সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক Uncategorized ‘পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তথ্য প্রকাশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

‘পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তথ্য প্রকাশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

Pictureআসন্ন পৌরসভা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সুজন নেতৃবৃন্দ। আজ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ১১.০০টায়, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক আয়োজিত ‘আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তথ্য প্রকাশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সুজন নেৃতৃবৃন্দ এ আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সুজন নির্বাহী সদস্য ড. হামিদা হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং সুজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে প্রার্থীদের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে দিলীপ কুমার সরকার বলেন, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে ২৩৪টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যথাসময়ে এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মত কোনো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন দলভিত্তিক এবং দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তাই দেশবাসীর বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে এই নির্বাচনকে ঘিরে। তবে নির্বাচনটি কেমন হবে, তা নিয়ে জনমনে সংশয় রয়েছে। ইতোমধ্যেই ঘটে যাওয়া কিছু কিছু ঘটনা এই সন্দেহ ও সংশয়কে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

সংশয়গুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘প্রথমত, পর্যাপ্ত জনবল থাকা সত্ত্বেও কেন নির্বাচন কমিশন থেকে ২৩৪টি পৌরসভার মধ্যে ১৭৫টিতে জনপ্রশাসন থেকে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হলো, তা বোধগম্য নয়। এই রিটার্নিং অফিসাররা কি নির্বাচন কমিশনের সকল ধরনের নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করবেন? দ্বিতীয়ত, সম্ভাব্য প্রার্থীদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে, তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করা থেকে বিরত রাখার এবং মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তৃতীয়ত, একটি পৌরসভায় একটি দলের পক্ষ থেকে একাধিক মনোনয়নপত্র দাখিল হলে সবকটি মনোনয়নপত্র বাতিলের বিধান থাকলেও তিনটি পৌরসভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও সব মনোনয়নপত্র বাতিল না করে, একজন করে প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণরূপে নির্বাচনী আইনের পরিপন্থী। চতুর্থত, সমর্থকের স্বাক্ষরে মিল না থাকা বা সমর্থক হিসেবে যার নাম তালিকায় আছে এমন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনেক বিদ্রোহী প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের অভিযোগ, সমর্থকদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে এমনটি করা হয়েছে। পঞ্চমত, ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যকে আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু কমিশন এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি। ষষ্ঠত, কোনো কোনো পৌরসভা থেকে জোর খাটিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করানোর অভিযোগ উঠলেও বিষয়টি নির্বাচন কমিশন তদন্ত করে দেখেনি।

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলেই স্ব স্ব অবস্থানে থেকে যথাযথ ভূমিকা পালন করেন এবং যথাযথ আচরণ করেন তবেই এই নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও অর্থবহ হতে পারে।’ নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করতে সরকারের প্রতি প্রতি আহ্বান রেখে তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠ নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করুন এবং নিরপেক্ষতা বজায় রাখুন।’ নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান রেখে বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করুন; প্রার্থীসহ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলেই যাতে নির্বাচনী আচরণবিধি যথাযথভাবে মেনে চলেন সে ব্যাপারে নির্বাচন পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিরপেক্ষতা ও সাহসিকতার সাথে কঠোর ভূমিকা পালন করুন; সকল দল ও প্রার্থীর জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করুন এবং কালোটাকা ও পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।’

প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে  দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘৯০৪ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৩৪১ জনের (৩৭.৭২%) শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা স্নাতকোত্তর। আওয়ামী লীগের ২২১ জন প্রার্থীর মধ্যে এই সংখ্যা ৯০ (৪০.৭২%), বিএনপির ২০৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৮৩ জন ৪০.২৯%)। ৯০৪ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ২২৪ জন (২৪.৭৭%) বিদ্যায়ের গণ্ডি পেরুতে পারেননি। আওয়ামী লীগের ২২১ জন প্রার্থীর মধ্যে এই সংখ্যা ৪০ (১৮.১%), বিএনপির ২০৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪০ (১৯.৪২%)। বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, উচ্চ শিক্ষিত প্রার্থীর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অবস্থা প্রায় একই রকম হলেও, নিরক্ষর বা স্বল্প শিক্ষিত প্রার্থীর শতকরা হার আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপিতে সামান্য বেশি।’

প্রার্থীদের পেশা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘৯০৪ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৬৫২ জন (৭২.১২%) ব্যবসায়ী। আওয়ামী লীগের ২২১ জন প্রার্থীর মধ্যে এই সংখ্যা ১৬৫ (৭৪.৬৬%), বিএনপির ২০৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৬২ জন (৭৮.৬৪%)। অন্যান্য নির্বাচনের মত এই নির্বাচনেও ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য লক্ষ করা যাচ্ছে। বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে ব্যবসায়ীর হার প্রায় ৪% বেশি।’

প্রার্থীদের মামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘৯০৪ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ২১৯ জনের বিরুদ্ধে (২৪.২২%) বর্তমানে, ৩২১ জনের বিরুদ্ধে (৩৫.৫০%) অতীতে এবং ১২১ জনের (১৩.৩৮%) বিরুদ্ধে উভয় সময়ে মামলা আছে বা ছিল। আওয়ামী লীগের ২২১ জন প্রার্থীর মধ্যে এই সংখ্যা যথাক্রমে ৩৩ জন (১৪.৯৩%), ১০২ জন (৪৬.১৫%) ও ২০ জন (৯.০৪%); বিএনপির ২০৬ জন প্রার্থীর মধ্যে যথাক্রমে ৯৬ জন (৪৬.৬০%), ১০৯ জন (৫২.৯১%) ও ৬১ জন (২৯.৬১%)। ৯০৪ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৩৬ জনের বিরুদ্ধে (৩.৯৮%) বর্তমানে, ৬১ জনের বিরুদ্ধে (৬.৭৪%) অতীতে এবং ৫ জনের (০.৫৫%) বিরুদ্ধে উভয় সময়ে ৩০২ ধারায় মামলা (হত্যা মামলা) ছিল বা আছে। বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায় যে, অতীত, বর্তমান, উভয় সময়, অর্থাৎ সকল ক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের তুলনায় বিএনপি প্রার্থীদের মামলা বেশি।’

দিলীপ কুমার সরকার প্রার্থীদের আয় সম্পর্কে বলেন, ‘৯০৪ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে অধিকাংশই (৬৩৪ জন বা ৭০.১৩%) বছরে ৫ লক্ষ টাকা বা তার কম আয় করেন। আওয়ামী লীগের ২২১ জন প্রার্থীর মধ্যে এই সংখ্যা ১২৫ (৫৬.৫৬%), বিএনপির ২০৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৪৪ জন (৬৯.৯০%)। ৯০৪ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ৮ জন (০.৮৮%) বছরে কোটি টাকার বেশি আয় করেন। আওয়ামী লীগের ২২১ জন প্রার্থীর মধ্যে এই সংখ্যা ৫ (২.২৬%), বিএনপির ২০৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ২ (০.৯৭%)। অধিক আয়কারী প্রার্থীদের সংখ্যা আওয়ামী লীগে বেশি হলেও স্বল্প আয়কারী প্রার্থী বিএনপিতে সামান্য বেশি।’

প্রার্থীদের সম্পদ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘৯০৪ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে অধিকাংশের (৪৯০ জন বা ৫৪.২০%) সম্পদ ৫ লক্ষ টাকা বা তার কম। আওয়ামী লীগের ২২১ জন প্রার্থীর মধ্যে এই সংখ্যা ৭৯ (৩৬.৫৭%), বিএনপির ২০৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯৯ জন (৪৮.৭৭%)। ৯০৪ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে কোটিপতির সংখ্যা ৪৭ জন (৫.১৯%)। আওয়ামী লীগের ২২১ জন প্রার্থীর মধ্যে এই সংখ্যা ২০ (৯.০৪%), বিএনপির ২০৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জন (৬.৩১%)। বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা বিএনপির তুলনায় আওয়ামী লীগে বেশি হলেও, কম সম্পদের মালিক আওয়ামী লীগের তুলনায় বিএনপিতে বেশি।’

প্রার্থীদের ঋণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘৯০৪ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ঋণ গ্রহীতার হার মাত্র ১৬.১৫% (১৪৬ জন)। আওয়ামী লীগের ২২১ জন প্রার্থীর মধ্যে এই হার ২২.৭৪% (৪৮ জন), বিএনপির ২০৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ২০.৩৮% (৪২ জন)। কোটি টাকার অধিক ঋণ গ্রহণ করেছেন ১৮ জন (১২.৩২%)। এই ১৮ জনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৫ জন (২৭.৭৭%), বিএনপির ৭ জন (৩৮.৮৮%)।’

প্রার্থীদের কর প্রদান সম্পর্কে দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘৯০৪ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে কর প্রদানকারীর সংখ্যা ৭২৯ জন (৮০.৬৪%)। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২১ জন প্রার্থীর মধ্যে এই হার ৮১.৯০% (১৮১ জন), বিএনপির ২০৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৮২.০৩% (১৬৯ জন)। এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র ৪৭৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৭৯.৪৫% (৭২৯ জন)। বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রার্থীদের অধিকাংশই করদাতা। সকল দলের মধ্যেই কর দাতার হার কাছাকাছি।’

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমরা সুজন-এর পক্ষ থেকে প্রতিটি নির্বাচনে হলফনামায় প্রদত্ত প্রার্থীদের তথ্যের বিশ্লেষণ তুলে ধরি, যাতে ভোটাররা জেনে-শুনে-বুঝে ভোট দিতে পারেন। আমরা মনে করি, তথ্য প্রাপ্তির অধিকার ভোটারদের বাক্ স্বাধীনতার অংশ। নির্বাচন কমিশনের উচিত ভোটারদের জ্ঞাতার্থে এসব প্রার্থীদের এসব তথ্য তুলে ধরা। একইসঙ্গে হলফনামায় ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে কিনা তা কমিশনের খতিয়ে দেখা দরকার।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কারো বিরুদ্ধে তেমন একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। কমিশন বলছে যে, অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে। আমরা মনে করি, কমিশন এর মাধ্যমে তার দায়িত্ব এড়াতে চাইছে।’ সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কমিশনের যে অগাধ ক্ষমতা রয়েছে তা প্রয়োগ করা দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ড. হামিদা হোসেন বলেন, ‘আমরা দেখছি যে, পৌর নির্বাচনে প্রার্থী, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য কর্তৃক উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে মহান বিজয় দিবসেও কয়েকটি এলাকায় কয়েকজন মন্ত্রী-এমপি’র বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। কমিশনের উচিত নিজ উদ্যোগে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা খতিয়ে দেখা, যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।’

মূল প্রবন্ধ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Related Post

সুজন-এর উদ্যোগে ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিতসুজন-এর উদ্যোগে ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২১৩টি কেন্দ্রে ‘বিস্ময়করভাবে শতভাগ ভোট পড়ার অনিয়ম’ তদন্তে রাষ্ট্রপ্রতি মো. আবদুল হামিদের প্রতি দাবি জানিয়েছেন ‘সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক’ নেতৃবৃন্দ। এজন্য রাষ্ট্রপতিকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে

গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে করণীয়গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে করণীয়

ড. বদিউল আলম মজুমদার গত ২৯ ডিসেম্বর, ২০০৮ অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। নবগঠিত সরকারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যান্ডেট হলো রাষ্ট্রে একটি কার্যকর

সরকারের জেগে ওঠার ঘণ্টাধ্বনিসরকারের জেগে ওঠার ঘণ্টাধ্বনি

বদিউল আলম মজুমদার | তারিখ: ২২-০১-২০১১ সারা দেশে মোট ২৪২টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। যদিও অনিয়ম ও গোলযোগের কারণে ছয়টিতে নির্বাচনী ফলাফল আংশিক বা পুরোপুরিভাবে স্থগিত করা হয়েছে। যে