সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক ড. বদিউল আলম মজুমদার,সাক্ষাৎকার সংলাপ নয়, তালেবানি শক্তির উত্থানের আশঙ্কা

সংলাপ নয়, তালেবানি শক্তির উত্থানের আশঙ্কা

Amader shomoy logo
মিঠুন মিয়া : চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপের আশা ছেড়ে দিয়েছেন বিশেস্নষকরা। তারা বলছেন, দু’টি প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কেউ কাউকে ছাড় দেবেনা। গত দুই-তিন দিনে তা পরিষ্কার হয়ে গেছে। তাই আরো চরম সংঘাত-সংঘর্ষ অনিবার্য। এই অবস্থায় বাংলাদেশে মৌলবাদী বা তালেবানি শক্তির উত্থানের আশঙ্কা করছেন তারা।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘের রাজনীতি বিষয়ক সহকারী মহাসচিব অসকার ফার্নান্দেজ তারানকোর ঢাকা সফর আশার আলো জাগিয়েছিল। ধারণা করা হয়েছিল জাতিসংঘ মহাসচিবের এই বিশেষ দূতের দূতিয়ালি হয়তো কাজে দেবে। রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপ হবে প্রধান দুই দলের মধ্যে। দুই বড় রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে সেরকম আভাসও পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু সে আশা গত ২/৩ দিনের ঘটনা প্রবাহে নিরাশায় পরিণত হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধী দলকে চিঠি দেয়ার যে কথা বলা হয়েছিল, তা আর দেয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন সংসদ ছাড়া আর কোথাও আলোচনা নয়।
বিরোধী দল তাদের দাবি নিয়ে সংসদে গিয়ে কথা বলতে পারে। বাজেট অধিবেশেনে বিরোধী দল সংসদে যোগ দেবে তা নিশ্চিত করেছেন বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তবে তারা সংসদে থাকবেন না। তারা সদস্যপদ রক্ষায় সংসদে যাচ্ছেন। বিএনপি আবারো বলেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানলেই তারা আলোচনায় বসবে, অন্যথায় নয়।
এই পরিস্থতিতে আতঙ্কিত রাজনীতি বিশেস্নষক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
ডয়চে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সংলাপের আর কোনো সম্ভাবনা তিনি দেখেন না। তিনি মনে করেন, এখন দুটি বড় রাজনৈতিক দল রাজপথে শক্তি প্রদর্শনের আরো বড় মহড়ায় নামবে। এই মহড়ায় ব্যবহার হবে পেশি শক্তি। আর এই পেশি শক্তির ব্যবহার করতে গিয়ে দুটি দলই মৌলবাদীদের ব্যবহার করবে। যার আলামত এরই মধ্যে দেখা গেছে। আর তাতে বাংলাদেশে তালেবানি শক্তির উত্থানের আশঙ্কা আছে।
এদিকে বাংলাদেশের রাজনীতির আরেক বিশ্লেষক আফসান চৌধুরী বলেন, দুই দল কোনোভাবেই কাউকে ছাড় দিচ্ছে না। অথচ জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূতের ঢাকা সফরের সময় তারা কথা-বার্তা এবং আচরণে সংলাপের কথাই বলেছে। তাই দেশের মানুষও আশা করেছিল হয়তো সংলাপ হচ্ছে।
কিন্তু দুই দলের শীর্ষ নেতাদের গত দুদিনের কথা ও আচরণে মনে হয়েছে তারা সংলাপের ধারে কাছেও নেই। এতে মানুষ হতাশ হয়েছে। দেশের মানুষ আসলে শান্তি চায়। আর সেকারণেই সংলাপ চায়। কিন্তু দেশের মানুষের প্রত্যাশা রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রভাবিত করেনা।
আফসান চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক সংকটের সমাধান রাস্তায় হয় না। আর রাজনীতি যদি রাস্তায় ক্ষমতা প্রদর্শনের নীতিতে এগোয় তাহলে দেশ আরো চরম সংকটে পড়বে। তিনি মনে করেন তাতে ব্যাপক রক্তপাত হবে।
সূত্র: আমাদের সময়, ১৯ মে ২০১৩
স্থানীয় সময় : ১০৪৩ ঘণ্টা, ১৯ মে ২০১৩

Related Post

স্থানীয় নির্বাচনে ভোটারদের তথ্যভিত্তিক ক্ষমতায়নে সফলতাস্থানীয় নির্বাচনে ভোটারদের তথ্যভিত্তিক ক্ষমতায়নে সফলতা

HTML clipboard বদিউল আলম মজুমদার আগামী ৪ আগস্ট চারটি সিটি করপোরেশন ও নয়টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনের একটি বৈশিষ্ট্য হলো, এতে প্রার্থীদের নিজেদের এবং তাঁদের ওপর নির্ভরশীলদের সম্পর্কে

সমকালীন প্রসঙ্গ:কেমন হওয়া উচিত আসন্ন বাজেটসমকালীন প্রসঙ্গ:কেমন হওয়া উচিত আসন্ন বাজেট

বদিউল আলম মজুমদার সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত সম্পদের প্রয়োজন হয় না। যেমন ক্ষমতাধরদের সম্পদের হিসাব প্রদান ও প্রকাশ, তাদের জন্য একটি আচরণবিধি প্রণয়ন ইত্যাদি। এ জন্য প্রয়োজন হয়

সিসিসি নির্বাচন: প্রার্থীরা নিজেদের সম্পর্কে যে তথ্য দিয়েছেনসিসিসি নির্বাচন: প্রার্থীরা নিজেদের সম্পর্কে যে তথ্য দিয়েছেন

বদিউল আলম মজুমদার | তারিখ: ১৬-০৬-২০১০ আগামীকাল ১৭ জুন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন। সাংবিধানিক নির্দেশনা (অনুচ্ছেদ ৫৯) অনুযায়ী, রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের তথা গণতান্ত্রিক শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হলে এই