মৌলিক অধিকার নিয়ে মৌলিক সমস্যা

samakal_logo
সুশাসন
বদিউল আলম মজুমদার
প্রায় ৩৮ বছর আগে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এর এক বছর পর ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য একটি সংবিধান রচিত হয়। সংবিধানে অনেক মৌলিক অধিকার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত অধিকাংশ নাগরিকের এমনকি অনেক শিক্ষিত নাগরিকেরও এসব অধিকার সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা নেই। অনেক ক্ষেত্রেই তারা মৌলিক অধিকার ও মৌলিক চাহিদার মধ্যে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ‘তৃতীয় ভাগ’ মৌলিক অধিকারের সম্পর্কিত এবং এতে ২৬ থেকে ৪৭ অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত, যদিও সব অনুচ্ছেদ এক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক নয়। কতগুলো ‘স্বাধীনতা’ ও কতগুলো ‘অধিকার’ মৌলিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত। স্বাধীনতাগুলো হলো : (১) চলাফেরার স্বাধীনতা (অনুচ্ছেদ ৩৬); (২) সমাবেশের স্বাধীনতা (অনুচ্ছেদ ৩৭); (৩) সংগঠনের স্বাধীনতা (অনুচ্ছেদ ৩৮); (৪) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাকস্বাধীনতা (অনুচ্ছেদ ৩৯); (৫) পেশা ও বৃত্তির স্বাধীনতা (অনুচ্ছেদ ৪০); এবং (৬) ধর্মীয় স্বাধীনতা (অনুচ্ছেদ ৪১)।
অন্য মৌলিক অধিকারগুলো হলো_ (১) আইনের দৃষ্টিতে সমতার অধিকার (অনুচ্ছেদ ২৭); (২) ধর্ম প্রভৃতির কারণে বৈষম্যহীনতার অধিকার (অনুচ্ছেদ ২৮); (৩) সরকারি নিয়োগলাভে সুযোগের সমতার অধিকার (অনুচ্ছেদ ২৯); (৪) আইনের আশ্রয়লাভের অধিকার (অনুচ্ছেদ ৩১); (৫) জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতা রক্ষণের অধিকার (অনুচ্ছেদ ৩২); (৬) গ্রেফতার ও আটক সম্পর্কিত অধিকার (অনুচ্ছেদ ৩৩); (৭) জবরদস্তিমূলক শ্রমের বিরুদ্ধে অধিকার (অনুচ্ছেদ ৩৪); (৮) বিচার ও দণ্ড সম্পর্কিত অধিকার (অনুচ্ছেদ ৩৫); (৯) সম্পত্তির অধিকার (অনুচ্ছেদ ৪২) এবং (১০) গৃহ ও যোগাযোগের গোপনীয়তা সম্পর্কিত অধিকার (অনুচ্ছেদ ৪৩)।
যদিও সহজবোধ্য করার খাতিরে বিভাজনটি করা হয়েছে, কিন্তু এটি অনেকটা কৃত্রিম, কারণ স্বাধীনতাগুলোও অধিকার। তবে মৌলিক অধিকারগুলোর আরেকটি বিভাজন হতে পারে : কতগুলো অধিকার মানুষের সব কার্যক্রমের বেলায় প্রযোজ্য, আবার অন্যগুলো বিশেষ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক। যেমন, আইনের দৃষ্টিতে সমতার (অনুচ্ছেদ ২৭) ও আইনের আশ্রয় লাভের (অনুচ্ছেদ ৩১) অধিকার প্রত্যেক আইনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এর বিপরীতে অন্য সব মৌলিক অধিকার_ যেমন, চলাফেরার, সমাবেশের, সংগঠনের ইত্যাদি_ শুধু বিশেষ কার্যক্রমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
গ্রেফতার সম্পর্কিত অধিকারের অপব্যবহার সচরাচর আমাদের দেশে হয়ে থাকে। তাই এগুলো আরেকটু সুস্পষ্ট করা আবশ্যক। সংবিধানের ৩৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী : ‘৩৩। (১) গ্রেফতারকৃত কোনো ব্যক্তিকে যথাসম্ভব শীঘ্র গ্রেফতারের কারণ জ্ঞাপন না করিয়া প্রহরায় আটক রাখা যাইবে না এবং উক্ত ব্যক্তিকে তাঁহার মনোনীত আইনজীবীর সহিত পরামর্শের ও তাঁহার দ্বারা আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার হইতে বঞ্চিত করা যাইবে না। (২) গ্রেফতারকৃত ও প্রহরায় আটক প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে গ্রেফতারের চবি্বশ ঘণ্টার মধ্যে (গ্রেফতারের স্থান হইতে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আনয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সময় ব্যতিরেকে) হাজির করা হইবে এবং ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ব্যতীত তাঁহাকে তদতিরিক্তকাল প্রহরায় আটক রাখা যাইবে না।’ বিদেশি শত্রুদের এবং নিবর্তনমূলক আটকের বিধানসংবলিত কোন আইনের অধীন গ্রেফতারকৃতদের ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হবে না।
‘(৪) নিবর্তনমূলক আটকের বিধানসংবলিত কোন আইন কোন ব্যক্তিকে ছয় মাসের অধিককাল আটক রাখিবার ক্ষমতা প্রদান করিবে না যদি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক রহিয়াছেন বা ছিলেন কিংবা সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের নিয়োগলাভের যোগ্যতা রাখেন, এইরূপ দুইজন এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত একজন প্রবীণ কর্মচারীর সমন্বয়ে গঠিত কোন উপদেষ্টা-পর্ষদ্ উক্ত ছয় মাস অতিবাহিত হইবার পূর্বে তাঁহাকে উপস্থিত হইয়া বক্তব্য পেশ করিবার সুযোগদানের পর রিপোর্ট প্রদান না করিয়া থাকেন যে, পর্ষদের মতে উক্ত ব্যক্তিকে তদতিরিক্তকাল আটক রাখিবার পর্যাপ্ত কারণ রহিয়াছে।’ তবে তদন্তের জন্য অনুসরণীয় পদ্ধতি সংসদ আইনের দ্বারা নির্ধারণ করতে পারবে।
‘(৫) নিবর্তনমূলক আটকের বিধানসংবলিত কোন আইনের অধীন প্রদত্ত আদেশ অনুযায়ী কোন ব্যক্তিকে আটক করা হইলে আদেশদানকারী কর্তৃপক্ষ তাঁহাকে যথাসম্ভব শীঘ্র আদেশদানের কারণ জ্ঞাপন করিবেন এবং উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে বক্তব্য-প্রকাশের জন্য তাঁহাকে যত সত্বর সম্ভব সুযোগদান করিবেন। তবে শর্ত থাকে যে, আদেশদানকারী কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় তথ্যাদি-প্রকাশ জনস্বার্থবিরোধী বলিয়া মনে হইলে অনুরূপ কর্তৃপক্ষ তাহা প্রকাশে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিতে পারিবেন।’
বিচার ও দণ্ড সম্পর্কিত বিধানগুলোও অনেক ক্ষেত্রে অপব্যবহার হয়ে থাকে। এ সম্পর্কিত সুস্পষ্ট বিধানগুলো হলো : ‘৩৫। (১) অপরাধের দায়যুক্ত কার্যসংঘটনকালে বলবৎ ছিল, এইরূপ আইন ভঙ্গ করিবার অপরাধ ব্যতীত কোন ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে না এবং অপরাধ-সংঘটনকালে বলবৎ সেই আইনবলে যে দণ্ড দেওয়া যাইতে পারিত, তাঁহাকে তাহার অধিক বা তাহা হইতে ভিন্ন দণ্ড দেওয়া যাইবে না। (২) এক অপরাধের জন্য কোন ব্যক্তিকে একাধিকবার ফৌজদারিতে সোপর্দ ও দণ্ডিত করা যাইবে না। (৩) ফৌজদারি অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তি আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালত বা ট্রাইব্যুনালে দ্রুত ও প্রকাশ্য বিচারলাভের অধিকারী হইবেন। (৪) কোন অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা যাইবে না। (৫) কোন ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেওয়া যাইবে না কিংবা নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর দণ্ড দেওয়া যাইবে না কিংবা কাহারও সহিত অনুরূপ ব্যবহার করা যাইবে না। (৬) প্রচলিত আইনে নির্দিষ্ট কোন দণ্ড বা বিচারপদ্ধতি সম্পর্কিত কোন বিধানের প্রয়োগকে এই অনুচ্ছেদের (৩) বা (৫) দফায় কোন কিছুই প্রভাবিত করিবে না।’
মৌলিক অধিকারের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, এগুলোর পরিপন্থী কোনো আইন সংসদ প্রণয়ন করতে পারবে না। এ সম্পর্কে সংবিধানের ২৬ অনুচ্ছেদে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে : ‘২৬। (১) এই ভাগের বিধানবলীর সহিত অসামঞ্জস্য সকল প্রচালিত আইন যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, এই সংবিধান-প্রবর্তন হইতে সেই সকল আইনের ততখানি বাতিল হইয়া যাইবে। (২) রাষ্ট্র এই ভাগের কোন বিধানের সহিত অসামঞ্জস্য কোন আইন প্রণয়ন করিবেন না এবং অনুরূপ কোন আইন প্রণীত হইলে তাহা এই ভাগের কোন বিধানের সহিত যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইয়া যাইবে।’ তবে ৪৭ অনুচ্ছেদে কিছু সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে মৌলিক অধিকার পরিপন্থী আইন প্রণয়নের ওপর বিধিনিষেধে শিথিলতা প্রদর্শন করা হয়েছে।
মৌলিক অধিকারের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, সংবিধানের রক্ষক হিসেবে উচ্চ আদালতের মাধ্যমে এগুলো বলবৎ করা যায়। সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী: ‘৪৪। (১) এই ভাগে প্রদত্ত অধিকারসমূহ বলবৎ করিবার জন্য এই সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগের নিকট মামলা রুজু করিবার অধিকারের নিশ্চয়তা দান করা হইল। (২) এই সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদের অধীন হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতার হানি না ঘটাইয়া সংসদ আইনের দ্বারা অন্য কোন আদালতকে তাহার এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে ঐ সকল বা উহার যে কোন ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষমতা দান করিতে পারিবেন।’
তবে মৌলিক অধিকারের বিধানগুলো শর্তহীন নয়। অনেকগুলোতেই_ যেমন, অনুচ্ছেদ ৩২, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২ ও ৪৩-এর সাথে_ বিধিনিষেধ জুড়ে দেওয়া রয়েছে। কিন্তু এ সকল বিধিনিষেধ আইন ব্যতীত প্রশাসনিক আদেশ দ্বারা আরোপ করা যায় না। এছাড়াও এগুলো যুক্তিসঙ্গত হতে হবে। কোন বিধি-নিষেধগুলো যুক্তিসঙ্গত সে সম্পর্কে আদালতের অনেক রায় রয়েছে। আরও রায় রয়েছে ‘বিধিনিষেধ’ আরোপ (restrictions) বনাম বিরত রাখা (prohibitions) সম্পর্কে।
মৌলিক অধিকারের বাইরেও সংবিধানের প্রথম ভাগের ‘প্রস্তাবনা’য় এবং দ্বিতীয় ভাগে ‘রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি’ শিরোনামে আরও কতগুলো অধিকারের কথা বলা আছে। প্রস্তাবনায় অঙ্গীকার করা হয়েছে যে, ‘রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা_ যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে।’ এছাড়াও সংবিধানের ১০ অনুচ্ছেদে জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ, ১১ অনুচ্ছেদে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সংরক্ষণ, ১৪ অনুচ্ছেদে কৃষক-শ্রমিক তথা মেহনতি মানুষের মুক্তির, ১৬ অনুচ্ছেদে বৈষম্য দূরীকরণার্থে গ্রামীণ উন্নয়ন ও কৃষি বিপল্গব এবং ১৯ অনুচ্ছেদে সুযোগের সমতা ও সম্পদের সুষম বণ্টনের কথা বলা হয়েছে।
উপরন্তু সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগের ১৫ অনুচ্ছেদে নাগরিকের কতগুলো ‘মৌলিক প্রয়োজন’ মেটানোর ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ‘মৌলিক দায়িত্বে’র কথা বলা হয়েছে। এগুলো হলো : ‘(ক) অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা; (খ) কর্মের অধিকার, অর্থাৎ কর্মের গুণ ও পরিমাণ বিবেচনা করিয়া যুক্তিসঙ্গত মজুরির বিনিময়ে কর্মসংস্থানের নিশ্চিয়তার অধিকার; (গ) যুক্তিসঙ্গত বিশ্রাম, বিনোদন ও অবকাশের অধিকার; এবং (ঘ) সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার, অর্থাৎ বেকারত্ব, ব্যাধি বা পঙ্গুত্বজনিত কিংবা বৈধব্য, মাতাপিতৃহীনতা বা বার্ধক্যজনিত কিংবা অনুরূপ অন্যান্য পরিস্থিতিজনিত আয়ত্তাতীত কারণে অভাবগ্রস্ততার ক্ষেত্রে সরকারি সাহায্য লাভের অধিকার।’ একইসঙ্গে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ (অনুচ্ছেদ ১৭) এবং পুষ্টির স্তর ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন (অনুচ্ছেদ ১৮) সরকারের কর্তব্য বলে উলেল্গখ করা হয়েছে। এগুলো মানুষের মৌলিক চাহিদা, যদিও অনেকেই এগুলোকে মৌলিক অধিকার বলে ভুল করে থাকেন।
মৌলিক চাহিদাগুলোর বৈশিষ্ট্য হলো, এগুলো মেনে চলা সরকারের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। এ সম্পর্কে সংবিধানের ৮(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে : ‘এই ভাগে বর্ণিত নীতিসমূহ বাংলাদেশ পরিচালনার মূলসূত্র হইবে, আইন প্রণয়নকালে রাষ্ট্র তাহা প্রয়োগ করিবেন, এই সংবিধান ও বাংলাদেশের অন্যান্য আইনের ব্যাখ্যাদানের ক্ষেত্রে তাহা নির্দেশক হইবে এবং তাহা রাষ্ট্র ও নাগরিকের কার্যের ভিত্তি হইবে, তবে এই সকল নীতি আদালতের মাধ্যমে বলবৎযোগ্য হইবে না।’ উলেল্গখ্য, অনেকেই রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির অন্তর্ভুক্ত কিছু অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে।
পরিশেষে একটি পরাধীন দেশের অধিবাসীরা প্রজা হিসেবে বিবেচিত হয়, কিন্তু স্বাধীন দেশের মানুষ নাগরিক। নাগরিকের অধিকার থাকে এবং এ অধিকার বাস্তবায়নের মাধ্যমেই স্বাধীনতা অর্থবহ হয় এবং গণতন্ত্র কায়েম হয়। আর অধিকার অর্জনের পূর্বশর্ত হলো অধিকার সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা। তাই বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিককেই তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা আজ জরুরি। আর অধিকারসচেতন হলেই মানুষের মধ্যে নাগরিক দায়িত্ববোধ সৃষ্টি হবে, জাতিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা অতি আবশ্যক।
– ড. বদিউল আলম মজুমদার : সম্পাদক
সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক

সূত্র: সমকাল, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১০

Related Post

উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ রোধে করণীয়উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ রোধে করণীয়

বদিউল আলম মজুমদার এটি সুস্পষ্ট যে স্বাধীনতার সুফল আমাদের বিরাট জনগোষ্ঠীর ঘরে ওঠেনি, যা উগ্রবাদের জন্য একটি উর্বর ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে। আর উগ্রবাদী শক্তি সাধারণ মানুষের দরিদ্রতা ও ধর্মীয় অনুভূতিকে

সাংসদেরা কি লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত?সাংসদেরা কি লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত?

বদিউল আলম মজুমদার | তারিখ: ০১-০৯-২০১২ আমাদের সংসদ সদস্যরা কি ‘অফিস অব প্রফিট’ বা প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত—এ প্রশ্ন নিয়ে সম্প্রতি একটি বিতর্ক শুরু হয়েছে। ব্যারিস্টার হারুন উর রশিদের মতে,

সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচন প্রসঙ্গেসিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে

HTML clipboard ড. বদিউল আলম মজুমদার জাতি হিসেবে আমরা একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েমে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে হলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সংস্কার এবং কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী