বদিউল আলম মজুমদার
নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের দিক থেকে বাংলাদেশকে একটি মডেল রাষ্ট্র হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। কারণ গত ২০ বছরে নারীরাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সাম্প্রতিক পৌরসভা নির্বাচনে এর কোনো প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়নি।
সম্প্রতি ২৫৪টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল, যার মধ্যে ২৪৮টির ফল প্রকাশিত হয়েছে। এ নির্বাচনকে উপলক্ষ করে আমরা ‘সুজন_ সুশাসনের জন্য নাগরিকে’র পক্ষ থেকে ২৫৮টি পৌরসভার, যেখানে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, মোট ১ হাজার ৩২৬ জন চূড়ান্ত মেয়র পদপ্রার্থীর হলফনামা ও আয়কর রিটার্নে প্রদত্ত তথ্য সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করেছি। প্রসঙ্গত, হলফনামায় প্রার্থীদের সাত ধরনের তথ্য প্রদান করতে হয়। উল্লেখ্য, সুজনের নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টার ফলেই ভোটারদের এসব তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আদালতের নির্দেশনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
তথ্যগুলো বিশ্লেষণের ভিত্তিতে প্রত্যেক পৌরসভার চূড়ান্ত প্রার্থীদের তুলনামূলক চিত্র তৈরি করে আমরা তা ভোটারদের মধ্যে বিতরণ করেছি। একইসঙ্গে আমরা মোট ৭৫টি পৌরসভায় ‘ভোটার-প্রার্থী মুখোমুখি’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এসব অনুষ্ঠানের অনেকগুলোতেই ব্যক্তিগতভাবে আমি উপস্থিত থেকেছি এবং এগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা অর্জন করেছি।
অধিকাংশ মুখোমুখি অনুষ্ঠানে হাজার হাজার ভোটার অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রায় সব প্রার্থীই এগুলোতে উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিতদের অধিকাংশই ছিলেন ক্ষমতাসীন দল মনোনীত প্রার্থী। সামান্য কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া অনুষ্ঠানগুলো ছিল অত্যন্ত সুশৃঙ্খল। অধিকাংশ মেয়র পদপ্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরা সংযত আচরণ করেছেন। যে দু’এক জায়গায় প্রার্থী কিংবা তাদের সমর্থকরা উগ্রতা প্রদর্শন করেছেন, তারা জনসমর্থন হারিয়েছেন এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরাজিত হয়েছেন। এসব অনুষ্ঠানে প্রার্থীদের সরাসরি প্রশ্ন করার সুযোগ হয় ভোটারদের। প্রশ্নোত্তর পর্বে বিতর্কিত প্রার্থীদের অনেককেই তটস্থ থাকতে দেখা যায়।
অনুষ্ঠানগুলোতে প্রার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে একটি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। এ ঘোষণার মাধ্যমে তারা অনেক অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। অঙ্গীকারগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো_ তারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা করবেন এবং নির্বাচনে জেতার জন্য কালো টাকা ও পেশিশক্তি ব্যবহার করবেন না। নির্বাচনে পরাজিত হলে তারা জনরায় মেনে নেবেন এবং বিজয়ী মেয়রকে পৌর এলাকার সার্বিক উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন। তারা নির্বাচিত কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ত করে পৌরসভাকে দুর্নীতিমুক্ত ও কার্যকর করবেন। একইসঙ্গে তারা নিজেদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতি বছর ভোটারদের মুখোমুখি হবেন এবং বার্ষিকভাবে নিজের এবং পরিবারের সম্পদ ও দায়-দেনার হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ করবেন। পুরো অনুষ্ঠানই, বিশেষত প্রার্থীদের পরস্পর হাত ধরে এসব অঙ্গীকার পালন করবেন বলে শপথবাক্য উচ্চারণ ভোটারদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে।
অনুষ্ঠানগুলোর আরেকটি অনুপ্রেরণামূলক দিক ছিল ভোটারদের শপথ পাঠ। ভোটাররা হাত তুলে শপথ করেন, তারা সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রার্থীদের ভোট দেবে, অর্থ বা অন্য কোনো কিছুর বশবর্তী হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে না। দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মিথ্যাচারী, যুদ্ধাপরাধী, নারী নির্যাতনকারী, মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি, সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ঋণখেলাপি, বিলখেলাপি, ধর্ম ব্যবসায়ী, ভূমিদস্যু, কালো টাকার মালিক, অর্থাৎ কোনো অসৎ, অযোগ্য ও গণবিরোধী ব্যক্তিকে ভোট দেবে না। এসব শপথবাক্য উপস্থিত অনেক ভোটারকেই দারুণভাবে আবেগাপল্গুত করে। তারা সমস্বরে স্লোগান ধরেন :আমার ভোট আমি দেব, জেনে-শুনে-বুঝে দেব। সৎ-যোগ্য-জনকল্যাণে নিবেদিত ব্যক্তিকে দেব।
পৌরসভা নির্বাচনে আরেকটি জিনিস লক্ষণীয় ছিল, এবার গণমাধ্যমে বেশি চটকদার সংবাদ প্রকাশিত হয়নি। সুজনের বিতরণ করা তথ্যের ভিত্তিতে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে অনেক অনুসন্ধানী রিপোর্ট। নিঃসন্দেহে এসব প্রতিবেদন ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এবং ভোটদানের সিদ্ধান্তে তাদের প্রভাবিত করেছে।
সাম্প্রতিক পৌর নির্বাচনে বিতর্কিত ও বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি ছিল। মেয়র পদপ্রার্থীদের এক-চতুর্থাংশের বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা রয়েছে। প্রায় ৪২ শতাংশের বিরুদ্ধে অতীতে মামলা ছিল। দণ্ডবিধি ৩০২ ধারার অধীনে অর্থাৎ হত্যা মামলা ছিল অনেক প্রার্থীর বিরুদ্ধে। নির্বাচিতদের মধ্যে ৩২ শতাংশের বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা রয়েছে এবং প্রায় তিন-চতুর্থাংশের বিরুদ্ধে অতীতে মামলা ছিল। নির্বাচিত মেয়রদের মধ্যে ১৩ জনের বিরুদ্ধে বর্তমানে ৩০২ ধারার বিচারাধীন মামলা রয়েছে এবং ২৯ জনের বিরুদ্ধে অতীতে এ ধরনের মামলা ছিল, যা থেকে তারা অব্যাহতি পেয়েছেন।
বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ির একটি কারণ হলো দলের মধ্যে শৃঙ্খলার অভাব। আরেকটি বড় কারণ হলো হঠাৎ করে দলভিত্তিক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত। দলভিত্তিক নির্বাচন করতে হলে পূর্বপ্রস্তুতির প্রয়োজন হয়। প্রয়োজন হয় কীভাবে মনোনয়ন প্রদান করা হবে তার পদ্ধতি নির্ধারণ। পূর্বনির্ধারিত পদ্ধতির অনুপস্থিতিতে মন্ত্রী, এমপি ও দলের ক্ষমতাধরদের মতামতের ভিত্তিতেই মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়। এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগও উঠেছে। ফলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি মনোনয়ন লাভ করেছেন। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহার না করে ব্যক্তিবিশেষের মতামতের ভিত্তিতে মনোনয়ন প্রদানের ফলে অনেক মনোনয়নবঞ্চিতই সংক্ষুব্ধ হন, যার স্বাভাবিক পরিণতি ছিল বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি।
দলভিত্তিক পৌরসভা নির্বাচনের একটি অনিবার্য পরিণতি ছিল মেয়র পদপ্রার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়া। এবারের পৌরসভা নির্বাচনে গড়ে পৌরসভাপ্রতি চূড়ান্ত মেয়র পদপ্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৫.১১ জন। পক্ষান্তরে গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত ৯টি পৌরসভা নির্বাচনে গড় প্রার্থী সংখ্যা ছিল ৬.৫৫ জন। গড় প্রার্থী সংখ্যা হ্রাস অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দলভিত্তিক নির্বাচনের ফলে স্থানীয়ভাবে অনেক সম্মানিত ও জনপ্রিয় ব্যক্তি, যারা কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এবং স্বাধীন মতামত পোষণ করেন, নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। কারণ দলীয় প্রভাবের ফলে তাদের নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনা কমে যায়। পরিণতিতে ভোটারদের ‘চয়েস’ বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিধি কমে যায়, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ইতিবাচক নয়।
নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের দিক থেকে বাংলাদেশকে একটি মডেল রাষ্ট্র হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। কারণ গত ২০ বছরে নারীরাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সাম্প্রতিক পৌরসভা নির্বাচনে এর কোনো প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়নি। মেয়র পদে মোট ১ হাজার ৩২৬ প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ১১ জন ছিলেন নারী। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ একজন নারীকেও মেয়র পদে মনোনয়ন প্রদান করেনি। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি মাত্র একজনকে এ পদে মনোনয়ন দেয়। সবচেয়ে হতাশাব্যঞ্জক যে, ২৫৪টি পৌরসভায় মাত্র একজন নারী, চারঘাট পৌরসভার নার্গিস খাতুন, নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ ধরনের ফল নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য কেলেঙ্কারিমূলক বলে অনেকেই মনে করেন।
