বদিউল আলম মজুমদার
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সমাপ্ত হয়েছে এবং ২৯৩ জন সংসদ সদস্য ইতিমধ্যে শপথ গ্রহণ করেছেন। কারা এই নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য? কী তাঁদের অতীত পটভূমি? যে ধরনের সংসদ সদস্য আমরা চেয়েছি, তা কি আমরা পেয়েছি?
সুশাসনের জন্য নাগরিক−সুজনের পক্ষ থেকে আমরা আমাদের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের হলফনামা ও আয়কর রিটার্নে প্রদত্ত তথ্য সন্নিবেশ ও বিশ্লেষণ করেছি। আমাদের বিশ্লেষণ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের এবং তাদের অতীত পটভূমি সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উন্নোচিত হয়েছে। আমরা তাদের সম্পর্কে অনেক নতুন কিছু জেনেছি।
সরকারি গেজেটে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, নবম জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত মহাজোট ২৬২টি আসনে জয়ী হয়েছে, যার মধ্যে আওয়ামী লীগ নিজে ২৩০টি, জাতীয় পার্টি ২৭টি, ওয়ার্কার্স পার্টি দুটি ও জাসদ তিনটি আসন পেয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ৩২টি আসন লাভ করেছে, যার মধ্যে বিএনপির ২৯টি, জামায়াতে ইসলামীর দুটি ও বিজেপির একটি আসন অন্তর্ভুক্ত। বাকিগুলোর মধ্যে এলডিপি একটি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চারটি আসনে জয়ী হয়েছেন।
আওয়ামী লীগের ৪১ জন সাবেক সংসদ সদস্য ৪৩টি আসনে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের দুজন সাবেক সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। বিএনপির ১২৯ জন সাবেক সংসদ সদস্য বিভিন্ন দলের টিকিটে ১৩৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাঁদের মধ্যে ১১০ জন বিএনপির টিকিটে, দুজন বিকল্পধারার, দুজন এলডিপির হয়ে এবং ১৫ জন স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্যদের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। অষ্টম সংসদের জামায়াতে ইসলামী দলভুক্ত ১১ জন সংসদ সদস্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সবাই পরাজিত হয়েছেন। বিএনপি ও জামায়াতের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সাবেক সাংসদদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধেই দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ফলে এসব বিতর্কিত ব্যক্তির পক্ষে ভোটারদের, বিশেষত নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গির ভোটারদের মুখোমুখি হওয়া অত্যন্ত দুরূহ ছিল। তাই ‘অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর’ বা পদে অধিষ্ঠিত থাকাজনিত সুনাম-দুর্নামের কারণে বিএনপি-জামায়াতের অনেক সাবেক সাংসদ নির্বাচনে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন।
নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো, ২৯৯টি আসন থেকে ১৯৩ জন সংসদ সদস্যদের (সাবেক প্রধানমন্ত্রীদ্বয় শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জেনালের এরশাদ−প্রত্যেকে তিনটি করে আসনে জয়ী হয়েছেন) মধ্যে ১৬৩ জন বা ৫৬ শতাংশ নতুন মুখ। তাঁরা অতীতে কোনো দিন সংসদে নির্বাচিত হননি। এঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৩২ জন বা ৫৮ শতাংশ নতুন মুখ। এদের মধ্যে আরও আছেন বিএনপির ১৩ জন, জাতীয় পার্টির ১৪ জন, জামায়াতের দুজন এবং স্বতন্ত্র দুজন। প্রথমবারের মতো নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধেই গুরুতর কোনো অভিযোগ নেই এবং মহাজোটের মহা বিজয়ের পেছনে তাদের অপেক্ষাকৃত পরিচ্ছন্ন ইমেজ একটি বড় কারণ।
নবনির্বাচিত ২৯৩ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ১৪ জন সংখ্যালঘু ও আধিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত এবং এঁদের সবাই আওয়ামী লীগের সদস্য। এ ছাড়া ৫৮ জন নারী ৬২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৯ জন ২৩টি আসনে বিজয়ী হয়েছেন, যার মধ্যে আমাদের দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রীদ্বয় অন্তর্ভুক্ত। নির্বাচিত নারীদের মধ্যে ১৬ জন (১৮ আসন) আওয়ামী লীগ এবং তিনজন (পাঁচ আসন) বিএনপি দলভুক্ত। দুর্ভাগ্যবশত ২৯৩ জন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যের মধ্যে মাত্র ৬ শতাংশ নারী, যদিও নারীরা আমাদের জনগোষ্ঠীর অর্ধেক এবং ভোটার তালিকায় সংখ্যার দিক থেকেও তারা সংখ্যাগুরু।
নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের অধিকাংশই উচ্চশিক্ষিত। আওয়ামী লীগের সাংসদদের ৮২ শতাংশের স্মাতক ও স্মাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে। বিএনপির সাংসদদের ৭৯ শতাংশের একই ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে। শুধু ৭ শতাংশ নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি ও তার কম। উল্লেখ্য, কিছু সংসদ সদস্য তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন এবং কারও কারও উচ্চশিক্ষার ডিগ্রি তথাকথিত ‘ডিপ্লোমা মিল’ থেকে সংগৃহীত।
পেশার দিক থেকে আওয়ামী লীগ দলভুক্ত নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ৫৩ শতাংশ পেশা হিসেবে ব্যবসা তাঁদের হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। পক্ষান্তরে বিএনপি এমপিদের ৬৯ শতাংশের পেশা ব্যবসা। সার্বিকভাবে ৫৯ শতাংশ নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যবসা তাঁদের পেশা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। কিনতু বাস্তবে নবম জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ীদের হার আরও বেশি হবে, কারণ অনেক সংসদ সদস্যই তাদের জীবন-জীবিকার প্রধান উৎস হলফনামায় উল্লেখ করেননি। উদাহরণস্বরূপ, ১০ জন সংসদ সদস্য পেশা হিসেবে রাজনীতি উল্লেখ করেছেন, আবার কেউ কেউ বলেছেন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা।
নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের অনেকের বিরুদ্ধেই অপরাধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, মহাজোটের ২৬২ জন সাংসদের মধ্যে ১১১ জন বা ৪৩ শতাংশের বিরুদ্ধে অতীতে ফৌজদারি মামলা ছিল এবং ৭৪ জন বা ২৮ শতাংশের বিরুদ্ধে বর্তমানে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। পক্ষান্তরে চারদলীয় জোটভুক্ত ২৩ জন বা ৭২ শতাংশ সাংসদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ছিল, বর্তমানে ৫৯ শতাংশ বা ১৭ জনের বিরুদ্ধে একই ধরনের মামলা রয়েছে। সার্বিকভাবে ২৯৯ জন সাংসদের মধ্যে ১৩৯ জন বা ৪৬ শতাংশের বিরুদ্ধে অতীতে অপরাধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ছিল এবং বর্তমানে ৯২ জন বা ৩১ শতাংশের বিরুদ্ধে অপরাধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। হলফনামায় প্রদত্ত ঘোষণা অনুযায়ী, অন্তত ১৮ জন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার অধীনে খুনের মামলা রয়েছে। নির্বাচিতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপের অভিযোগ রয়েছে এবং তাঁদের মধ্যে অন্তত দুজন যুদ্ধাপরাধী বলে অনেকের অভিযোগ।
নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। আমরা অন্তত ৫৪ জন দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত প্রার্থীকে চিহ্নিত করতে পেরেছি−২৯ জন বিএনপির এবং ১৭ জন আওয়ামী লীগের−যাঁরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এসব বিতর্কিত ব্যক্তির মধ্যে ২৪ জন নির্বাচিত হয়েছেন, এঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৭ জন ও বিএনপির ছয়জন রয়েছেন। নির্বাচিতদের মধ্যে একজন দুর্নীতির অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্তও রয়েছেন।
এ কথা সুস্পষ্টভাবে বলা প্রয়োজন যে কারও বিরুদ্ধে মামলা হওয়া মানেই তিনি অপরাধী নন, অপরাধ আদালতে প্রমাণিত হতে হবে। এ ছাড়া আমাদের দেশে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে অনেক সময় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। যাঁদের বিরুদ্ধে অতীতে মামলা ছিল তাঁদের অনেকেই অবশ্য খালাস পেয়েছেন কিংবা তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রেও অনেক সময় রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে। উদাহরণস্বরূপ, শোনা যায় চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসার পর কয়েক হাজার মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এ ছাড়া রাজনৈতিক বিবেচনায় অনেক অপরাধীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরও করা হয় না। উপরনতু অনেক প্রার্থী তাঁদের হলফনামায় মামলার তথ্য গোপন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই মামলার তথ্য থেকে সত্যিকারের অপরাধীর সংখ্যা নির্ণয় করা সম্ভব নয়। তবু এসব তথ্য আসন্ন সংসদ নির্বাচনে যে অনেক বিতর্কিত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, এর সুস্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে।
তবে হলফনামায় প্রাপ্ত তথ্য থেকে এটি সুস্পষ্ট যে, বিএনপি অপেক্ষাকৃত বেশিসংখ্যক বিতর্কিত ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিয়েছে এবং ভোটাররাও তাদের চরমভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। বস্তুত বিএনপি তার মনোনয়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়নি বলে অনেকের অভিযোগ, ফলে অনেক ভোটার দারুণভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্তদের মধ্যে অন্তত দুজন ছিলেন, যাঁরা খুনের মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত এবং রাষ্ট্রপতির অনুকম্পায় ক্ষমা পেয়ে জেলমুক্ত। এ ছাড়া ছিলেন অনেক গডফাদার এবং দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ও দুর্নাম অর্জনকারী ব্যক্তি। উপরনতু চারদলীয় জোটের অংশীদার জামায়াতের প্রার্থীদের অধিকাংশের বিরুদ্ধেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে। অনেক ভোটারের মধ্যেই এ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে এসব বিতর্কিত ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার অর্থ দাঁড়াবে তাঁদের অতীতের সব গর্হিত কাজের প্রতি সমর্থন জোগানো, যা তাদের আরও বেপরোয়া করে তুলবে। ফলে দুর্নীতিবাজ-দুর্বৃত্তদের ঠেকানোর মানসিকতাই ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক ভোটারের মধ্যে কাজ করেছে বলে প্রতীয়মান হয়। এক অর্থে এটা ছিল অনেকটা রেফারেন্ডামের মতো।
নবনির্বাচিতদের হলফনামা ও আয়কর রিটার্নে প্রদত্ত সম্পদের তথ্যও প্রণিধানযোগ্য। এনবিআরের সূত্রমতে, নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মধ্যে মাত্র দুজনের টিআইএন নম্বর নেই, অর্থাৎ তাঁরা করদাতা নন। তবে তাঁদের একটি বড় অংশ কোটিপতি। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নির্বাচিতদের মধ্যে প্রায় ৪৪ শতাংশ কোটিপতি, যাদের নিজ ও নির্ভরশীলদের নামে ন্যূনতম এক কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। তবে এ হিসাবে কোটিপতিদের সংখ্যা অনেক কম করে দেখানো হয়েছে, কারণ সংসদ সদস্যদের অনেকেই তাঁদের হলফনামায় সম্পদের তালিকা দিলেও মূল্য উল্লেখ করেননি এবং তাঁদের আমাদের এই হিসাব থেকে বাদ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া অনেকে সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই নির্বাচিতের সব ঘোষিত-অঘোষিত সম্পদের বর্তমান মূল্য ধরলে আমাদের মহান জাতীয় সংসদ কোটিপতিদের ক্লাবে পরিণত হবে বলে অনেকের ধারণা। কোটিপতি হওয়ায় কোনো দোষ নেই, তবে জাতীয় সংসদ কোটিপতির ক্লাবে পরিণত হওয়া প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রের−যেখানে সমাজের সব শ্রেণীর জনগণের প্রতিনিধিত্ব থাকবে−ধারণার পরিপন্থী। এ ছাড়া প্রশ্ন থেকে যায়, তাঁদের সম্পদের উৎস বৈধ, নাকি অবৈধ?
এটি সুস্পষ্ট যে অনেক বিতর্কিত ব্যক্তি নবম সংসদে নির্বাচিত হয়েছেন, যা কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়। একই সঙ্গে অপেক্ষাকৃত পরিচ্ছন্ন পটভূমি থেকে বহু নতুন মুখও সংসদে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন, যাঁদের মধ্য থেকে একঝাঁক নতুন নেতৃত্ব বের করে আনা সম্ভব−এমন নেতৃত্ব, যাঁরা ব্যক্তি কিংবা কোটারি স্বার্থের পরিবর্তে জনকল্যাণে নিবেদিত হবেন। তাই আমরা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশান্বিত। তবে এ সম্ভাবনা বাস্তবে রূপায়িত হবে কি না তা বহুলাংশে নির্ভর করবে আমাদের নেতৃত্বের উদারতা, চিন্তাশীলতা ও প্রজ্ঞার ওপর। আমরা সুজনের পক্ষ থেকে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের অভিনন্দন জানাই এবং তাঁদের সাফল্য কামনা করি। একই সঙ্গে তাঁদের কার্যকর সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করি, তবে ‘ওয়াচ ডগ’ বা অতন্দ্রপ্রহরীর অবস্থান থেকে। ড. বদিউল আলম মজুমদার: সম্পাদক, সুজন−সুশাসনের জন্য নাগরিক।
তথ্য সূত্র: প্রথম আলো, ৫ জানুয়ারি ২০০৯
সংসদ নির্বাচন: নবম জাতীয় সংসদে কারা নির্বাচিত হলেন?
Categories: