সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক গোলটেবিল বৈঠক সংসদ সদস্যদের আচরণ আইন সময়ের দাবী: সুজন ও টিআইবি আয়োজিত গোলটেবিল সভায় বক্তারা

সংসদ সদস্যদের আচরণ আইন সময়ের দাবী: সুজন ও টিআইবি আয়োজিত গোলটেবিল সভায় বক্তারা

1_september13সংসদের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে এবং এর কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হলে সংসদ সদস্যদের আচরণ সংযতকরণ ও নিয়ন্ত্রণের কোনো বিকল্প নেই। এ কারণেই, বিশেষত আইন প্রণেতাদের সদাচারণ নিশ্চিত করার জন্য একটি সংসদ সদস্য আচরণ আইন প্রণয়ন অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকগণ। গত ৩১ আগস্ট ২০১৩ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক এর যৌথ উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘সংসদ সদস্যদের আচরণবিধি আইনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠকে তারা এ মন্তব্য করেন।টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এ টি এম শামসুল হুদা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তত্ত্ববধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সি এম শফি সামি, সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সাবেক বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, সাবেক মন্ত্রী সরদার আমজাদ হোসেন, জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শহিদুজ্জামান সরকার এমপি, সাবেক এমপি জনাব হুমায়ুন কবির হিরু, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মো. জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক নাজমা হাসিন, সাংবাদিক মনির হায়দার প্রমুখ।

মূল প্রবন্ধে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আইনসভা বা সংসদ সংসদীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু। আর সংসদীয় গণতন্ত্রের চরিত্র এবং গুনগত মান নির্ভর করে সংসদ সদস্যদের নিজেদের চারিত্রিক গুনাবলী, মান ও আচরণের ওপর। একইভাবে সংসদের মর্যাদা ও প্রতিষ্ঠানটির প্রতি জনগণের আস্থা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত সংসদ সদস্যদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট ও তাঁদের সুনাম-দুর্নামের ওপর। তাই সংসদের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সংসদ সদস্যদের আচরণ সংযতকরণ ও নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘অন্যায় আচরণের জন্য সংসদ সদস্যদের শাস্তি প্রদান গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অন্যায় আচরণ করে শাস্তি না পেলে অন্যায়কে উৎসাহিতই করা হয়। তবে অপরাধের পর শাস্তির চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো অপরাধ আগে থেকেই রোধ করা। আর এই জন্যই প্রয়োজন একটি যুগোপযুগী সংসদ সদস্য আচরণ আইন প্রণয়ন ও এর কঠোর বাস্তবায়ন।’

সুজন সম্পাদক বলেন, ১৯৭২ সালে দুই দফায় ৩৫ জন সংসদ সদস্যকে দুর্নীতির অভিযোগে গণপরিষদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। দুর্ভাগ্যবশত পরবর্তী সময়ে আমাদের সংসদ সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েন। এর একটি বড় কারণ অপরাধী কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া, যা একটি ‘কালচার অব ইম্পিউনিটি’ বা অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছে। অনেকে আশা করেছিলেন যে, ১৯৯১ গণতান্ত্রিক উত্তরণের পর সংসদ সদস্যদের গুণগত মানে পরিবর্তন আসবে এবং আমরা সততা ও নৈতিকতার নতুন মানদণ্ড অর্জন করব। কিন্তু এই আশা বাস্তবে রূপায়িত হয়নি। পঞ্চম সংসদে একজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যতবশত সরকারি দল ও বিরোধী দল একটি তদন্ত কমিটির ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌঁছতে পারেনি। নবম জাতীয় সংসদ গঠিত হওয়ার শুরুতে সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি লঙ্ঘন করে ১৫ জন সংসদ সদস্য নিজেদের স্বার্থ জড়িত আছে এমন সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হন। এ ছাড়া ২০০৯ সালে মিথ্যা হলফনামা দিয়ে ১৮ জন সংসদ সদস্য উত্তরা আবাসিক এলাকায় প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। কিন’ এদের কারো বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’ মূলত প্রয়োজনীয় আচরণবিধির অভাব এবং অপরাধের জন্য শাস্তি প্রদানের অনীহার কারণে আমাদের সংসদ সদস্যদের অনেকেই এখন অনেক নেতিবাচক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় তিনি টিআইবি পরিচালিত একটি গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ১৪৯টি আসনের সংসদ সদস্যের ৯৭ শতাংশই বিভিন্ন নেতিবাচক কার্যক্রমে জড়িত বলে উল্লেখ করেন।

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সংসদ সদস্যদের সদাচারণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৪ জানুয়ারি, ২০১০ জনাব সাবের হোসেন চৌধুরী, এমপি ‘সংসদ সদস্য আচরণ আইন, ২০১০’ শিরোণামের একটি ‘বেসরকারি সদস্যদের বিল’ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন। বিলটিতে ১৫টি ধারা রয়েছে। জাতীয় সংসদের ‘বেসরকারি সদস্যদের বিল এবং বেসরকারি সদস্য বিল প্রস্তব কমিটি’ প্রয়োজনীয় পরীক্ষার পর ২০১১ সালের মার্চ মাসে সংশোধিত আকারে বিলটি সংসদে পাশের জন্য সুপারিশ করে। সুপারিশে বিলটির ১২ ধারা বিলুপ্ত করা হয়।’ কিন’ দুর্ভাগ্যবশত আজ পর্যন- এটি পাশের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে মন-ব্য করেন তিনি। এ সময় তিনি আইনটি পাশের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বিলের ১২ ধারাটি পুনঃস্থাপন ও মাননীয় সংসদ সদস্যদের কার্যপরিধি সংসদীয় কার্যক্রমের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার দাবী জানান। এ ছাড়া সংসদ বর্জনের সংস্কৃতির ইতি টানাও জরুরি হয়ে পড়েছে মন্তব্য করেন তিনি।

জনাব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, সংসদ সদস্যদের আচরণ আইন আজ সময়ের দাবী। তবে প্রস-াবিত আইনটি অসম্পূর্ণ বলে মন-ব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, অসদাচরণের অভিযোগে শাসি-র বিধানই যদি না থাকে তবে আইনটি নখ-দন-হীন বাঘে পরিণত হবে। রাষ্ট্রের প্রশাসনের মধ্যে যদি আমরা সংসদ সদস্যদের খবরদারিত্ব বন্ধ করতে না পারি, তাহলে আমাদের বেশিরভাগ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডই বাধাগ্রস্থ হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের জাতীয় সংসদে স্পিকারের ক্ষমতা রয়েছে কোন সদস্য অসদাচরণ করলে তার বিরুদ্ধে শাসি-মূলক ব্যবস’া গ্রহণের। কিন’ বিগত সময়ে কখনোই কোন সদস্যের বিরুদ্ধেব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। যদি তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে মাননীয় স্পিকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন, তাহলে আর নতুন করে আচরণ বিধি আইনেরও প্রয়োজন হতো না।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সংসদ সদস্যদের আচরণবিধি নিয়ে একটি খসড়া আইন তৈরি করা হয়েছে, যেটি ২০১০ সালে জনাব সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি জাতীয় সংসদে ‘সংসদ সদস্য আচরণ আইন, ২০১০’ শিরোনামে একটি বেসরকারি বিল উত্থাপন করেন। কিন’ খসড়া আইন থেকে অনেক কিছু বাদ দেওয়া হয়েছে। এ আইনটিতে আরও সংশোধনের সুযোগ রয়েছে বলেও তিনি মন-ব্য করেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জাতীয় সংসদের বেশিরভাগ সদস্যরা ব্যবসার সাথে জড়িত। এটা উদ্বেগের বিষয়। স্বাধীনতার পর এই হার ছিল ১৮ শতাংশ অথচ এখন সংসদ সদস্যদের মধ্যে ৬০ শতাংশই ব্যবসায়ী। অথচ সকল শ্রেণী পেশার মানুষেরই রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে এবং এটা সংবিধান স্বীকৃত। এখন ব্যববসার সাথে রাজনীতি জড়িত হয়ে পড়ার কারণে সংসদ সদস্যরা নানা ধরনের অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছেন।’ আমাদের সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রের সাথে ব্যবসা করবেন, এমনটি আমরা চাই না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

জনাব সি এম শফী সামি বলেন, ‘সার্বিকভাবে আমাদের দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে যে অবক্ষয় হয়েছে তারই প্রতিফলন ঘটেছে বা ঘটছে আমাদের সংসদে। এ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতেও সংসদ সদস্যদের জন্য একটি বিস-ৃত আচরণবিধি আইন রয়েছে। কিন’ আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আইন প্রণয়ন করলেই হবে না এর প্রয়োগও করতে হবে। কিন’ যে দেশে আমরা আইনের ন্যূনতম প্রয়োগ করতে পারি না, সে দেশে সংসদ সদস্যদের জন্য আচরণবিধি কতটুকু কার্যকর করতে পারবো সে নিয়ে সংশয় রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের কাছে ক্ষমতা থাকতে হবে রিকল করার।’

বিচারপতি কাজী এবাদুল হক বলেন, ‘যারা আইন প্রণয়ন করেন, তারাই আইন মানেন না। এটিই সবচেয়ে বড় প্রহসন। আমাদের দেশে প্রচলিত আইনেই শাসি-র বিধান আছে কিন’ তা কার্যকর করা হয় না। এই আইনের ১৩ ধারায় যে নৈতিকতা কমিটির কথা বলা হয়েছে তা আরেকটি বড় প্রহসন। কারণ আইনে এই কমিটিকে শাসি-মূলক ব্যবস’া গ্রহণের অধিকার বা নিদের্শনা দেয়া হয়নি।

মো. শহিদুজ্জামান সরকার এমপি বলেন, ‘সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব। তারপরও প্রয়োজন হলে জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে এ ধরনের একটি আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি ভালো জনপ্রতিনিধি পেতে চাই, তাহলে আমাদের জনগণের কাছে যেতে হবে। মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা থাকতে হবে, ভোটাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা থাকতে হবে। আমাদেরকে গোলাপ ফোটাতে হবে, আর গোলাপ ফোটানোর জন্য কথা নয়, কাজও করতে হবে।’

সংসদ সদস্যদের আচরণ আইন প্রণয়ন সংক্রান- একটি গুরুত্বপর্ণ বিষয় অবতারণা করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে জনাব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, প্রস-াবিত আইনের ধারা ১৩ এর শাসি-মূলক ব্যবস’ার বিষয়টি স্পষ্ট নয়। গুরুতর অসাদাচারণের জন্য কিভাবে শাসি- প্রদান করা যায় তা নিশ্চিত করা জরুরি ছিলো।’ তিনি বলেন, ‘এ ধরনের আইন পাশ করলেও আমরা আমাদের প্রত্যাশিত সংসদ পাবো না, যতদিন না পর্যন- আমরা আমাদের রাজনীতিকে শুদ্ধ করতে পারবো।’ আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস’ায় পরিবর্তন না এলে এ সকল আলোচনা অরণ্যে রোদনে পরিণত হবে বলেও মন-ব্য করেন তিনি।

সংসদ সদস্যদের আচরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন না করে বিধি প্রণয়নের ওপর তাগিদ দিয়ে সভাপতির বক্তব্যে ড. এটিএম শামসুল হুদা বলেন, ‘জাতীয় সংসদের ‘মাদার ল’ হচ্ছে সংবিধান। সংবিধানেই সুস্পষ্টভাবে বলা আছে সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য কি হবে? বিশ্বের সব দেশে আচার-আচরণ বিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। সংসদ সদস্যদের আচরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন হিসেবে সংবিধানই যথেষ্ট। আইনের প্রয়োগের জন্য একটি বিধি হলেই যথেষ্ট।’

সাম্প্রতিক সময়ে সংসদের ভিতরে এবং বাইরে মাননীয় সদস্যদের একাংশের বক্তব্য, আচরণ এবং কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় এই আইনের প্রয়োজনীয়তা, সময়োপযোগিতা ও যথার্থতা প্রতীয়মান হয়েছে। গোলটেবিলে অংশগ্রহণকারীগণ সংসদের আসন্ন অধিবেশনে বিলটি পাস করার জোর দাবি জানান। বক্তারা বলেন, এই বিলটি আইনে রূপান-রিত হলে এর কার্যকর প্রয়োগের মাধ্যমে একদিকে সংসদ সদস্যদের নিকট জনগণের প্রত্যাশা পূরণ সহজতর হবে এবং অন্যদিকে সংসদের ওপর জনগণের আস’া বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি এর কার্যকর প্রয়োগ মাননীয় সংসদ সদস্যদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বক্তারা।

মূল প্রবন্ধ দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Related Post

‌‌নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জানালেন’ – গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা‌‌নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জানালেন’ – গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা

গত ২০ এপ্রিল ২০১৩, সকাল ১০ টায়, জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে, সুজন-এর উদ্যোগে ‘বিরাজমান রাজনৈতিক বাস্তবতা ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন

‘দিনবদলের সনদ জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে’ – গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা‘দিনবদলের সনদ জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে’ – গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা

আজ ২৪ জানুয়ারি ২০১৩, সকাল ১০ টায়, জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে, সুজনে’র উদ্যোগে ‘দিনবদলের সনদের চার বছর’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি জনাব এম হাফিজ উদ্দিন খানের

‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন

‘গণতন্ত্র যখন কম থাকে আর কর্তৃত্ববাদী সরকার বেশি থাকে, তখন ন্যায়বিচার ও বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে সবাই সচেষ্ট হতে থাকে। এই অবস্থায় বিচার বিভাগকে আরও স্বাধীন, আরও সুদৃঢ় ও আরও