১৮ ডিসেম্বরের নির্বাচন: তারপর কী?


ড. বদিউল আলম মজুমদার
কল্পনা করুন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী, ১৮ ডিসেম্বরে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং যা হতেই হবে। আওয়ামী লীগে’র নেতৃত্বে গঠিত ‘মহাজোট’ অথবা বিএনপি’র নেতৃত্বে গঠিত ‘চারদলীয় জোট’ একটি সুষ্ঠু, নিরপেৰ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করেছে। দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নের অভিযোগে অভিযুক্ত কিছু বিতর্কিত ব্যক্তিকে মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে কিংবা তাদেরকে নতুন সরকারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ভালোয় ভালোয় রাষ্ট্রৰমতা হস্তান্তর করা হয়েছে। তারপর কী? আমরা কী আশা করতে পারি।

আমরা জানি না বাস্তবে কী আমাদের জন্য অপেৰা করছে। তবে আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। অভিজ্ঞতার আলোকে তাই বলা যায়, ৰমতাসীনরা অতীতের ভুল-ত্রুটি থেকে কিছু শিক্ষা নিয়ে অন্তত যৎসামান্য পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। কিন্তু শুরু থেকেই তারা বিরোধী দল বা জোট থেকে প্রবল বিরোধিতার সম্মুখীন হবে। ভাল মন্দ যাই করার উদ্যোগ গ্রহণ করুক না কেন, সরকার পদে পদে বাধাগ্রস্ত হবে। বিরোধিতা এক সময় নিয়মতান্ত্রিকতার গণ্ডি ছাড়িয়ে রাজপথে ছড়িয়ে পড়বে। ধর্মঘট, হরতাল, অবরোধ, এমনকি সহিংসতা আবারো নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হবে। পেশাজীবী ও স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহে নিয়োজিত ব্যক্তিরাও এতে সামিল হবেন। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যুদ্ধক্ষেত্রের রূপ নেবে এবং পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাই ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হবে। সরকার পতনের দাবিতেই সকল আন্দোলন পরিচালিত হবে। এমতাবস্থায়, সরকার দমন-পীড়নের নীতি অবলম্বন করতে ‘বাধ্য’ হবে।
অনেকের অবশ্য আশংকা যে, নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার দিন থেকেই দ্বন্দ্ব-হানাহানি শুরু হবে। পরাজিত শক্তি, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেও, ফলাফল প্রত্যাখ্যান করবে। তারা চিহ্নিত প্রতিপক্ষ, বিশেষত সমাজে যারা দুর্বল তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবে। এমনকি ক্ষমতাসীনরাও সংখ্যালঘুসহ দুর্বল শ্রেণীর বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে উঠবে, যেমনটি ঘটেছিল ২০০১ সালে। এমনকি নির্বাচনের পরদিন থেকেই হরতাল-অবরোধ শুরু হতে পারে বলে অনেকে ভয় পাচ্ছেন। ফলে ঘোষিত তারিখে উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব কি না তা নিয়ে অনেকের মনেই সন্দেহ। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা অর্থনীতিকেও আরো পঙ্গু করে তুলবে। তৈরি পোশাক শিল্প চরম চাপের মুখে পড়বে। দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি রোধ করা দুরূহ হয়ে দাঁড়াবে, দরিদ্র জনগোষ্ঠির ক্রয়ৰমতা আরো হ্রাস পাবে এবং দরিদ্রের সংখ্যা বাড়তে থাকবে।
অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের অভাবে ধনী-দরিদ্রের ক্রমবর্ধমান বৈষম্য আরো প্রকট হবে। সাধারণ জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে তেমন কোন সাহসি পদৰেপ গৃহীত হবে না, বরং ‘তেলে মাথায় তেল দেয়া’র বিরাজমান প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। কারণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ও নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ক্ষমতাসীন এলিটদের স্বার্থের অনুকূলে নয়। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিদেশী বিনিয়োগ ও উন্নত প্রযুক্তি থেকে আমরা বঞ্চিত হতে থাকব।
সাধারণ জনগণের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি সেবার মানে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটবে না, কারণ ভিআইপি নাগরিকরা দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকে সাধারণত এ সকল সেবা গ্রহণ করেন না। প্রয়োজনীয় সুযোগ ও সেবা থেকে বঞ্চিত সমাজে একটি স্থায়ী নিম্ন শ্রেণী সৃষ্টি হবে। নামমাত্র নাগরিকত্ব থাকলেও রাষ্ট্রে এদের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হবে না।
ক্ষমতাসীন নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান মামলাগুলো রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে দায়ের হয়েছে এ অজুহাতে প্রত্যাহার করা হবে কিংবা বিশেষ ‘আইনী প্রক্রিয়ায়’ তারা মুক্ত হবেন। বিরোধীদের বিরুদ্ধে অবশ্য মামলাগুলো ঝুলতে থাকবে এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় এগুলোর চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারিত হবে। প্রতিপৰের বিরম্নদ্ধে নতুন মামলাও রুজ্জ্ব হবে। প্রশাসনিক অসহযোগিতার কারণে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন একটি কাগুজে বাঘে পরিণত হবে।
অনেক টালবাহানা ও বাক-বিতণ্ডার পর সংসদীয় কমিটিগুলো গঠিত হবে। কিন্তু এগুলো সরকারের স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পরিবর্তে নির্বাহী বিভাগের স্বার্থই সংরৰণ করবে। ফলে সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করতে দ্বিধা করবে না। মাননীয় সংসদ সদস্যদের অনেকেই অতীতের ন্যায় অসংযত ও অনৈতিক আচরণে লিপ্ত থাকবেন। তারা জনগণের প্রতিনিধি না হয়ে দলের প্রতিনিধি হিসেবেই মূলত আচরণ করবেন। তাদের অনেকেই সংসদ সদস্যপদকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করবেন। অতীতের ন্যায় কোটারি স্বার্থেই আইন প্রণয়ন করা হবে। মাননীয় সংসদ সদস্যদের আচরণ ও কার্যক্রমকে সংযত ও নিয়ন্ত্রণ করার তেমন কোন উদ্যোগই স্পীকার এবং অন্য সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে নেয়া হবে না। এছাড়াও সংসদীয় ব্যবস্থার পরিবর্তে মূলত প্রধানমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কেন্দ্রীক শাসন ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।
নামমাত্রই বিচার বিভাগ স্বাধীনতা ভোগ করবে এবং আদালতের ওপর এবং নির্বাহী বিভাগের পরোৰ প্রভাব অব্যাহত থাকবে। অযোগ্য, অদক্ষ ও দলবাজ বিচারপতিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না। উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রেও অতীতের ন্যায় যোগ্যতার পরিবর্তে দলীয় আনুগত্যই প্রাধান্য পাবে। ফলে বিচারের বাণী নীরবে-নিভৃতে কাঁদতেই থাকবে।
রাজনৈতিক দল পরিচালনার ক্ষেত্রে কতগুলো মৌলিক সংস্কারের যে জনদাবি উত্থাপিত হয়েছে তা বহুলাংশেই অপূর্ণই থেকে যাবে। সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে অন্তর্ভুক্ত সংস্কারের বিধানগুলো প্রধান রাজনৈতিক দলসমূহ মেনে নিলেও ‘মনে নেয় নি’ বলেই অনেকের আশংকা। ফলে এগুলো আন্তরিকতার সাথে ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের তেমন কোন পদক্ষেপ নেয়া হবে না। এছাড়াও নবম জাতীয় সংসদে অনুমোদনকালে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন সম্পর্কিত অনেকগুলো দুর্বল বিধানকে আরো দুর্বল করে ফেলা হতে পারে। স্ব-স্ব দলের ওপর আমাদের দুই নেত্রীর ক্ষমতা আরো নিরঙ্কুশ এবং দলে মোসাহেবীপনা আরো ব্যাপক হবে।
গত জুন মাসে জারি করা অধ্যাদেশের অধীনে গঠিত উপজেলা, যদি হয়, একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। কারণ এতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের আধিপত্যবাদ সৃষ্টি হবে এবং এতে কোন ‘চেকস এন্ড ব্যালেন্সেস’র ব্যবস্থা থাকবে না। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ বিকেন্দ্রীকরণ এবং তৃণমূলের প্রতিষ্ঠানসমূহের কাছে সম্পদ হস্তান্তরের কোন বলিষ্ঠ কর্মসূচিও গৃহীত হবে না। মাননীয় সংসদ সদস্যগণও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ওপর তাদের অযাচিত নিয়ন্ত্রণ সহজে ছাড়তে চাইবেন না।
সমঝোতার পরিবর্তে দ্বন্দ্বের রাজনীতি জাতির জন্য চরম অকল্যাণ বয়ে আনবে। রাজপথে অনিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি পরিচালনার জন্য একদল উগ্র কর্মী-সমর্থকের প্রয়োজন পড়বে। আর তাদের লালন-পালনের জন্য নানা ধরনের ন্যায়-অন্যায় সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। এভাবে বর্তমানে বিরাজমান ফায়দাবাজির চেইনের আরো বিস্তৃতি ঘটবে এবং জাতি হিসেবে আমরা আরো পোলারাইজড বা বিভক্ত হয়ে পড়ব। দুর্ভাগ্যবশত, বিভক্ত জাতির পৰে বড় কিছু অর্জন করা সম্ভবপর হয় না।
প্রশাসনিক কাঠামোর যে সুদূরপ্রসারী সংস্কার আবশ্যক তাও হবে বলে আশা করা যায় না। প্রশাসনে দলবাজি ও চাটুকারিতার ধারা অব্যাহত থাকবে বলেই অনেকের আশংকা। আর দলবাজিতে অযোগ্য, অদক্ষ ও দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তারাই লাভবান হন এবং সৎ ও নির্ভীকরা বঞ্চিত হন। ফলে প্রশাসনের মেধাশূন্যতা ও দুর্নীতি সমস্যা আরো প্রকট হতেই থাকবে। দমন-পীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের বিরাজমান পদ্ধতিকে অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে পুলিশ সংস্কারের প্রস্তাব উপেক্ষিত হতে থাকবে।
রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক স্থবিরতা ও প্রশাসনিক অকার্যকারিতা রাষ্ট্রে একটি বিশৃঙখল অবস্থার সৃষ্টি করবে। এমন বিশৃঙখল অবস্থাই উগ্রবাদের বিস্তারের জন্য একটি অতি অনুকূল পরিবেশ। এমন অনুকূল পরিবেশেই অতীতে আমাদের দেশে উগ্রবাদের বিস্তার ঘটেছিল। এছাড়াও আফগানিস্তান-পাকিস্তানের সীমানা ছাড়িয়ে উগ্রবাদ এখন আমাদের ঘাড়ে জোরে জোরে নিশ্বাস ফেলা শুরু করেছে। সাধারণ মানুষের প্রতি ক্রমবর্ধমান বঞ্চনা অব্যাহত থাকলে উগ্রবাদ ও সহিংসতার বিস্তার ত্বরান্বিত হবে। দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নের বিষদাঁত উপড়ে ফেলার তেমন কোন সাহসী ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপের অভাবে লুটপাটতন্ত্র আবারো প্রতিষ্ঠিত হবে। আর এ লুটপাটের অধিকারকে ক্রমাগতভাবে টিকিয়ে রাখার জন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে চরমভাবে ম্যানিপুলেট করে পাতানো নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতে পারে, যা ঘটেছিল ২২ জানুয়ারি ২০০৭ তারিখে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের প্রাক্কালে। ফলে আমাদের বহু কষ্টার্জিত গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেবে না, বরং নির্বাচনসর্বস্ব ‘একদিনের গণতন্ত্র’‌ অব্যাহত থাকবে। সুশাসন অর্জনের আশা দুরাশাই পরিণত হবে।
উপরিউক্ত অত্যন্ত নেতিবাচক সম্ভাবনাগুলো নিতান্তই আশঙ্কামাত্র। এগুলো বাস্তবে রূপ নেবে কি নেবে না, তা মূলত নির্ভর করবে আমাদের সম্মানিত রাজনীতিবিদদের সিদ্ধান্তের ওপর। তারা যদি অতীতের ভুল-ভ্রান্তি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন, নির্বাচনের পূর্বে কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেন এবং নির্বাচন পরবর্তীকালে ক্ষমতাসীনরা কতগুলো মৌলিক পরিবর্তনের উদ্যোগ নেন তাহলে আমরা এ সকল সম্ভাবনা এড়াতে পারব। তা না হলে আমরা আরো বড় সংকটের দিকে ধাবিত হব, যা কারো জন্যই কল্যাণকর হবে না। তবে অনেকের ধারণা, পরিবর্তনের হাওয়া ধীর গতিতে হলেও বইতে শুরু করেছে এবং অতীতের দুঃখময় ঘটনাগুলোর আর পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। পরিশেষে একথা জোর দিয়ে বলা প্রয়োজন যে, সকল ঝুঁকি সত্ত্বেও মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুসারে ১৮ ডিসেম্বর একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া জরুরি, কারণ এ বছরের মধ্যে নির্বাচন না হওয়ার পরিণতিও জাতির জন্য সুখকর হবে না।
[লেখক: সম্পাদক, সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক]
তথ্য সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ৭ অক্টোবর ২০০৮

Related Post

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে নাগরিক ভাবনাইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে নাগরিক ভাবনা

ড. বদিউল আলম মজুমদার আগামী ২৯ মার্চ থেকে গ্রামীণ স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন স্তর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রথম পর্বে দক্ষিণাঞ্চল ও উপকূলীয় এলাকার মোট ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন

স্থানীয় সরকারের বর্তমান অবস্থায় করণীয়স্থানীয় সরকারের বর্তমান অবস্থায় করণীয়

ড. ব দি উ ল আ ল ম ম জু ম দা র প্রয়োজন হলফনামার মাধ্যমে তাদের আয়-ব্যয়, সম্পদ, দায়-দেনা, অপরাধ ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশের বিধান। তাহলেই জনগণ জেনে-শুনে-বুঝে ভোটাধিকার

আইনপ্রণেতারা আইন ভঙ্গকারী হতে পারেন নাআইনপ্রণেতারা আইন ভঙ্গকারী হতে পারেন না

ড. ব দি উ ল আ ল ম ম জু ম দা র সংসদ সদস্যরা যদি স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি হয়ে যান তাহলে তারাই নির্বাহী কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে গেলেন। এতে তাদের