সুজন কী?

সুজন—সুজন দেশের সচেতন নাগরিকদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি নাগরিক সংগঠন। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া-সহ রাষ্ট্রের সকল স্তরে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলাই সুজন-এর মূল লক্ষ্য।

উক্ত লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য উদ্দেশ্যসমূহ হলো: ক. আইনের শাসন, মানবাধিকার সংরক্ষণ, সমতা, ন্যায়পরায়ণতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা তথা সমাজের সকল স্তরে গণতন্ত্রের চর্চা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নাগরিকদের সচেতন, সক্রিয়, সোচ্চার ও সংগঠিত করা; খ. সংশ্লিষ্ট সকল ক্ষেত্রে কাক্সিক্ষত সংস্কারের লক্ষ্যে জনমত গঠন ও ‘চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠী’ হিসেবে কাজ করা এবং এ সমস্ত ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের নিরীক্ষক ও ‘অতন্দ্র প্রহরী’র ভূমিকা পালন করা।

‘সুজন’ পরিচালনার মূলনীতি হলো দলনিরপেক্ষতা, একতা, সততা, স্বচ্ছতা, সমতা ও অসাম্প্রদায়িকতা।

১২ নভেম্বর ২০০২ তারিখে আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ‘সিটিজেন্স ফর ফেয়ার ইলেকশন্স (সিএফই)’ নামে সংগঠনটি প্রথম আত্মপ্রকাশ করে। প্রারম্ভিক পর্যায়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রার্থীরা যাতে নির্বাচিত হতে পারেন, সে লক্ষ্যে কাজ করলেও, পরবর্তীতে দেশের গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয় এবং লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ২০০৩ সালের ২১ ডিসেম্বর সংগঠনটির নামকরণ করা হয় ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক’, সংক্ষেপে ‘সুজন’।

উল্লেখ্য, ‘সুজন’ দাতাদের অর্থে পরিচালিত কোনো এনজিও নয়। এটি একটি নির্দলীয় স্বেচ্ছাব্রতী নাগরিক উদ্যোগ। একদল সচেতন নাগরিকের সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার চেতনা থেকেই এর সৃষ্টি। এই উদ্যোগের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গের নেতৃত্বে ও অর্থায়নেই এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়।