সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক ড. বদিউল আলম মজুমদার,লেখালেখি দারিদ্র্য দূরীকরণ: জননিরাপত্তার জন্য চাই দারিদ্র্য-বৈষম্যের অবসান

দারিদ্র্য দূরীকরণ: জননিরাপত্তার জন্য চাই দারিদ্র্য-বৈষম্যের অবসান


বদিউল আলম মজুমদার
সম্প্রতি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি (বিস) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের নিরাপত্তা: সমসাময়িক বিষয়’ শিরোনামে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে আমাদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমদ চৌধুরী বলেছেন, নিরাপত্তা এখন একটি জটিল বিষয় এবং সামরিক নিরাপত্তা থেকে জননিরাপত্তা আজ আমাদের জন্য বড় হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। জননিরাপত্তার বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দেওয়ার জন্য মাননীয় উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ।

সত্যিই আজ জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি আমাদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর জননিরাপত্তা দারিদ্র্য-বৈষম্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই আমাদের সমাজে বিরাজমান ব্যাপক দারিদ্র্য ও ক্রমবর্ধমান বৈষম্য দূরীকরণ আজ অতি জরুরি হয়ে পড়েছে।
সরকারি তথ্য থেকে জানা যায়, ১৯৯১-৯২ সালে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লগ্নে, বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় ৫৯ শতাংশ আয়ের দিক থেকে দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করে, কিনতু ২০০৫ সালে তা ৪০ শতাংশে নেমে আসে। প্রথম দিকে দারিদ্র্য বাৎসরিক প্রায় ১ শতাংশ হারে কমলেও গত পাঁচ বছরে তা প্রায় ২ শতাংশ হারে হ্রাস পেয়েছে। ক্যালরি গ্রহণের পরিমাপ থেকে−যারা দৈনিক ২১২২ ক্যালরির কম গ্রহণ করে−দারিদ্র্যের হার একই সময়ে জনসংখ্যার ৪৮ থেকে ৪০ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে দারিদ্র্য হ্রাসের এ হার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় খুব একটা দ্রুত নয়। এ ছাড়া লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাম্প্রতিককালে দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
দারিদ্র্যের তথ্যের মধ্যে অনেক অসংগতি বিরাজমান এবং এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও অনেক প্রশ্ন রয়েছে। সরকারি তথ্য-উপাত্ত তৈরি ও প্রকাশের ক্ষেত্রে ম্যানিপুলেশন ঘটেছে বলে অনেক অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া দারিদ্র্যের সংজ্ঞাও বিতর্কিত। প্রচলিত সংজ্ঞায় শুধু মানুষের বর্তমান শ্রমশক্তি বজায় রাখার ওপরই জোর দেওয়া হয়, যা অধ্যাপক আনিসুর রহমানের ভাষায় ‘গরুর দারিদ্র্যের সংজ্ঞা’। উপরনতু দারিদ্র্য আপেক্ষিক বিষয়। একইভাবে জনসংখ্যায় দারিদ্র্যের অনুপাত কমলেও মোট দরিদ্রের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৯১-৯২ সালে দৈনিক ২১২২ ক্যালরি কম গ্রহণ করা ব্যক্তির সংখ্যা যেখানে ছিল পাঁচ কোটি ১৯ লাখ, সেখানে ২০০৫ সালে তা এসে দাঁড়িয়েছে প্রায় পাঁচ কোটি ৬০ লাখে। তাই দারিদ্র্য দূরীকরণ নয়, বরং দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে কিছুটা সফলতা অর্জন করলেও দারিদ্র্য ও মানবেতর জীবনযাপন আমাদের বিরাট জনগোষ্ঠীর জীবনের আজ অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের একটি বিরাট অংশ ভূমিহীন এবং তাদের অনেকের জন্য তিন বেলা পেট পুরে খাওয়াই জোটে না, তাদের পরিবারের জন্য মাথা গোঁজার ঠাঁই, মানসম্মত শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি প্রাপ্তির প্রশ্নই ওঠে না। অপুষ্টির কারণে তাদের শারীরিক ও মানসিক শক্তির বিকাশ ব্যাহত হয়। তাই স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ইত্যাদি তাদের জন্য অনেকটা ফাঁকা বুলি, কারণ রাষ্ট্রীয় নীতি-নির্ধারণে তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকলেও এতে তাদের কোনো অংশীদারি নেই এবং ক্ষমতাকাঠামোয় তারা পুরোপুরি উপেক্ষিত।
এ ছাড়া গোদের ওপর বিষফোড়ার মতো ব্যাপক দারিদ্র্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রতি ক্রমবর্ধমান বৈষম্য−আয়, সম্পদ ও সুযোগের বৈষম্য। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, আমাদের দেশে ৫ শতাংশ সর্বাধিক ধনী পরিবারের জাতীয় আয়ের শেয়ার ১৯৯১-৯২ সালে ১৮.৮৫ থেকে ২০০৫ সালে ২৬.৯৩ শতাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে দেশের ৫ শতাংশ সর্বাধিক দরিদ্র পরিবারের শেয়ার ১.০৩ থেকে ০.৭৭ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থাৎ ১৯৯১-৯২ সালে ধনী-দরিদ্রের আয়ের বৈষম্য ছিল যেখানে ১৮ গুণ, ২০০৫ সালে তা এসে দাঁড়িয়েছে ৩৫ গুণে। এভাবে আমাদের গণতান্ত্রিক শাসনামলে আয়ের অসমতা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে−ক্রমবর্ধমান হারে আমরা এক অসম সমাজে পরিণত হচ্ছি।
সাধারণত বৈষম্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দারিদ্র্য হ্রাস পায়। কারণ বৈষম্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো প্রবৃদ্ধিনির্ভর বা ‘চুইয়ে পড়া’ (Trickle down approach) উন্নয়ন কৌশল। প্রচলিত ধারণা হলো, প্রবৃদ্ধিনির্ভর উন্নয়ন কৌশলে বিভিন্ন ধরনের উৎসাহ প্রদানের ফলে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়, প্রবৃদ্ধির হার বাড়ে, কর্মসংস্থান হয় এবং দারিদ্র্য হ্রাস পায়। কিনতু দুর্ভাগ্যবশত এ প্রক্রিয়া আমাদের দেশে কাজ করেনি। ব্যাপক উৎসাহ ও বিভিন্ন ধরনের ভর্তুকি প্রদানের কারণে আমাদের দেশে এক ধরনের নব্য বণিক শ্রেণীর সৃষ্টি হলেও তা ব্যাপক বিনিয়োগ ও বৃহৎ পরিমাণের কর্মসংস্থানে রূপান্তরিত হয়নি এবং দারিদ্র্যের হারও দ্রুত কমেনি।
দারিদ্র্য-বৈষম্য ও বেকারত্বের ব্যাপকতা আমাদের রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্যই গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অদ্যাবধি আমাদের নীতি-নির্ধারকেরা আমাদের অধিকারবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন ধরনের ঘুমপাড়ানি গান গেয়ে তাদের দৃষ্টি অন্যদিকে নিবদ্ধ করে রেখেছে। ব্যক্তিবিশেষের ‘আদর্শ’ এবং দলীয় আনুগত্যের উত্তেজক স্লোগান ব্যবহারের মাধ্যমে তা করা সম্ভব হয়েছে। এ লক্ষ্যে কেউ কেউ ধর্মীয় অনুভূতিকেও কাজে লাগাচ্ছে। তবে দীর্ঘমেয়াদিভাবে এ ধরনের প্রবঞ্চনা কার্যকর হবে না। কারণ আব্রাহাম লিঙ্কন আড়াই শতাধিক বছর আগে বলে গিয়েছেন, সব লোককে কিছু সময়ের জন্য এবং কিছু লোককে সব সময়ের জন্য বোকা বানিয়ে রাখা যায়, কিনতু সব লোককে সব সময়ের জন্য তা করা যায় না।
দারিদ্র্য ও বৈষম্য আমাদের নিরাপত্তার জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ হাংরিম্যান ইজ অ্যাংরিম্যান বা ক্ষুধার্ত ব্যক্তি রাগান্বিত ব্যক্তি। এ ছাড়া ক্ষুধার্ত ব্যক্তির পকেট ‘শয়তানের’ আড্ডাখানা। তাই ক্ষুধা-দারিদ্র্যের সমস্যার সমাধান দ্রুততার সাথে না করতে পারলে জাতি হিসেবে আমরা ভয়াবহ সংকটের মধ্যে নিপতিত হতে পারি এবং আমাদের ভবিষ্যৎ নরক সমতুল্য হয়ে পড়তে পারে। এর একটি বড় কারণ হলো, আমাদের জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ (৭৩%) ৩৫ বছরের নিচে এবং এদের একটি বড় অংশই কোনো উৎপাদনশীল কাজে লিপ্ত নয়। তাদের পক্ষে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে, এমন কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়াই স্বাভাবিক। বস্তুত আমাদের সামনে দারিদ্র্য-বৈষম্যের একটি তাজা বোমা যেন টিকটিক করে বিস্কোরণোন্নুখ পরিস্থিতির দিকে এগুচ্ছে, যা থেকে পরিত্রাণের উপায় বের করা আজ অতি জরুরি।
দেশের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে দারিদ্র্য-বৈষম্যের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে হলে আজ জাতির জন্য একটি নতুন ‘সামাজিক চুক্তি’ প্রণীত হওয়া আবশ্যক। এ চুক্তির উদ্দেশ্য হবে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রের মালিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদে তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা। এ জন্য প্রয়োজন হবে বিদ্যমান ‘পেট্রোন-ক্লায়েন্ট’ সম্পর্কের অবসান, যেখানে রাজনৈতিক নেতারাসহ সমাজের উচ্চস্তরের ব্যক্তিরা ‘পেট্রোন’ ও সমাজের সাধারণ মানুষ ‘ক্লায়েন্ট’ এবং পেট্রোনদের বদান্যতার কারণেই ক্লায়েন্টরা ফায়দা হিসেবে বিভিন্ন দান-অনুদান ও সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে, তাদের অধিকার হিসেবে নয়।
দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে দান-অনুদানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকলেও, এর দীর্ঘমেয়াদি পরিণতি অশুভ। এর মাধ্যমে পরনির্ভরশীলতার সংস্কৃতি সৃষ্টি হয়, মানুষের মধ্যে ভিক্ষুকের মানসিকতা জাগ্রত হয় এবং তাদের আত্মমর্যাদাবোধ ভূলুণ্ঠিত হয়। দাতা বা পেট্রোনদের দেখলেই তারা বিলাপ জুড়ে দেন−আমরা দরিদ্র-অসহায়, আমাদের ভিক্ষা দিন! কিনতু সৃষ্টিশীল মানুষ কম বিত্তের অধিকারী হতে পারে, তবে অক্ষম এবং অসহায় নয়। তাই গতানুগতিক অনুদাননির্ভর উন্নয়ন কৌশলের পরিবর্তে দরিদ্র জনগণের অন্তর্নিহিত শক্তির বিকাশের লক্ষ্যে কর্মসূচি গ্রহণ হওয়া উচিত আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার।
সত্যিকারভাবে দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য প্রয়োজন হবে দরিদ্রদের শক্তি ও সামর্থ্যকে কাজে লাগানো এবং তাদের সম্ভাবনার দ্বার উন্নোচন। আর এ জন্য প্রয়োজন একটি ব্যতিক্রমী ‘গণকেন্দ্রিক’ উন্নয়ন কৌশল। গণকেন্দ্রিক উন্নয়ন কৌশলের কেন্দ্রবিন্দু সাধারণ জনগণ−তাদের আত্মবিশ্বাস, আত্মপ্রত্যয়, নেতৃত্ব, সৃজনশীলতা এর মূল পাথেয়। এ প্রক্রিয়ায় দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রাথমিক দায়িত্ব নিতে হবে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে। এ ক্ষেত্রে সরকার ও এনজিওগুলোর ভূমিকা হবে মূলত দরিদ্রদের ক্ষমতায়ন ও তাদের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা। আর এ জন্য প্রয়োজন হবে ক্ষমতার ব্যাপক বিকেন্দ্রীকরণ, সম্পদের হস্তান্তর, স্থানীয় সরকারব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরণ এবং একই সঙ্গে জনগণের সামর্থোর বিকাশ।
দারিদ্র্য ও বৈষম্য দূরীকরণের জন্য আরও প্রয়োজন দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নের অবসান। কারণ দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন দারিদ্র্যকে স্থায়ী এবং বৈষম্যকে ক্রমবর্ধমান করে। বস্তুত দারিদ্র্য ও দুর্নীতি মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। দুর্নীতিবাজেরা দরিদ্রদের মুখের ভাত কেড়ে নেয়। তাই দীর্ঘমেয়াদি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে প্রয়োজন দারিদ্র্য-বৈষম্যের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটি সুস্পষ্ট, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সামরিক সামর্থোর সাথে সাথে প্রয়োজন দারিদ্র্য ও বৈষম্য দূরীকরণ তথা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। এ জন্য আরও প্রয়োজন দুর্নীতির মূলোৎপাটন, পরিবেশ সংরক্ষণ, জ্বালানি নিরাপত্তা, একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ইত্যাদি। আশা করি, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে এ সকল বিষয়ের প্রতি অগ্রাধিকার প্রদর্শন করবে এবং নির্বাচিত পরবর্তী সরকার এগুলোর যথাযথ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে।
ড. বদিউল আলম মজুমদার: গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টর, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট, বাংলাদেশ।
তথ্য সূত্র: প্রথম আলো, ১৩ ডিসেম্বর ২০০৮

Related Post

রাজনীতি নিয়ে শুধু রাজনীতিবিদেরাই কি মাথা ঘামাবেনরাজনীতি নিয়ে শুধু রাজনীতিবিদেরাই কি মাথা ঘামাবেন

বদিউল আলম মজুমদার দুই নেত্রীকে এক টেবিলে বসানোর উদ্যোগ নেওয়ার কারণে একজন বর্ষীয়ান আইনজীবী ও একজন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে রাজনীতিতে নাক গলানোর অভিযোগ উঠেছে। আমরা নিজেরাও, যারা নির্দলীয় অবস্থান থেকে বহুদিন

স্থানীয় উন্নয়নে সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ততা ও সাংবিধানিক জটিলতাস্থানীয় উন্নয়নে সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ততা ও সাংবিধানিক জটিলতা

ড. ব দি উ ল আ ল ম ম জু ম দা র গত ৯ মার্চ একনেকের সভায় 'অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের' অধীনে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকার জন্য ২০১৪

সুশাসন: যুক্তরাজ্যের নির্বাচন থেকে শিক্ষণীয়সুশাসন: যুক্তরাজ্যের নির্বাচন থেকে শিক্ষণীয়

বদিউল আলম মজুমদার কয়েক সপ্তাহ আগে যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। এ নির্বাচনের মাধ্যমে ‘হাউস অব কমন্স’ বা কমন্স সভার ৬৫০ জন সদস্যের মধ্যে ৬৪৯ জন নির্বাচিত হয়েছেন_ একজন