সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক নির্বাচনকেন্দ্রিক কার্যক্রম

নির্বাচনকেন্দ্রিক কার্যক্রম

সুজন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রার্থী নির্বাচনের লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রথম থেকেই সুজন-এর প্রচেষ্টা ছিল নতুন ধরনের কিছু কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচনী সংস্কৃতিতে ইতিবাচক গুণগত পরিবর্তন আনা। এলক্ষ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করার পাশাপাশি নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা; নাগরিক সংলাপ; মনোনয়নপত্রের সাথে প্রার্থী প্রদত্ত তথ্য একত্রিকরণ ও তুলনামূলক চিত্র তৈরি করে ভোটারদের মাঝে বিতরণ; প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণকে এক মঞ্চে এনে ‘জনগণের মুখোমুখি’ করা; অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু  নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন, সৎ-যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচিত করার আহ্বানে পোস্টারিং ও লিফলেটিং; সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রার্থী নির্বাচনের আহ্বানে মানববন্ধন ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে সকল ধরনের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সুজন সাধ্যানুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করে। বর্তমানে সুজন সচিবালয় থেকে বিভিন্ন নির্বাচন মূল্যায়ন, প্রতিবেদন তৈরি ও বই প্রকাশ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, জনস্বার্থে দায়েরকৃত একটি মামলার রায়ে ২০০৫ সালের ২৪ মে প্রার্থীদের আটটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যহলফনামা আকারে মনোনয়নপত্রের সাথে দাখিল করার বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করা হলে পরবর্তী অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনেই (ইউনিয়ন পরিষদ ব্যতীত) প্রার্থীদের তথ্য ভোটারদের কাছে তুলে ধরার কাজটি সুজন-এর পক্ষ থেকে গুরুত্ব সহকারে করা হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে।