সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক গোলটেবিল বৈঠক সুজন-এর উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের শিক্ষার বর্তমান হালচাল’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন

সুজন-এর উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের শিক্ষার বর্তমান হালচাল’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন

SHUJAN শিক্ষা খাতে বিরাজমান অরাজকতা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন, কৃত্রিমভাবে পাশের হার বাড়ানো এবং প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ সংক্রান্ত আইন অনুসরণ করা এবং জাতীয় বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক। গত ১৪ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০.৩০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক-এর উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের শিক্ষার বর্তমান হালচাল’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে সুজন নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।
সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে ও ড. বদিউল আলম মজুমদার-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব জনাব এন আই খান, সুজন-এর নির্বাহী সদস্য বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, বুয়েটের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল মতিন পাটোয়ারী, সুজন নির্বাহী সদস্য প্রকৌশলী মুসবাহ আলীম, অধ্যাপক শরীফা খাতুন, অধ্যাপক এ এন রাশেদা, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, রাজনীতিবিদ জনাব এ এস এম আকরাম, সাবেক সংসদ সদস্য হুমায়ূন কবীর হিরু, সুজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার, সুজন জাতীয় কমিটির সদস্য চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ও মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক স ম সিদ্দিকী, উন্নয়নকর্মী রেহেনা বেগম, ছাত্রনেতা মানবেন্দ্র দেব ও লাকী আক্তার, মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ওমর ফারুক প্রমুখ।
বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিরাজমান শিক্ষাব্যবস্থার উৎপত্তি মূলত বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, বৃটিশদের ভারতবর্ষ ত্যাগের ৬৬ বছর পরেও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় মৌলিক কোনো সংস্কার হয়নি। সর্বশেষ ‘জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০’ প্রণীত হলেও এ নীতি কি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে?’
তিনি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা স্বস্তিদায়ক হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল আমাদের জন্য হতাশাজনক। ফলাফলের এই উর্ধ্বমুখী ও নিম্নমুখী প্রবণতায় প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষার মান নিয়ে। জনমনে এমন একটি ধারণা গড়ে উঠেছে যে, সরকার শিক্ষাখাতে তার সফল্য দেখাতে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ফলাফল ভালো দেখাতে চায় বলে অভিযোগ রয়েছে।’
দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘সামপ্রতিক সময়ে পরীক্ষার প্রশ্নপ্রত্র ফাঁসের ঘটনা নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ধারা চলতে থাকলে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনায় উৎসাহ হারাবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠার কারণ হলো- সরকারের পক্ষ থেকে প্রশ্নপ্রত্র ফাঁসের দায় স্বীকার না করা এবং দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেওয়া।’
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা, মানসম্পন্ন শিক্ষা ও গবেষণা নিশ্চিত করতে হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুসরণ করার পাশাপাশি এ খাতে বিরাজমান দুর্নীতি-অনিয়ম রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।’ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে সামগ্রিকভাবে জাতীয় বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ কমেছে ২.৮৯ শতাংশ। সচেতন নাগরিকরা মনে করেন, শিক্ষাকে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান এখন সময়ের দাবি। শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি শিক্ষার এই সুযোগকে অধিকারে পরিণত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া বিভিন পদক্ষেপের কারণে প্রাথমিক স্তরে ভর্তির হার দাঁড়ায় প্রায় শতভাগ। ভর্তির এই উচ্চ হার আশাব্যঞ্জক হতে পারতো যদি ঝরে পড়ার হার কম হতো। আমরা মনে করি, শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ করা না গেলে জাতিগতভাবে আমরা পিছিয়ে পড়বো।’ এ সময় তিনি শিক্ষার মান ধরে রাখার জন্য শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষকদের দলীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণের কারণে অনেক সম্মানিত শিক্ষকই নিয়মিত ক্লাস নেননা বলে অভিযোগ রয়েছে। এর প্রভাব পড়ছে শিক্ষার মানের ওপর। এছাড়া লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির কারণে মাঝে মাঝে ছাত্র সংগঠন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে অনেকের অকাল মৃত্যু ঘটে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রেই তৈরি হয় সেশান জট।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি যে, শিক্ষা অতিমাত্রায় পণ্যে পরিণত হয়েছে। সামপ্রতিককালে কোনো কোনো আন-র্জাতিক দাতা সংস’া বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে আর্থিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য কিছু পরামর্শ দিচ্ছেন; যা বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।’
শিক্ষাখাতে সরকারের নেওয়া কিছু ইতিবাচক দিন তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দেরিতে হলেও শিক্ষানীতি প্রণয়ন, বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া, পরীক্ষার ফলাফল দ্রুততার সঙ্গে ঘোষণা, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দ্রুত শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা ইত্যাদি নিঃসন্দেহে সরকারের সাফল্য হিসেবে পরিগণিত হবে।’
এ সময় দিলীপ কুমার সরকার বাংলাদেশের শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নে সুজন-এর পক্ষ থেকে কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন। সুপারিশগুলো হলো: ১. জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ যথাযথভাবে বাস-বায়নের লক্ষ্যে অর্থ বরাদ্দসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা; নতুনভাবে বিন্যাসিত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা পদ্ধতি অবিলম্বে চালু করা এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অভিন্ন শিক্ষা পাঠক্রম শুরু করা; বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থার ধারণার ভিত্তিতে এক ও অভিন্ন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি শুধুমাত্র প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ না রেখে ক্রমান্বয়ে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিস্তৃত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা; শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ অবিলম্বে গ্রহণ করা; প্রাইভেট-টিউশনিসহ কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করা; গাইড বই নিষিদ্ধকরণের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা; প্রশ্নপত্র ফাঁসের ক্ষেত্রে কঠোর শাসি-র বিধান করে নতুন করে আইন করা এবং যথাযথভাবে তা প্রয়োগ করা; স্থানীয় পর্যায়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে অভিভাবকদের মনিটরিং প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করা; জাতীয় বাজেটের কমপক্ষে ২০% শিক্ষা খাতে বরাদ্দ করা; গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা; নিয়োগ প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণপূর্বক প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন- প্রকৃত মেধাবীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া; লেজুড়বৃত্তির ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এবং ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ’-এ বর্ণিত এসংক্রান্ত বিধি-বিধান কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা; চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ভর্তি বাণিজ্য ও সিট বাণিজ্য ইত্যাদি চিরতরে বন্ধ করা; শিক্ষাকে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হিসেবে ঘোষণা করা এবং তা সংবিধানে সন্নিবেশিত করা; অভিযোগের দায় এড়ানোর সংস্কৃতি থেকে শিক্ষা মন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে (যেমন- প্রশ্নপত্র ফাঁস, অতিমূল্যায়িত ফলাফল ইত্যাদি) বেরিয়ে আসা; রাজধানীতে বেদখল হয়ে যাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের জমি অবিলম্বে পুনরুদ্ধার করা; ধর্মীয় শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সকল ধর্মের (বিশেষ করে ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান) মৌলিক বিষয়সমূহসহ পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহাবস্থানের গুরুত্ব সম্পর্কে অবগতকরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে; উচ্চশিক্ষাকে আরও বিস্তৃত করার লক্ষ্যে ‘উচ্চশিক্ষা কমিশন’ গঠন করা।
এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, ‘১৯৫৬ সালে প্রথম শিক্ষার সংস্কার শুরু হয়। দেশ স্বাধীন হবার পরও নানা কমিশন গঠন করা হয়েছে। কিন’ দুঃখজনক হলো শিক্ষার মানে তেমন কোন বিপ্লব সাধিত হয়নি। প্রাথমিক শিক্ষায় ঝড়ে পড়ার হার, বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, শিক্ষা খাতে অপ্রতুল বরাদ্দ, শিক্ষাঙ্গনে কলুষিত শিক্ষক ও ছাত্র রাজনীতি সবমিলিয়ে শিক্ষা ব্যবস’া আজ বিপর্যয়ের সম্মুখীন। আমাদেরকে এ সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
সচিব এন আই খান বলেন, ‘পাবলিক পরীক্ষায় পরীক্ষকগণ ওভার মার্কিং করছেন কিনা তা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ তবে ওভার মার্কিং এর জন্য বোর্ড-এর পক্ষ থেকে শিক্ষকদের কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের পাবলিক পরীক্ষাগুলো সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়েই হওয়া উচিৎ এবং সেখান থেকেই সনদ প্রদান করা উচিৎ। তবে এ বিষয়ে পরিবর্তন আনতে আরও সময় লাগবে।’
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘কোনো জাতিকে ধ্বংস করার জন্য তার শিক্ষা ব্যবস’াকে ধ্বংস করাই যথেষ্ট। বাংলাদেশে বর্তমানে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, যা আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। যেমন, শর্ত মানতে বাধ্য না করে গণহারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেয়া হচ্ছে। এরফলে শিক্ষাকে আলু পটলের ব্যবসায় পরিণত করা হয়েছে।’ শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতির জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন বলেও মন-ব্য করেন তিনি।
বিচারপতি কাজী এবাদুল হক বলেন, ‘বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস’ায় যে অরাজকতা চলছে তা দেশের সামগ্রিক অরাজকতার বহিঃপ্রকাশ। শিক্ষকরা যদি ত্যাগী ও একনিষ্ঠ না হয় তাহলে শিক্ষা ব্যবস’ায় অরাজকতা চলতেই থাকবে।’ গণহারে সনদ বিতরণ না করে শিক্ষার মান উন্নয়নে আমাদের উদ্যোগী হতে হবে বলেও তিনি মন-ব্য করেন।
অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে হাজার হাজার শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাশ করছে। কিন’ শিক্ষার গুণগত মানে কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। সুতরাং হাজার হাজার মাকাল ফল প্রসব করে কী লাভ? বর্তমানে এমন একটি অবস’া দাঁড়িয়েছে যে, পরীক্ষায় খাতায় কিছু লিখলেই পাশ নাম্বার পাওয়া যায়।’ এছাড়া প্রশ্নপ্রত্র ফাঁসের কারণেও শিক্ষার মান কমছে বলে তিনি মন-ব্য করেন।
অধ্যাপক আব্দুল মতিন পাটোয়ারী বলেন, ‘আমাদের গ্রেডিং পদ্ধতিতে মার্ক দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়ে গিয়েছে। আমরা প্রাশ্চাত্যের গ্রেডিং ব্যবস’া পুরোপুরি নেইনি বলেই এ সমস্যা।’ তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক স-রে শিক্ষার মান নীচে নেমে গিয়েছে। আর প্রাথমিকে শিক্ষার মান নিশ্চিত করা না গেলে উচ্চশিক্ষায়ও শিক্ষার মান নিশ্চিত করা যাবে না।’ এ সময় তিনি কোচিং কোচিং বাণিজ্য বন্ধ  করে বিদ্যালয়গুলোতে ভাল শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান।
অধ্যাপক শরিফা খাতুন বলেন, ‘শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য দুটি। একটি বাস-ব জীবনের চাহিদা পূরণ ও অন্যটি হলো মানসিক বিকাশ। আর শিক্ষার মাধ্যমে মানবিক গুণাবলী বিকাশের জন্য প্রয়োজন মানসম্মত শিক্ষা। কিন’ আমরা কেন মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারছি না এবং শিক্ষার্থীরা কেন বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ছে তা ভাবা দরকার।’
অধ্যাপক এ এন রাশেদা বলেন, ‘প্রত্যেকে শিক্ষার্থীরা যাতে নিজ এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে পারে সে ব্যবস’া গ্রহণ করা দরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘নিজ এলাকায় ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলের জন্য একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িতদের কঠোর শাসি- নিশ্চিত করতে হবে।’ এ সময় তিনি জাতীয় বাজেটের ৩০শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দের দাবি জানান।’

Related Post

‘সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ও সংসদের মেয়াদ’ শীর্ষক সুজনে’র গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত‘সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ও সংসদের মেয়াদ’ শীর্ষক সুজনে’র গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত

গত ৭ জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক’-এর উদ্যোগে ‘সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ও সংসদের মেয়াদ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ‘সুজন’

“সংসদ ও সংসদ সদস্যদের বিশেষ অধিকার, ক্ষমতা ও দায়মুক্তি: স্বরূপ ও ব্যাপকতা” শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত“সংসদ ও সংসদ সদস্যদের বিশেষ অধিকার, ক্ষমতা ও দায়মুক্তি: স্বরূপ ও ব্যাপকতা” শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত

আমাদের সংবিধানের ৭৮ অনুচ্ছেদে সংসদ ও সংসদ সদস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তির বিধান রয়েছে। সাংবিধানিক বিধানানুযায়ী সংসদ আইনের দ্বারা এগুলো সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করার কথা। কিন্তু এ বিষয়ে অদ্যাবধি কোনো আইন

“স্থানীয় সরকারের বর্তমান হালচাল” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত“স্থানীয় সরকারের বর্তমান হালচাল” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত

গত ০৬ মে, ২০০৯ সকাল ১০টায় ‘সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিকে’র উদ্যোগে এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে “স্থানীয় সরকারের বর্তমান হালচাল” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক