সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক ড. বদিউল আলম মজুমদার,লেখালেখি নির্বাচন: এই নির্বাচনে মনোনয়ন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ

নির্বাচন: এই নির্বাচনে মনোনয়ন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ


বদিউল আলম মজুমদার
নির্বাচন গণতান্ত্রিক যাত্রাপথের সূচনা করে। তবে নির্বাচন-পরবর্তীকালে সত্যিকার অর্থেই গণতান্ত্রিক শাসন কায়েম হবে কি হবে না, তা মূলত নির্ভর করে নির্বাচিত সরকারের কার্যক্রমের ওপর। নির্বাচিত সরকার যদি আইনের শাসন কায়েম করে, মানবাধিকার নিশ্চিত করে, সমতা-ন্যায়পরায়ণতার চর্চা করে, সর্বস্তরে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ ও স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী ও কার্যকর করে, তাহলেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেবে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। আর তা মূলত নির্ভর করে সরকার পরিচালনার পদ্ধতি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচ্ছন্নতা ও কার্যকারিতা, রাজনৈতিক দলগুলোর জনকল্যাণমুখিতা এবং সর্বোপরি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সততা, যোগ্যতা ও নিষ্ঠার ওপর।

দুর্ভাগ্যবশত আমাদের আদালত থেকে শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলবাজির আখড়ায় পরিণত করে অতীতে প্রায় অকার্যকর করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও সাম্প্রতিককালে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানকে পুনর্গঠন ও কলুষমুক্ত করার চেষ্টা হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো গত দেড় দশকে দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। বস্তুত আমাদের নষ্ট রাজনীতির দুষ্ট ছোঁয়ায় এসে আমাদের এককালের অতি আদর্শবান অনেক নেতা-নেত্রী গত দেড় দশকে চরম লুটেরা ও দুর্নীতিবাজে পরিণত হয়েছেন।
এ অবস্থায় আমাদের মূল ভরসা আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা। এঁদের মধ্যে যাঁরা নির্বাচিত হয়ে আসবেন তাঁরা যদি পরিচ্ছন্ন, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত হন, তাহলেই বিরাজমান পদ্ধতি ও ভঙ্গুরপ্রায় প্রতিষ্ঠানগুলো শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়াবে এবং ভবিষ্যতে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। তবে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাঁরা অংশগ্রহণ করছেন তাঁদের ব্যাকগ্রাউন্ডের দিকে তাকিয়ে আমরা কি আশাবাদী হতে পারি?
দুর্ভাগ্যবশত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রদত্ত তথ্যের প্রাথমিক বিশ্লেষণ থেকে আমরা আশান্বিত হতে পারি না, বরং আমাদের শঙ্কিত হতে হয়। আমাদের আশঙ্কা যে, আমরা একটি চরম ঝুঁকির মধ্যে আছি। ঝুঁকিটি হলো, নির্বাচন-পরবর্তীকালে গণতন্ত্রের পরিবর্তে আমাদের দেশে অপরাধতন্ত্রই কায়েম হতে পারে!
নির্বাচন কমিশন সূত্রে সর্বশেষ (২৫ ডিসেম্বর ২০০৮) প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি আসনে মোট ১৫৫৫ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এঁদের মধ্যে মহাজোটের প্রার্থী ৩১৮ জন, চারদলীয় জোটের প্রার্থী ৩০৫ জন। মহাজোটের প্রার্থীদের মধ্যে ২৭০ জন নৌকা এবং ৪৮ জন লাঙল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চারদলীয় জোটের মধ্যে ২৬৬ জন ধানের শীষ ও ৩৯ জন দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে নির্বাচন করছেন। অর্থাৎ মহাজোটের অংশ হওয়া সত্ত্বেও ১৯টি আসনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন, যদিও অনেক ক্ষেত্রে সমঝোতার কথা শোনা যায়। তেমনি ছয়টি আসনে চারদলীয় জোটের অংশ হওয়া সত্ত্বেও বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দুই জোটের ৬২৩ জন প্রার্থীর বাইরে ৯৩২ জন অন্যান্য দলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। উল্লেখ্য, এবারের চূড়ান্ত প্রার্থী অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী থেকে ৩৭৩ জন কম−২০০১ সালে যেখানে ১৯৩৮ জন প্রার্থী ছিলেন, এবার ২৯৯টি আসনে তা ১৫৫৫।
এবারের প্রার্থীদের মধ্যে ১৯২ জন অষ্টম জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। এঁদের মধ্যে ৪১ জন আওয়ামী লীগের এবং ১০৯ জন বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া ১০ জন জাতীয় পার্টির, ১২ জন জামায়াতে ইসলামীর এবং বাকিরা অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন।
প্রার্থী তালিকার দিকে তাকালে একটি হতাশার চিত্র সহজেই চোখে পড়ে। মোট ১৫৫৫ জন চূড়ান্ত প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ৫৮ জন নারী রয়েছেন, যাঁরা ৫৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এঁদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া প্রত্যেকে তিনটি করে এবং জনাব রওশন এরশাদ দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া চারটি−সিরাজগঞ্জ-২, ঢাকা-৭, ঢাকা-৯ ও রাঙামাটি−আসনে দুজন করে নারী প্রার্থী রয়েছেন। প্রধান দুটি দলে নারী প্রার্থী পাঁচ শতাংশের কম। এঁদের মধ্যে আবার রয়েছেন প্রক্সি প্রার্থী, অর্থাৎ তাঁরা মনোনয়ন পেয়েছেন মূলত দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নের অভিযোগে অভিযুক্ত বা দণ্ডপ্রাপ্তদের বিকল্প হিসেবে।
প্রার্থীদের হলফনামায় প্রদত্ত তথ্য বিশ্লেষণ করলে কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দৃষ্টিগোচর হয়। প্রথমত, প্রার্থীদের অধিকাংশ উচ্চশিক্ষিত। যেমন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীদের প্রায় ৮০ শতাংশ স্মাতক ও স্মাতকোত্তর ডিগ্রির অধিকারী। এসএসসির নিচে শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীর সংখ্যা দুই শতাংশের কম।
