সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক ওয়েবিনার,গোলটেবিল বৈঠক সুজন-এর উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র, নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন’ শীর্ষক অনলাইন বৈঠক অনুষ্ঠিত

সুজন-এর উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র, নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন’ শীর্ষক অনলাইন বৈঠক অনুষ্ঠিত


নির্বাচন কমিশনের দায়বদ্ধতা নিশ্চিতের আহ্বান

গত ২৯ নভেম্বর ২০২০, সকাল ১১টায়, সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক-এর উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র, নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন’ শীর্ষক একটি অনলাইন গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।  

সুজন সভাপতি জনাব এম হাফিজউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজন স¤পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। সূচনা বক্তব্য রাখেন সুজন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ড. শাহদীন মালিক। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন  যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ, সুজন নির্বাহী সদস্য জনাব আলী ইমাম মজুমদার, বিশিষ্ট সাংবাদিক জনাব আবু সাঈদ খান, সুজন নির্বাহী সদস্য জনাব সৈয়দ আবুল মকসুদ, জনাব তোফায়েল আহমেদ, বিচারপতি এম এ মতিন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সাবেক সচিব আব্দুল লতিফ মণ্ডল, বিখ্যাত ফটো সাংবাদিক শহীদুল আলম, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, সুজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার, সুজন সহ-সভাপতি ড. হামিদা হোসেন, সুজন জাতীয় কমিটির সদস্য সি আর আবরার, একরাম হোসেন, সুজন নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দর খান, সফিউদ্দিন আহমেদ, আকবর হোসেন প্রমূখ।   

ড. বদিউল আলম মজুমদার তাঁর লিখিত প্রবন্ধে বলেন, গণতন্ত্র হল জনগণের সম্মতির শাসন, যে সম্মতি প্রতিষ্ঠা হয় নির্বাচনের মাধ্যমে। নির্বাচনের মাধ্যমে এক বা একাধিক বিকল্পের মধ্য থেকে জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাদের প্রতিনিধিত্ব করার লক্ষ্যে বেছে নেয়। সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচিত প্রতিনিধিরা নির্বাচনের মাধ্যমে প্রাপ্ত ক্ষমতা জনগণের স্বার্থে ও কল্যাণে ব্যবহার করে। তবে বাস্তবতা অনেক ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ ভিন্ন, কারণ ক্ষমতার অন্যতম বেশিষ্ট্য হল এর অপব্যবহার ও কুক্ষিগতকরণ। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় কতগুলো প্রতিষ্ঠান – সাংবিধানিক, বিধিবদ্ধ ও রাষ্ট্র-বহির্ভূত প্রতিষ্ঠান Ñ গড়ে তোলার মাধ্যমে একটি ‘চেকস এন্ড ব্যালেন্সেস’ বা নজরদারিত্বের কাঠামো গড়ে তোলা হয়। এই নজরদারিত্বের কাঠামো কার্যকারিতা প্রদর্শন করলেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাও কার্যকর হয়।  

তিনি আরও বলেন, আমাদের সংবিধান নির্বাচন কমিশনকে কয়েকটি সুস্পষ্ট দায়িত্ব দিয়েছে।দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে অগাধ ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে আমাদের সংবিধানে কমিশনকে আইন ও বিধি-বিধানের সঙ্গে প্রয়োজনে সংযোজন করারও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যে ক্ষমতা মূলত নির্বাচিত সংসদের। উপরন্তু নির্বাচনের সময়ে কোনোরূপ কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তদন্ত সাপেক্ষে নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতাও আমাদের উচ্চ আদালত কমিশনকে দিয়েছে।দুর্ভাগ্যবশত সাম্প্রতিক স্থানীয় সরকার ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সময়ে বহু অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও আমাদের নির্বাচন কমিশন ছিল সম্পূর্ণ নির্বিকার- অনেকগুলো গুরুতর অভিযোগের বিষয়ে তারা তদন্ত করেছে বলেও আমরা শুনিনি। এটি অনস্বীকার্য যে, সরকার ও রাজনৈতিক দল, বিশেষত ক্ষমতাসীন দল না চাইলে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রায় অসম্ভব, এমনকি সবচেয়ে শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পক্ষেও। তবে এ ক্ষেত্রে কমিশনের হতে একটি বড় অস্ত্র রয়েছে, যা হল নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া। যদি কমিশন মনে করে যে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ অনপুস্থিত, তাহলে নির্বাচন কমিশন সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নির্বাচনের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির দাবি করতে পারে। নির্বাচনের দিনেও যদি নির্বাচনকে অযাচিতভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়, তাহলেও কমিশন নির্বাচন বন্ধ করে দিতে পারে। অনেকের ধারণা যে, এক তরফা দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে কাজী রকিবউদ্দিন কমিশন সাহসী ভূমিকা নিলে, আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসই হয়ত ভিন্ন হত।

পরিশেষে  তিনি বলেন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নূরুল হুদা কমিশনের সকল ক্ষমতা থাকলেও সে ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে খুলনা, গাজীপুর, বরিশাল, রাজশাহী, সিলেট, ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষতার সাথে পরিচালনা করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। এটি সুস্পষ্ট যে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অসততা ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ আমাদের অসংখ্য নাগরিকের ভোটাধিকার হরণ করেছে। এর মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের ব্যাপক আস্থাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের মধ্যে ধারণা জন্মেছে যে তারা ভোট দিতে চাইলেও ভোট দিতে পারবে না। আর ভোট দিলেও তারা ‘ফলাফল’ প্রভাবিত করতে পারবে না Ñ যারা জয়ী হবার তারাই জয়ী হবেন। কেন্দ্রভিত্তিক নির্বাচনী ফলাফলের বিশে¬ষণ থেকে আমরা দেখেছি, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত ফলাফল বহুলাংশে বানোয়াট। তাই এটি বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থাই আজ ভেঙ্গে পড়েছে, যা আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকেই অকার্যকর করে ফেলেছে। এছাড়াও আমাদের রাজনীতি আজ বহুলাংশে বিরোধী দল শূণ্য হয়ে পড়েছে, যার দায় অবশ্য আমাদের প্রধান বিরাধী দলও এড়াতে পারে না। ফলে বহু নাগরিকের মধ্যে আজ চরম অসন্তোষ ও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।  

শাহদীন মালিক বলেন, গণতন্ত্রের প্রকৃত ধারণার সাথে আমাদের চারিদিকে যে অবস্থা দেখছি তার কোনো মিল নেই।নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হলো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান। কিন্তু তারা সে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না। এখনকার নির্বাচন যেন সত্তর আশির দশকের নির্বাচনের মতো হয়ে গিয়েছে। গণতন্ত্র, নির্বাচন এসব বিষয় ক্রমাগত কল্পনার বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। 

আলী রিয়াজ বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান প্রধানমন্ত্রীর হাতে সকল নির্বাহী ক্ষমতা ন্যস্ত করেছে। এর মাধ্যমে এক ধরনের সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কে প্রধানমন্ত্রী সেটা কোনো বিষয় না। নির্বাহী বিভাগের এই যে ক্ষমতা তৈরি হয়েছে এটাকে আলোচনা না করে শুধুমাত্র কমিশন নিয়ে আলোচনা করলে আর হবে না।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশনের পিছনের শক্তি হলো আদালত। কিন্তু আমরা আজ পর্যন্ত কোনো আদালতকে কমিশনের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে দেখিনি। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনারগণ একটা আইনের মাধ্যমে নিয়োগ হওয়ার কথা। কিন্তু এখন সেটা হচ্ছে না। তাই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের আইন প্রণয়ন করে যাতে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় সেদিকে আমাদের জোর দিতে হবে। 

আবু সাঈদ খান বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য তিনটি কাজ করা দরকার বলে আমি মনে করি। নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতায়ন, স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ এবং নির্বাচনী আইন পরিবর্তন করে এলাকাভিত্তিক নির্বাচনী ব্যবস্থার পরিবর্তে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন করে একটা মিশ্র নির্বাচনী ব্যবস্থাতে যাওয়া।

আলী ইমাম মজুমদার বলেন, নির্বাচনের প্রধান অংশীদার হলো সরকার। কমিশন গঠনের জন্য যেসব সার্চ কমিটি গঠন করা হয় এগুলোতে সরকার যাকে যায় সেরকম লোকই বেরিয়ে আসে। মন্ত্রী পরিষদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমার অভিজ্ঞতা থেকেও এটা দেখেছি। তাই সরকার না চাইলে সুষ্ঠু নির্বাচন করা খুবই দুরূহ।

সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, নির্বাচন, গণতন্ত্র এসব এখন কবি গান, ঘেঁটু গানের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। যেখানে বহুদলীয় গণতন্ত্র নেই সেখানে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা অর্থহীন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন একটি বিবেকশূণ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তাদের বিবেকশূণ্যতার কারণে নির্বাচন নিয়ে জনগণের আগ্রহ শূণ্যের কোটায় গিয়ে ঠেকেছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, আগে জানতাম সামরিক শাসকরা বিরাজনীতিকরণ করে, একটা বেসামরিক সরকার যে এভাবে বিরাজনীতিকরণ করতে পারে এখন আমরা তাও দেখতে পাচ্ছি। আমি সবাইকে বলব সামনে স্থানীয় সরকারের যে নির্বাচনগুলো আছে সেগুলোকে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করার জন্য।

আব্দুল লতিফ মণ্ডল বলেন, কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করে না, নির্বাচন পরিচালনা করে মাঠ প্রশাসন।মাঠ প্রশাসন নিরপেক্ষ না থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।  দীর্ঘদিন একই সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে নব্বই ভাগ সরকারি কর্মচারী দলীয় হয়ে পড়েছেন। কাজেই মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ।

আসিফ নজরুল বলেন, আমরা সবাই জানি কমিশন, প্রশাসন দলীয় অঙ্গসংঠনের পরিণত হয়েছে এটাই প্রধান সমস্যা। কিন্তু তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আমলে তারা আবার ভালোমত কাজ দায়িত্ব পালন করেছেন। সুতরাং আমাদেরকে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনের কথা জোরে সোরে বলতে হবে।

দিলীপ কুমার সরকার বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল একটি অসা¤প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন। আর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ নির্বাচন এবং তা অবশ্যই হবে হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। সাংবিধানিকভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু আমাদের দেশে নির্বাচন কমিশন কি ধরনের ভ’মিকা পালন করছে তা আমরা সবাই অবগত। এ ধরনের প্রেক্ষাপটে আমাদের আজকের আলোচনা।

এম এ মতিন বলেন, সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাজনীতি করা প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব। তাই এই অনুচ্ছেদকে সামনে এনে জনগণের মধ্যে প্রচার করার মাধ্যমে তাদেকে সচেতন ও সংগঠিত করে তুলতে হবে।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এখন যা হচ্ছে এগুলোকে নির্বাচন বলা যায় না। ক্ষমতায় যখন যারা থাকে তারা আর ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। এই রাজনৈতিক দর্শন পরিবর্তনের জন্য জনগণের দিক থেকে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের একটা রূপরেখা তৈরি করা দরকার বলে আমি মনে করি।  এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, আমরা অনেক কথা বলছি কিন্তু যারা শুনার তারা শুনছেন না, বা শুনলেও গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাই একটা ব্যাপক গণ আন্দোলন সৃষ্টি করা দরকার। তাহলে হয়ত কিছু হতে পারে। এইজন্য আমাদেরকেই নেতৃত্ব দিতে হবে।

Related Post

“সুশাসন ও উন্নয়ন: প্রেক্ষিত উপজেলা নির্বাচন” শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত“সুশাসন ও উন্নয়ন: প্রেক্ষিত উপজেলা নির্বাচন” শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত

গত ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ ‘স্বশাসিত ইউনিয়ন পরিষদ এডভোকেসি গ্রুপ-বাংলাদেশ’ ও ‘সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক’-এর যৌথ উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাব-এর ভিআইপি লাউঞ্জে একটি গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সুজন-এর সদস্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কাজী এবাদুল

‘সংবিধান সংশোধনে নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত‘সংবিধান সংশোধনে নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত

গত ৪ আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘সংবিধান সংশোধনে নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ‘সুজনে’র আয়োজনে ‘সুজন’ সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ

‘ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক‘ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক

‘বিগত বছরগুলোতে ব্যাংকিং খাতে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে জনমনে তৈরি হয়েছে আস্থাহীনতা ও উৎকণ্ঠা। দেশের অর্থনীতির কল্যাণে এ সকল অনিয়ম-দুর্নীতি রোধ করে ব্যাংকিং খাতে সুশাসন