লেখক: ড. বদিউল আলম মজুমদার । শনি, ২০ অগাষ্টঁ-এ ২০১১, ৫ ভাদ্র ১৪১৮
নির্বাচন কমিশন কতগুলো সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শেষ করেছে। কমিশন গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেছে। কমিশন কারো সঙ্গেই আলোচনায় বসতে আইনগতভাবে বাধ্য নয়, তাই আইনগত বাধ্যবাধকতা ছাড়াও এ গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আমরা কমিশনকে সাধুবাদ জানাই। আর এটাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, যে প্রক্রিয়ায় আলাপ-আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গৃহীত ও সমস্যার সমাধান করা হয়। আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে হলে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণের কোনো বিকল্প নেই।
কমিশনের সংস্কার প্রস্তাব ও আমাদের মতামত নিম্নে উপস্থাপন করা হলো:
কমিশনের প্রস্তাব
১. প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার (নিয়োগ পদ্ধতি) আইন
আইনের খসড়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ তিনজন – যার মধ্যে একজন নারী – কমিশনার সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রমাণিত প্রশাসনিক দক্ষতা, সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও অনুমিত নিরপেক্ষতাসহ আইনানুগ জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদেরকে কমিশনে নিয়োগ প্রদানের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। তবে সত্ বলে বিবেচিত নন এবং বৈধ আয়ের ভিত্তিতে জীবননির্বাহ করেন না, কোনো রাজনৈতিক দলের বা দলের অঙ্গ সংগঠনের সদস্য, দলের মনোনয়নের ভিত্তিতে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, এবং ঋণখেলাপী – এমন ব্যক্তিরা কমিশনে নিয়োগ প্রাপ্তির অযোগ্য হবেন। উপযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়োগ নিশ্চিত করার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (আহ্বায়ক), সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি মনোনীত হাইকোর্টের একজন বিচারক, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান এবং মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক সমন্বয়ে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের প্রস্তাব আইনে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। কমিটি প্রত্যেকটি শূন্য পদের বিপরীতে তিনজনের একটি প্যানেল প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে জাতীয় সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির কাছে প্রেরণ করবে। কার্য উপদেষ্টা কমিটি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রী যার সদস্য, যথাযথ পরীক্ষা ও বিবেচনার পর যে চূড়ান্ত প্যানেল তৈরি করবে তা থেকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ প্রদান করবেন।
আমাদের মতামত
কমিশনারদের জন্য নির্ধারিত গুণাবলী কাঙিক্ষত। তবে স্মরণ রাখতে হবে যে, প্রমাণিত প্রশাসনিক দক্ষতার ওপর জোর দেয়ার ফলে নিয়োগ যেন শুধু সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না হয়ে পড়ে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাসের ফলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনারদের সংখ্যা ৫-এ নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, কমিশনে নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার কোনো বিধান পঞ্চদশ সংশোধনীতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে মনোনয়ন প্রদান সম্পর্কে আমরা একমত। তবে এতে সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটিকে যুক্ত করা ফলদায়ক হবে কি-না তা নিয়ে আমাদের আশঙ্কা রয়েছে। কারণ আমাদের বিরাজমান রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রী একত্রে বসেন না, এমনকি তাঁরা পরস্পরের ছায়াও মাড়ান না, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
আমাদের বিকল্প প্রস্তাব হলো স্পিকারের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি বিশেষ সংসদীয় কমিটি গঠন, যাতে সরকারি দলের চারজন এবং বিরোধী দলের সমসংখ্যক প্রতিনিধি থাকবে। সংসদ নেতা সরকারি দলের এবং বিরোধী দলের নেতা বিরোধী দলের সদস্যদের নাম নির্ধারণ করবেন। এই বিশেষ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্বে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, একজন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং দুইজন নির্দলীয় বিশিষ্ট নাগরিকের সমন্বয়ে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করবেন এবং কমিটির নাম প্রকাশ করবেন। পঞ্চদশ সংশোধনীতে অনধিক পাঁচজনকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের বিধান রয়েছে। কিন্তু বর্তমান কমিশন অভিজ্ঞতার আলোকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ তিনজনকে নিয়ে কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেছে, যা আমরা সমর্থন করি। অনুসন্ধান কমিটি তিনটি পদের বিপরীতে ছয়জনের নাম বিশেষ সংসদীয় কমিটির কাছে প্রস্তাব এবং নামগুলো প্রকাশ করবে। বিশেষ সংসদীয় কমিটি তিনটি পদের বিপরীতে তিনজনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব এবং নামগুলো প্রকাশ করবে। রাষ্ট্রপতি কোনো নামের ব্যাপারে আপত্তি থাকলে তা কারণসহ বিশেষ সংসদীয় কমিটিকে জানাবে। এমন পরিস্থিতিতে সংসদীয় কমিটি বিকল্প নাম প্রস্তাব করবে। কমিশনের সাচিবিক দায়িত্ব পালনের এবং বিতর্কিত ও কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুগত ব্যক্তি এবং ঋণ খেলাপীদের প্যানেলে অন্তর্ভূক্ত না করার প্রস্তাবের সঙ্গেও আমরা একমত। অতীতে অনুসন্ধান বা বাছাই কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের ভাল নয়। অনেকেরই স্মরণ আছে, প্রথম স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনে বাছাই কমিটির মাধ্যমে চারদলীয় জোট সরকার ২০০৪ সালে কী ধরনের ব্যক্তিদেরকে কমিশনে নিয়োগ দিয়েছিল! সেসব ব্যক্তিরা কমিশনকে কার্যকর করতে পারেননি। এব্যাপারে অবশ্য সরকারের অসহযোগিতাও বড় ভূমিকা রেখেছিলো। আবার বর্তমান সরকারের আমলেই মানবাধিকার কমিশনে নিয়োগ প্রদানের জন্য বাছাই কমিটি ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত একজন অধ্যাপকের নাম সুপারিশ করেছিল, রাষ্ট্রপতি তাকে নিয়োগও দিয়েছিলেন এবং যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ না করেই তাকে পরবর্তীতে অপসারণ করা হয়েছে। তাই বাছাই কমিটির পক্ষ থেকে ‘ডিউ ডিলিজেন্স’ বা সর্বোচ্চ সতর্কতা প্রদর্শন করতে হবে।
২. নির্বাচনী প্রচারণা ব্যয় (জন তহবিল) আইন
যেসকল নিবন্ধিত দল পূর্ববর্তী সংসদ নির্বাচনে নিজস্ব প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণকৃত আসনের প্রদত্ত মোট বৈধ ভোটের ৫ শতাংশ পেয়েছে তারা জন তহবিল থেকে শুধু কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত খাতে নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য আর্থিক সহায়তা পাওয়ার যোগ্য হবে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পূর্ববর্তী নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং বর্তমানে নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তারাই কেবল এ সহায়তা পাওয়ার যোগ্য হবেন। নির্বাচনী ফলাফল গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে তহবিল প্রাপ্তদেরকে নির্ধারিত ফরমে তহবিলের অর্থ ব্যয়ের একটি রিটার্ন কমিশনে দাখিল করতে হবে, যা মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের অফিস কর্তৃক অডিট করানো হবে। কমিশন নিজস্ব তহবিল হতে সংসদ নির্বাচনের পূর্বে ‘জাতীয় পর্যায়ের নেতাদের নির্বাচনী ম্যানুফেস্টো’ প্রচারের এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের একইমঞ্চে আনার এবং বিতর্ক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবে। এ সকল আয়োজনে অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকারী দল বা প্রার্থী জন তহবিল প্রাপ্তির অযোগ্য হবে।
আমাদের মতামত
প্রস্তাবিত নির্বাচনী প্রচারণা ব্যয় (জন তহবিল) আইন সম্পর্কে আমাদের প্রবল দ্বিমত রয়েছে। একথা অনস্বীকার্য যে, আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আজ টাকার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে এবং আমাদের জাতীয় সংসদ পরিণত হয়েছে বহুলাংশে ব্যবসায়ীদের ক্লাবে। আমাদের হয়ে গিয়েছে ‘বেস্ট ডেমোক্রেসী দ্যাট মানি ক্যান বাই,’ অর্থাত্ টাকা দিয়ে কেনা শ্রেষ্ঠ গণতন্ত্র। বস্তুত, টাকার খেলাই আজ আমাদের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তাই নির্বাচনে টাকার খেলা বন্ধ করার কোনো বিকল্প নেই। তবে প্রস্তাবিত আইন দ্বারা তা বন্ধ করা যাবে বলে আমরা মনে করি না। বরং সরকারি কোষাগার থেকে প্রাপ্ত অর্থ তাদেরকে নির্বাচনী ব্যয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে দেবে। তবে ছোট দলগুলোকে ‘ইন-কাইন্ড’ সহায়তা করা যেতে পারে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আরও আলোচনা করা হয়েছে। কমিশন কর্তৃক জাতীয় পর্যায়ের নেতাদের নির্বাচনী ম্যানুফেস্টো প্রচারের বিষয়টি বোধগম্য নয়। কমিশন সম্ভবত দলের ম্যানুফেস্টোর কথা বুঝাতে চেয়েছে! তবে এ কাজটি দলের ওপর ছেড়ে দেয়াই সঠিক হবে বলে আমরা মনে করি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদেরকে একই মঞ্চে এনে বিতর্ক অনুষ্ঠানের প্রস্তাব আমরা জোরালোভাবে সমর্থন করি। তবে এ ব্যাপারে নাগরিক সংগঠনগুলোকে যুক্ত করা প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা সুজনের পক্ষ থেকে ৮৭টি নির্বাচনী এলাকায় সফলভাবে এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছি। স্থানীয় নির্বাচনেও আমরা এর পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছি।
৩. ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রচলন
কমিশন প্রতিটি সংলাপে ইভিএম ব্যবহারের একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে এবং অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেছে।
আমাদের মতামত
ইভিএম প্রবর্তনের প্রত্সাবে নীতিগতভাবে সমর্থনযোগ্য। পৃথিবীর অর্থনেতিক দিক থেকে উন্নত ও অনুন্নত দেশসমূহের মধ্যে বিরাজমান ‘টেকনলজিক্যাল ডিভাইড’ বা প্রযুক্তিগত বিভক্তি দূর করতে হলে নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ সকল ক্ষেত্রে আমাদের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের প্রতিবেশিসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই ইভিএম ব্যবহার করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের বিরাজমান বিরোধীতার-খাতিরে-বিরোধীতার রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির কাছে প্রস্তাবটি জিম্মি হয়ে গিয়েছে। তাই আমরা কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হলেও, আমাদের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য সৃষ্টির আগে ইভিএম প্রবর্তন না করার পক্ষে। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমরা আগামী সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে এ পদ্ধতি পরীক্ষামূলক ব্যবহারের সুপারিশ করছি।
৪. সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এ সংশোধন
অসদাচরণের অভিযোগে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের শাস্তির বিধান সংশোধনের লক্ষ্যে সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর ৭(৬) ধারায় পরিবর্তন এনে অসদাচরণে লিপ্ত কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের শাস্তি প্রদানের ক্ষমতা কমিশনকে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ৭ ধারায় ৭ ও ৮ উপ-ধারা যুক্ত করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
আমাদের মতামত
এ প্রস্তাবকে আমরা সমর্থন করি। বিদ্যমান ব্যবস্থায় অসদাচরণে লিপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি কার্যকর করতে হলে কমিশনকে সংশিস্নষ্ট কর্মকর্তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হতে হয়। প্রস্তাবটি আইনে পরিণত হলে কমিশন নিজেই তাদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে পারবে। তবে আমাদের বিরাজমান ব্যাপক ও নগ্ন দলীয়করণের প্রেক্ষাপটে প্রস্তাবিত এ বিধান কতটুকু কার্যকর করা যাবে সে সম্পর্কে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। কারণ জাতীয় নির্বাচনে ১০ লক্ষাধিক সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যুক্ত করতে হয়। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাসের ফলে দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অধিকাংশ কর্মকর্তাই ক্ষমতাসীন দলের প্রতি অনুগত হবেন বলে আমাদের আশঙ্কা, যা কমিশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। এছাড়া আরপিও’র ৯২ ধারার সরল বিশ্বাসে কৃতকর্মের জন্য দায়মুক্তির বিধানেরও অপব্যবহারের সম্ভাবনা থেকেই যাবে। তাই আমরা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ‘ব্লাঙ্কেট’ দায়মুক্তি প্রদানের বিপক্ষে।[লেখক :সম্পাদক, সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক]
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ২০ আগষ্ট ২০১১
নির্বাচন কমিশনের সংস্কার প্রস্তাব ও কিছু প্রাসঙ্গিক ভাবনা
Categories: