স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার যে শুভ সূচনা হয়েছিল, তা নির্বিঘ্নে এগুতে পারেনি। গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে আমাদের সামনে আরেকটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর। গণতান্ত্রিক রীতি-নীতির চর্চা করা, নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও শক্তিশালী করা, সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করা, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্বশাসিত ও কার্যকর করা, সমাজে সমতা ও ন্যায়পরায়ণতা নিশ্চিত করা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের সকল স্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ছিল আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এই চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় আমরা পুরোপুরি সফলতা অর্জন করতে পারিনি।
একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ও আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে আপনার মতো সচেতন নাগরিকদের সক্রিয়, সোচ্চার ও ইতিবাচক ভূমিকা পালন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ‘ফ্রিডমও ফ্রি’ নয়। এজন্য প্রয়োজন নাগরিকের চিরন্তন সতর্ক দৃষ্টি, কার্যকর ভূমিকা ও আবেদন। ‘সুজন’-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার মাধ্যমে আপনি সেই ভূমিকা ও অবদান রাখতে পারেন।
চারভাবে সুজন-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। আপনি চাইলে সুজন-এর স্থানীয় কমিটির মাধ্যমে ২০০ টাকা সদস্য ফি পরিশোধ ও সদস্যপদের আবেদনপত্র পূরণ করে সাধারণ সদস্য হতে পারেন, অথবা ৫,০০০ টাকা (পাঁচ হাজার টাকা) নগদ টাকা পরিশোধ করার মাধ্যমে আজীবন সদস্য হতে পারেন।
এছাড়া তরুণ ও শিক্ষার্থীদের ‘সুজন-বন্ধু’র সঙ্গে যুক্ত হওয়া এবং সুজন-এর কেন্দ্রীয় সচিবালয়ে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ রয়েছে।
আমাদের বিশ্বাস, সকলের সম্মিলিত প্রয়াসের মধ্য দিয়ে নিশ্চয়ই আমরা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে সুখী, সমৃদ্ধ ও আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।
যোগাযোগ:
দিলীপ কুমার সরকার
কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী, সুজন—সুশাসনের জন্য নাগরিক
মোবাইল: 01712-591248; ই-মেইল: dilip.sarker@thp.org; shujan.info@gmail.com
ঠিকানা:
হেরাল্ডিক হাইটস
২/২, (লেভেল-৪), ব্লক-এ
মিরপুর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।