সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক মূল প্রবন্ধ (Keynote papers),সংবাদপত্রে সুজন নির্বাচনী ইশতেহারের জন্য বিবেচ্য বিষয়সমূহ

নির্বাচনী ইশতেহারের জন্য বিবেচ্য বিষয়সমূহ


ড. বদিউল আলম মজুমদার
প্রত্যেক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক দলগুলো প্রথাগতভাবে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করে। নির্বাচন পরবর্তীকালে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলো কী করবে তারই রূপরেখা হলো নির্বাচনী ইশতেহার। ইশতেহারগুলোতে অনেক ভাল কথা থাকে, থাকে অনেক প্রতিশ্রুতি। নিঃসন্দেহে ভোটারদের একটি অংশ এ সকল প্রতিশ্রুতির দ্বারা প্রভাবিত হন। তাই নির্বাচনী ইশতেহার রাজনৈতিক দল আর ভোটারদের মাঝে একটি অলিখিত চুক্তি। তবুও ক্ষমতায় গিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নির্বাচনী অঙ্গীকারগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করে না। ফলে জনগণ হয় প্রতারিত।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবে। নির্বাচনী ইশতেহারে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি তার একটি আংশিক ও প্রাথমিক ধারণা নিম্নে প্রদান করা হলো। এই প্রাথমিক ধারণাপত্রের মূল উদ্দেশ্য হলো আগ্রহী নাগরিকদের মাঝে বিতর্কের সূচনা করা, যার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় অগ্রাধিকার সম্পর্কে ঐকমত্যে উপনীত হওয়া সম্ভব হবে।
প্রথাগতভাবে নির্বাচনী ইশতেহারে দল ক্ষমতায় গেলে কী-করবে না-করবে তা লিপিবদ্ধ থাকে। আমরা মনে করি, আমাদের এ প্রথাগত ছকের বাইরে আসা জরুরি। নির্বাচনে পরাজিত হলে এবং ক্ষমতায় না গেলেও রাজনৈতিক দলগুলো কী করবে তা তাদের ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত হওয়া আবশ্যক। বিরোধী দল বা জোটের অংশ হিসেবে তারা দায়িত্বশীল আচরণ করবে, নির্বাচনী ফলাফল মেনে নেবে, রাজপথের পরিবর্তে জাতীয় সংসদকে সকল সমস্যা সমাধানের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করবে, ছায়া মন্ত্রিসভা গঠন করবে, সর্বোপরি দেশকে সামনে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে ক্ষমতাসীন সরকারকে সহায়তা করবে ইত্যাদি অঙ্গীকার সকল রাজনৈতিক দলের ইশতেহারে সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত হওয়া প্রয়োজন। কারণ সংসদীয় ব্যবস্থায় বিরোধী দল ক্ষমতার শুধুমাত্র ‘এ হার্ট বিট এওয়ে’ বা একটি হৃদস্পন্দন দূরে অবস্থান করে। আমরা মনে করি যে, নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুত কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়নের অগ্রাধিকার চিহ্নিত করে টাইমফ্রেম বা সময়সীমা নির্ধারিত থাকা প্রয়োজন। যেমন, প্রথম ১০০ দিনে, প্রথম বছরে, দ্বিতীয় বছরে, তৃতীয় বছরে, চতুর্থ বছরে এবং শেষ বছরে কী করবে তার একটি মোটা দাগের কর্মপরিকল্পনা ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। আরো বাঞ্ছনীয় ক্ষমতাসীন দলের/জোটের পক্ষ থেকে তাদের বাস্তবায়িত কর্মসূচির বাৎসরিক রিপোর্ট প্রকাশ করা, যাতে ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত প্রতিশ্রুতিগুলো ফাঁকা বুলিতে পরিণত না হয়। নতুন সরকারের একটি অন্যতম ক্ষ্য হওয়া উচিত সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে, বিশেষত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে একটি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করানো। এছাড়াও দেশের জন্য দলের একটি দীর্ঘমেয়াদি (যেমন, ২০২১ সালের জন্য) প্রত্যাশা বা ভিশন ইশতেহারে লিপিবদ্ধ থাকা আবশ্যক।
আমরা আরো মনে করি যে, নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নের প্রথাগত পদ্ধতির পরিবর্তন আবশ্যক। নির্বাচনী ইশতেহার সাধারণত কোনো বিজ্ঞ ব্যক্তি লিখেন, যা সম্পর্কে সংশ্লিস্ট অনেকেরই সুস্পষ্ট ধারণা থাকে না। ক্ষমতাসীন দল ক্ষমতায় থাকাকালে এটি পর্যালোচনা করে না। আমরা আশা করি যে, ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলো দলীয় সদস্যসহ সর্বস্তরের জনগণের সাথে ব্যাপক আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন করবে এবং তা বাস্তবায়নের অগ্রগতি ভোটারদেরকে অবহিত করবে।
সরকার পরিচালনার মূলনীতি
আমাদের সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ‘‘প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হইবে।’’ এগুলোর সাথে সাথে জাতীয় জীবনের সকল স্তরে সমতা, ন্যায়পরায়ণতা, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সকলের জন্য সম-সুযোগের নিশ্চয়তা প্রদানও সরকার পরিচালনার মূলনীতি হওয়া প্রয়োজন। আরও প্রয়োজন দারিদ্র্য ও বৈষম্য দূরীকরণ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সন্ত্রাস-দুর্নীতি-উগ্রবাদের মূলোৎপাটন, কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন, পরিবেশ সংরক্ষণ ইত্যাদি।
সরকার পরিচালনার মূলনীতির আরেকটি লক্ষ্য হওয়া উচিত আমাদের বিদ্যমান সামন্ততান্ত্রিক প্রথার অবসান। বৃটিশরা বিতাড়িত হলেও এবং পাকিস্তানি প্রভুদের শাসনের ইতি ঘটলেও তাদের সৃষ্ট প্রভুত্বের কাঠামো এখনো আমাদের সমাজে বিরাজমান। বরং সামন্তবাদী কাঠামোর একটি নতুন সংস্করণ – পেট্রোন-ক্লায়েন্ট সম্পর্ক – এখন আমাদের ওপর জোরেসোরে জেঁকে বসেছে। সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনগণকে সত্যিকারার্থে রাষ্ট্রক্ষমতার মালিকে পরিণত করে এ কাঠামোর অবসান ঘটানো আজ জরুরি। কারণ অনেকের ধারণা বিদ্যমান এ কাঠামো আমাদের সাধারণ জনগণকে ‘ভেড়ার পালে’ পরিণত করেছে এবং আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে অকার্যকর করে ফেলেছে।
১. কার্যকর গণতন্ত্র : (ক) নির্বাচন পদ্ধতিকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অর্থবহ করার লক্ষ্যে নির্বাচনী ব্যয় হ্রাস; দ্রুত নির্বাচনী বিরোধ নিষপত্তি; প্রার্থী ও প্রার্থীদের ওপর নির্ভরশীলদের আয়-ব্যয়, সম্পদ, দায়-দেনা ও অপরাধী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ভোটারদের পরিপূর্ণ তথ্যপ্রদান; সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ ও কালো টাকার মালিক, উড়ে এসে জুড়ে বসতে আগ্রহী ব্যবসায়ীসহ সদ্য অবসর গ্রহণকারী সামরিক ও বেসামরিক আমলা, নৈতিক স্খলন ও জনগণের সম্পদ অপচয়ের জন্য চিহ্নিত কর্মকর্তাদের নির্বাচনে প্রার্থিতা থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে অন্তর্ভুক্ত বিধানগুলোর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন।
(খ) নির্বাচিত দলীয় সরকার যাতে ভবিষ্যতে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকা পালন করতে পারে সে লক্ষ্যে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে আরেক টার্মের পর বিলুপ্ত করার উদ্দেশ্যে ঐকমত্য সৃষ্টির জন্য সংসদ ও সংসদের বাইরে ফলপ্রসূভাবে আলোচনা অনুষ্ঠান। (গ) নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, কমিশনকে আর্থিক স্বাধীনতা ও অধিক ক্ষমতা প্রদান, এর কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের বর্তমান প্রচেষ্টাকে অব্যাহত রাখা এবং প্রধান বিরোধী দলসমূহের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে সৎ, যোগ্য ও দল নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের ভবিষ্যতে কমিশনে নিয়োগ প্রদান। (ঘ) রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, আর্থিক স্বচ্ছতা, মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় সংস্কার, দলের অঙ্গ সংগঠন বিশেষত ছাত্র ও শ্রমিক সংগঠন বিলুপ্তির আইনি বিধান এবং রাজনৈতিক দলের বাধ্যতামূলক নিবন্ধনের শর্তগুলোর কঠোরভাবে বাস্তবায়ন। (ঙ) ভবিষ্যতে সহিংস রাজনীতির অবসান এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সংখ্যালঘুসহ সমাজের দুর্বল শ্রেণীদের ওপর নিপীড়ন রোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ। (চ) সংসদ সদস্য ও স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত ‘ইলেক্টরাল কলেজ’ গঠন করে যোগ্য ও সম্মানিত ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কয়েকটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ। (ছ) নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রত্যাহার করার বিধান প্রবর্তন। (জ) অভিজ্ঞতা ও পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে সংবিধান মূল্যায়নের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন। (ঝ) মানবাধিকার কমিশনকে কার্যকর করার লক্ষ্যে আইনের যথাযথ সংশোধন, মানবাধিকার পরিপন্থী সকল কালো আইন বিলুপ্তিকরণ এবং বিচার বহির্ভুত সকল হত্যার অবসান। (ঞ) বিরাজমান প্রধানমন্ত্রীকেন্দ্রিক শাসনের পরিবর্তে কার্যপ্রণালীবিধি পরিবর্তন করে সরকার পরিচালনায় মন্ত্রী পরিষদের সম্মিলিত দায়িত্বের ব্যবস্থা প্রবর্তন।
২. কার্যকর সংসদ : (ক) বিরোধীদল থেকে স্পীকার, অন্তত ডেপুটি স্পীকার মনোনয়ন ও দল থেকে স্পীকারের পদত্যাগ করার বিধান এবং জাতীয় সংসদকে সকল নীতি নির্ধারণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণতকরণ। (খ) ‘চেকস এন্ড ব্যালেন্সেস’ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংসদের প্রথম অধিবেশনে সংসদীয় কমিটিগুলো গঠন, বিরোধী দলের সদস্যদের সংসদীয় কমিটির প্রধান করার বিধান, স্বাধীনভাবে কাজ করার লক্ষ্যে কমিটিগুলোকে (কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের তলব করাসহ) অধিক ক্ষমতা প্রদান এবং কমিটির কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ। (গ) সংসদ সদস্যদের সততা ও নৈতিকতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘সংসদীয় এথিকস্‌ কমিটি’ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে ‘নাগরিক ওয়াচ ডগ কমিটি’ গঠন। (ঘ) সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের আলোকে সংসদ সদস্যদের আইন প্রণয়ন ও প্রশাসনের জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় নিবিষ্টকরণ।’’ (ঙ) সংসদ সদস্যদের এবং মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদের বাৎসরিক আয়-ব্যয়, সম্পদ, ঋণ কার্যক্রমের হিসাব ও আয়কর রিটার্ন প্রকাশ এবং নৈতিকতা ও সমতার বিবেচনার আলোকে তাদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধার পুনর্মূল্যায়ন।
(চ) সংসদ বর্জনের সংস্কৃতির অবসান এবং সংসদ সদস্যদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রধান বিরোধীদলসমূহের সাথে ‘সিলেক্ট কমিটিম্বতে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন। (ছ) সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ ও বিবেক দ্বারা পরিচালিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সংশোধন, যাতে একজন সদস্য তার সদস্য পদ তখনই হারাবেন যখন তার প্রদত্ত ভোটের কারণে সরকার পতনের আশংকা থাকে।
৩. কার্যকর প্রশাসন
(ক) ঔপনিবেশিক আমলের প্রভুত্বের কাঠামো দূরীকরণ এবং সৎ, দক্ষ, গণমুখি ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত প্রশাসন গড়ে তোলার লক্ষ্যে ক্যাডার সার্ভিসের পুনর্গঠন এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিদের জনপ্রতিনিধিদের কাছে দায়বদ্ধকরণ এবং তাদের মর্যাদাপূর্ণ জীবন-যাপনের জন্য যথাযথ বেতন-ভাতা নিশ্চিতকরণ। (খ) প্রশাসনকে দলীয়করণের নীতির কার্যকরভাবে অবসান এবং মেধা, যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে রিওয়ার্ড প্রদান এবং অন্যায়ভাবে শাস্তি প্রদানের রীতির অবসান। বিকল্প ক্ষমতার কেন্দ্র যাতে কোনভাবেই সৃষ্টি না হয়। (গ) গণমাধ্যমকে সরকারের ‘চতুর্থ ব্রাঞ্চ’ হিসেবে বিবেচনা করে এগুলোর স্বায়ত্তশাসন; স্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিধান এবং তথ্য প্রাপ্তির অধিকার আইনের যথাযথ ও পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন। (ঘ) একজন সম্মানিত ও সাহসী ব্যক্তির অধীনে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে ন্যায়পাল নিয়োগ প্রদান।
(আগামী সংখ্যায় সমাপ্ত) [
লেখক : সম্পাদক, সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক]
তথ্য সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ১৮ নভেম্বর ২০০৮

Related Post

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচন ২০২০ পরবর্তী মূল্যায়ন ও বিজয়ীদের তথ্য বিশ্লেষণঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচন ২০২০ পরবর্তী মূল্যায়ন ও বিজয়ীদের তথ্য বিশ্লেষণ

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখ সকাল ১১.০০টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক- এর উদ্যোগে ‘ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয়ীদের তথ্য উপস্থাপন ও নির্বাচন মূল্যায়ন’

বিশেষ অধিকার, ক্ষমতা ও দায়মুক্তি: কী এবং কেন?বিশেষ অধিকার, ক্ষমতা ও দায়মুক্তি: কী এবং কেন?

ড. বদিউল আলম মজুমদার: সংসদ ও সংসদ সদস্যদের বিশেষ অধিকার এবং দায়মুক্তির ধারণার উৎপত্তি যুক্তরাজ্যে। শোনা যায়, এককালে ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সের গ্যালারিতে গোয়েন্দারা বসে থাকত এবং কারা রাজার বিরুদ্ধে