সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক সাম্প্রতিক কার্যক্রম

সাম্প্রতিক কার্যক্রম

নাগরিক সংগঠন সুজন কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন ২০২১’ শিরোনামে আইনের খসড়ার একটি কপি আইনমন্ত্রী জনাব আনিসুল হকের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন সুজন নেতৃবৃন্দ। আজ ১৮ নভেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় মাননীয় আইনমন্ত্রী জনাব আনিসুল হক তাঁর গুলশান কার্যালয়ে কপিটি গ্রহণ করেন।

সুজন নেতৃবৃন্দের মধ্যে সংগঠনটির সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, নির্বাহী সদস্য এডভোকেট ড. শাহদীন মালিক ও অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার এসময় উপস্থিত ছিলেন।

খসড়া হস্তান্তর শেষে এক প্রেস ব্রিফিং-এ ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, শামসুল হুদা কমিশনের প্রস্তুতকৃত খসড়া ও পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের এ সংক্রান্ত আইনের পর্যালোচনা এবং দেশের বিশেষজ্ঞ নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে এই খসড়া চ‚ড়ান্ত করা হয়েছে। খসড়ায় কমিশনে নিয়োগ দেওয়ার জন্য একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। পূর্বের দুটি কমিশনের নিয়োগ অনুসন্ধানের কমিটির মাধ্যমে হলেও আমাদের খসড়ায় কারা কমিটির সদস্য হবেন এবং তাঁরা কীভাবে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন তার বিবরণ রয়েছে। ফলে এরকম একটি আইনের মাধ্যমে কমিশনের নিয়োগ হলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে যোগ্য ও সঠিক ব্যক্তিরা কমিশনে নিয়োগ লাভ করবেন বলে আমরা মনে করি।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমরা সুজন-এর খসড়াটি ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করছি এবং এটি আমরা পর্যালোচনা করে দেখব। কমিশনের নিয়োগের জন্য একটি আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন এ বিষয়ে দ্বিমত নেই। সরকারও একটি খসড়া প্রস্তুতের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তবে আগামী নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন করে করার মতো সময় আমাদের হাতে নেই। জাতীয় সংসদকে পাশ কাটিয়ে অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই আইন প্রণয়ণ করা সঠিক হবে না।

ড. শাহদীন মালিক বলেন, রাষ্ট্রপতির অনুসন্ধান কমিটি গঠনের কোনো সাংবিধানিক ক্ষমতা নেই। তাই সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী একটি আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। আইন করার জন্য এখনও যথেষ্ট সময় আছে। রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনটি প্রণয়ন করে পরবর্তীতে সংসদের অনুমোদন করে নেয়া যেতে পারে অথবা জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশন আহŸান করেও আইনটি প্রণয়ন করা যেতে পারে।