সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক ড. বদিউল আলম মজুমদার,লেখালেখি উপনির্বাচন: জাতির সামনে আরেকটি অগ্নিপরীক্ষা

উপনির্বাচন: জাতির সামনে আরেকটি অগ্নিপরীক্ষা


বদিউল আলম মজুমদার
জাতীয় সংসদের সাতটি আসনের উপনির্বাচন ২ এপ্রিল। ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ও প্রত্যাহারের তারিখ পার হয়ে গেছে। এসব নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হওয়া অত্যন্ত জরুরি। বস্তুত আমরা মনে করি এ উপনির্বাচনগুলো আমাদের জন্য আরেকটি অগ্নিপরীক্ষার সৃষ্টি করেছে এবং জাতি হিসেবে এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার ওপর আমাদের গণতান্ত্রিক উত্তরণের সফলতা ও কার্যকারিতা বহুলাংশে নির্ভর করবে।

সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কতগুলো পূর্বশর্ত রয়েছে। এ জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন একটি যথাযথ আইনি কাঠামো, নির্বাচনী এলাকার ন্যায়সংগতভাবে সীমানা নির্ধারণ ও নির্ভরযোগ্য ভোটার তালিকা, যা ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। আরও প্রয়োজন নিরপেক্ষ সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী; একটি স্বাধীন, জনগণের আস্থাশীল ও দক্ষ নির্বাচন কমিশন; দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল ও তাদের মনোনীত প্রার্থীদের সদাচরণ। কালো টাকা ও পেশিশক্তির অনুপস্থিতিও সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্যতম পূর্বশর্ত। এসব শর্ত পূরণের ক্ষেত্রে সরকার, নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
আসন্ন উপনির্বাচনগুলো নিঃসন্দেহে সরকারের জন্য একটি বড় ধরনের অগ্নিপরীক্ষা। এটি প্রায় সর্বজনস্বীকৃত সত্য যে আমাদের নির্বাচিত সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে অপারগ। মূলত এ কারণেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার সৃষ্টি, যদিও বাস্তবে এটি হলো সমস্যা−নির্বাচনের সময়ে রাজনৈতিক দলের অসদাচরণের সমস্যা−এড়িয়ে যাওয়ার একটি পন্থা। এ ছাড়া গত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে এটি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে নির্বাচিত সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের সময়ে তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকা পালনেই শুধু অপারগ নয়, তারা এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সৃষ্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকেও বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করার মাধ্যমে কলুষিত করে তুলতে পারে। আর এ লক্ষ্যেই এবং পাতানো নির্বাচন নিশ্চিত করতে বিগত চারদলীয় জোট সরকার সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে দিয়েছিল, যাতে তাদের নিজেদের পছন্দের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন। জনপ্রতিরোধের কারণে এ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে অবশ্য তারা রাষ্ট্রপতিকে প্রধান উপদেষ্টার পদে আসীন করে, যদিও পক্ষপাতিত্বের কারণে তা স্থায়িত্ব লাভ করেনি। এটি আজ ইতিহাসের অংশ যে পরবর্তী সময়ে ১১ জানুয়ারি ২০০৭-এর ঘটনাবলির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পতন ঘটে।
আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নির্বাচিত সরকারের আমলে যে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান দুরূহ, তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে সাম্প্রতিককালে। ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গত ২৯ ডিসেম্বর জাতিকে দেশি-বিদেশি প্রায় সব পর্যবেক্ষকের মতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হয়েছে। কিনতু দুর্ভাগ্যবশত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত মহাজোট সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত ২২ জানুয়ারির উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বেশ জোরজবরদস্তি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে কিছু কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তার পক্ষপাতিত্বের এবং সরকারি দলের মন্ত্রী-এমপিদের বাড়াবাড়ির। ফলে নির্বাচনের দিনে ছয়টি উপজেলার নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে এবং পরে অন্য ১৬টি উপজেলার নির্বাচনের ফলাফল সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে স্থগিত করা হয়। এ ১৬টি উপজেলার ফলাফল স্থগিত করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া বেশ কিছু উপজেলায় নির্বাচনের অনিয়মের বিষয়ে প্রশাসিক তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। পক্ষান্তরে ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনকালে একটি আসনেরও নির্বাচন বাতিল হয়নি কিংবা কোনো কেন্দ্রের নির্বাচনও স্থগিত করতে হয়নি।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে অব্যাহত রাখার জন্য নির্বাচন অপরিহার্য। আর এ নির্বাচন হতে হবে ‘শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ’ [বাংলাদেশ সংবিধান, ৫৮(২)(ঘ)]। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে নির্বাচিত সরকার এ ধরনের গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভবিষ্যতেও ব্যর্থ হলে আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আবারও ঝুঁকির সম্মুখীন হবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে অব্যাহত রাখার এবং প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের স্বার্থেই তাই আসন্ন সাতটি উপনির্বাচনে সরকারকে প্রশ্নাতীতভাবে প্রমাণ করতে হবে যে নির্বাচিত সরকারের আমলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। সে লক্ষ্যে এখনই তাদের যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
দুর্ভাগ্যবশত ইতিমধ্যেই মাঠপর্যায় থেকে অভিযোগ আসা শুরু হয়েছে যে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকাগুলোয় পেশিশক্তির মালিকদের তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। তারা ভোটারদের, বিশেষত সংখ্যালঘু ভোটারদের হুমকি দেওয়া শুরু করেছে। কালো টাকার মালিকেরা এরই মধ্যে টাকা-পয়সা ছড়ানো শুরু করেছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে দুর্বৃত্তদের তৎপরতা তত বৃদ্ধি পাবে। তাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে সরকারকে এখন থেকেই কঠোর ভূমিকা রাখতে হবে।
আসন্ন উপনির্বাচনগুলো নির্বাচন কমিশনের জন্যও একটি অগ্নিপরীক্ষা। জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পাদন করতে পারলেও উপজেলা নির্বাচন সম্পর্কে কমিশন নিজেই হতাশা ব্যক্ত করেছে। এ দুটি এবং পূর্ববর্তী সিটি করপোরেশন ও উপজেলা নির্বাচনের অভিজ্ঞতার আলোকে কমিশনকে উপনির্বাচনগুলো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে পরিপূর্ণ তথ্যপ্রাপ্তির এবং মিথ্যা তথ্য প্রদান ও তথ্য গোপনকারীদের প্রার্থিতা বাতিলের এবং নির্বাচনী আইন ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির। অযোগ্য ব্যক্তিরা যাতে আইনের ফাঁকফোকর ব্যবহার করে কিংবা অবাঞ্ছিতরা আদালতের আশ্রয় নিয়ে প্রার্থী না হতে পারে সেদিকেও কমিশনকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রয়োজনে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধিত) আইন, ২০০৯-এ অন্তর্ভুক্ত ৯১ই ধারা প্রয়োগ করে অযোগ্য এবং আইন-আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের প্রার্থিতা বাতিল করতে হবে।
সুষ্ঠু নির্বাচন তথা গণতন্ত্রকে সুসংহত করার পথে একটি বড় বাধা টাকার প্রভাব। টাকা যাতে নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে না পারে, সেদিকে কমিশনকে মনোযোগ দিতে হবে। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার টিএন সেশনের আমলে ভারতীয় নির্বাচন কমিশন ১৯৯৩ সালের অন্ধ্র প্রদেশ, কর্ণাটক ও সিকিমের প্রাদেশিক নির্বাচনকালে প্রত্যেক প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় দৈনন্দিনভাবে মনিটরিংয়ের লক্ষ্যে অডিটর নিয়োগ করেছিল। সাতটি উপনির্বাচনে আমাদের নির্বাচন কমিশনের পক্ষেও তা করা সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি। এ ছাড়া কমিশন ও প্রশাসনের উদ্যোগে নির্বাচনী ব্যয় হ্রাসের লক্ষ্যে প্রজেকশন মিটিংয়ের আয়োজন করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে ‘সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক’-এর অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং আমরা কমিশনকে সহায়তা করতে প্রস্তুত।
কমিশনের শত চেষ্টা সত্ত্বেও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়, যদি রাজনৈতিক দলগুলো সদাচরণ না করে। যদি রাজনৈতিক দলগুলো এবং তাদের মনোনীত প্রার্থীরা ছলে-বলে-কলে-কৌশলে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর হন এবং এ লক্ষ্যে সর্বপ্রকার অপকর্মের আশ্রয় নেন, তাহলে শত ভাগ সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ছিল সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রদান। দুভার্গ্যবশত প্রধান দুই দলের মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকার দিকে তাকালে অনেক ক্ষেত্রে নিরুসাহিত না হয়ে পারা যায় না। এ ছাড়া আইনের বিধানানুযায়ী [৯০বি(১)(iv)] নিবন্ধনের শর্ত হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের তৃণমূলের কমিটির সুপারিশের আলোকে মনোনয়ন চূড়ান্ত করার কথা। কিনতু কোনো দলই এ প্রক্রিয়া অবলম্বন করেছে বলে আমরা শুনিনি, যা নিঃসন্দেহে আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে আইন না মানলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে না। পছন্দনীয় আইন মেনে এবং অপছন্দনীয় আইন অমান্য করে আমরা অতীতে আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিপদের দিকে ঠেলে দিয়েছিলাম। একই অবস্থা একই পরিণতির পুনরাবৃত্তি ঘটাতে বাধ্য। তাই এ বিষয়টির দিকে নির্বাচন কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিকে জরুরি ভিত্তিতে দৃষ্টি দিতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রার্থীদের এবং দলীয় কর্মীদের দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করতে হবে। আশা করি, বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে আমাদের রাজনৈতিক নেতারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, যার মাধ্যমে আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গন কলুষমুক্ত হওয়ার পথ সুপ্রশস্ত হবে। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনকেও আইনি বিধি-বিধানের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। আসন্ন সাতটি উপনির্বাচন গণমাধ্যম ও সচেতন নাগরিক সমাজের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্নিপরীক্ষা। গণমাধ্যমের দায়িত্ব হবে ভোটারদের সচেতন করা। চটকদার খবর পরিবেশনের পরিবর্তে তারা যদি প্রার্থীদের প্রদত্ত তথ্য ব্যবহার করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে, তাহলে ভোটাররা সচেতন হওয়ার সুযোগ পাবেন। একইসঙ্গে তারা নির্বাচনী আইন ও বিধি-বিধান অমান্য করার ঘটনাও তুলে ধরতে পারে।
ভোটার সচেতনতার সৃষ্টির ক্ষেত্রে সচেতন নাগরিক সমাজের ভূমিকাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তারা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু চিহ্নিত করে গণমাধ্যমের সহায়তায় তা ভোটারদের কাছে পৌঁছে দিতে পারে, যাতে ভোটাররা জেনে-শুনে-বুঝে ভোটাধিকার প্রয়োগে সক্ষম হন। একইসঙ্গে তারা ভোটারদের সংগঠিত ও সোচ্চার করতে পারে।
নির্বাচনে কারা জয়ী হবেন, কারা পরাজিত হবেন, সে সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের মালিক ভোটাররা। নাগরিকেরা যেমন, তারা তেমন সরকারই পেয়ে থাকে−এটি একটি অতি পুরোনো কথা। তাই ভোটারদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তাঁরা কী ধরনের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চান। তাঁরা যদি টাকার প্রভাবে বা ভয়ভীতির কারণে বা দলের প্রতি অন্ধ আনুগত্যের ফলে দুর্বৃত্তদের ভোট প্রদান করেন, তাহলে তার পরিণাম মঙ্গলকর হবে না। দুর্নীতিবাজ-দুর্বৃত্তরা নির্বাচিত হলে তারা তাদের অতীতের কর্মকাণ্ডের ‘বৈধ্যতা’ পাবে এবং ভবিষ্যতেও অপকর্ম চালিয়ে যেতে উৎসাহিত বোধ করবে। বস্তুত তাদের অপকর্ম সীমাহীন পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে বিষবৃক্ষ রোপণ করলে তা থেকে সুমিষ্ট ফল পাওয়া যায় না। তবে এমন পরিস্থিতির যাতে উদ্ভব না হয় সেদিকে নির্বাচন কমিশন, গণমাধ্যম ও সচেতন নাগরিকদের যথার্থ ভূমিকা রাখতে হবে।
পরিশেষে এটি সুস্পষ্ট যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ওপর আমাদের গণতান্ত্রিক উত্তরণের সফলতা মূলত নির্ভরশীল। কিনতু জাতি হিসেবে এ ক্ষেত্রে আমরা তেমন সফলতা প্রদর্শন করতে পারিনি। আর এ অসফলতার দায়ভার আমাদের সবার। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বলতে গেলে: ‘ওরে ভাই কার নিন্দা কর তুমি? মাথা কর নত/এ আমার এ তোমার পাপ।’ তাই এই সমস্যা সমাধানের জন্য আজ আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এগিয়ে আসতে হবে সরকারকে, নির্বাচন কমিশনকে, রাজনৈতিক দলকে, গণমাধ্যমকে ও সচেতন নাগরিক সমাজকে। তাহলেই আমরা অতীতের ব্যর্থতাকে ভবিষ্যতের সফলতায় রূপান্তরিত করতে পারব। ড. বদিউল আলম মজুমদার: সম্পাদক, সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক।
তথ্য সূত্র: প্রথম আলো, ২১ মার্চ ২০০৯

Related Post

গণতন্ত্র: সংসদকে কার্যকর করতে হলেগণতন্ত্র: সংসদকে কার্যকর করতে হলে

বদিউল আলম মজুমদার সংসদ বা আইনসভা সংসদীয় গণতন্ত্রের মূল ধারক বা কেন্দ্রবিন্দু। বস্তুত, সংসদ যতটুকু কার্যকর, গণতন্ত্র ততটুকুই ফলপ্রসূ। আমাদের অষ্টম জাতীয় সংসদের কার্যকারিতা নিয়ে জনমনে ব্যাপক অসন্তষ্টি রয়েছে। বিগত

প্রফেসর ইউনূসকে আন্তরিক অভিনন্দনপ্রফেসর ইউনূসকে আন্তরিক অভিনন্দন

সমকালীন প্রসঙ্গ বদিউল আলম মজুমদার গত ১২ আগস্ট ২০০৯ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্য ১৫ বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক নাগরিক পদক ‘প্রেসিডেন্সিয়াল