সাম্প্রতিক পৌরসভা নির্বাচনের আরেকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, মেয়র পদপ্রার্থী এবং নির্বাচিত মেয়রদের বিরাট অংশই ব্যবসায়ী। হলফনামায় প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা যায়, মেয়র পদপ্রার্থীদের প্রায় ৬৮ শতাংশই ব্যবসায়ী। বলতে গেলে শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মীরা প্রার্থীই হননি। আর নির্বাচিতদের ৮০ শতাংশই ব্যবসায়ী এবং তাদের অনেকেই কোটিপতি। অর্থাৎ শুধু জাতীয় সংসদেই নয়, আমাদের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোও ক্রমাগতভাবে ব্যবসায়ী ও ধনাঢ্যদের করায়ত্ত হয়ে যাচ্ছে, যার ভবিষ্যৎ পরিণতি অশুভ হতে বাধ্য।
প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রে সর্বস্তরের জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো গঠিত হওয়া আবশ্যক। শুধু ব্যবসায়ীরা নির্বাচিত হলে তা হবে ‘প্লুরালিটি’ বা বহুত্ববাদ ধারণার সঙ্গে সম্পূর্ণ অসঙ্গতিপূর্ণ এবং সত্যিকারের গণতান্ত্রিক পদ্ধতির পরিপন্থী। কারণ এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলেও তারা নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়া ব্যবসায়ীরা অধিক হারে জড়িত হলে নির্বাচন টাকার খেলায় পরিণত হয় এবং সৎ রাজনীতিবিদরা নির্বাচনী ময়দান থেকে বিতাড়িত হন, যা একটি বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচনে অধিক হারে ব্যবসায়ীরা নির্বাচিত হলে আরেকটি গুরুতর সমস্যা দেখা দেয়। অনেক ব্যবসায়ী স্থানীয়ভাবে বসবাস করেন না। ফলে তারা হয়ে পড়েন খণ্ডকালীন প্রতিনিধি। খণ্ডকালীন প্রতিনিধিদের কাছ থেকে নাগরিকরা প্রয়োজনীয় সেবা পায় না_ তারা বঞ্চিত হয়। তবে ব্যবসায়ীদেরও জনসেবা করার অধিকার রয়েছে, কিন্তু সত্যিকারের প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বার্থে নির্বাচিত পদগুলোতে ব্যবসায়ীদের মনোপলি বা একচ্ছত্র অধিকারে পরিণত হওয়া কোনোভাবেই বাঞ্ছিত নয়।
সাম্প্রতিক পৌর নির্বাচনে আদালতের ভূমিকা নিয়েও অনেকের মনে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করার, নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হওয়ার এবং চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরও আদালত নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেছেন। এমনকি নির্বাচনের আগের দিনও আদালত নির্বাচন স্থগিত করেছেন, যা অনেক সমস্যার সৃষ্টি করেছে। অবশ্যই অন্যায়ের প্রতিকারের জন্য যে কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরই আদালতের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার রয়েছে। অন্যায়ের প্রতিকার করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাও আদালতের দায়িত্ব। তবে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর আদালতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে আরেকটু বেশি যত্নবান হওয়া উচিত বলে অনেকে মনে করেন।
পরিশেষে এটি সুস্পষ্ট, সাম্প্রতিক পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসংবলিত হলফনামা এবং আয়কর রিটার্নের কপি দাখিল ছিল একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এ তথ্যগুলো সুজনের উদ্যোগে প্রকাশের ফলে ভোটাররা সচেতন হওয়ার এবং তথ্যের ভিত্তিতে জেনে-বুঝে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পায়। ফলে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব থেকে দূরে রাখা গেছে বলে অনেকের বিশ্বাস। আমরা কলাগাছে ভোট দেওয়ার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা শুরু করেছি। নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল কঠোর হলে যারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে কিংবা তথ্য গোপন করে নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের নির্বাচন বাতিল করা সম্ভব হবে। ফলে আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়াও কলুষমুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়া কলুষমুক্ত হওয়ার আরও সুযোগ সৃষ্টি হবে, যদি প্রার্থীর হলফনামায় প্রদত্ত তথ্যের সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ভবিষ্যতে প্রতিপক্ষ বা অন্য কেউ ‘কাউন্টার এফিডেভিট’ বা বিরুদ্ধ হলফনামা দাখিল করেন, যার বিধান ইতিমধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের বিধিবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে (পরিপত্র-৮, ১৭ নভেম্বর, ২০০৮)। এ জন্য অবশ্য অনেক আগে থেকেই অনুসন্ধানী কাজ শুরু করতে হবে।
৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১১
ড. বদিউল আলম মজুমদার : সম্পাদক, সুজন_ সুশাসনের জন্য নাগরিক
সূত্র: সমকাল ১০ ফেব্রয়ারী ২০১১
সুশাসন: পৌর নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষণীয়
Categories: