সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক ড. বদিউল আলম মজুমদার,লেখালেখি দুর্নীতি স্বীকার না করলে প্রতিকার কীভাবে?

দুর্নীতি স্বীকার না করলে প্রতিকার কীভাবে?

prothom-alo-logo_v4
বদিউল আলম মজুমদার
ইংরেজিতে একটি বহুল প্রচলিত উক্তি আছে, ‘কিল দ্য ম্যাসেঞ্জার’। অর্থাৎ সংবাদ বহনকারীকে হত্যা করো। সামন্তবাদী যুগে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে দুঃসংবাদ বহনকারীদের হত্যা করা হতো। কারণ, সামন্ত প্রভুরা দুঃসংবাদ শুনতে চাইতেন না। সামন্তবাদী রাজা-মহারাজাদের শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি গ্রহণ করলেও, আমাদের নির্বাচিত নেতা-নেত্রীদের মানসিকতায় তেমন পরিবর্তন ঘটেনি। তাঁরাও যেন সমালোচনাকারী তথা দুঃসংবাদ বহনকারীদের সহ্য করতে পারেন না, এমনকি তাঁদের শায়েস্তা করার হুমকি দিতেও সামান্যতম দ্বিধা করেন না। বাংলাদেশের দুর্নীতি নিয়ে টিআইবির সাম্প্রতিক প্রতিবেদন সম্পর্কে ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের প্রতিক্রিয়া এর একটি জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ‘গ্লোবাল করাপশন ব্যারোমিটার ২০১২’ জরিপের অংশ হিসেবে ৯ জুলাই টিআইবি বাংলাদেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা-সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সারা দেশের এক হাজার ৮২২টি খানা থেকে সংগ্রহ করা তথ্য থেকে দেখা যায়, দেশের সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান হলো যৌথভাবে রাজনৈতিক দল ও পুলিশ। উত্তরদাতাদের মধ্যে ৯৩ শতাংশ মনে করেন, এ দুটি প্রতিষ্ঠান সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত। এর পরের অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে ৮৯ শতাংশের মতে বিচারব্যবস্থা, ৮৮ শতাংশের মতে সংসদ বা আইনসভা ও ৮৪ শতাংশের মতে সরকারি প্রশাসন। বলার অপেক্ষা রাখে না যে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের দুর্নীতি-সম্পর্কিত এসব দুঃসংবাদের ভিত্তি হলো জনগণের মতামত, টিআইবি নিতান্তই এর বাহক মাত্র।
প্রতিবেদনটি সম্পর্কে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিক্রিয়া ছিল প্রথাগত অস্বীকৃতি, অন্যের ওপর দোষ চাপানো, টিআইবির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উত্থান এবং হুমকি প্রদান। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, দুর্নীতির অভিযোগ তাদের বেলায় সঠিক নয়; বরং সরকারি দলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। পক্ষান্তরে, আইন প্রতিমন্ত্রী দাবি করেছেন, রাজনৈতিক দলের চরিত্র হননের লক্ষ্যেই টিআইবির এই প্রতিবেদন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, রাজনীতিবিদেরা যদি দুর্নীতিবাজই হন, তাহলে মানুষ তাঁদের কাছে যায় কেন!
প্রধানমন্ত্রী আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে টিআইবির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন। একই সঙ্গে তিনি হুমকি দেন, ‘যারা রাজনৈতিক নেতাদের হেয় করতে চায়, তাদের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া প্রয়োজন। তারা কত টাকার মালিক, কীভাবে অর্থ উপার্জন করেছে, কালোটাকা সাদা করেছে কি না, সেসব বিষয় খতিয়ে দেখতে হবে’ (ইত্তেফাক, ১৭ জুলাই, ২০১৩)।
দুর্ভাগ্যবশত টিআইবি এবং অন্যান্য নাগরিক যাঁরা বাংলাদেশের সর্বব্যাপী দুর্নীতি সম্পর্কে সোচ্চার, তাঁদের বিরুদ্ধে বরাবরই আমাদের রাজনীতিবিদেরা, বিশেষ করে ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা খড়্গহস্ত। নাগরিক সমাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগও নতুন নয়। অভিযোগের অংশ হিসেবে অতীতে রাজনীতিবিদদের পক্ষ থেকে দেশে সব দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম করারও দাবি জানানো হয়েছে। এমনকি টিআইবির কার্যক্রম বন্ধের প্রস্তাবও সংসদে উত্থাপন করা হয়। কোনো কোনো প্রতিবাদী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে হয়রানি করারও অভিযোগ আছে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশে দুর্নীতির সীমাহীন বিস্তৃতি ঘটেছে একশ্রেণীর রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের আঁতাতের কারণে। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে রাজনীতির ‘দুর্নীতিকীকরণ’ এবং দুর্নীতির ‘রাজনৈতিকীকরণ’ হয়েছে। ব্যবসায়ী ও আমলাদের ব্যাপকভাবে রাজনীতিতে প্রবেশের কারণে দুর্নীতি বিস্তারে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। ফলে দুর্নীতি আর রাজনীতি আজ আমাদের দেশে বহুলাংশে সমার্থক হয়ে গেছে।
অনেকভাবেই রাজনৈতিক দল দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হয়। মনোনয়ন-বাণিজ্যে লিপ্ত হওয়া, নির্বাচনে টাকার বিনিময়ে ভোট কেনা, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ ফায়দা প্রদান ও গ্রহণ, ‘কালচার অব ইম্পিউনিটি’ বা দলীয় বিবেচনায় অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা যার অন্যতম। অসদুপায় অবলম্বন করে নির্বাচিত হওয়া এবং নির্বাচিত হয়ে সাংসদ কিংবা মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনে অসদুপায় অবলম্বন করলে অবশ্যই দুর্নীতির বিস্তার ঘটে। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না দিলে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলে বাংলাদেশে এভাবে দুর্নীতির সীমাহীন বিস্তার ঘটতে পারত না।
আমাদের নেতা-নেত্রীরা টিআইবি এবং প্রতিবাদী নাগরিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুললেও, টিআইবি ছাড়া আরও অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশি সংস্থা বাংলাদেশের দুর্নীতির দুঃসংবাদ নিয়মিতভাবে প্রকাশ করে আসছে। এর একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট, যে প্রতিষ্ঠানটি বেশ কয়েক বছর থেকেই তাদের ‘রুল অব ল ইনডেক্স’-এর অংশ হিসেবে ৯৭টি দেশে বিরাজমান দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ২০১২-১৩ সালের প্রকাশিত সূচকে বিভিন্ন দেশের প্রশাসন, বিচার বিভাগ, পুলিশ ও সামরিক বাহিনী এবং আইনসভার তথা সরকারের দুর্নীতির ব্যাপকতার তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে রাজনৈতিক দলের মনোনয়নেই আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা নিয়োগ পান, তাই এসব বিভাগের দুর্নীতির দায়ভার রাজনৈতিক দলের ওপরই বহুলাংশে বর্তায়। কারণ, দলে সততা ও শৃঙ্খলা থাকলে অপকর্ম করে দলের সদস্যরা পার পেয়ে যেতে পারেন না। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো সচরাচর অসদাচরণের জন্য তাদের দলীয় সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না, বরং ‘দল ব্যক্তির দুষ্কর্মের দায় নেবে না’ বলে তা এড়িয়ে যায়।
ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট কর্তৃক প্রকাশিত ২০১২-১৩ সালের সরকারি খাতের দুর্নীতির সূচক অনুযায়ী, বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর হলো শূন্য দশমিক ২৯ এবং ৯৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৯, অর্থাৎ প্রায় শেষের দিকে। এই সূচকে সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত দেশের স্কোর হলো ১ দশমিক শূন্য এবং সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের স্কোর শূন্য দশমিক শূন্য। প্রসঙ্গত, সূচকের তথ্যানুযায়ী সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হলো ক্যামেরুন (স্কোর শূন্য দশমিক ২০) এবং সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন দেশ হলো ডেনমার্ক (স্কোর শূন্য দশমিক ৯৫)।
বাংলাদেশের স্কোর হলো: প্রশাসনের দুর্নীতির ক্ষেত্রে শূন্য দশমিক ৩৪, বিচার বিভাগের শূন্য দশমিক ২৫, পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর শূন্য দশমিক ২৩ এবং আইনসভার শূন্য দশমিক ৩৪। এসব স্কোর শুধু কমই নয়, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থানও অনেক নিচে। যেমন দক্ষিণ এশিয়ার অন্য পাঁচটি দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। স্বল্পোন্নত ১৫টি দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২। অর্থাৎ প্রতিবেশী ও অর্থনৈতিক দিক থেকে সমকক্ষ দেশগুলোর তুলনায় সরকারি দুর্নীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান হতাশাব্যঞ্জক।
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক দলের অঘটনঘটনপটীয়সীর ভূমিকা সম্পর্কে সন্দেহ বহু দিনের। আমেরিকার জাতীয় নেতারা রাজনৈতিক দলকে ‘ইভিল’ বা বদ বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং দলবাজির হাতিয়ার হিসেবে এগুলোর বিরোধিতা করেছেন। এমনকি টমাস জেফারসন নাকি বলেছিলেন, যদি তাঁর স্বর্গে যাওয়ার শর্ত হয় রাজনৈতিক দলের সঙ্গী হওয়া, তাহলে তিনি স্বর্গেই যাবেন না। কিন্তু কালের বিবর্তনে রাজনৈতিক দল গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দল ছাড়া আধুনিক গণতন্ত্রের কল্পনা করা যায় না। বস্তুত রাজনৈতিক দল হলো গণতান্ত্রিকব্যবস্থার চালিকাশক্তি। গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ রাজনৈতিক দলই গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে কার্যকর ও জনকল্যাণমুখী করে তোলে।
দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বর্তমানে গণতন্ত্রচর্চার লেশমাত্রও নেই। এগুলো অস্বচ্ছ, চরম দুর্নীতিগ্রস্ত, স্বৈরতান্ত্রিক ও পরোপুরি আদর্শবিবর্জিত। জনকল্যাণের পরিবর্তে ব্যক্তি ও কোটারি স্বার্থ সংরক্ষণেই এগুলো নিবেদিত। দলগুলো মূলত স্বার্থপরতা ও ফায়দাতন্ত্রের হাতিয়ার হিসেবেই কাজ করে। বস্তুত আমাদের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর আচরণ অনেকটা সিন্ডিকেটের মতো। আর এ জন্যই ফায়দা লাভের উদ্দেশ্যেই রাজনৈতিক দলের কাছে অনেকের আনাগোনা। নাগরিকের অধিকারভিত্তিক সত্যিকারের গণতান্ত্রিক শাসনের পরিবর্তে আমাদের বিরাজমান পেট্রন-ক্লায়েন্ট সম্পর্কের কারণেও অনেক সাধারণ মানুষকে রাজনীতিবিদদের কাছে বাধ্য হয়েই ধরনা দিতে হয়।
আমাদের বিরাজমান অকার্যকর গণতান্ত্রিকব্যবস্থার জন্য মূলত দায়ী আমাদের অগণতান্ত্রিক, ব্যক্তি ও পরিবারকেন্দ্রিক এবং দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক দল। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে ২০০৮ সালে রাজনৈতিক দলগুলোকে একটি আইনিকাঠামোর মধ্যে আনার এবং কতগুলো শর্ত সাপেক্ষে নির্বাচন কমিশনের অধীনে এগুলোর বাধ্যতামূলক নিবন্ধনের বিধান করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত নির্বাচন কমিশন আইন প্রয়োগের মাধ্যমে দলগুলোর স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে যেন অপারগ। এমনকি এ ব্যাপারে কমিশনের কোনো আগ্রহ আছে বলেও মনে হয় না। তাই তো কমিশন রাজনৈতিক দলের হিসাব-নিকাশ প্রকাশ করতেও অনাগ্রহী—আমরা ‘সুজন’ (সুশাসনের জন্য নাগরিক)-এর পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়েও পাইনি। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি স্বচ্ছতা ও সততা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভারতীয় তথ্য কমিশন রাজনৈতিক দলকে ‘তথ্য অধিকার আইন’-এর আওতায় আনার পক্ষে রায় দিয়েছে (দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া, ১২ জুলাই, ২০১৩)।
পরিশেষে এটি সুস্পষ্ট যে কার্যকর ও জনতুষ্টিমূলক গণতান্ত্রিক শাসনের জন্য গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ, দায়বদ্ধ ও দুর্নীতিমুক্ত রাজনৈতিক দল আবশ্যক। যেহেতু রাজনীতিবিদদের দায়িত্ব রাষ্ট্র পরিচালনা করা, তাই তাঁদেরই যথাযথ রাজনৈতিক দল গড়ে তোলার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। আর এ জন্য প্রথমেই প্রয়োজন হবে টিআইবি ও অন্যান্য দুঃসংবাদ বহনকারীদের হুমকি-ধমকি প্রদানের পরিবর্তে স্বীকার করা যে আমাদের দলগুলোর বহুবিধ সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আর স্বীকার করলেই এর প্রতিকারের সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।
বদিউল আলম মজুমদার: সম্পাদক, সুজন—সুশাসনের জন্য নাগরিক।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ২৮ জুলাই, ২০১৩

Related Post

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে নতুন বিতর্কতত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে নতুন বিতর্ক

নির্বাচন প্রক্রিয়া বদিউল আলম মজুমদার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে একটি নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন সরকার এ ব্যবস্থাকে বাতিল করার পক্ষে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এ লক্ষ্যে

বাজেট নিয়ে ভাবনাবাজেট নিয়ে ভাবনা

লেখক: ড. বদিউল আলম মজুমদার । গত ৯ জুন আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বকালের বৃহত্তম বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করেছেন। মোট বাজেটের পরিমাণ ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা,

রাজনীতি: আ.লীগ-বিএনপি দ্বন্দ্বের অবসান জরুরিরাজনীতি: আ.লীগ-বিএনপি দ্বন্দ্বের অবসান জরুরি

বদিউল আলম মজুমদার | তারিখ: ০৭-০১-২০১০ গত ৫ ডিসেম্বর ২০০৯ প্রথম আলোতে প্রকাশিত নিবন্ধে অধ্যাপক এম এম আকাশ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দ্বন্দ্বের স্বরূপ তুলে ধরেছেন এবং এর সম্ভাব্য পরিণতির