সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক মামলা ও আদালতের রায় পাবলিক ডকুমেন্ট হিসেবে রাজনৈতিক দলের আয়-ব্যয়ের বিবরণী ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা উচিত

পাবলিক ডকুমেন্ট হিসেবে রাজনৈতিক দলের আয়-ব্যয়ের বিবরণী ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা উচিত

‘পাবলিক ডকুমেন্ট হিসেবে রাজনৈতিক দলের আয়-ব্যয়ের বিবরণী ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা উচিত’ বলে মন-ব্য করেছে তথ্য কমিশন। আজ ২২ অক্টোবর ২০১৩ ‘সুজন’-এর পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তথ্য প্রদান না করার অভিযোগের নিষ্পত্তির জন্য অনুষ্ঠিত এক শুনানীতে তথ্য কমিশন এই মন-ব্য করে। পাশাপাশি ‘সুজন’ কে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণপূর্বক রাজনৈতিক দলের আয়-ব্যয়ের বাৎসরিক বিবরণী সরবরাহের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন থেকেই নির্বাচন কমিশনের কাছে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহের বছরভিত্তিক আয়-ব্যয় বিবরণী চেয়ে আসছিলো সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক। সর্বশেষ গত ৬ জুন ২০১৩ তারিখে নির্ধারিত ফরমে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে তথ্য চেয়ে ‘সুজন’-এর পক্ষ থেকে আবেদন করেন ‘সুজন’ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। গত ১৪ জুলাই ২০১৩ তারিখে ‘‘নির্বাচন কমিশনে জমাকৃত রাজনৈতিক দলের বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসাব (অডিট রির্পোট) নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব তথ্য নয়’’ বলে তা রাজনৈতিক দলের নিকট থেকে সংগ্রহ করার জন্য ‘সুজন’কে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হলে, ৪ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে  আপিল করে ‘সুজন’। আপিলেও নির্বাচন কমিশন একই সিদ্ধান- বহাল রেখে ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে ‘সুজন’ এর কাছে পত্র প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তথ্য সরবরাহ না করার জন্য ‘সুজন’ এর পক্ষ থেকে তথ্য কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হলে, আজ শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল। শুনানিকালে কমিশন বলেন, ‘যখনই কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব দাখিল করেন, তখনই সেটা ‘পাবলিক ডকুমেন্ট’ হয়ে যায়। ফলে তখন তা প্রকাশে আইনগত কোন বাধা থাকে না। এটা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটেও থাকা উচিত। শুনানি শেষে তথ্য কমিশনের পক্ষ থেকে নিম্নবর্ণিত নির্দেশনাসমূহ দেয়া হয়।
(১)    ‘সুজন’ নির্ধারিত ফরমে সুনির্দিষ্টভাবে (কোন কোন রাজনৈতিক দলের, কোন কোন সময়ের তথ্য) তথ্য চেয়ে আবেদন করবে।
(২)    নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলসমূহের কাছে ‘সুজন’ কে তথ্য সরবরাহের ব্যাপারে মতামত চেয়ে চিঠি পাঠাবেন।
(৩)     সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলসমূহ তথ্য সরবরাহে সম্মত হলে অথবা  পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে মতামত প্রদান না করলে, কমিশন যত দ্রুত সম্ভব ‘সুজন’ কে তথ্য সরবরাহ করবে।
(৪)    কোনো রাজনৈতিক দল তথ্য প্রদানে অসম্মত হলে তা লিখিতভাবে ‘সুজন’ কে জানাবে নির্বাচন কমিশন।
(৫)    এক্ষেত্রে ‘সুজন’ বিধি মোতাবেক ফি পরিশোধ করবে।
(৬)    ৩১ অক্টোবর ২০১৩-এর মধ্যেই এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার  নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
প্রধান তথ্য কমিশনার জনাব মোহাম্মদ ফারুক, তথ্য কমিশনার জনাব এম এ তাহের ও অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের সামনে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে শুনানীতে অংশ নেন নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) ও দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা জনাব এস এম আসাদুজ্জামান এবং কমিশনের আইনজীবী এডভোকেট তৌহিদ। ‘সুজন’ এর পক্ষ থেকে ‘সুজন’ সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান, সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, নির্বাহী সদস্য জনাব সৈয়দ আবুল মকসুদ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার উপসি’ত থাকলেও শুনানীতে যুক্তি উপস’াপন করেন ‘সুজন’ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
এ সংক্রান্ত খবর দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Related Post

২০০১ সালের ভোটার তালিকা নিয়ে হাইকোট ও নিবাচন কমিশন২০০১ সালের ভোটার তালিকা নিয়ে হাইকোট ও নিবাচন কমিশন

২০০১ সালের ভোটার তালিকার ভিত্তিতে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) আপিল বাতিল করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ । ফলে আগের যে ভোটার