সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক ড. বদিউল আলম মজুমদার,লেখালেখি স্থানীয় সরকারের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ করণীয়

স্থানীয় সরকারের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ করণীয়


ড. বদিউল আলম মজুমদার
স্থানীয় সরকার হলো স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে স্থানীয় বিষয়সমূহের ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে গঠিত প্রতিষ্ঠান। উন্নয়ন, সুশাসন ও গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার গুরুত্ব্ব অপরিসীম। বাংলাদেশের সংবিধানে শক্তিশালী ও স্বশাসিত স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গিকার রয়েছে। এ ব্যাপারে ব্যাপক জনমতও দেশে বিরাজ করছে। তা সত্ত্বেও আমাদের নির্বাচিত সরকারগুলো এ বিষয়টিকে পাশ কাটিয়ে গিয়েছে এবং স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে দিন দিন দুর্বল থেকে দুর্বলতর করেছে।
বর্তমান বাস্তবতা: জনবল ও সম্পদের সীমাবদ্ধতা
সচিব ছাড়া কোন সার্বক্ষণিক জনবল নেই; সচিবের বেতনভাতাও প্রশাসন থেকে দেয়া হয়।
ইউনিয়ন পর্যায়ের সরকারি কর্মচারি/কর্মকর্তারা ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে নয়।

বর্তমান অর্থ বছরে তিনটি নির্বাচিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের (সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ) বরাদ্দ এডিপি’র ১.৭ শতাংশ মাত্র, যদিও স্থানীয় সরকার পিআরএসপি’র একটি অন্যতম অগ্রাধিকার।

চলতি অর্থ বছরে ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা বা থোক বরাদ্দ গত অর্থবছরের তুলনায় ৫০ শতাংশ – গত অর্থ বছরের ৩০০ কোটি টাকা থেকে বর্তমান অর্থ বছরের বরাদ্দ ১২৫ কোটি টাকায় – কমে গিয়েছে। উপজেলার থোক বরাদ্দ কমেছে ৪০ শতাংশ, পৌরসভার থোক বরাদ্দ কমেছে ৫৪ শতাংশ ও সিটি কর্পোরেশন বরাদ্দ কমেছে ৩৬ শতাংশ।
ইউনিয়ন প্রতি ৫-৬ লক্ষ টাকার মত সরাসরি বরাদ্দ হলেও নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ অনেকক্ষেত্রেই স্বাধীনভাবে ব্যয় করতে পারেন না।
ইউনিয়ন প্রতি গড়ে প্রায় ১ কোটি টাকার মত সরকার ব্যয় করলেও, ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ব্যয় হয় মাত্র ৫-১০ লক্ষ টাকা।
হাট-বাজার ও জলমহল ইজারা থেকে আয়ের উৎসের বিলুপ্তি।
জেলা পরিষদের বরাদ্দ (বর্তমান অর্থ বছরে ১০০ কোটি) সরকারি কর্মকর্তারা ব্যয় করেন। শহর গ্রামে বৈষম্য – ইউনিয়ন প্রতি গড় থোক বরাদ্দ প্রায় ৩.৩৩ লক্ষ টাকা হলেও প্রতি পৌরসভা প্রতি গড় বরাদ্দ প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকা।
বর্তমান বাস্তবতা: আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ওপর কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধান, নিয়ন্ত্রণ ও নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জারি করা অধ্যাদেশে রহিত করা হলেও, বাস্তবে তা কার্যকর এখনও হয় নি।
বর্তমান বাস্তবতা: নারীরা ক্ষমতা কাঠামোর বাইরে
ইউনিয়ন পরিষদে নারীদের সরাসরি নির্বাচন একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হলেও বর্তমান সংরক্ষণ পদ্ধতি তাদেরকে ক্ষমতার কাঠামোর বাইরে রাখে। ইউনিয়ন পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যানের কোন পদ নেই। উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার ক্ষেত্রেও একই যুক্তি প্রযোজ্য।
উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত নারীর ভাইস চেয়ারম্যানদের জন্য দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করা নেই।
বর্তমান বাস্তবতা: গ্রাম আদালত
গ্রাম আদালত ‘ক্ষমতার বিভাজন নীতি’র পরিপন্থী; দলীয় ব্যক্তিদের বিচারকের আসনে বসানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়। এছাড়াও এগুলোর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণে ভবিষ্যৎ করণীয়
গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গঠিত স্থানীয় সরকার গতিশীল ও শক্তিশালীকরণ কমিটি” সবগুলো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জন্য আইনের খসড়া প্রস্তাবাকারে পেশ করে এবং সরকার নীতিগতভাবে এগুলো অনুমোদন করে। ইতোমধ্যে উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা আইনের খসড়া অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছে। এগুলোতে স্থানীয় সরকারের ওপর আমলাতন্ত্রের খবরদারিত্ব ও মাননীয় সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ রহিত করার বিধানসহ আরো অনেকগুলো বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস। জাতীয় সংসদের বর্তমান অধিবেশনে এ সকল অধ্যাদেশের অনুমোদন আবশ্যক। পরবর্তীতে একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে কমিটির সুপারিশের আলোকে আইনগুলোর সংশোধন করা যেতে পারে।
মহান জাতীয় সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ জাতীয় পর্যায়ের নেতৃত্ব, তাই সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের আলোকে তাঁদেরকে আইন প্রণয়নের কাজে নিবিষ্ট রাখা আবশ্যক। তাহলেই স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁদের দ্বন্দ্ব এড়ানো যাবে, তাঁদেরকে দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে জড়িত থাকা থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে এবং তাঁরা সকলের কাছে সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে এলাকায় সমাদৃত হবেন।
মাননীয় সংসদ সদস্যদেরকে স্থানীয় উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশেষ বরাদ্দ প্রদান থেকে বিরত থাকতে হবে। ভারতে এটি একটি বিতর্কিত ও অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মসূচি এবং ভারতীয় সংবিধান পর্যালোচনা কমিটি ইতোমধ্যে এর বাতিলের সুপারিশ করেছে। ভারতে বর্তমানে এর বিরুদ্ধে একটি আন্দোলনও দানা বেঁধে উঠেছে।
সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদের নির্দেশনা অনুসারে, স্থানীয় উন্নয়নের দায়িত্ব স্থানীয় সরকারের ওপর অর্পণ করতে হবে। জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের সংশ্লিষ্ট নির্বাচিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অধীনে ন্যস্ত করা জরুরি।
জেলা পরিষদের বিদ্যমান আইনের সংশোধন করে দ্রুততার সঙ্গে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ, ঢাকা সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোর স্বল্পতম সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।
একটি বলিষ্ঠ বিকেন্দ্রীকরণ কর্মসূচি হাতে নিতে হবে, যাতে আমলাতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণমুক্ত, এমপিদের প্রয়োজনীয় দায়িত্ব ও সম্পদ প্রাপ্ত স্বায়ত্ত্বশাসিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে পারে। এ লক্ষ্যে এডিপি’র একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ( যেমন এক-তৃতীয়াংশ) স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের মাধ্যমে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যেতে পারে। উল্লেখ্য যে, বর্তমান সরকারের মূল অংশীদার আওয়ামী লীগ তার ‘দিনবদলের সনদ’ শীর্ষক নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করেছে: ক্ষমতার বিকেন্দ্রায়ন করে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদকে শক্তিশালী করা হবে। জেলা পরিষদকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন-শৃঙখলা ও সকল প্রকার উন্নয়নমূলক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। প্রতিটি ইউনিয়ন সদরকে স্থানীয় পরিকল্পনা ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু, পরিকল্পিত পল্লী জনপদ এবং উপজেলা সদর ও বর্ধিষ্ণু শিল্পকেন্দ্রগুলোকে শহর-উপশহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে।” ‘ভিশন ২০২১’-এর অংশ হিসেবে ইশতেহারে ‘রাজনৈতিক কাঠামো, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ও গণঅংশায়ন’ শিরোনামে আরো ঘোষণা করা হয়: স্থানীয় সরকারকে প্রাধান্য দিয়ে রাজনৈতিক কাঠামোতে আমূল পরিবর্তন সাধন করা হবে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নিয়ামক ভূমিকা পালন করবে স্থানীয় সরকার। এ উদ্দেশ্যে জেলা ও উপজেলার স্থানীয় সরকারকে স্বনির্ভর ও সায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে।”
নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের কার্যপরিধি সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে এবং তাদের জন্য জরুরিভিত্তিতে প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে হবে।
ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধিদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এবং পরিষদের কার্যক্রমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার এবং স্থানীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘ওয়ার্ড সভাকে’ কার্যকর করতে হবে, যাতে এটি ‘জনগণের পার্লামেন্টে’র রূপ নিতে পারে। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য একই ধরনের কাঠামো অন্যান্য স্তরেও গড়ে তুলতে হবে।
প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য অডিট ব্যবস্থাকে কার্যকর ও দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে।
সংরক্ষণ পদ্ধতি বাতিল করে রোটেশন পদ্ধতিতে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে স্থানীয় সরকারের সকল স্তরে নারীর ‘অন্তভুক্তি’ নিশ্চিত করতে হবে।
স্থানীয় সরকার কমিশনকে একটি শক্তিশালী ও কার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে। এ জন্য কমিশনকে স্বাধীনতা ও সম্পদ দিতে হবে।
বাংলাদেশ সংবিধানে স্থানীয় সরকার
‘(৯) রাষ্ট্র সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিগণ সমন্বয়ে গঠিত স্থানীয় শাসন-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানসমূহকে উৎসাহ দান করিবেন এবং এই সকল প্রতিষ্ঠানসমূহে কৃষক, শ্রমিক ও মহিলাদিগকে যথাসম্ভব বিশেষ প্রতিনিধিত্ব দেওয়া হইবে।
(১১) প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হইবে।
৫৯। (১) আইনানুযায়ী নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠানসমূহের উপর প্রজাতন্ত্রের প্রত্যেক প্রশাসনিক একাংশের স্থানীয় শাসনের ভার প্রদান করা হইবে।
(২) এই সংবিধান ও অন্য কোন আইন-সাপেক্ষে সংসদ আইনের দ্বারা যেরূপ নির্দিষ্ট করিবেন, এই অনুচ্ছেদের (১) দফায় উল্লেখিত অনুরূপ প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান যথোপযুক্ত প্রশাসনিক একাংশের মধ্যে সেইরূপ দায়িত্ব পালন করিবেন এবং অনুরূপ আইনে নিম্নলিখিত বিষয়-সংক্রান্ত দায়িত্ব অন্তর্ভুক্ত হইতে পারিবে:
(ক) প্রশাসন ও সরকারী কর্মচারীদের কার্য;
(খ) জনশৃংখলা রক্ষা;
(গ) জনসাধারণের কার্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
৬০। এই সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদের বিধানাবলীকে পূর্ণ কার্যকরতাদানের উদ্দেশ্যে সংসদ আইনের দ্বারা উক্ত অনুচ্ছেদে উল্লিখিত স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্থানীয় প্রয়োজনে কর আরোপ করিবার ক্ষমতাসহ বাজেট প্রস্তুতকরণ ও নিজস্ব তহবিল রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষমতা প্রদান করিবেন।’
[লেখক: সম্পাদক, সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক]
তথ্য সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯

Related Post

স্মরণ: প্রচলিত ধারা তাকে ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছেস্মরণ: প্রচলিত ধারা তাকে ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে

বদিউল আলম মজুমদার শুধু প্রগতিশীল চিন্তা লালনকারীই নয়, মঞ্জু ছিলেন অত্যন্ত নম্র, ভদ্র ও বিনয়ী। একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও মঞ্জুকে আমি কোনোদিন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করতে দেখিনি। বস্তুত

বিশেষ অধিকার, ক্ষমতা ও দায়মুক্তি: কী এবং কেন?বিশেষ অধিকার, ক্ষমতা ও দায়মুক্তি: কী এবং কেন?

ড. বদিউল আলম মজুমদার: সংসদ ও সংসদ সদস্যদের বিশেষ অধিকার এবং দায়মুক্তির ধারণার উৎপত্তি যুক্তরাজ্যে। শোনা যায়, এককালে ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সের গ্যালারিতে গোয়েন্দারা বসে থাকত এবং কারা রাজার বিরুদ্ধে

নির্বাচন: তারপর কীনির্বাচন: তারপর কী

বদিউল আলম মজুমদার | আপডেট: ০০:০৬, জানুয়ারি ২২, ২০১৪ বহু তর্ক-বিতর্ক, নানা নাটকীয়তা ও ব্যাপক সহিংসতার মধ্য দিয়ে ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। ইতিমধ্যে শেখ হাসিনার