সুজন – সুশাসনের জন্য নাগরিক
গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন
একটি সুখী, সমৃদ্ধ, ধর্ম নিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক এবং সমতা ও ন্যায়-পরায়ণ ভিত্তিক দেশ গড়ার প্রত্যাশায় মুক্তিযোদ্ধারা যার যা কিছু আছে তা নিয়েই লড়াই করেছিল। বহু আত্মত্যাগ ও ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে অমিত সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশ সৃষ্টি হলেও আজও জাতিগতভাবে আমাদের সুদীর্ঘকালের লালিত স্বপ্ন পূরণ হয়নি। স্বাধীনতার ৪০ বছরে এসে দেশ অনেক দূর এগিয়েছে তবে আমাদের আরো এগুতে হবে। গণতন্ত্রের সূচকে প্রথম শ্রেণীতে উঠতে হবে আমাদের। সেজন্যে আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে; যেন আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হয়, জনগণের স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়, সরকারের কর্মপদ্ধতি জনমুখী হয় সর্বোপরি রাজনৈতিক অংশগ্রহণ এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে গুণগত পরিবর্তন আসে।
পেশী শক্তি ও কালো টাকামুক্ত রাজনীতি চাই
বিপন্ন এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন দেশে সুস্থ, স্বচ্ছ, দায়িত্বশীল ও জনকল্যানমুখি রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা। রাজনীতিকে কালো টাকা ও পেশীশক্তির অধিকারী তথা দুর্বৃত্তদের কবল থেকে রক্ষা করা। সর্বোপরি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সৎ, যোগ্য ও আদর্শবান ব্যক্তিদের অর্থাৎ সজ্জনদের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়া।
গড়ে উঠেছে সচেতন, সোচ্চার ও সক্রিয় নাগরিক উদ্যোগ সুজন
ইতিমধ্যে সারা দেশে হাজার হাজার দুঃসাহসী মানুষ বর্তমান এই অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। রাষ্ট্র তথা সমাজের সকল স্তরে একদল সচেতন নাগরিক গোষ্ঠী সক্রিয় যারা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করছেন। একইসাথে বিভিন্ন জনকল্যাণকর বিভিন্ন ইস্যুতে সরকার, নীতি-নির্ধারক ও সেবাদানকারীর ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন। মূল লক্ষ্য পেশী শক্তি ও কালো টাকামুক্ত রাজনীতির চর্চা প্রতিষ্ঠা করা। রাজনীতি যেন সাধারণ মানুষের কল্যাণে নিহিত হয় তা নিশ্চিত করা।
নিজেদের অর্থায়নে পরিচালিত দল নিরপেক্ষ নাগরিক উদ্যোগ সুজন – সুশাসনের জন্য নাগরিক এর ব্যানারে সেইসব অতন্দ্র প্রহরীগণ তাদের শ্রম, অর্থ ও মেধা দিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করছেন। অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ এবং ড. বদিউল আলম মজুমদারের উদ্যোগে ২০০২ সালে পথচলা শুরু করা এ নাগরিক ফোরামটি ইতিমধ্যে দেশের জনকল্যাণকামী সচেতন মানুষের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ফোরামটি জাতীয়ভাবে নানামুখী কর্মসূচি নিচ্ছে পাশাপাশি দেশের প্রত্যেকটি জেলায় সুজনের সদস্যরা জনমানুষকে সম্পৃক্ত করে তাদের নিজস্ব এলাকার গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানুষের তথ্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কার্যকরী উদ্যোগ নিচ্ছে।
সুজন এগিয়েছে অনেকটা পথ
সুজন এর সক্রিয় প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের নির্বাচনী সংস্কার প্রক্রিয়া ক্রমশ:এগুচ্ছে। সুজন এর নির্বাচনী সংস্কার প্রস্-াব, এর স্বপক্ষে জনসচেতনতা তৈরি এবং সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সাথে এডভোকেসি কার্যক্রমের ফলে ইতিমধ্যে বেশ কিছু অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। যেমন, ভোটার তালিকা সংশোধন করা হয়েছে। ভোটারদের ছবি ও ভোটার নম্বর সম্বলিত পরিচয় পত্র প্রদান করা হয়েছে। ভোটারদের তথ্যভিত্তিক অধিকার প্রতিষ্ঠার চর্চা শুরু হয়েছে। প্রার্থীদের এখন নির্বাচনের সময় এফিডেভিট দাখিল করতে হয় যা না করলে মনোনয়ন বাতিল হয়। রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নিবন্ধনের শর্ত হিসেবে দলগুলোর লিখিত গঠনতন্ত্র আছে। তৃনমূল পর্যায়ের নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী নির্বাচন এর বিধান প্রণীত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালে নির্বাচন কমিশন থেকে ভোটার তালিকা সংগ্রহ করে সাড়ে সাত কোটি ভোটারের তালিকা সুজন এর নিজস্ব ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়। তালিকায় অনেক ভুল ভ্রান্-ি থাকা সত্ত্বেও সুজন এর এ প্রচেষ্টা দেশবাসীর মাঝে বিশ্বাস সৃষ্টি করেছিল নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে ছবিসহ সুষ্ঠু ভোটার তালিকা করা সম্ভব। এ প্রচেষ্টাটি অনুঘটকের ভূমিকা পালন করে ভোটারদের বর্তমানের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুতিতে। নির্বাচন কমিশন যাতে স্বাধীন এবং শক্তিশালী হয় সেজন্য সুজন ব্যাপক জনমত সৃষ্টি করে এবং সরকারের সাথে এডভোকেসি করে। নির্বাচন কমিশন যেন স্বাধীন ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হতে পারে সে লক্ষ্যে সুজন এর উদ্যোগে ’গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ’ এর একটি ড্যামি তৈরি করা হয় এবং তা নির্বাচন কমিশনকে দেয়া হয়।
যেতে হবে অনেক দূর……. আপনার সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেয়া এবং এর পরিপক্কতা অর্জনে নিকট ভবিষ্যতে আমাদের আরো অনেকটা পথ অগ্রসর হতে হবে। বিভিন্ন বিষয়ে জনমত সৃষ্টি সুজন এর একটি চলমান কাজ। সুজন এর সাথে সম্পৃক্ত স্বেচ্ছাব্রতীগণ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে অর্থবহ করার লক্ষ্যে সংস্কার প্রস্তাব প্রণয়ন করেছেন এবং জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে গোলটেবিল বৈঠক, মতবিনিময় সভা, মানব বন্ধন, নির্বাচনী আড্ডা, নির্বাচনী সংস্কার বিতর্ক, নির্বাচনী অলিম্পিয়াড, নাগরিক সংলাপের মাধ্যমে নির্বাচনী সংস্কারের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করছেন এবং মানুষকে সোচ্চার ও সংগঠিত করছেন।
কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সুজন এর কার্যক্রম অব্যাহত থাকুক – সচেতন এবং দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে আপনি নিশ্চয়ই তা চান। আপনার সক্রিয় অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজন
বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সুজন এর নাগরিক প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে
বিনিয়োগ করুন
এককালীন
মাসিক
বাৎসরিক
বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার নাগরিক এ উদ্যোগে বিনিয়োগ করতে পেরে আমি সম্মানিতবোধ করছি
নাম: ……………………………………………………………………………………………………………………………..
বয়ষ: ……………………………………………………….. পেশা:……………………………………………………………
ঠিকানা: ………………………………………………………………………………………………………………………….
………………………………………………………………………………………………………………………….
ফোন নাম্বার: ………………………………………………… ই মেইল: ………………………………………………………
সাক্ষর: ……………………………………………………………………………………………………………………………
সুজন – সুশাসনের জন্য নাগরিক
সচিবালয়: ৩/৭ আসাদ এভিনিউ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা – ১২০৭, ফোন: ৮১১-২৬২২, ৮১২-৭৯৭৫, ফ্যাক্স: ৮১১-৬৮১২
ওয়েবসাইট: : www.shujan.org ; www.votebd.org