বদিউল আলম মজুমদার
গত ২২ জুন ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯’-এর ৬(১) ধারার বিধানানুযায়ী, রাষ্ট্রপতির নির্দেশে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ মানবাধিকার কমিশন পুনর্গঠন সম্পর্কিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনটির মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানকে প্রধান করে কমিশনের সাত সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়। কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন_ বর্তমান লিগ্যাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক কাজী রিয়াজুল হক, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা, প্রিপ ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক আরোমা দত্ত, বাংলা একাডেমীর পরিচালক এবং ফারিয়া লারা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক নিরু কুমার চাকমা। তাদের মধ্যে কাজী রিয়াজুল হক হবেন কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য।
গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২৩ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মানবাধিকার সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০০৭’ জারি করা হয়। এরপর ২০০৮ সালের ১ ডিসেম্বর বিচারপতি আমিরুল কবীর চৌধুরীকে চেয়ারম্যান এবং ফেমার সাবেক সভাপতি মুনিরা খান ও অধ্যাপক নীরু কুমার চাকমাকে সদস্য হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বাংলাদেশে প্রথম মানবাধিকার কমিশন গঠন করা হয়।
নবম জাতীয় সংসদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জারি করা অধ্যাদেশ অনুমোদন না করে কিছু পরিবর্তনসহ ৯ জুলাই, ২০০৯ তারিখে ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯’ পাস করে। নতুন আইনের মাধ্যমে ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ভূতাপেক্ষ কার্যকারিতা দিয়ে আগের অধ্যাদেশের অধীনে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কার্যক্রমকে বৈধতা দেওয়া হয়। নতুন আইনে কমিশনের সদস্যদের বয়সসীমা ৭২ থেকে ৭০-এ কমিয়ে আনা হয়, যে কারণে ২০০৯ সালের জুলাই মাসে মুনিরা খানকে পদত্যাগ করতে হয়। একই সময়ে অধ্যাপক নীরু কুমার চাকমাও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। এরপর অনেক দিন এককভাবে ‘দুর্গ রক্ষা’র পর বিচারপতি চৌধুরী গত ২২ জুন অবসরে যান। অর্থাৎ গত এক বছর ধরে কমিশনটি ছিল অনেকটা অকার্যকর ও স্থবির। তাই কমিশনের পুনর্গঠন ছিল নিঃসন্দেহে একটি সুসংবাদ।
কমিশনের পুনর্গঠন আরও একটি কারণে সুসংবাদ বহন করে আনে। কমিশনের সদস্যদের মধ্যে অনেকেই বর্তমান লেখকের পরিচিত_ তারা অতি সম্মানিত ব্যক্তি এবং বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাগরিক। কমিশনের সদস্য হওয়ার জন্য তাদের যোগ্যতা অনস্বীকার্য। তবে যে প্রক্রিয়ায় তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে আমাদের কিছু প্রশ্ন রয়েছে। প্রশ্ন রয়েছে আইন মন্ত্রণালয়, বাছাই কমিটি, এমনকি রাষ্ট্রপতির ভূমিকা নিয়েও। আমাদের ধারণা, কমিশনের পুনর্গঠন নিয়ে অনেকটা অঘটন ঘটে গেছে।
আইনের ৭ ধারায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের নিয়োগের বিধান অন্তর্ভুক্ত। আইনের বিধানানুযায়ী, জাতীয় সংসদের স্পিকারের নেতৃত্বে আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সরকার ও বিরোধীদলীয় দু’জন সংসদ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত সাত সদস্যের একটি বাছাই কমিটি গঠিত হওয়ার কথা। কমিটির দায়িত্ব হলো কমিশনের প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে দু’জন ব্যক্তির নাম সুপারিশ করা, যা থেকে রাষ্ট্রপতি প্রতিটি পদের জন্য একজনকে নিয়োগ দেবেন।
গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে বাছাই কমিটির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কমিটি আইন মন্ত্রণালয়কে মানবাধিকার কমিশনের জন্য যোগ্য ব্যক্তি খোঁজার দায়িত্ব দেয় (দৈনিক প্রথম আলো, ৩ জুলাই ২০১০)। কমিটির এ সিদ্ধান্ত আমাদের আশ্চর্যান্বিত করেছে। কারণ, আইন মন্ত্রণালয়ের বাইরের একদল গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সমন্বয়ে বাছাই কমিটি গঠনের উদ্দেশ্য হলো দলীয় বিবেচনার উর্ধ্বে উঠে সর্বাধিক যোগ্য ব্যক্তিদের কমিশনের সদস্যপদে নিয়োগ প্রদান। আইন মন্ত্রণালয় সরকারেরই অংশ, তাই আইন মন্ত্রণালয়ের তৈরি তালিকায় ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত হওয়াই স্বাভাবিক। দুর্ভাগ্যবশত বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে যেমন_ সুপ্রিম কোর্ট, নির্বাচন কমিশন ইত্যাদিতে অতীতের বিভিন্ন সরকারের আমলে বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়োগ থেকে এমন তিক্ত অভিজ্ঞতাই আমরা অর্জন করেছি, যার মাশুলও জাতিকে গুনতে হয়েছে।
বাছাই কমিটির সরাসরি যোগ্য ব্যক্তি খোঁজার উদ্যোগ নিলে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে তা সম্পাদন করলে একদিকে যেমন ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন’-এর পেছনের স্পিরিট বা চেতনা সমুন্নত থাকত, একইসঙ্গে পরবর্তী সময়ে যে দুঃখজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তাও এড়ানো যেত। কমিটির পক্ষ থেকে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিশনের সদস্যপদের জন্য নাগরিকদের কাছ থেকে মনোনয়ন আহ্বান করে অতি সহজেই তা করা যেত। নাগরিকদের মনোনীত এবং নিজেদের সুপারিশকৃত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করেও কমিটি নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারত। বলাবাহুল্য, বাছাই প্রক্রিয়ায় এভাবে নাম প্রকাশের সম্ভাবনা থাকলে অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিদের অনেকেই তাদের বিতর্কিত অতীত নিয়ে প্রচারের ভয়ে নিজেরাই মনোনয়নের প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের দূরে রাখত। উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংসদীয় কমিটির উদ্যোগে ‘পাবলিক হিয়ারিং’ বা গণশুনানির আয়োজন করা হয়, যাতে অন্ধকার অতীতসম্পন্ন কোনো ব্যক্তি উচ্চপদে আসীন হতে না পারেন।
মানবাধিকার কমিশনের সদস্যপদের জন্য বাছাই প্রক্রিয়া যে ত্রুটিপূর্ণ ছিল, তা পরবর্তী দুঃখজনক ঘটনা থেকেই সুস্পষ্ট। পুনর্গঠনের ঘোষণার তিন দিনের মাথায় সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয় যে, যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. গিয়াসউদ্দিন মোল্লাও কমিশনে নিয়োগ পেয়েছেন (দৈনিক যুগান্তর, ২৫ জুন ২০১০)। অর্থাৎ আইন মন্ত্রণালয়, যাকে ‘যোগ্য ব্যক্তি’ চিহ্নিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেনি। হয়তো ‘উপরের নির্দেশের কারণে’ মন্ত্রণালয়ের যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের সে সুযোগই ছিল না!
নারীর মর্যাদাহানি তথা মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত এক ব্যক্তি, যাকে নিয়ে গত জানুয়ারি মাসে সংবাদপত্রে লেখালেখিও হয়েছিল, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক কমিশনে নিয়োগ পাওয়ায় এটি সুস্পষ্ট যে, বাছাই কমিটি ‘বাছাই’র দায়িত্বটি যথাযথভাবে পালন করেনি। কমিটির সদস্যরা আইন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশকৃত নামগুলো গভীরভাবে যাচাই-বাছাই করে দেখেননি। আইনের ভাষায় বলতে গেলে, কমিটি তার দায়িত্ব পালনে ‘ডিউ ডিলিজেন্স’ (Due deligence) বা যথার্থ যত্নশীলতা প্রদর্শন করেনি। একজন গৃহকর্মী নিয়োগের আগেও খোঁজখবর নেওয়া হয়, কিন্তু মানবাধিকার কমিশনের সদস্যের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের আগে তারা গভীরভাবে অনুসন্ধান করেছেন বলে অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় না। তাহলে কমিটি কি মূলত ‘পোস্ট বক্স’ হিসেবেই কাজ করেছে?
ব্ল্যাক’স ল ডিকশনারি অনুযায়ী, Due deligence is ‘such measure of prudence, activity, or assiduity, as is properly to be expected from, and ordinarily exercised by, a reasonable and prudent man under the particular circumstances; not measured by any absolute standard, but depending on the relative facts of the special case.’ অর্থাৎ অবস্থাবিশেষে সতর্ক এক ব্যক্তি যে ধরনের বিবেচনা, কার্যক্রম ও সতর্কতা অবলম্বন করেন কিংবা তার থেকে আশা করা যায়, তাকেই ডিউ ডিলিজেন্স বা যথার্থ যত্নশীলতা বলা যায়। পরিস্থিতিবিশেষে যথার্থ বিচক্ষণ ও সতর্ক প্রচেষ্টা নিলেই ডিউ ডিলিজেন্স প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। ডিউ ডিলিজেন্সের কোনো বিশেষ মানদণ্ড নেই, তা অবস্থাবিশেষের ওপর নির্ভর করে।
দুর্ভাগ্যবশত বিষয়টির এখানেই ইতি ঘটেনি_ পরবর্তী ঘটনা আরও দুঃখজনক। নিয়োগ প্রদানের পাঁচ দিনের মাথায় আইন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন মোল্লাকে মানবাধিকার কমিশনের সদস্যপদ থেকে বাদ দেওয়া হয়। তার স্থলে রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা নিরূপা দেওয়ানকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে কেন অধ্যাপক মোল্লাকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তার কারণ উল্লেখ করা হয়নি (দৈনিক কালের কণ্ঠ, ২৮ জুন ২০১০)।
অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন মোল্লাকে মানবাধিকার কমিশন থেকে বাদ দেওয়া আরও নতুন এবং জটিল প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কমিশন থেকে অপসারণের একটি সুস্পষ্ট পদ্ধতি আইনে নির্ধারিত আছে। আইনের ৮ ধারা অনুযায়ী, ‘(১) সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারক যেইরূপ কারণ ও পদ্ধতিতে অপসারিত হইতে পারেন, সেইরূপ কারণ ও পদ্ধতি ব্যতীত চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যকে অপসারণ করা যাইবে না। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, রাষ্ট্রপতি চেয়ারম্যান বা অন্য কোন সদস্যকে তাহার পদ হইতে অপসারণ করিতে পারিবেন, যদি তিনি_ (ক) কোন উপযুক্ত আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হন; বা (খ) চেয়ারম্যান ও সার্বক্ষণিক সদস্যের ক্ষেত্রে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে স্বীয় দায়িত্ব বহির্ভূত অন্য কোন পদে নিয়োজিত হন; বা (গ) কোন উপযুক্ত আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতস্থ ঘোষিত হন; বা (ঘ) নৈতিক স্খলনজনিত কোন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন।’
সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের তদন্তের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণ করতে পারেন। কিন্তু অধ্যাপক মোল্লার ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো তদন্ত হয়েছে বলে আমরা শুনিনি, আর চার-পাঁচ দিন সময়ের মধ্যে তা সম্ভবও ছিল না। এছাড়া আমাদের জানা মতে, অধ্যাপক মোল্লার বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধের অভিযোগ এখনও প্রমাণিত হয়নি। এছাড়াও প্রশ্ন : নিরূপা দেওয়ানের নামও কি কমিটির মূল সুপারিশে ছিল? অর্থাৎ আমাদের আশঙ্কা যে, অধ্যাপক মোল্লার নিয়োগের ক্ষেত্রে যেমন যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি, তেমনি অনুসরণ করা হয়নি তার অপসারণের বেলায়ও। আর এর দায় রাষ্ট্রপতি, বাছাই কমিটি এবং আইন মন্ত্রণালয় কেউই এড়াতে পারেন না। এ ধরনের অঘটন কোনোভাবেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সহায়ক নয়।
পরিশেষে আমরা পুনর্গঠিত মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অভিনন্দন জানাই_ তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও এ দায় তাদের নয়। আমরা আশা করি, তাদের প্রচেষ্টায় আমাদের দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমস্যার যে ব্যাপকতা, তা থেকে উত্তরণের পথ সুগম হবে এবং সাংবিধানিক আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী, রাষ্ট্রে ‘মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে …’ (অনুচ্ছেদ ১১)। একইসঙ্গে আমরা আশা করি, কমিশনে নিয়োগ ও কমিশন থেকে অপসারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাই ভবিষ্যতে আরও যত্নবান হবেন এবং স্বচ্ছতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন। আমরা আরও আশা করি, বাছাই কমিটিতে আরেকটু ভারসাম্য আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে অতীত ভুলের পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এ লক্ষ্যে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
১৩ জুলাই ২০১০
ড. বদিউল আলম মজুমদার : সম্পাদক সুজন_সুশাসনের জন্য নাগরিক
সূত্র: সমকাল, ১৫ জুলাই ২০১০
সুশাসন: মানবাধিকার কমিশন গঠন, পুনর্গঠন
Categories: