশা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচনে আমরা ব্যবসায়ীদের আধিক্য দেখছি। এরফলে এসব প্রতিষ্ঠানগুলো কি শুধু সমাজের অল্পসংখ্যক ব্যবসায়ীদের স্বার্থেই পরিচালিত হবে?’ প্রার্থী কর্তৃক দাখিলকৃত হলফনামায় সম্পদের অর্জনকালীন মূল্য লেখা থাকায় তাদের প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ সম্পর্কে ধারণা করা যায় না বলেও মন-ব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘প্রার্থীদের অনেকেই আয়কর বিবরণী জমা দেননি, যা অসম্পূর্ণ হলফনামা। এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তাগণ কেন ব্যবস্থা নেননি তা নিয়ে প্রশ্ন আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। সরকার বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অনেক মামলা থাকায়, যেগুলোর অনেকগুলোই হয়রানিমূলক। তাই লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে জামিনযোগ্য মামলায় প্রার্থীদের জামিন দেয়া যেতে পারে।’
ড. হামিদা হোসেন বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচন নির্দলীয় নির্বাচন এবং এ নির্বাচনে দলীয়ভাবে সমর্থন বা মনোনয়ন দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে।’ যদি দলীয় ভিত্তিতে করতে হয় তবে তা আইন করে করা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রার্থীরা বিভিন্ন ধরনের প্রতিশ্রুতি প্রদান করছেন, এর সবগুলো বাস-বায়ন করা সম্ভব হবে কি না তা ভেবে দেখা দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সব দলের অংশগ্রহণে সিটি করপোরেশন নির্বাচন হওয়া খুবই ইতিবাচক। তবে এখনো লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। কারণ অনেক প্রার্থীই মামলার কারণে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারছেন না।’ তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচনে অনেক ক্লিন ইমেজের প্রার্থী রয়েছেন। কিন’ তাদের অনেকেই সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।’ তাই শুধু আর্থিক সততা নয়, একইসঙ্গে মনস্বাত্ত্বিক সততাও গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সুজন-এর পক্ষ থেকে নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়:
* সকল প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিশ্চিত করা।
* আচরণবিধি ভঙ্গের ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস’া গ্রহণ করা। গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে প্রার্থিতা বাতিল করা।
* নির্বাচনে টাকার অবাধ ব্যবহার ও পেশিশক্তির দৌরাত্ম বন্ধ করা।
*ভোট প্রদানের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করাসহ কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার বা ব্যালট বাক্স ছিনতাই রোধে পূর্ব থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। প্রয়োজনে নির্বাচনের কয়েকদিন আগে থেকেই সেনা মোতায়েন করা।
*প্রার্থীদের কারও বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা থাকলে তা প্রত্যাহার করা এবং জামিনযোগ্য মামলাসমূহের ক্ষেত্রে জামিন দেওয়া।
* এই নির্বাচনকে সংকীর্ণ দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখে যে কোনো ভাবে জয়ের জন্য মরিয়া না হয়ে, প্রতিযোগিতার মনোভাব থেকে গ্রহণ করা।
* সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য আচরণবিধি প্রণয়ন করা।