নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সাংসদদের মধ্যে প্রায় ৪৪ শতাংশ কোটিপতি। অর্থাৎ তাঁদের নিজ ও নির্ভরশীলদের নামে এক কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। অনেকক্ষেত্রে সম্পদের বর্ণনা দেয়া আছে কিন্তু মূল্য উল্লেখ নেই, সেগুলো গণনা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এগুলোর মূল্য যোগ করা হলে নির্বাচিতদের তালিকায় কোটিপতির সংখ্যা আরো বাড়বে। গত ১ জানুয়ারি, ২০০৯ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘সুজন’-এর উদ্যোগে ‘নবম সংসদে কারা নির্বাচিত হলেন’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। ‘সুজন’ নেতৃবৃন্দরা বলেন, নির্বাচিতদের মধ্যে কোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে জাতীয় সংসদ ‘কোটিপতিদের ক্লাবে’ পরিণত হতে পারে, যা হবে প্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক ধারণার পরিপন্থি। প্রার্থীদের দাখিলকৃত হলফনামার বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে নির্বাচিত সাংসদদের ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়। প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়, নবম সংসদে বিজয়ী ২৯৯ জন এমপি’র মধ্যে ৯২ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ফৌজদারি মামলা রয়েছে। নির্বাচিত এমপিদের ৮৭ শতাংশই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী এবং পেশাগত দিক থেকে অধিকাংশই ব্যবসায়ি। প্রকাশিত তথ্যে আরো বলা হয়, ২৯৯টি আসনে ২৯৩ জন নির্বাচিত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৯ জন নারী রয়েছেন এবং রয়েছেন ১৬৩ জন নতুন মুখ।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ বলেন, নির্বাচিত এমপি এবং অন্যান্য রাজনীতিবিদদের যে সকল মামলা রয়েছে তা যেন বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিষ্পত্তি হয়। সংবাদ সম্মেলন শেষে ‘সুজন’ নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, অপরাধীরা সংসদে আসলে গণতন্ত্রের পরিবর্তে অপরাধতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। জনাব এএসএম শাহজাহান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, আশা করি কার্যকর সংসদ পাব। সংসদকে কার্যকর করতে হলে সরকার ও বিরোধী দল উভয়কেই কার্যকর হতে হবে বলে মন্তব্য করেন ড. সুলতানা কামাল।
মূল প্রবন্ধ ডাউনলোড করুন