সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক ড. বদিউল আলম মজুমদার,লেখালেখি সামপ্রতিক নির্বাচনে কেমন প্রার্থী পেলাম

সামপ্রতিক নির্বাচনে কেমন প্রার্থী পেলাম

ড. বদিউল আলম মজুমদার

নির্বাচন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অপরিহার্য প্রথম পদক্ষেপ। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা শেকড় গজাতে এবং কার্যকারিতা অর্জন করতে পারে না। তবে নির্বাচনের মাধ্যমে একদল ব্যক্তি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত হলেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এগিয়ে যায় না। এর জন্য আরও প্রয়োজন সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশগ্রহণে আগ্রহী হওয়া এবং তাদের নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা।

সজ্জনরা যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী হন এবং তারা নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ পান, সে লক্ষ্যে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সম্পর্কে তথ্য প্রদানের আইনি বিধান ইতোমধ্যেই করা হয়েছে। নির্বাচনী বিধিবিধান অনুযায়ী সমপ্রতি অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে এবং দু'টি উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামা আকারে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা/জীবিকা, অতীতে এবং বর্তমানে ফৌজদারী মামলা হয়েছে কি-না, প্রার্থী এবং প্রার্থীর ওপর নির্ভরশীলদের অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদের বিবরণ, প্রার্থীর ঋণ সংক্রান্ত তথ্য ইত্যাদি জমা দিতে হয়। আরও জমা দিতে হয় তাদের আয়কর রিটার্নের কপি। এ সকল তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্য হলো ভোটারদেরকে ক্ষমতায়িত করা, যাতে তারা জেনে-শুনে-বুঝে সজ্জনের পক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। সমপ্রতি অনুষ্ঠিত ২৫৯টি পৌরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ১৩২৬ জন মেয়র প্রার্থী এবং ২টি উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ৯ জন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী নির্বাচনী বিধি অনুয়ায়ী মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামা ও আয়কর রিটার্ন রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে দাখিল করেছেন।

এবারই প্রথম দলভিত্তিক পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় মনোনয়নের কারণে স্থানীয়ভাবে অনেক সৎ, যোগ্য ও জনপ্রিয় ব্যক্তি, যারা দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে এগিয়ে আসেননি। ফলে সাম্প্রতিক পৌর নির্বাচনে গড় প্রার্থীর সংখ্যা কমে গিয়েছে। এবারের নির্বাচনে পৌরসভা প্রতি চূড়ান্ত মেয়র পদপ্রার্থীর সংখ্যা ছিল গড়ে ৫.১১ জন। অনেক পৌরসভায়ই ২-৩ জনের বেশি প্রার্থী ছিলেন না। প্রসঙ্গত, গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ৪ আগস্ট, ২০০৮ তারিখে অনুষ্ঠিত নয়টি পৌরসভায় মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ৬৯ জন (যা গড়ে পৌরসভা প্রতি ৭.৬৬ জন) এবং চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৫৯ জন ( যা গড়ে পৌরসভা প্রতি ৬.৫৫ জন)।

পৌরসভা প্রতি গড় মেয়র প্রার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় ভোটারদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিধি সীমিত হয়ে গিয়েছে এবং তারা যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনের সর্বোচ্চ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ফলে ভোটারদের স্বার্থহানি হয়েছে। একইসাথে বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ির কারণে রাজনৈতিক দলগুলোও একক প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হয়েছে। যেখানে জোর করে একক প্রার্থী দেওয়া হয়েছে, সেখানে দলীয় কোন্দল প্রকট হয়েছে। আর দলীয় কোন্দলের অন্যতম কারণ হল মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামত না নেওয়া তথা গণতান্ত্রিক পদ্ধতির অন-পস্থিতি এবং মন্ত্রী-এমপি-নেতাদের অভিমত চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা। তাই দলীয়ভিত্তিক স্থানীয় নির্বাচনের সিদ্ধান্তটি পুনঃবিবেচনার দাবি রাখে বলে আমরা মনে করি। প্রসঙ্গত, দু'টি উপ-নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা গড়ে ৪.৫ জন, যদিও গত ২৯ জানুয়ারি, ২০০৮ তারিখে অনুষ্ঠিত ২৯৯টি এবং পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনগুলোতে গড় প্রার্থী সংখ্যা ছিল ৫.২২ জন।

'দিনবদলের সনদ' অনুযায়ী, বর্তমান সরকার নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সামপ্রতিক নির্বাচনে তার প্রতিফলন ঘটেনি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একজন নারীকেও পৌরসভা এবং উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়নি। বস্তুত, ২৫৯টি পৌরসভায় মোট ১৩২৬ জন মেয়র পদপ্রার্থীর মধ্যে মাত্র ১১ জন ছিলেন নারী প্রার্থী। লজ্জাকর হলেও সত্য যে, ১১ জন নারী প্রার্থীর মধ্যে শুধুমাত্র রাজশাহীর চারঘাট পৌরসভায় নার্গিস খাতুন নামের একজন নারী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও উপ-নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে একজনও নারী প্রার্থী নেই, যা নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য কোনোভাবেই ইতিবাচক নয়। শিক্ষিত ব্যক্তিরা অধিক হারে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন, অনেকেরই তা প্রত্যাশা। কারণ শিক্ষিত জনপ্রতিনিধিগণের পক্ষে সরকারের সাথে এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সাথে এডভোকেসি করে জনগণের জন্য যথাযথ পৌর সেবা নিশ্চিত করা সহজ হয়। শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকে চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ১৩২৬ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ১৩.৬৫% প্রার্থী স্নাতকোত্তর, ২৮.৮০% স্নাতক, ১৯.৩৮% এইচএসসি, ১৫.৯৮% এসএসসি ডিগ্রীধারী এবং ২১.১১% এসএসসির নীচে। অর্থাৎ এক-তৃতীয়াংশের বেশি মেয়র পদপ্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি কিংবা তার নীচে (৩৭.০৯%)। উপ-নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৯ জন প্রার্থীদের মধ্যে ৩৩.৩৩%-এর স্নাতকোত্তর এবং ২২.২২%-এর স্নাতক ডিগ্রী রয়েছে। উলেস্নখ্য যে, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের ৩৫.১২%-এর স্নাতকোত্তর এবং ৩৩.৫৮% স্নাতক ডিগ্রীর অধিকারী। তবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই একমাত্র যোগ্যতার মাপকাঠি নয়।

সামপ্রতিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে ৬৭.৯৪% ব্যবসায়ী, ১২.৮২% কৃষিজীবী, ১০.৫৫% চাকরিজীবী, ৩.৯৯% আইনজীবী ও ০.৫২% গৃহিণী। বলতে গেলে শিক্ষাবিদ, সমাজকর্মীরা প্রার্থীই হননি। পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ এলাকায় থাকেন না। উপ-নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ৭৭.৭৭% ব্যবসায়ী এবং দুই আসনেই ব্যবসায়ী প্রার্থীর আধিক্য দেখা যায়। উলেস্নখ্য যে, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ৫৭% তাঁদের পেশা ব্যবসা বলে হলফনামায় ঘোষণা দিয়েছেন। উপ-নির্বাচন এবং পৌর নির্বাচনে অধিকাংশ প্রার্থীও ব্যবসায়ী হওয়ায় এটি সুস্পষ্ট যে, আমাদের জাতীয় ও স্থানীয় রাজনীতি ক্রমাগতভাবে ব্যবসায়ীদের করায়ত্ত হয়ে যাচ্ছে, যা 'পস্নুরালিটি' ধারণার পরিপন্থী এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ইতিবাচক নয়। কারণ সাধারণ জনগণের ভোটাধিকার থাকলেও কোনো প্রতিষ্ঠানেই তাদের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব নেই। এছাড়াও এটি রাজনীতির 'ব্যবসায়ীকরণ' তথা বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া।

মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমানে মামলায় অভিযুক্ত আছেন ২৪.৫৮% এবং অতীতে মামলা ছিল ৪২.৩৮%-এর বিরুদ্ধে। দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার অধীনে অর্থাৎ হত্যা মামলা ছিল বা রয়েছে ৯.৫৭% শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে। অনেক বিতর্কিত ব্যক্তি এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। ফলে গ্রেসামস ল', 'ব্যাড মানি ড্রাইভস দি গুড মানি আউট অব সার্কুলেশন', এক্ষেত্রে কাজ করেছে। অর্থাৎ বিতর্কিত প্রার্থীরা ভালো প্রার্থীদেরকে নির্বাচনী ময়দান থেকে বিতাড়িত করেছেন। উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমানে মামলায় অভিযুক্ত আছেন ৩৩.৩৩% প্রার্থী এবং অতীতের মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন ২২.২২%। যেখানে নবম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের ৪৬ শতাংশের বিরুদ্ধে অতীতে মামলা ছিল এবং ৩১ শতাংশের বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা আছে। হলফনামায় প্রদত্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের বিবরণী বিশেস্নষণ করলে দেখা যায়, মেয়র প্রার্থী এবং তাদের ওপর নির্ভরশীলদের মধ্যে ২.৩৩% কোটিপতি রয়েছেন। অধিকাংশ অর্থাৎ ৬৪.৩২% প্রার্থীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৫ লক্ষ টাকার নীচে। তবে অনেক প্রার্থীই স্থাবর সম্পত্তির মূল্য উলেস্নখ করেননি, তাই এটি প্রার্থীদের সম্পদের পরিমাণের পূর্ণ চিত্র নয়। পরিপূর্ণ ও তুলনাযোগ্য তথ্য পেতে হলে ভবিষ্যতে হলফনামায় পরিবর্তন আনতে হবে।

উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং তাদের ওপর নির্ভরশীলদের মধ্যে ৩৩.৩৩% কোটিপতি রয়েছেন। উলেস্নখ্য, দুইজন প্রার্থী তাদের স্থাবর সম্পত্তির মূল্য উলেস্নখ করেননি, তাই প্রদত্ত তথ্য অসম্পূর্ণ। উপনির্বাচনে এক-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৩৩.৩৩% প্রার্থীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৫ লক্ষ টাকার নীচে। পক্ষান্তরে নবম জাতীয় সংসদে নির্বাচিতদের মধ্যে তাদের ঘোষণা অনুযায়ী প্রায় ৪৪% কোটিপতি আছেন। অর্থাৎ আমাদের সংসদ ক্রমাগতভাবে কোটিপতিদের ক্লাবে পরিণত হচ্ছে।

সামপ্রতিক নির্বাচনে তিন লক্ষ টাকা কিংবা তার উপর আয় এমন মেয়র পদপ্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১৫২ জন। এদের মধ্যে ১১৬ জন (৭৬.৩১%) কর প্রদান করেন। ব্যবসায়ীদের মধ্যে ৭৬.৯২% এবং চাকরিজীবীদের মধ্যে ৬৬.৬৭% কর প্রদান করেছেন। করযোগ্য আয় থাকা সত্ত্বেও সম্ভবত উলেস্নখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থী কর প্রদান করেননি, তাই 'ট্যাক্স-নেটে'র অধীনে আরও অনেককে আনার সুযোগ রয়েছে। উপ-নির্বাচনে তিন লক্ষ টাকা কিংবা তার উপর আয় এমন প্রার্থীর সংখ্যা দুইজন। তারা উভয়ই ব্যবসায়ী এবং কর প্রদান করেন।

পরিশেষে, এটি সুস্পষ্ট যে, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সম্পর্কে তথ্য প্রদান এবং তা বিশেস্নষণ ও বিতরণ ভোটারদেরকে সচেতন করার এবং তাদেরকে সৎ ও যোগ্য তথা সঠিক প্রার্থীর পক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই প্রত্যেক নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের তথ্য প্রদান বাধ্যতামূলক করা আবশ্যক। বর্তমানে জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের তথ্য প্রদানের বাধ্যবাধকতা নেই। উলেস্নখ্য যে, আদালত ভোটারদের প্রার্থী সম্পর্কে তথ্যপ্রাপ্তির অধিকারকে বাক্ স্বাধীনতা তথা মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন, কারণ ভোটাররা তাদের বাক্ স্বাধীনতা প্রয়োগ করেন ভোটের মাধ্যমে। আর নাগরিকের মৌলিক অধিকার খর্ব করার এখতিয়ার কারোরই নেই। তবে শুধুমাত্র তথ্য প্রদান করলেই হবে না, তথ্য সঠিক হতে হবে এবং প্রদত্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনকে চুলচেরাভাবে যাচাই-বাছাই করে তথ্য গোপনকারী ও ভুল তথ্য প্রদানকারীর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে। এমনকি তাদের নির্বাচন বাতিল করতে হবে, যার ফলে আমাদের নির্বাচনী অঙ্গন আগাছামুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

[লেখক: সম্পাদক, সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক]

সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১১

Related Post

তেল-গ্যাস চুক্তি নিয়ে বিতর্ক ও এর যৌক্তিকতাতেল-গ্যাস চুক্তি নিয়ে বিতর্ক ও এর যৌক্তিকতা

বদিউল আলম মজুমদার আমাদের নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ কনোকো ফিলিপসের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির বিরোধিতাকারীদের গালাগালের আশ্রয় নিয়েছেন। আমাদের অভিজ্ঞতা হলো, যে ব্যক্তির যুক্তি দুর্বল, সে-ই সাধারণত অশালীন আচরণ করে কিংবা তার

গণতান্ত্রিক চেতনার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণগণতান্ত্রিক চেতনার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ

বদিউল আলম মজুমদার উপজেলা পরিষদ নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, আমি মনে করি তা অনাকাঙিক্ষত ও অপ্রয়োজনীয়। আমাদের সংবিধান সুস্পষ্টভাবে নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কার কী দায়িত্ব। সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদে নির্ধারিত

সমকালীন প্রসঙ্গ: সংবিধান সংশোধন ও নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতাসমকালীন প্রসঙ্গ: সংবিধান সংশোধন ও নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা

বদিউল আলম মজুমদার বিরাজমান ব্যবস্থায় নির্বাচিত সরকার মেয়াদ শেষে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি অনির্বাচিত সরকারের কাছে সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী ৯০ দিনের জন্য ক্ষমতা হস্তান্তর করে, যা