পেশার দিক থেকে এবারও ব্যবসায়ীদের আধিক্য রয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের প্রায় অর্ধেক ব্যবসায়ী বলে তাদের হলফনামায় ঘোষণা দিয়েছেন। বিএনপির ক্ষেত্রে এ সংখ্যা প্রায় ৬২ শতাংশ। গত সংসদে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ব্যবসায়ী ছিলেন, যার ফলে আমাদের মহান জাতীয় সংসদ ব্যবসায়ীদের ক্লাবে পরিণত হয় বলে অনেকের অভিযোগ। মনোনীতদের পেশাগত তথ্যের ভিত্তিতে এটি প্রায় নিশ্চিত করে বলা যায় যে, এবারও ব্যবসায়ীরা সংসদে সংখ্যাগুরু হবেন, যা হবে সমাজের সর্বস্তরের জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ গঠনের ধারণার পরিপন্থী।
প্রাপ্ত তথ্য থেকে যে বিষয়টি সর্বাধিক শঙ্কার উদ্রেক করে তা হলো, প্রার্থীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধী রয়েছেন এবং অনেকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। যেমন, অন্তত ৫৩ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা রয়েছে এবং এঁদের কারও কারও বিরুদ্ধে চার্জশিটও হয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছে বিএনপির ২৭ জন, আওয়ামী লীগের ১৭ জন এবং বাকিরা অন্যান্য দলের বা স্বতন্ত্র।
হলফনামায় প্রদত্ত তথ্য থেকে আরও দেখা যায়, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের প্রায় ৩৮ শতাংশের বিরুদ্ধে অতীতে ফৌজদারি মামলা ছিল এবং প্রায় এক-চতুর্থাংশের বিরুদ্ধে বর্তমানে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে প্রায় ৪৯ শতাংশের বিরুদ্ধে অতীতে ফৌজদারি মামলা ছিল এবং বর্তমানে প্রায় ৩৫ শতাংশের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। এদের মধ্যে শখানেক প্রার্থীর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৩০২ ধারার অধীনে খুনের মামলা রয়েছে, যাঁদের প্রায় এক-চতুর্থাংশ আওয়ামী লীগ মনোনীত এবং প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বিএনপি মনোনীত। এঁদের অনেকের বিরুদ্ধে চার্জশিটও হয়েছে। তবে এ কথা সুস্পষ্টভাবে বলা প্রয়োজন যে, কারও বিরুদ্ধে মামলা হওয়া মানেই তিনি অপরাধী নন−অপরাধ আদালতে প্রমাণিত হতে হবে। এ ছাড়া আমাদের দেশে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে অনেক সময় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। যাদের বিরুদ্ধে অতীতে মামলা ছিল তাঁদের অনেকেই অবশ্য খালাস পেয়েছেন কিংবা তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রেও অনেক সময় রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে। এ ছাড়া রাজনৈতিক বিবেচনায় অনেক অপরাধীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরও করা হয় না। উপরনতু অনেক প্রার্থী তাদের হলফনামায় মামলার তথ্য গোপন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই মামলার তথ্য থেকে সত্যিকারের অপরাধীর সংখ্যা নির্ণয় করা সম্ভব নয়। তবু এসব তথ্য আসন্ন সংসদ নির্বাচনে যে অনেক বিতর্কিত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে।
অপরাধীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে আরও কিছু ভয়ানক তথ্য রয়েছে। যেমন, চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে অন্তত দুজন রয়েছেন, যাঁরা খুনের অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত এবং যাঁদের দণ্ড রাষ্ট্রপতির অনুকম্পায় মওকুফ করা হয়েছে। আরও রয়েছেন দণ্ডপ্রাপ্ত একাধিক ব্যক্তি, যাঁরা আদালতের নির্দেশে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাচ্ছেন। এ ছাড়া রয়েছেন আমাদের সাবেক রাষ্ট্রপতি জনাব হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ যিনি দুই বছরের অধিককাল কারাভোগের পর পাঁচ বছর অতিক্রান্ত করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।
এ ছাড়া চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় অন্তত ২১ জন রয়েছেন যাঁদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে। আরও রয়েছেন অনেক ঋণখেলাপি, যারা আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে এমন অনেক ঠিকাদারও আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন−সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে এমন ব্যক্তিরা সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য। উপরনতু অনেক প্রার্থীর বিরুদ্ধে, যাঁরা অতীতে সংসদ সদস্য ছিলেন, গাড়ি বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। এনবিআরের তথ্যানুযায়ী, চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে ৪৯৩ জন বা প্রায় এক-তৃতীয়াংশের টিআইএন নম্বর নেই, অর্থাৎ তাঁরা করদাতা নন।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটি সুস্পষ্ট যে, অনেক বিতর্কিত ব্যক্তি আসন্ন সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এঁদের অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীও রয়েছেন। অনেকের আশঙ্কা যে অপরাধীরা নির্বাচিত হলে তাঁরা আরও বেপরোয়া হয়ে পড়বেন এবং অপকর্মের সকল সীমা ছাড়িয়ে যাবেন। ফলে দেশে গণতন্ত্রের পরিবর্তে অপরাধতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে, যদিও নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উত্তরণই আজকের প্রায় সবার আকাঙ্ক্ষা।
দুর্ভাগ্যবশত বিতর্কিত ব্যক্তিরা আত্মমর্যাদাবোধ প্রদর্শন করে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সরে দাঁড়াননি। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোও মনোনয়ন প্রদানের ক্ষেত্রে ‘ডিউ ডিলিজেনশনস’ বা যথাযথ বিবেচনা, দায়িত্বশীলতা ও নৈতিকতা প্রদর্শন করেনি−যদিও নেতৃত্ব ও নৈতিকতার মধ্যে একটি ঘনিষ্ঠ যোগসূত্র বিদ্যমান। মনোনয়ন প্রদানের ক্ষেত্রে অধিকাংশ প্রধান রাজনৈতিক দল তৃণমূল সদস্যদের সুপারিশ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এমনকি আইনি বিধান অনুসরণ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগও সব ক্ষেত্রে তৃণমূলের সুপারিশ গ্রহণ করেনি। ড. বদিউল আলম মজুমদার: সম্পাদক, সুজন−সুশাসনের জন্য নাগরিক।
তথ্য সূত্র: প্রথম আলো, ২৮ ডিসেম্বর ২০০৮

Related Post

১৮ ডিসেম্বরের নির্বাচন: তারপর কী?১৮ ডিসেম্বরের নির্বাচন: তারপর কী?

ড. বদিউল আলম মজুমদার কল্পনা করুন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী, ১৮ ডিসেম্বরে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং যা হতেই হবে। আওয়ামী লীগে’র নেতৃত্বে গঠিত ‘মহাজোট’ অথবা বিএনপি’র

পৌর নির্বাচনে কারা মেয়র নির্বাচিত হলেনপৌর নির্বাচনে কারা মেয়র নির্বাচিত হলেন

বদিউল আলম মজুমদার পৌর নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে দলভিত্তিক স্থানীয় সরকার নির্বাচনের অসারতা প্রমাণিত হয়েছে বলে আমাদের ধারণা। দলভিত্তিক নির্বাচনের ফলে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা ঠকেছে_ তাদের দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।

দুর্নীতি প্রতিরোধে ‘হুইসেলব্লোয়ার’ আইনদুর্নীতি প্রতিরোধে ‘হুইসেলব্লোয়ার’ আইন

বদিউল আলম মজুমদার | তারিখ: ২৪-০৮-২০১২ ২০১১ সালের জুন মাসে ‘হুইসেলব্লোয়ার’ (whistleblower) বা জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান) আইন, ২০১১ জাতীয় সংসদে পাস হয়। আইনটির উদ্দেশ্য হলো, জনস্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে