সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক ড. বদিউল আলম মজুমদার,লেখালেখি হঠকারিতা ও অপরিণামদর্শিতার পরিণতিই অস্থিতিশীলতা

হঠকারিতা ও অপরিণামদর্শিতার পরিণতিই অস্থিতিশীলতা

Samakal_logo
বদিউল আলম মজুমদার
৬ এপ্রিলকে কেন্দ্র করে সারাদেশে এক চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠাময় পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। হেফাজতে ইসলামের ঘোষিত ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ এবং তা প্রতিহত করার লক্ষ্যে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামসহ ২৭টি সংগঠনের ডাকা হরতাল এক ভয়াবহ দ্বন্দ্বাত্মক পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছিল। এ পরিস্থিতিতে জনগণ তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ছিল, কারণ তারা সরকারের ওপর ভরসা করতে পারছিল না।
তবে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি দেখে যে, কিছু বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্ত ঘটনা ব্যতীত কোনো বড় ধরনের সহিংসতা ছাড়াই লংমার্চ ও হরতাল শেষ হয়েছে, যদিও দুই ব্যক্তি এতে প্রাণ হারিয়েছেন। সব মৃত্যুই বেদনাদায়ক এবং আমরা মনে করি যে, এ ধরনের অহেতুক মৃত্যু এড়ানো যেত।
লংমার্চ ও হরতালকে ঘিরে গত কয়েক দিন থেকে চারদিকে টান টান উত্তেজনা এবং কী হতে যাচ্ছে তা নিয়ে নানা জল্পপ্পনা-কলপ্পনা চলছিল। দ্বন্দ্বাত্মক পরিস্থিতি সহিংসতায় রূপ নেবে কি-না এবং সরকার তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে কি-না তা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত ছিল। আবার অনেকে চিন্তিত ছিল ঢাকায় আসতে বাধাগ্রস্ত হয়ে হেফাজতের সমর্থকরা যদি অবস্থান ধর্মঘট করে বা লাগাতার হরতাল ডেকে সারাদেশকে দীর্ঘমেয়াদিভাবে অচল করে দেয়, তাহলে তার পরিণতি কী হবে! সরকার কীভাবে তা সামাল দেবে? আদৌ সামাল দিতে পারবে কি-না! মোট কথা, জনমনে নানা প্রশ্নম্ন দেখা দিয়েছিল এবং সব প্রশ্নম্ন একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতিরই প্রতিফলন।
আপাতদৃষ্টিতে লংমার্চ সমর্থক ও হরতাল সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির ফলেই বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আমাদের আশঙ্কা, এ অস্থিতিশীলতার উৎস আরও গভীরে প্রোথিত। বহুদিন থেকে একের পর এক সরকারের হঠকারিতা ও অদূরদর্শিতাই বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মূল কারণ।
গত কিছুদিন থেকে আমরা তিনটি গুরুতর সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি : যুদ্ধাপরাধের বিচার, এ বিচারকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে জনমনে আশঙ্কা। এসব সমস্যার কারণে গত কয়েক মাসে সারাদেশে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা সৃষ্টি হয়েছে। গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত তিন মাসে ১৭১ জন খুন হয়েছেন। এ সময়ে ২৩০টি সহিংস ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৬ হাজার ৪৯ জন। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের পর সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ১৩৭ জন। নিহতদের মধ্যে জামায়াত শিবিরের ৪৪ জন, পুলিশ ৯ জন, গ্রামপুলিশ ১ জন, ৩ জন নারী, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মী ও সমর্থক ১০ জন এবং সাধারণ মানুষ ৭০ জন। এ ছাড়া দেশের অনেক জেলায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়েছে। ওইসব হামলায় ৪২০টি মন্দির, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও অগি্নসংযোগ করা হয়েছে। উপরন্তু মার্চ মাসেই বিএনপি-জামায়াতের ডাকে দেশের বিভিন্ন স্থানে হরতাল হয়েছে ২৯টি। (যুগান্তর, ২ এপ্রিল ২০১৩)।
জামায়াত-শিবির বোধগম্য কারণেই যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিপক্ষে এবং তারা এ বিচার বন্ধ করার জন্য মরিয়া। কিন্তু সারাদেশে বিচার অব্যাহত রাখার ব্যাপারে ব্যাপক জনমত বিরাজ করছে। তাই এ বিচার চালিয়ে যাওয়া আবশ্যক এবং এটি দ্রুততম সময়ে শেষ করা জরুরি। এটি আদালতের বিষয় এবং বিষয়টি আদালতের ওপর ছেড়ে দেওয়াই যুক্তিযুক্ত।
কিন্তু এ বিচার চালাতে গিয়ে সরকার অপরিণামদর্শিতা, এমনকি হঠকারিতার আশ্রয় নিয়েছে বলে অনেকের অভিযোগ। অপরিণামদর্শিতা এই অর্থে যে, সরকার সম্ভবত ধারণাই করতে পারেনি, যুদ্ধাপরাধের বিচার ভণ্ডুল করতে জামায়াত-শিবির সারাদেশে এমন ব্যাপক তাণ্ডব চালাতে পারবে এবং এ বিচার নিয়ে বিদেশে এত বিরূপ প্রচার হবে। ফলে সরকার প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। জামায়াত-শিবিরকে অবমূল্যায়ন করেছে বলেই বিচারিক প্রক্রিয়ায়, যেমন_ আইনজীবী নিয়োগ, তদন্ত ইত্যাদিতে সরকার যথাযথভাবে মনোযোগী হয়নি।
অনেকের অবশ্য ধারণা, যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে সরকার এক ধরনের ‘রাজনীতি’ করার চেষ্টা করেছে। তারা পরবর্তী নির্বাচনের কথা মনে রেখে বিচারকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করেছে। এমনকি সেক্টর কমান্ডারস ফোরামও এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করেছে। এ ছাড়া সরকার তাদের দলের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারিক প্রক্রিয়ার অধীনে আনতে অনাগ্রহ দেখিয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে ভয়ানক অভিযোগ, কাদের মোল্লার রায়কে সামনে রেখে তারা জামায়াতের সঙ্গে এক ধরনের আঁতাত করেছে। কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আদালতে তার ‘ভি’ চিহ্ন প্রদর্শন তার ইঙ্গিত বহন করে। সরকার সত্যিকার অর্থেই যদি জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে আঁতাত করে থাকে, তাহলে তা হবে মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের সঙ্গে সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা। এসব সন্দেহের কারণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্নম্ন উঠেছে এবং সরকার অনেকের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে।
দ্বিতীয় সমস্যাটি হলো, যুদ্ধাপরাধের বিচারকে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবির সারাদেশে যে তাণ্ডব চালিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা সামাল দিতে পারেনি। এর পেছনেও রয়েছে সরকারের হঠকারিতা। প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে ব্যাপক দলীয়করণ, দলীয় ভিত্তিতে এবং অর্থের বিনিময়ে নিয়োগের কারণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে অযোগ্যতা ও মেধাশূন্যতা, পুলিশকে সরকারের পেটোয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহার, দুর্নীতির কারণে দুর্বল মনোবল, দুর্বল প্রশিক্ষণ ইত্যাদি_ যা বহুদিন থেকেই চলে আসছে। বর্তমান সরকারের আমলে তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার দিনবদলের সনদে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দলীয়করণের বিরুদ্ধে এবং মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ ও পদোন্নম্নতি দেওয়ার অঙ্গীকার সুষ্ঠুভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হলে প্রয়োজন সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে কতগুলো মৌলিক বিষয়ে রাজনৈতিক সমঝোতা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত অতীতের মতো বর্তমান সরকারও বিরোধী দলকে আস্থায় না নিয়ে তাদের সঙ্গে ‘শত্রু’র মতো আচরণ করেছে, যদিও দিনবদলের সনদের আরেকটি অঙ্গীকার ছিল নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা। এই শত্রুতা বর্তমান সরকারের আমলে মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। বিরোধী দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ অন্য নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের, তাদের জামিন না দেওয়া, অনেকের পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি লাগানো ইত্যাদি যার প্রকৃষ্ট প্রমাণ। এক দল দিয়ে গণতন্ত্র হয় না। বিরোধী দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ‘রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায়’ সিদ্ধান্ত না নিলে নির্বাচিত স্বৈ্বরতন্ত্রই প্রতিষ্ঠিত হয়। বস্তুত, নানা হঠকারিতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমাদের দেশে আমরা নির্বাচিত স্বৈ্বরতন্ত্রই কায়েম করে ফেলেছি।
আমাদের আরেকটি গুরুতর সমস্যা হলো, নির্বাচন সংক্রান্ত এবং তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। আগামী নির্বাচনকালীন সময়ে কী ধরনের সরকার থাকবে তা নিয়ে সরকার ও বিরোধী দল বর্তমানে চরম অনড় অবস্থানে। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি ছিল একটি নিষ্পন্নম্ন ইস্যু। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের খাতিরে এর পক্ষে ব্যাপক জনমতও বিরাজ করছিল। তা সত্ত্বেও আদালতের রায়ের দোহাই দিয়ে সম্পূর্ণ হঠকারিতামূলকভাবে বর্তমান সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটি বাতিল করে, যদিও আদালত আরও দুই টার্মের জন্য পদ্ধতিটি অব্যাহত রাখার পক্ষে পর্যবেক্ষণ দিয়েছিলেন। বিরোধী দল এবং যে কোনো নাগরিক এর বিরুদ্ধে বড় ধরনের প্রতিবাদ করলেই তাদের বিরুদ্ধে সরকারি দলের পক্ষ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের অভিযোগ তোলা হয়। নির্বাচন-সংক্রান্ত এ রাজনৈতিক ইস্যুটি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান না করে সরকারের পক্ষ থেকে বিএনপির ‘জামায়াতিকরণের’ এ প্রচেষ্টা বিএনপিকে জামায়াতের আরও কাছাকাছি নিয়ে যায়, যার সম্ভাব্য পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। আমাদের ধারণা, সম্পূর্ণ অর্বাচীনভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল না করলে এবং বিএনপির বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে দমন-পীড়নের আশ্রয় না নিলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে এত জটিলতা হয়তো সৃষ্টি হতো না।
শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে নয়, আরও অনেকগুলো বিষয়েও বর্তমান সরকার চরম হঠকারিতামূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেমন : পদ্মা সেতু, হলমার্ক, শেয়ারবাজার, ডেসটিনি ইত্যাদি নিয়ে যে গুরুতর দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে সে সম্পর্কে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। দলীয়করণের মাধ্যমে উচ্চ আদালতকে চরমভাবে কলুষিত করেছে। অন্যান্য সাংবিধানিক ও বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্রমাগতভাবে দুর্বল করেছে। সংবিধান ও উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে সংসদ সদস্যদের স্থানীয় উন্নম্নয়ন কাজে যুক্ত করে তাদের অনেককে ‘নব্য জমিদারে’ পরিণত করেছে। সরকারের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, টেন্ডারবাজি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছে। সর্বোপরি, পুরো বাংলাদেশ যেন আজ দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন, নিয়োগ বাণিজ্য, ফায়দাতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র ইত্যাদির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। বর্তমান এবং অতীতের সরকারগুলোর এসব গর্হিত কর্মকাণ্ডের ফলে আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বর্তমানে অকার্যকর হয়ে পড়েছে এবং আমরা বাংলাদেশে এক অসম সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলেছি। আর এ অবস্থাই বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মূল কারণ, যা উগ্রবাদী শক্তির মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার জন্য উর্বর ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দিয়েছে।
উগ্রবাদী শক্তি, যারা এ দেশে জঙ্গি রাষ্ট্র কায়েম করতে চায়, মোকাবেলা করাই ভবিষ্যতে আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ বলে আমরা মনে করি। এ জন্য জরুরি ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং অন্যান্য দল ও নাগরিক সমাজের মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে কতগুলো বিষয়ে ঐকমত্যে পেঁৗছা আবশ্যক। কারণ উগ্রবাদী প্রতিপক্ষকে মোকাবেলার জন্য প্রয়োজন হবে বহুদলীয় গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, মানবাধিকার, ধর্মনিরপেক্ষতা ও প্রগতিশীলতায় যারা বিশ্বাস করে তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা।
ড. বদিউল আলম মজুমদার : সম্পাদক সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক
সূত্র: সমকাল, ৭ এপ্রিল ২০১৩

Related Post

সংসদ নির্বাচন: নবম জাতীয় সংসদে কারা নির্বাচিত হলেন?সংসদ নির্বাচন: নবম জাতীয় সংসদে কারা নির্বাচিত হলেন?

বদিউল আলম মজুমদার নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সমাপ্ত হয়েছে এবং ২৯৩ জন সংসদ সদস্য ইতিমধ্যে শপথ গ্রহণ করেছেন। কারা এই নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য? কী তাঁদের অতীত পটভূমি? যে ধরনের সংসদ

উপনির্বাচন: জাতির সামনে আরেকটি অগ্নিপরীক্ষাউপনির্বাচন: জাতির সামনে আরেকটি অগ্নিপরীক্ষা

বদিউল আলম মজুমদার জাতীয় সংসদের সাতটি আসনের উপনির্বাচন ২ এপ্রিল। ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ও প্রত্যাহারের তারিখ পার হয়ে গেছে। এসব নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

সন্ত্রাস: রোগ সারাতে রোগের পেছনের কারণও জানতে হবেসন্ত্রাস: রোগ সারাতে রোগের পেছনের কারণও জানতে হবে

বদিউল আলম মজুমদার | তারিখ: ১৭-০৫-২০১০ গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধরনের টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস কঠোর হস্তে দমন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। আরও