গত ১৮ নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে “স্থানীয় সরকার: আমরা কোথায়?” শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ‘সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিকে’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন ‘সুজন’ সভাপতি অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ। ‘সুজন’-এর নির্বাহী সদস্য জনাব এএসএম শাহাজাহান-এর সঞ্চালনায় এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. বদিউল আলম মজুমদার।
নবম জাতীয় সংসদ ইতোমধ্যে জেলা পরিষদ ছাড়া সবগুলো স্থানীয় সরকার স্তরের আইন প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে মূল প্রবন্ধে ‘সুজন’ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কার্যকর ও শক্তিশালী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য থাকে। এটি সুস্পষ্ট যে, নবম জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রণীত স্থানীয় সরকার সম্পর্কিত আইনসমূহে এ সকল বৈশিষ্ট্য পুরোপুরি প্রতিফলিত হয় নি। এ সকল আইনে অনেকগুলো গুরুতর ত্র“টি রয়েছে। তবে সর্বাধিক ক্রটিপূর্ণ হলো উপজেলা আইনটি। সংবিধানের ৯ ও ৫৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, স্থানীয় সরকারের জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিচালিত হওয়ার কথা থাকলেও, উপজেলাতে মাননীয় সংসদ সদস্যদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও দুর্ভাগ্যবশত, আইনগুলোতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের ওপর আমলাতন্ত্রের কর্তৃত্ব বহুলাংশে বজায় রাখা হয়েছে। এছাড়াও আইনসমূহের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অদ্যাবধি সরকারি আদেশের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহে হস্তান্তর করা হয় নি। একইসাথে তাদের ওপর সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদের আলোকে প্রয়োজনীয় দায়িত্বও অর্পণ করা হয় নি। স্থানীয় সরকার আইনসমূহের আরেকটি ত্র“টি হলো যে, সংবিধানের ৯ অনুচ্ছেদে নারীসহ সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার কথা বলা হলেও, আইনগুলোতে নারীদের ছাড়া অন্যদের প্রতিনিধিত্বের কোনো বিধান রাখা হয় নি। স্থানীয় সরকার আইনসমূহে ব্যাপক অসামঞ্জস্যতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, যেমন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভাইস চেয়ারম্যানের বিধান রয়েছে, আবার অন্য প্রতিষ্ঠানে তা নেই। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে এমপিদের কর্তৃত্ব রাখা না হলেও, উপজেলা পরিষদের ক্ষেত্রে তা প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। যোগ্যতা-অযোগ্যতার মাপকাঠিতেও ব্যাপক অসামঞ্জস্যতা রয়েছে বলেও এ সময় তিনি বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরেন।
বিভিন্ন স্তরে যে আইন হয়েছে সেগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, এজন্য একটা ‘আমব্রেলা এক্ট’ দরকার এবং এটা যতদ্রুত হয় তত ভালো উল্লেখ করে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ বলেন, আমাদের উন্নয়নকেন্দ্র যদি ইউনিয়নগুলোতে ও উপজেলাগুলোকে স্থিত হয় তাহলে সবার জন্য সমমানসম্পন্ন উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। আর আমাদের সেইদিকেই অগ্রসর হতে হবে। আর সেটা হতে হলে স্থানীয় সরকার সিস্টেম এর কোনো বিকল্প নেই। সেইজন্য কেন্দ্রীভূত ক্ষমতায় আবদ্ধ থাকলে চলবে না। এজন্য অর্থায়নের দিক থেকেও স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে। সংবিধানের নির্দেশনা অনুসারে স্বাধীন ও স্বশাসিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠার কথা সুজনে’র পক্ষ থেকে আমরা অনেককাল ধরেই বলে আসছি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আমাদের দ্রুত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে, এদেশের উন্নয়নে গতিশীলতা আনতে হলে, সকল বৈষম্য কমাতে এবং তাৎক্ষণিক প্রয়োজনগুলোর দিকে তাকাতে হলে স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধির প্রতিষ্ঠান ও কার্যকারিতা ছাড়া কখনোই তা সম্ভব নয়। তাই স্বাধীন ও শক্তিশালী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য সারা দেশে আলোচনা ও জনমত গড়ে তোলারও আহ্বান জানান তিনি।
ক্রসফায়ার, চরমপন্থি, জঙ্গিবাদ বন্ধ করতে হলে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার বিকল্প নেই উল্লেখ করে জনাব এএসএম শাহাজাহান বলেন, স্থানীয় সরকারকে ভালো রাখলে, আমরা ভালো থাকব, রাষ্ট্র ভালো চলবে। শক্তিশালী স্থানীয় সরকার এটা কারো দয়ার ব্যাপার নয়, এটা তাদের অধিকার। স্থানীয় সরকার স্বাধীন ও শক্তিশালী হলে আমাদের যত সমস্যা আছে সেগুলো স্থানীয়ভাবেই সমাধান করা সম্ভব, এজন্য স্থানীয় পর্যায়ের সম্ভানাকে বড় করে দেখতে হবে। স্থানীয় সরকারের শত্র“ অনেক। তার একটি শত্র“ হলো আমলাতন্ত্র কিন্তু এখন নতুন শত্র“ যুক্ত হয়েছে সাংসদরা এবং দলীয় রাজনীতি উল্লেখ করে কলামিস্ট ও গবেষক জনাব সৈয়দ আবুল মকসুদ এ সকল শত্র“দেরকে চিহ্নিত করে সরকারকে চাপ দিয়ে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের নিজেদের অধিকার নিজেদেরকেই প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানান। বাংলাদেশ উপজেলা চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান ফোরামের আহ্বায়ক জনাব মুহিবুর রহমান বলেন, প্রায় এক বছর হলো আমরা উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা কোনো কাজে অংশগ্রহণ করতে পারি নি, এটা একটা পরিহাস। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সদস্য-সচিব জনাব বদিউজ্জামান বাদশা বলেন, যেদিন থেকে উপজেলা পরিষদ কার্যকর করা হবে সেদিন থেকেই পাঁচ বছর গণনা করতে হবে, আমাদেরকে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। এছাড়া তিনি জেলা পরিষদকেও কার্যকর করার দাবি জানান।
প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব ইনাম আহমেদ চৌধুরী বলেন, সংসদ সদস্যদের এখন স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ ও বরাদ্দ দিয়ে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এসব কাজ যদি তাদের দ্বারা হয় তাহলে স্থানীয় সরকারের ভূমিকা কি থাকবে? তাই এদিকে কড়া নজরদারি রাখতে হবে। ডেমোক্রেসী ওয়াচের পরিচালক জনাব তালেয়া রেহমান চেয়ারম্যানদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে উপজেলা পরিষদ সম্পর্কে বলেন, এটা যেন একটা প্রতিবন্ধী পরিষদ চালু হয়েছে। এই পরিষকে কার্যকর করার প্রচেষ্টা কোথাও হচ্ছে না। নানা ভাবে ও নানা পর্যায়ে অনেক আলোচনা হয়েছে, এখন রাজপথে নামতে হবে। এজন্য তিনি সকল স্তরের প্রতিনিধিদের সংঘবদ্ধ হবার আহ্বান জানান। সাবেক অতিরিক্ত সচিব জনাব বদরে আলম খান বলেন, বিভিন্ন স্তরের জন্য বিভিন্ন রকমের আইন, কিন্তু আইনের মধ্যে যে সকল অসঙ্গতি রয়েছে তা দূর করা প্রয়োজন। স্থানীয় সরকারকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করার ব্যাপারে মিডিয়ার সাথে শলাপরামর্শ করা জরুরি উল্লেখ করে বাংলাদেশ উপজেলা চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান ফোরামের সদস্য সচিব জনাব জিয়াউল হক সরকার বলেন, স্থানীয় সরকারকে অকার্যকর রেখে কেন্দ্রীয় সরকারই আসলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন সবুজ বলেন, জনউন্নয়ন প্রতিনিধিদের দশ মাস বসিয়ে রাখাটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক হান্নানা বেগম বলেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে, তাদের হাতে কোনো কাজ নেই। তাই আমরা আশা করি, সরকার এদিকে মনোযোগী হবেন। সংবিধানের উদ্ধৃতি তুলে ধরে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জনাব রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, জবাবদিহিতা এমপিদের কাছে বা আমলাতন্ত্রের হাতে না রেখে তা নিয়ে যেতে হবে জনগণের কাছে। দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি আরো বলেন, আমরা এমপিদের খবরদারিত্ব যেমন চাই না, তেমনিভাবে ইউনিয়ন পরিষদের ওপর উপজেলা চেয়ারম্যানরা খবরদারি করুক এটাও চাই না। নওগাঁ জেলার রায়গাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব মঞ্জুরুল আলম মঞ্জুর বলেন, যার যে দায়িত্ব তা এখন বুঝে নিতে হবে এবং এটা সকলকেই বুঝতে হবে। তাহলেই জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত হবে। সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জনাব আমিরুল ইসলাম শিহাব বলেন, এমপিদের খবরদারিত্ব রেখে স্থানীয় সরকারকে কখনোই কার্যকর করা সম্ভব নয়। ভাইস চেয়ারম্যানদের কাজ কি হবে তা আমরা জানি না, এগুলো সুনির্দিষ্ট হওয়া প্রয়োজন। ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চেয়ারম্যান জনাব সুধীন কুমার সরকার বলেন, আমলাতন্ত্র এবং এমপিতন্ত্রের যাঁতাকলে আমরা বধির হয়ে গেছি। গাইবান্ধা সাদুল্ল্যাপুর উপজেলার চেয়ারম্যান জনাব খদিমুল ইসলাম খুদি বলেন, এমপিরা তাদের লোক দিয়ে প্রতিটি এলাকায় ভিজিএফ ও সার বিতরণ করছেন, যা অনাকাক্সিক্ষত।
সাবেক সচিব জনাব কেএম নুরুল হুদা বলেন, স্থানীয় সরকারের মধ্যে আমলাতন্ত্র একটা জটিল বিষয়। স্থানীয় সরকার বিভাগে এমনকি উপজেলা পরিষদের মধ্যে আমলাতান্ত্রিক কোনো ক্যাডার নেই, তাই এটা সৃষ্টি করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, তারা স্থানীয় সরকারের অধীনে থাকবে। ফরিদপুরের কৈইজুরি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জনাব নূর মোহাম্মদ মৃধা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে সরাসরি থোক বরাদ্দ দেয়া হলে আমরা ভালো কাজ করব। তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সকলেই এসে আমাদের ওপর খবরদারিত্ব করতে চান, তাই এক্ষেত্রে সকলেরই দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসিকতার পরিবর্তন আনার প্রয়োজন রয়েছে। গাজীপুরের ভাইস চেয়ারম্যান জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা সম্মান চাই এবং সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে সকল কাজের অংশিদারিত্ব চাই। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান জনাব এবিএম আব্দুস সাত্তার বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্যকে ম্যান্ডেটরি করে আইনে যে কাজটি করা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান জনাব শামীম আহমেদ বলেন, আমরা অনেকে মিলে যে সিদ্ধান্ত নিই তা গ্রহণ না করে এমপি একা যা সিদ্ধান্ত দেবেন তাই গ্রহণীয় হবে এটা হতে পারে না, তাই তারা উপদেষ্টা থেকে সরে দাঁড়াবেন এটাই কাম্য। অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক এবং চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানসহ সকল ফোরাম ও এসোসিয়েশনকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। এছাড়া আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন ‘সুজন’ ঢাকা জেলা কমিটির সভাপতি ড. মেহের-ই-খোদা, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান জনাব রাশেদা আক্তার, মুক্তিযোদ্ধা জনাব মকসুদ মোঃ আবদুল হাই, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার চেয়ারম্যান জনাব আনোয়ারুল হক বাবলু, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চেয়ারম্যান জনাব এসএমএ হান্নান রুনু প্রমুখ।
গোলটেবিল আলোচনা থেকে স্থানীয় সরকার আইনসমূহের সীমাবদ্ধতা ও অসামঞ্জস্যতার প্রেক্ষিতে সরকারকে জরুরিভিত্তিতে কিছু উদ্যোগ নেবার পরামর্শ প্রদান করা হয়। এ সকল উদ্যোগের মধ্যে মাননীয় সংসদ সদস্যদেরকে উপজেলা পরিষদ থেকে বিযুক্ত করে তাঁদেরকে সংসদকেন্দ্রীক কার্যক্রমে নিবিষ্ট করা; জেলা পরিষদের আইনটি সংশোধন করে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠান; আইনসমূহের তফসিলে বর্ণিত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রয়োজনীয় বাজেটসহ সংশ্লিষ্ট পরিষদে জরুরিভিত্তিতে হস্তান্তর করা; একটি বলিষ্ঠ বিকেন্দ্রীকরণ কর্মসূচি গ্রহণ করে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহে অধিক ক্ষমতা, দায়-দায়িত্ব ও সম্পদ হস্তান্তর করা; আইনগুলোতে সংবিধানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করে আইনের উদ্দেশ্য, গঠন, যোগ্যতা-অযোগ্যতা, জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা, অর্থবহ নারী প্রতিনিধিত্ব, অনাস্থা, তথ্য প্রদানের বিধান ইত্যদির ক্ষেত্রে সামঞ্জস্যতা প্রতিষ্ঠা করা; স্থানীয় সরকার কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেয়া এবং এর মাধ্যমে আর্থিক বিকেন্দ্রীকরণ কর্মসূচিকে বেগবান করা ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে সকল শাস্তিমূলক উদ্যোগ নিষ্পন্ন করা; স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের গুণগত মানে পরিবর্তন আনা; হলফনামার মাধ্যমে তাদের আয়-ব্যয়, সম্পদ, দায়-দেনা, অপরাধ ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশের বিধান করা অন্যতম।
মূল প্রবন্ধ ডাউনলোড করুন
“স্থানীয় সরকার: আমরা কোথায়?” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক
Categories: