সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক রাজনৈতিক দল দলীয় সংবিধান: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল

দলীয় সংবিধান: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল

(৩০শে নভেম্বর, ১৯৯৫ তারিখ পর্যন্ত- সংশোধিত)
১। নাম
এ সংগঠনের নাম হবে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’। ইংরেজীতে এ সংগঠনকে ‘Bangladeshi Nationalist Party’ (BNP) এবং সংক্ষেপে এ দলটিকে ‘জাতীয়তাবাদী দল’ বলে অভিহিত করা হবে। এ দলের জাতীয় কার্যালয় তথা কেন্দ্রীয় সদর দফতর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত হবে এবং দলের সদর দফতর বা কেন্দ্রীয় অফিসের সংগঠন চেয়ারম্যানের দায়িত্বাধীন থাকবে এবং অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের পদবী, দায়-দায়িত্ব ও ক্ষমতা চেয়ারম্যান নিজে নিরূপণ করবেন।
২। উদ্দেশ্যে ও লক্ষ্য
জাতীয়তাবাদী দলের ঘোষণাপত্রে এ দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিস্তৃতভাবে বর্ণিত হয়েছে। সংক্ষেপে এ দলের কয়েকটি মৌলিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিচে বর্ণিত হলোঃ
(ক) বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ-ভিত্তিক ইস্পাতকঠিন গণঐক্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা ও গণতন্ত্র সুরক্ষিত ও সুসংহত করা।
(খ) ঐক্যবদ্ধ এবং পুনরুজ্জীবিত জাতিকে অর্থনৈতিক স্বয়ম্ভরতার মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ, নয়া-উপনিবেশবাদ, আধিপত্যবাদ ও বহিরাক্রমণ থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করা।
(গ) উৎপাদনের রাজনীতি, মুক্তবাজার অর্থনীতি এবং জনগণের গণতন্ত্রের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক মানবমুখী অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন।
(ঘ) জাতীয়তাবাদী ঐক্যের ভিত্তিতে গ্রামে-গঞ্জে জনগণকে সচেতন ও সুসংগঠিত করা এবং সার্বিক উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা ও প্রকল্প রচনা ও বাস্-বায়নের ক্ষমতা ও দক্ষতা জনগণের হাতে পৌঁছে দেওয়া।
(ঙ) এমন এক সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করা যেখানে গণতন্ত্রের শিকড় সমাজের মৌলিক স্-রে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মনে দৃঢ়ভাবে প্রোথিত হয়।
(চ) এমন একটি সুস্পষ্ট ও স্থিতিশীল সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার নিশ্চিতি দেওয়া যার মাধ্যমে জনগণ নিজেরাই তাঁদের মানবিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতি আনতে পারবেন।
(ছ) বহুদলীয় রাজনীতির ভিত্তিতে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত একটি সংসদীয় পদ্ধতির সরকারের মাধ্যমে স্থিতিশীল গণতন্ত্র কায়েম করা এবং সুষম জাতীয় উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি আনয়ন।
(জ) গণতান্ত্রিক জীবন ধারা ও গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থার রক্ষাকবচ হিসাবে গণনির্বাচিত জাতীয় সংসদের ভিত্তি দৃঢ়ভাবে স্থাপন করা এবং জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করা।
(ঝ) রাজনৈতিক গোপন সংগঠনের তৎপরতা এবং কোন সশস্ত্র ক্যাডার, দল বা এজন্সী গঠনে অস্বীকৃতি জানানো ও তার বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করা।
(ঞ) জাতীয় জীবনে মানবমুখী সামাজিক মূল্যবোধের পুনরুজ্জীবন এবং সৃজনশীল উৎপাদনমুখী জীবনবোধ ফিরিয়ে আনা।
(ট) বাস্-বধর্মী কার্যকরী উন্নয়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জাতীয় জীবনে ন্যায়বিচার-ভিত্তিক সুষম অর্থনীতির প্রতিষ্ঠা, যাতে করে সকল বাংলাদেশী নাগরিক অন্ন, বস্ত্র, স্বাস্থ্য, বাসস্থান ও শিক্ষার ন্যূনতম মানবিক চাহিদা পূরণের সুযোগ পায়।
(ঠ) সার্বিক পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচীকে অগ্রাধিকার দান করা ও সক্রিয় গণচেষ্টার মাধ্যমে গ্রাম বাংলার সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা।
(ড) নারী সমাজ ও যুব সম্প্রদায়সহ সকল জনসম্পদের সুষ্ঠু ও বাস্-বভিত্তিক সদ্ব্যবহার করা।
(ঢ) বাস্-বধর্মী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং সুসামঞ্জস্যপূর্ণ শ্রম ব্যবস্থাপনা সম্পর্ক স্থাপন এবং সুষ্ঠু শ্রমনীতির মাধ্যমে শিল্পক্ষেত্রে সর্বোচ্চ উৎপাদন নিশ্চিত করা।
(ণ) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, বাংলাদেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও বাংলাদেশের ক্রীড়া সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও প্রসার সাধন।
(ত) বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশী জনগণের ধর্ম ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্মীয় শিক্ষার সুযোগ দান করে বাংলাদেশের জনগণের যুগপ্রাচীন মানবিক মূল্যবোধ সংরক্ষণ করা, বিষে করে অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা সম্প্রসারণ ও বৃহত্তর জাতীয় তাদের অধিকতর সুবিধা ও অংশগ্রহণের সুযোগের যথাযথ ব্যবস্থা করা।
(থ) পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে জোট নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে আন্-র্জাতিক বন্ধুত্ব, প্রীতি ও সমতা রক্ষা করা। সার্বভৌমত্ব ও সমতার ভিত্তিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে, তৃতীয় বিশ্বের মিত্র রাষ্ট্রসমূহের সাথে এবং ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে প্রীতি ও সখ্যতার সম্পর্ক সুসংহত এবং সুদৃঢ় করা।
৩। সংগঠনের পতাকা
এই সংগঠনের পতাকার ঊর্দ্ধার্ধ লাল এবং নিম্বার্ধ সবুজ রঙের হবে। পতাকার মদ্যস্থলে কালো রঙয়ের একটি শিল্পচক্র থাকবে। এই চক্রবৃত্তের বিন্দু থেকে লাল সবুজের সঙ্গমস্থলে উদ্ভূত হবে এক ছড়া সোনালী ধানের শীষ এবং প্রসারিত হবে উপরের দিকে। ধানের শীষের উপরে থাকবে একটি শ্বেত-বর্ণের তারকা। সবুজ হচ্ছে দশের প্রতীক, লাল হচ্ছে স্বাধীনতার যুদ্ধ ও ত্যাগের প্রতীক, শিল্পচক্র হচ্ছে উন্নতি ও অগ্রগতির প্রতীক, ধানের শীষ হচ্ছে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে দৃঢ় সংকল্পেরপ্রতীক এবং শ্বেত-বর্ণের তারকা হচ্ছে আমাদের জাতীয় আশা-আকাঙক্ষার প্রতীক।
৪। শব্দার্থ
(ক) ‘ওয়ার্ড’, ‘ইউনিয়ন’, ‘থানা’, ‘শহর’/‘পৌরসভা’, ‘নগর’ এই শব্দগুলো বাংলাদেশের সরকার/নির্বাচন কমিশন কর্তৃক দেওয়া অর্থই বোঝাবে।
(খ) ‘গঠনতন্ত্র’ শব্দটি অপ্রাসঙ্গিক না হলে দলের গঠনতন্ত্রকেই বোঝাবে।
(গ) যদি গঠনতন্ত্রে অন্যভাবে বোঝানো না হয়ে থাকে তবে ‘জেলা’ বলতে প্রশাসনিক জেলা বোঝাবে।
(ঘ) ‘চেয়ারম্যান’ শব্দটি ক্ষেত্র বিশেষ চেয়ারপার্সনকেও বোঝাবে।
(ঙ) ‘দল’ শব্দটি ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’কে বোঝাবে।
(চ) ‘সদস্য’ শব্দটি যদি কমিটির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবহৃত না হয়ে থাকে তা হলে দলের প্রাথমিক সদস্যকে বোঝাবে।
৫। সদস্য পদ
(ক) সদস্য পদ লাভের যোগ্যতা
(১) ১৮ বছর বা ততোধিক বয়সের যে কোন বাংলাদেশী নাগরিক এ দলের প্রাথমিক সদস্য হতে পারবে। ইচ্ছুক ব্যক্তিদের সংগঠনের ঘোষণাপত্রের, গঠনতন্ত্র ও কর্মসূচীর প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করতে হবে।
(২) প্রাথমিক সদস্য পদের আবেদনপত্র এই গঠনতন্ত্রের তপশীল ১-এ ‘ক’ ফরমে করতে হবে। ফরম দলের অফিসে পাওয়া যাবে। সদস্য পদের আবেদনপত্র অন্য কোন ফরমে গ্রহণযোগ্য হবে না, তবে কোন সময় যদি এই ফরম দলের অফিসে না পাওয়া যায় তাহলে অনুরূপ ফরম ছাপিয়ে নিয়ে সদস্য পদের আবেদন করা যেতে পারে।
(৩) বিবেচনার পর আবেদনপত্র গৃহীত হলে সদস্য পদের প্রমাণস্বরূপ পরিচয়পত্র (তপশীল ১) ‘খ’ ফরমে প্রত্যেক সদস্যকে দিতে হবে।
(৪) এ দলের প্রাথমিক সদস্য চাঁদা ২/- টাকা মাত্র। সদস্য পদ লাভের পরবর্তী বছর থেকে দলের বাৎসরিক চাঁদা ১/- (এক) টাকা মাত্র। সদস্যদের চাঁদা রসিদ মারফত গৃহীত হবে এবং রসিদ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা হবে।
(৫) প্রত্যেকটি থানা অফিস তাদের স্ব স্ব এলাকায় প্রত্যেক প্রাথমিক সদস্য পদের তালিকা সংরক্ষণ করবেন। জাতীয় সদর অর্থাৎ দলের ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় অফিসে দলের সর্বমোট সদস্য সংখ্যা, সদস্যদের নাম ও ঠিকানাসহ বিধিসম্মতভাবে সংরক্ষিত হবে।
(খ) সদস্য পদ লাভের অযোগ্যতা
(১) বাংলাদেশের আইনানুগ নাগরিক নন এমন কোন ব্যক্তি জাতীয়তাবাদী দলের সদস্য হতে পারবে না।
(২) বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার বিরোধী, গোপন সশস্ত্র রাজনীতিতে বিশ্বাসী সক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি বা সমাজ-বিরোধী ও গণবিরোধী কোন ব্যক্তিকে এই সংগঠনের সদস্য পদ দেয়া হবে না।
(গ) সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্-মূলক ব্যবস্থা
দলের স্থায়ী কমিটি দলের কোন সদস্যের অসদাচরণের কারণে কিংবা শৃঙখলা ভঙ্গের কারণে কিংবা দলের নীতি ও আদর্শবিরোধী কোন কর্মকাণ্ডের কারণে তার সদস্যপদ বাতিল কিংবা সাময়িকবাবে সদস্যপদ স্থগিত কিংবা তার বিরুদ্ধে অন্য যে কোন শাস্-িমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সঙ্গতকারণে পূর্বে নেয়া যে কোন শাস্-িমূলক ব্যবস্থা প্রত্যাহার করতে পারবে। কোন কারণে স্থায়ী কমিটির সভা আহবান করা সম্ভব না হলে জরুরী প্রয়োজনে দলের চেয়ারম্যান নিজ বিবেচনায় শাস্তি যোগ্য মনে করলে যে কোন সদস্যের বিরুদ্ধে যে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে গ্রহণ এবং পূর্বে নেয়া যে কোন শাস্-িমূলক ব্যবস্থা প্রত্যাহার করতে পারবেন। তবে সকল ক্ষেত্রে যথাশীঘ্র সম্ভব জাতীয় স্থায়ী কমিটির অনুমোদন নিতে হবে। চেয়ারম্যান অথবা স্থায়ী কমিটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার পূর্বে প্রয়োজনবোধে অভিযুক্ত সদস্যকে ব্যক্তিগত শুনানীর সুযোগ দিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে একটি নোটিশ ডাকে
(ঘ) সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ
(১) দলের যে কোন সদস্য দলের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত চিঠির মাধ্যমে পদত্যাগ করতে পারবেন।
(২) দল কর্তৃক মনোনীত কোন সংসদ সদস্য যদি সংসদে দলের সংসদীয় দলের নেতানেত্রীর সম্মতি ছাড়া নিজের নির্দিষ্ট আসন পরিবর্তন করেন বা অন্য দলের সাথে জোট বাঁধেন বা ফ্লোরক্রস করেন বা সংসদের দলীয় অবস্থানের পরিপন্থী কোন কাজ করেন তাহলে উপরোক্ত যে কোন কার্যের কারণে সেই সংসদ সদস্য এই দল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে পদত্যাগ করেছেন বলে গণ্য হবেন।
৬। (ক) সাংগঠনিক নীতিমালা ও কাঠামো
জাতীয়তাবাদী দল দেশের মৌলিক স্তর গ্রাম/ওয়ার্ড পর্যায় থেকে সংগঠিত হয়ে জাতীয় পর্যায় পর্যন্- সম্প্রসারিত হবে।
দলের সাংগঠনিক কাঠামো নিম্নরূপ হবেঃ
(১) গ্রাম কাউন্সিল ও গ্রাম নির্বাহী কমিটি
(২) শহর/পৌরসভা ওয়ার্ড কাউন্সিল ও শহর/পৌরসভা ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি
(৩) ইউনিয়ন কাউন্সিল ও ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটি
(৪) থানা কাউন্সিল ও থানা নির্বাহী কমিটি
(৫) শহর/পৌরসভা কাউন্সিল ও শহর পৌরসভা নির্বাহী কমিটি
(৬) জেলা কাউন্সিল ও জেলা নির্বাহী কমিটি
(৭) নগর/ওয়ার্ড কাউন্সিল ও নগর ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি
(৮) নগর থানা কাউন্সিল ও নগর থানা নির্বাহী কমিটি
(৯) নগর কাউন্সিল ও নগর নির্বাহী কমিটি
(১০) জাতীয় কাউন্সিল
(১১) জাতীয় নির্বাহী কমিটি
(১২) জাতীয় স্থায়ী কমিটি
(১৩) পার্লামেন্টারী বোর্ড
(১৪) পার্লামেন্টারী পার্টি
(১৫) বিদেশে দলের শাখা।
(খ) সাংগঠনিক কাঠামোর গঠন প্রণালী
(১) গ্রাম কাউন্সিল ও গ্রাম নির্বাহী কমিটি
প্রতি গ্রামে ন্যূনতম ৫০ জন প্রাথমিক সদস্য নিয়ে দলের কাউন্সিল গঠিত হবে। এ কাউন্সিল দুই বৎসর মেয়াদে কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি, দুইজন সহ-সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক, একজন প্রচার সম্পাদক, একজন দফতর সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক ও একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত ২১ জনের অনূধর্ব একটি গ্রাম নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবেন।
(২) শহর/পৌরসভা ওয়ার্ড কাউন্সিল ও শহর/পৌরসভা ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি
প্রতিটি জেলার শহর বা পৌরসভাভূক্ত প্রতিটি ওয়ার্ডে ন্যূনতম ১৫০ জন প্রাথমিক সদস্য নিয়ে দলের শহর/পৌরসভা ওয়ার্ড কাউন্সিল গঠিত হবে। এ কাউন্সিল দুই বৎসর মেয়াদে কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি, তিনজন সহ-সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক, দুইজন যুগ্ম-সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক, দুইজন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন প্রচার সম্পাদক, একজন দপ্তর সম্পাদক ও একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত ৫১ জনের অনূধর্ব একটি শহর/পৌরসভা ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবেন। এ কমিটি দলের ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটির মর্যাদা লাভ করবে। থানা কমিটি এ কমিটির অনুমোদন দিবে।
(৩) ইউনিয়ন কাউন্সিল ও ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটি
ইউনিয়নভূক্ত প্রতিটি গ্রামের নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ সমন্বয়ে গঠিত হবে দলের ইউনিয়ন কাউন্সিল। এ কাউন্সিল দুই বৎসর মেয়াদে কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি, তিনজন সহ-সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক, দুইজন যুগ্ম-সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, দুইজন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন দপ্তর সম্পাদক, একজন প্রচার সম্পাদক ও একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত ৫১ জনের অনূধর্ব একটি ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবেন। থানা কমিটি ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটির অনুমোদন দিবে।
(৪) থানা কাউন্সিল ও থানা নির্বাহী কমিটি
ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও নারায়ণগঞ্জ এই প্রতিটি নগরের অন্-র্ভূক্ত ওয়ার্ডের নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দদের নিয়ে সেই নগরে দলের নগর থানা কাউন্সিল গঠিতহবে। এই কাউন্সিল দুই বছর মেয়াদে একজন সভাপতি, পাঁচজন সহ-সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক, দুইজন যুগ্ম-সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, দুইজন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন প্রচার সম্পাদক, একজন দপ্তর সম্পাদক, একজন সহকারী দপ্তর সম্পাদক ও একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত ৭১ জনের অনূধর্ব একটি নগর থানা নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবেন। নগর নির্বাহী কমিটি এ কমিটির অনুমোদন দিবে।
(৯) নগর কাউন্সিল ও নগর নির্বাহী কমিটি
ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও নারায়ণগঞ্জ এই প্রতিটি নগরের অন্-র্ভূক্ত প্রতিটি থানা নির্বাহী কমিটির সদস্যদের নিয়ে সেই নগরে দলের নগর কাউন্সিল গঠিত হবে। এই কাউন্সিলের দুই বছর মেয়াদে একজন সভাপতি, সাতজন সহ-সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক, দুইজন যুগ্ম-সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, দুইজন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন দপ্তর সম্পাদক, একজন প্রচার সম্পাদক, একজন সহ-দপ্তর সম্পাদক, একজন সহ-প্রচার সম্পাদক ও একজন কোষাধ্যক্ষ সমন্বয়ে গঠিত ১০১ জনের অনূধর্ব একটি নগর নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবে। দলের নগর নির্বাহী কমিটি দলের জেলা নির্বাহী কমিটির মর্যাদা লাভ করবে। চেয়ারম্যানের পরামর্শক্রমে দলের মহাসচিব নগর নির্বাহী কমিটির অনুমোদন দেবেন।
নির্বাহী কমিটি নির্বাচনের সময় বিভিন্ন পর্যায়ের দলীয় কাউন্সিলসমূহ স্ব স্ব এলাকায় প্রয়োজনবোধে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহের জন্য এক বা একাধিক সম্পাদক নির্বাচিত করতে পারেন, যদিও কমিটির মোট সদস্য সংখ্যা কোনক্রমেই যার যার এলাকা-কমিটির সীমিত সংখ্যা অতিক্রম করতে পারবে নাঃ
তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক
আইন বিষয়ক
স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক
ছাত্র বিষয়ক
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক
পল্লী উন্নয়ন, সমবায় ও গ্রাম বিষয়ক
খাদ্য ও কৃষি
নিরক্ষরতা দুরীকরণ ও শিক্ষা
ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
মহিলা বিষয়ক
যুব সম্প্রদায় বিষয়ক
কৃষক সম্প্রদায় বিষয়ক
শিশু কল্যাণ
প্রচারণা ও প্রকাশনা বিষয়ক
বন ও পরিবেশ বিষয়ক
মৎস্য চাষ বিষয়ক
বৃক্ষ রোপন বিষয়ক
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক
তাঁতী বিষয়ক
বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ
প্রতিটি গ্রাম, ইউনিয়ন, থানা, শহর/পৌরসভা, নগর ওয়ার্ড, নগর থানা, জেলা ও নগর নির্বাহী কমিটির সদস্যদের কমপক্ষে শতকরা দশ ভাগ দলের মহিলা সদস্যদের মধ্য থেকে থাকতে হবে।
দলের নির্বাচিত বিভিন্ন নির্বাহী কমিটিসমূহ স্ব স্ব এলাকায় দলের কর্মসূচী বাস্-বায়ন, তদারক ও নিয়ন্ত্রণ করবেন।
(১০) জাতীয় কাউন্সিল
(ক) ‘জাতীয় কাউন্সিল’ নামে দলের একটি জাতীয় কাউন্সিল থাকবে যার গঠন পদ্ধতি নিম্নরূপ হবেঃ
(১) প্রতি থানা নির্বাহী কমিটির (নগর থানাসহ) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক,
(২) প্রতি শহর/পৌরসভার নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক,
(৩) প্রতি জেলা নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক,
(৪) প্রতি নগর নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক,
(৫) প্রতি জেলা ও নগর নির্বাহী কমিটি কর্তৃক মনোনীত প্রতি জেলা ও নগর হতে দুইজন মহিলা সদস্য,
(৬) পার্লামেন্টারী পার্টির সদস্যবৃন্দ,
(৭) জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ,
(৮) জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ,
(৯) চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত উপরে বর্ণিত ১ হতে ৮ এর মোট সদস্য সংখ্যার শতকরা ১০ ভাগ।
(গ) বিষয় কমিটি
দলের চেয়ারম্যান গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনবোধে জাতীয় কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দের মধ্য থেকে কয়েকজন সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত বিষয় কমিটি মনোনীত করতে পারবেন। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে যে সমস্- বিষয়ে এ ধরনের কমিটি গঠিত হতে পারে সেগুলো হচ্ছেঃ জাতীয় পরিকল্পনা ও অর্থ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পল্লী উন্নয়ন, খাদ্য ও কৃষি, নিরক্ষরতা দূরীকরণ ও শিক্ষা, শ্রম কল্যান, মহিলা, যুব সম্প্রদায়, আন্-র্জাতিক বিষয় ও শিশু কল্যান, এই সমস্- কমিটিসমূহে দলের সদস্য নন অথচ বিশেষ ক্ষেত্রে পারদর্শী, যোগ্যতাসম্পন্ন ও সুদক্ষ এমন ব্যক্তিদেরকেও কো-অপ্ট করা যাবে, তবে কোন অবস্থাতেই এদের সংখ্যা কমিটির নির্ধারিত মোট সদস্য সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের বেশী হবে না। কমিটিতে কো-অপ্ট করা সদস্যবৃন্দ কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সুযোগ-সুবিধা লাভ করবেন।
(১১) জাতীয় নির্বাহী কমিটি
অনূধর্ব ২৫১ জন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হবে। তবে দলের চেয়ারম্যান, কর্মকর্তা বা সদস্যদের সংখ্যা নিরূপণে বিশেষ ক্ষেত্রে পরিবর্তন করতে পারবেন। কিন্তু মোট সদস্য সংখ্যা ২৫১ জনের ঊধের্ব দশ শতাংশের বেশী বৃদ্ধি করা যাবেনা এবং এই ক্ষেত্রে যথাশীঘ্র সম্ভব জাতীয় স্থায়ী কমিটির অনুমোদন নিতে হবে। প্রত্যেক জেলা নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও প্রত্যেক নগর নির্বাহী কমিটির সভাপতি তাঁদের পদাধিকার বলে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য থাকবেন। জাতীয় নির্বাহী কমিটির মোট সদস্যের শতকরা ১০ ভাগ মহিলা সদস্য হতে হবে এবং এই কমিটিতে মোট সংখ্যা শতকরা ১০ ভাগ সদস্য শ্রমিক, মুক্তিযোদ্ধা কৃষক, উপজাতি ও সমাজের অন্যান্য স্-রের প্রতিনিধিদের মধ্যে হতে নিতে হবে।
জাতীয় নির্বাহী কমিটি নিম্নলিখিত কর্মকর্তাসহ দলের চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত হবে, তবে এই কমিটির অন্-তঃ এক-তৃতীয়াংশ জাতীয় কাউন্সিল থেকে নিতে হবে।
সভাপতি (চেয়ারম্যান পদাধিকার বলে) ১
সহ-সভাপতি ১৫
মহাসচিব ১
যুগ্ম মহাসচিব ৭
দফতর সম্পাদক ১
কোষাধ্যক্ষ ১
সাংগঠনিক সম্পাদক ৫
সম্পাদক-বিশেষ দায়িত্বে ১
প্রচার সম্পাদক ২
সম্পাদক-আন্-র্জাতিক বিষয়ক ৪
সম্পাদক-মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক ১
সম্পাদক-আইন বিষয়ক ১
সম্পাদক-সমাজ কল্যান বিষয়ক ১
সম্পাদক-ক্রীড়া বিষয়ক ১
সম্পাদক-সাংস্কৃতিক বিষয়ক ১
সম্পাদক-যুব সম্প্রদায় বিষয়ক ১
সম্পাদক-মহিলা বিষয়ক ১
সম্পাদক-ধর্ম বিষয়ক ১
সম্পাদক-ছাত্র বিষয়ক ১
সম্পাদক-শ্রমিক বিষয়ক ১
সম্পাদক-স্বনির্ভর সম্পর্কীয় বিষয়ক ১
সম্পাদক-কৃষি বিষয়ক ১
সম্পাদক-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক ১
সম্পাদক-গণশিক্ষা বিষয়ক ১
সম্পাদক-বন ও পরিবেশ বিষয়ক ১
সম্পাদক-পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক ১
সম্পাদক-সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক ১
সম্পাদক-শিল্প বিষয়ক ১
সম্পাদক-ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক ১
সম্পাদক-অর্থনৈতিক বিষয়ক ১
সম্পাদক-ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক ১
সম্পাদক-শিক্ষা বিষয়ক ১
সম্পাদক-গ্রাম সরকার বিষয়ক ১
সম্পাদক-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক ৫
সম্পাদক-প্রকাশনা বিষয়ক ১
সম্পাদক-তাঁতী বিষয়ক ১
সম্পাদক-শিশু বিষয়ক ১
সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ৫
সহকারী দপ্তর সম্পাদক ১
জাতীয় নির্বাহী কমিটির কর্তব্য ও দায়িত্ব নিম্নরূপ হবেঃ
(ক) দলের বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন কমিটির কর্তব্য ও দায়িত্বের নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় সাধন করা।
(খ) প্রয়োজনবোধে দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্-িমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
(গ) দলে কর্মসূচী বাস্-বায়ন ও তদুদ্দেশ্যে প্রস্-াব গ্রহণ ও নির্দেশ প্রদান করা।
(ঘ) বৈধতা প্রশ্নে কমিটিসমূহের অন্-র্দ্বন্দ্ব মেটানো।
(ঙ) দলের অঙ্গ সংগঠনসমূহের কার্যকলাপের তদারক, নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় সাধন করা।
(চ) জাতীয় স্থায়ী কমিটির নির্দেশে অন্যান্য কর্তব্য ও দায়িত্ব পালন করা।
প্রতি তিন মাসে অন্তঃ একবার জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে তবে প্রয়োজনবোধে যে কোন সময় এ কমিটির সভা চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে ডাকা যেতে পারে।
(১২) জাতীয় স্থায়ী কমিটি
চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটি ১৫ জন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হবে। চেয়ারম্যান স্বয়ং এ কমিটির প্রধান থাকবেন। জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ তাদের পদাধিকার বলে জাতীয় কাউন্সিলের সদস্য বলে গণ্য হবেন।
জাতীয় স্থায়ী কমিটি নিম্নোক্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবেনঃ
(ক) দলের প্রধান নীতি-নির্ধারক অঙ্গ হিসাবে এ কমিটি দলের নীতি ও কর্মসূচী প্রণয়ন ও প্রবর্তন করবেন।
(খ) একমাত্র চেয়ারম্যান অপসারণ ব্যতীত দলের অন্যান্য সমস্- শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পুনর্বিচারের ক্ষমতা এ কমিটির থাকবে।
(গ) এ কমিটি প্রয়োজনবোধে দলের ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্র, বিধি, উপবিধি ও ধারায় যথাযথ সঙ্গতিপূর্ণ ব্যাখ্যা করবেন এবং সে ব্যাখ্যা চুড়ান্- বলে গণ্য হবে।
(ঘ) দলের সদস্যরা যাতে দলের ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্র, উপধারা, বিধি, উপবিধির প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেন এবং মেনে চলেন এ কমিটি সে দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখবেন।
(ঙ) এ কমিটি দলের প্রচারপত্র ও অন্যান্য প্রকাশনার অনুমোদন দান করবেন এবং এ কমিটির অনুমোদন ব্যতীত দলের কোন প্রচারপত্র বা প্রকাশনা প্রকাশ বা বিতরণ করা চলবে না।
(চ) এ কমিটি গ্রাম পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্- যে কোন নির্বাহী কমিটির কাজ সাময়িকভাবে মূলতবী রাখার নির্দেশ দিতে পারবেন কিংবা প্রয়োজনবোধে তা বাতিল করে দিয়ে পূনঃ নির্বাচনের নির্দেশ দিতে পারবেন। পূনঃনির্বাচনের জন্য স্থায়ী কমিটি একজন আহবায়ক বা বিশেষ ক্ষেত্রে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী কমিটির পুনঃ গঠন ও পুনঃ নির্বাচনের নির্দেশ দিতে পারবেন।
(ছ) এ কমিটি জাতীয় নির্বাহী কমিটি এবং বিষয় কমিটিসমূহের আওতাভূক্ত যে কোন বিষয়ের উপর রিপোর্ট পেশ করার জন্য উক্ত কমিটিসমূহকে নির্দেশ দিতে পারবেন।
(জ) এ কমিটি জাতীয় নির্বাহী কমিটি এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত অন্যান্য কমিটিসমূহের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ ও তদারক করবেন।
(১৩) পার্লামেন্টারী বোর্ড
জাতীয় সংসদে নির্বাচনের জন্য কিংবা অন্য যে কোন নির্বাচনের জন্য দলের প্রার্থী মনোনয়নের জন্য জাতীয় একটি পার্লামেন্টারী বোর্ড থাকবে। দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটিই হবে দলের পার্লামেন্টারী বোর্ড। তবে যে জেলার প্রার্থী মনোনয়নের জন্য পার্লামেন্টারী বোর্ডের সভা আহুত হবে সেই জেলার সভাপতি, প্রথম তিনজন সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উক্ত সভার পার্লামেন্টারী বোর্ডের সদস্য বলে গণ্য করা হবে। তবে কোন সদস্য যদি নির্বাচন প্রার্থী হন তার নির্বাচনী এলাকার প্রার্থী বিবেচনাকালে বোর্ডের সভায় তিনি অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না। দলের চেয়ারম্যান হবেন পার্লামেন্টারী বোর্ডের সভাপতি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিংবা যে কোন নির্বাচনে দলের প্রার্থী মনোনয়নের দায়িত্ব পার্লামেন্টারী বোর্ড পালন করবেন এবং এ ব্যাপারে বোর্ডের সিদ্ধান্- চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
(১৪) পার্লামেন্টারী পার্টি
জাতীয় সংসদে দলের সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হবে দলের পার্লামেন্টারী পার্টি। দলের চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করে এ পার্টি তার নেতা, উপনেতা, চীফ হুইপ ও অন্যান্য হুইপদের নির্বাচিত করবেন। পার্লামেন্টারী পার্টির সদস্যবৃন্দ পদাধিকার বলে জাতীয় কাউন্সিলের সদস্য হবেন।
(১৫) বিদেশে দলের শাখা
বাংলাদেশের বাইরে দলের বিভিন্ন শাখা থাকতে পারে। বিদেশী রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সমগ্র দেশের জন্য যে কমিটি থাকবে সেই কমিটির অনুমোদন দেবেন দলের চেয়ারম্যান এবং অনুমোদিত হওয়ার পর সেই কমিটি দলের জেলা কমিটির মর্যাদা লাভ করবে এবং অনূধর্ব ১০১ সদস্য সমন্বয়ে এ কমিটি গঠিত হবে।
এ কমিটির সভাপতি পদাধিকারবলে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে গণ্য হবে। এ কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক দলের জাতীয় কাউন্সিলের সদস্য হিসাবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশের বাইরে বিদেশী রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নীচে অন্যান্য স্থানীয় কমিটি কিংবা আঞ্চলিক কমিটি কিংবা জোনাল কমিটি থাকতে পারে। এ সমস্- কমিটির সদস্য সংখ্যা ন্যূনতম ৭১ জন হলে এবং সে কাউন্সিলের মাধ্যমে এ কমিটি নির্বাচিত হবে সে কাউন্সিলের সদস্য সংখ্যা ন্যূনতম ১০০ জন হলে, সে কমিটি দলের থানা কমিটির মর্যাদা পাবে এবং কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দলের জাতীয় কাউন্সিলের সদস্য হিসাবে গণ্য হবে।
বিদেশে দলের শাখার সাংগঠনিক কাঠামো বা গঠন প্রণালী সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন উঠলে তা দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির মতামতের জন্য প্রেরণ করতে হবে এবং দলের স্থায়ী কমিটির রুলিং বা সিদ্ধান্ত এ ব্যাপারে চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা কাউন্সিল
চেয়ারম্যানকে বিশেষ বিষয়ে পরামর্শের জন্য সহ-সভাপতির পদ মর্যাদায় ১৫ জন উপদেষ্টা থাকবেন। তবে বিশেষ প্রয়োজনে চেয়ারম্যান উপরোক্ত সংখ্যা বাড়াতে পারবেন। তারা চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত হবেন এবং পদাধিকার বলে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বলে গণ্য হবেন।
৭। কমিটির সদস্য পদের অযোগ্যতা
নিম্নোক্ত ব্যক্তিগণ জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, জাতীয় স্থায়ী কমিটি বা যে কোন পর্যায়ে যে কোন নির্বাহী কমিটির সদস্য পদের কিংবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী পদের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেঃ
(ক) ফৌজধারী বিধিতে দণ্ডিত ব্যক্তি;
(খ) ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ৮ এর বলে দণ্ডিত ব্যক্তি;
(গ) দেউলিয়া;
(ঘ) উন্মাদ বলে প্রমাণিত ব্যক্তি;
(ঙ) সমাজের দুর্নীতি পরায়ণ বা কুখ্যাত বলে পরিচিত ব্যক্তি।
৮। চেয়ারম্যান
প্রধান কর্মকর্তা হিসাবে দলের একজন চেয়ারম্যান থাকবেন। ৩০ বছরের কম বয়স্ক কোন ব্যক্তি দলের চেয়ারম্যান হতে পারবেন না।
(ক) চেয়ারম্যান নির্বাচন
জাতীয় কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দের সরাসরি ভোটে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে ২ বছরের জন্য দলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। মেয়াদ শেষে চেয়ারম্যান পদে একই ব্যক্তি পুনরায় নির্বাচিত হতে পারবেন।
(খ) চেয়ারম্যানের কর্তব্য, ক্ষমতা ও দায়িত্ব
(১) দলের প্রধান কর্মকর্তা হিসাবে চেয়ারম্যান দলের সর্বময় কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ, তদারক ও সমন্বয় সাধন করবেন এবং তদুদ্দেশ্যে জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, বিষয় কমিটিসমূহ এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত অন্যান্য কমিটিসমূহের উপর কর্তৃত্ব করবেন এবং তাদের কার্যাবলীর নিয়ন্ত্রণ, তদারক ও সমন্বয় সাধন করবেন।
(২) উপরোক্ত কমিটিসমূহের সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্-িমূলক ব্যবস্থাও চেয়ারম্যান প্রয়োজনবোধে নিতে পারবেন।
(৩) জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি হিসাবে উক্ত কমিটির কর্মকর্তাদের দায়-দায়িত্ব, ক্ষমতা ও কর্তব্য চেয়ারম্যান নিরূপণ করবেন।
(৪) চেয়ারম্যান প্রয়োজন মনে করলে জাতীয় নির্বাহী কমিটি, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, বিষয় কমিটিসমূহ এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত অন্যান্য কমিটিসমূহ বাতিল করে দিতে পারেন।
(৫) চেয়ারম্যান জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় নির্বাহী কমিটি এবং জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভাসমূহে সভাপতিত্ব করবেন, তবে এ ক্ষমতা প্রয়োজনবোধে তিনি অন্য সদস্যের উপর অর্পণ করতে পারবেন।
(গ) চেয়ারম্যানের অপসারণ
জাতীয় কাউন্সিলের মোট সদস্য সংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের দাবিকৃত জাতীয় কাউন্সিলের মোট সদস্য সংখ্যার তিন-চতুর্থাংশের ভোট যদি চেয়ারম্যানের অপসারণের অনুকূলে হয় তাহলে চেয়ারম্যানকে অপসারিত করা যাবে। তবে জাতীয় কাউন্সিলের উক্ত দাবিতে চেয়ারম্যানের অপসারণই সভায় একমাত্র বিষয়বস্তু হিসাবে দেখাতে হবে এবং অপসারণের কারণ স্পষ্টভাবে লিখিত থাকতে হবে।
৯। সভা, নোটিশ, কোরাম
(ক) জাতীয় কাউন্সিল
দলের মহাসচিব দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় কাউন্সিলের সভা আহবান করতে পারবেন। কাউন্সিলের মোট সদস্য সংখ্যা ১/৩ (এক-তৃতীয়াংশ) সদস্য কাউন্সিলের সভার কোরাম গঠন করবে। লিখিতভাবে সাধারণ ডাকে কিংবা পিয়ন মারফত কিংবা সংবাদপত্রের মাধ্যমে সুস্পষ্ট ১৫ দিনের নোটিশে বছরে অন্-তঃ একবার জাতীয় কাউন্সিল মিলিত হবেন। অনুরূপভাবে সুস্পষ্ট ৫ দিনের নোটিশে কাউন্সিলের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হতে পারবে। জাতীয় কাউন্সিলের মোট সদস্য সংখ্যার ১/৩ (এক-তৃতীয়াংশ) দাবিতে অনুরূপভাবে সুস্পষ্ট ১৫ দিনের নোটিশে কাউন্সিলের “দাবী সভা” অনুষ্ঠিত হতে পারবে। তবে এ সভায় নোটিশে সুস্পষ্টভাবে দাবির বিষয়বস্তুর উল্লেখ থাকতে হবে।
(খ) জাতীয় নির্বাহী কমিটি
দলের মহাসচিব দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় নির্বাহী কমিটির আহবান করতে পারবেন। জাতীয় নির্বাহী কমিটির মোট সদস্য সংখ্যার ১/৩ (এক-তৃতীয়াংশ) সদস্য উক্ত কমিটির সভার কোরাম গঠন করবে। লিখিতভাবে সাধারণ ডাকে কিংবা পিয়ন মারফত কিংবা সংবাদপত্রের মাধ্যমে সুস্পষ্ট ৭ দিনের নোটিশে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা আহবান করা যেতে পারে। তবে জরুরী সভার জন্য ৪৮ ঘন্টার নোটিশই যথেষ্ট হবে। মোট সদস্য সংখ্যার ১/৩ (এক-তৃতীয়াংশ) সদস্যের দাবিতে এবং সুস্পষ্ট ৭ দিনের উপরোক্তভাবে নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা দাবি করা যেতে পারে এবং কমিটির মহাসচিব যদি সেই আহবান না করেন, তবে কমিটির চেয়ারম্যান উক্ত সভা আহবান করবেন।
(গ) জাতীয় স্থায়ী কমিটি
দলের চেয়ারম্যান যে কোন সময় তাঁর ইচ্ছানুযায়ী জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভা আহবান করতে পারেন তবে প্রতি মাসে অন্-ত একবার স্থায়ী কমিটির সভার মিলিত হতে হবে। মোট সদস্য সংখ্যার ৫০ ভাগ সদস্য নিয়ে এ সভার কোরাম গঠিত হবে।
(ঘ) গ্রাম থেকে জেলা নির্বাহী কমিটি
দলের গ্রাম থেকে জেলা পর্যন্- সমস্- পর্যায়ের নির্বাহী কমিটির সভা উক্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক উক্ত কমিটির সভাপতির সাথে আলোচনা করে আহবান করতে পারবেন। ঐ সমস্- পর্যায়ের আহবায়ক কমিটির সভা উক্ত কমিটির আহবায়ক আহবান করতে পারবেন। সকল পর্যায়ে এ সমস্- নির্বাহী ও আহবায়ক কমিটির সভায় কোরাম সংশ্লিষ্ট মোট সদস্য সংখ্যার ১/৩ (এক-তৃতীয়াংশ) সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হবে।
১০। তহবিল
দলের কোষাধ্যক্ষ সংগঠনের তহবিল সংগ্রহ ও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। কোন বাণিজ্যিক ব্যাংকে সংগঠনের হিসাব খোলা হবে এবং সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ ও সাধারণ সম্পাদক এই তিনজনের যে কোন দুইজনের যুক্ত স্বাক্ষরে তহবিল পরিচালনা করা যাবে, তবে যুক্ত স্বাক্ষরে কোষাধ্যক্ষের স্বাক্ষর থাকতেই হবে। দলের হিসাব প্রতি বছর অডিট করাতে হবে এবং অর্থ বছর সমাপ্ত হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে। সদস্যের চাঁদা ও দান সংগ্রহের মাধ্যমে দলের তহবিল সৃষ্টি করা হবে।
১১। বিধি ও উপবিধি
যে ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্রে কোন সুনির্দিষ্ট বিধান নাই, জাতীয় স্থায়ী কমিটি যে ক্ষেত্রে বিধি ও উপবিধি প্রণয়ন করতে পারবেন।
১২। গঠনতন্ত্র সংশোধন
গঠনতন্ত্র সংশোধনের নিয়মাবলী নিম্নরূপ হবেঃ
জাতীয় কাউন্সিলের যে কোন সদস্য লিখিতভাবে গঠনতন্ত্রের সংশোধনের প্রস্তাব করতে পারেন। উক্ত প্রস্তাব দলের মহাসচিব-এর নিকট প্রেরণ করতে হবে যাতে করে মহাসচিব প্রস্তাবটি জাতীয় কাউন্সিলের পরবর্তী সভায় পেশ করতে পারেন, তবেঃ
(ক) প্রস্তাবিত সংশোধনী যে সভায় বিবেচিত হবে, যে সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার অন্-ত ৭ দিন আগে জাতীয় কাউন্সিলের সকল সদস্যদের মধ্যে প্রস্তাবের অনুলিপি বিতরণ করতে হবে। এই সংশোধনী গৃহীত হতে হলে সভায় উপস্থিত সদস্যদের তিন ভাগের দুই ভাগকে প্রস্তাবের অনুকূলে ভোট দিতে হবে।
(খ) জরুরী কারণে যদি কোন সংশোধনীর প্রয়োজন হয়ে পড়ে, দলের চেয়ারম্যান গঠনতন্ত্রে সে সংশোধন করতে পারবেন, তবে জাতীয় কাউন্সিলের পরবর্তী সভায় ‘ক’তে বর্ণিত সংখ্যাগরিষ্ঠতায় উক্ত সংশোধনীকে গৃহীত হতে হবে।
১৩। অঙ্গ-সংগঠন
দলের এক বা একাধিক অঙ্গ-সংগঠন থাকতে পারে। এই সকল অঙ্গ-সংগঠনের নিজস্ব ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্র, পতাকা ও কার্যালয় থাকবে এবং এই সকল অঙ্গ-সংগঠন মূল দলের শৃঙখলার আওতাধীন থাকবে। দলের চেয়ারম্যান শৃঙখলা ভঙ্গের জন্য কিংবা সংগঠন পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের জন্য কিংবা অসদাচরণের জন্য যে কোন সময় অঙ্গ সংগঠনের কর্মকর্তা বা সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন এবং সংগঠন থেকে তাঁকে বহিষ্কার করতে কিংবা সাময়িকভাবে সদস্য পদ স্থগিত করতে কিংবা তিরস্কার করতে নির্দেশ বা পরামর্শ দিতে পারবেন।
অঙ্গ সংগঠন হিসাবে দলের চেয়ারম্যানের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্- কোন সংগঠন জাতীয়তাবাদী দলের অঙ্গ সংগঠন হিসাবে বিবেচিত হবে না। অনুমোদনের তারিখ হতে অঙ্গ সংগঠনের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারিত হবে। দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে প্রত্যেক অঙ্গ সংগঠন সম্পর্কিত একজন সম্পাদক থাকবে। দলের কর্মসূচী বাস্তবায়নের সহযোগিতা করাই হবে অঙ্গ সংগঠনের মূখ্য উদ্দেশ্যে এবং এ উদ্দেশ্যে নিজ নিজ ক্ষেত্রে দলের প্রভাব বিস্তার কিংবা দলের নীতির প্রসার করার উদ্দেশ্যে এ সংগঠন তাদের নিজস্ব কর্মসুচী প্রণয়ন করবে। তবে অঙ্গ সংগঠনসমূহের ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্র এবং পতাকা চেয়ারম্যান কর্তৃক পূর্বেই অনুমোদিত হতে হবে এবং যদি কোন অঙ্গ সংগঠন তাদের ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্র বা পতাকার কোন প্রকার পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে চায় তাহলে চেয়ারম্যানের পূর্বানুমোদন ছাড়া তার কোনটাই কার্যকর করা যাবে না।
দল অঙ্গ সংগঠনের এ সকল কর্মসূচী বাস্-বায়নে তাদের সক্রিয়ভাবে সাহায্য করবে। এ পর্যন্ত যে সমস্ত সংগঠন দলের চেয়ারম্যানের অনুমোদন পেয়ে অঙ্গ সংগঠন হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে, তারা হচ্ছেঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল
তপশীল-১
ফরম-‘ক’
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
সদস্য হওয়ার আবেদনপত্র নং
১। নাম ……………………………………….
২। বয়স ………………………………………
৩। পিতা/স্বামীর নাম ………………………….
৪। ঠিকানাঃ গ্রাম/ওয়ার্ড ………………………. ডাকঘর ……………………
থানা ………………………………………. জেলা ………………………
৫। শিক্ষাগত যোগ্যতা …………………………
৬। পেশা ……………………………………….
৭। আমি সশ্রদ্ধচিত্তে ঘোষণা করিতেছি যে,
আমি নিম্নবর্ণিত আদর্শ ও লক্ষ্যে বিশ্বাসী।
(১) বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ-
(২) জনগণের গণতন্ত্র-
(৩) জাতীয় ঐক্য-
(৪) দলীয় ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্র ও শৃঙখলা এবং ১৯৭৭ সালে জনসমর্থিত ১৯ দফা কর্মসূচীর বাস্-বায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের শান্-ি ও সমৃদ্ধি অর্জন।
স্থানঃ ……………………
তারিখঃ …………………. …………………………
স্বাক্ষর
তপশীল-১
ফরম-‘খ’
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
সদস্য পরিচয় পত্র
১। নাম ……………………………………….
২। বয়স ………………………………………
৩। পিতা/স্বামীর নাম ………………………….
৪। ঠিকানাঃ গ্রাম/ওয়ার্ড …………………….
ডাকঘর ………………………..
থানা ……………………………
জেলা …………………………..
……………………… ………………………..
স্বাক্ষর প্রতিস্বাক্ষর
দলীয় সংগীত
প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ
জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ (২)
আমার আংগিনায় ছড়ানো বিছানো
সোনা সোনা ধূলি কণা
মাটির মমতায় ঘাস ও ফসলে সবুজের আলপনা
আমার তাতেই হয়েছে স্বপ্নের বীজ বোনা।
প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ
জীবন বাংলাদেশ ………………… (২)
অপরূপ জোছনায় সাজানো রাংগানো
ঝিলিমিলি চাঁদ দোলে
নিবিড় বন-ছায় পিউ পাপিয়া হৃদয়ের
তান তোলে
আমার তাতেই রেখেছি শান্-ির দীপ জ্বেলে।
প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ
জীবন বাংলাদেশ …………………..(২)
(দলীয় সংগীত গাইবার সময় দয়া করে
আপনিও অংশগ্রহণ করুন)
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রচার সম্পাদক কর্তৃক প্রকাশিত ও প্রচারিত

Related Post

নির্বাচনী ইশতেহার-বিএনপি, ২০০৮নির্বাচনী ইশতেহার-বিএনপি, ২০০৮

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০০৮ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ উপলক্ষ্যে ১৩ ডিসেম্বর ২০০৮ বিকাল ৪টায় হোটেল শেরাটনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য বিসমিল্ল¬াহির রাহমানির

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইশতেহার-২০০৮বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইশতেহার-২০০৮

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইশতেহার-২০০৮ দিনবদলের সনদ পটভূমি মাতৃভূমি বাংলাদেশ আজ এক যুগসন্ধিক্ষণে। ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মদানের বিনিময়ে অর্জিত বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন প্রিয় স্বাধীনতা। আর এই

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইশতেহার-২০০৮বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইশতেহার-২০০৮

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইশতেহার-২০০৮ দিনবদলের সনদ পটভূমি মাতৃভূমি বাংলাদেশ আজ এক যুগসন্ধিক্ষণে। ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মদানের বিনিময়ে অর্জিত বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন প্রিয় স্বাধীনতা। আর এই