সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক সংবাদ সম্মেলন ‘রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

‘রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রার্থী নির্বাচিত হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সুজন নেতৃবৃন্দ। তাঁরা আজ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭, সকাল ১১.০০টায়, সুজন আয়োজিত ‘রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে সুজন নেতৃবৃন্দ এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সহ-সম্পাদক জাকির হোসেন এবং নির্বাহী সদস্য সৈয়দ আবুল মকসুদ উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সুজন-এর কেন্দ্রীয় সহযোগী সমন্বয়কারী সানজিদা হক বিপাশা।

লিখিত বক্তব্যে সুজন-এর কেন্দ্রীয় সহযোগী সমন্বয়কারী সানজিদা হক বিপাশা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল আনুযায়ী আগামী ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং প্রতীক বরাদ্দের কাজ স¤পন্ন হয়েছে। মেয়র পদে মোট ১৩ জন, সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ২২৬ জন এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৬৭ জন, সর্বমোট ৩০৬ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও, মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ২১২ জন এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৬৫ জন, মোট ২৮৪ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।’

প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘৭ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ২ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর, ৩ জনের স্নাতক এবং ২ জনের এইচএসসি। মোট ৩৩ টি সাধারণ ওয়ার্ডের ২১২ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৮১ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি’র নীচে, ৪৪ জনের এসএসসি এবং ৪১ জনের এইচএসসি। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী প্রার্থীর সংখ্যা যথাক্রমে ৩২ ও ১০ জন। মোট ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৬৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে এসএসসি’র কম শিক্ষাগত যোগ্যতা স¤পন্ন প্রার্থীর সংখ্যা ২৫ জন। ১৭ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি এবং ৮ জনের এইচএসসি। স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী প্রার্থীর সংখ্যা যথাক্রমে ৮ ও ৬ জন। বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, সর্বমোট ২৮৪ জন প্রার্থীর মধ্যে একটি বড় অংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা ১৬৭ জন এসএসসি বা তার নিচে। পক্ষান্তরে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র ৬১ জন।

প্রার্থীদের পেশা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘৭ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৫ জনই। জনাব সরফুদ্দীন আহম্মেদ পেশার ঘরে উল্লেখ করেছেন ‘রাজনীতি’। ২১২ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে শতকরা ৭০.৭৫% (১৫০ জন) ভাগের পেশাই ব্যবসা। কৃষির সাথে স¤পৃক্ত আছেন ২০ জন। ৬৫ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীর অধিকাংশই বা ৪০ জন গৃহিণী। ১৪ জনের পেশা ব্যবসা। তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সর্বমোট ২৮৪ জন প্রার্থীর মধ্যে শতকরা ৫৯.৫০% ভাগই (১৬৯ জন) ব্যবসায়ী। বিশ্লেষণে অন্যান্য নির্বাচনের মত রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য লক্ষ করা যাচ্ছে।’

প্রার্থীদের মামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘৭ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ফৌজদারি মামলা সংশ্লিষ্ট রয়েছেন ৪ জন। ২১২ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৫২ জনের (২৪.৫২%) বিরুদ্ধে বর্তমানে, ৩৩ জনের বিরুদ্ধে অতীতে এবং ১৭ জনের বিরুদ্ধে উভয় সময়ে মামলা ছিল বা আছে। ৬৫ জন সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীর মধ্যে ৪ জনের বিরুদ্ধে বর্তমানে ফৌজদারি মামলা আছে এবং ৩ জনের বিরুদ্ধে অতীতে ফৌজদারি মামলা ছিল। তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সর্বমোট ২৮৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫৮ জনের (২০.৪২%) বিরুদ্ধে বর্তমানে, ৪০ জনের বিরুদ্ধে অতীতে এবং ১৮ জনের বিরুদ্ধে উভয় সময়ে মামলা আছে বা ছিল।’

প্রার্থীদের আয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘৭ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ২ জনের আয় বছরে ৫ লক্ষ টাকার নিচে, ৩ জনের আয় বছরে ৫ লক্ষ থেকে ২৫ লক্ষ টাকার মধ্যে এবং ১ জনের আয় ২৫ লক্ষ টাকার অধিক। ২১২ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ১৮৬ জনেরই (৬৫.৪৯%) বছরে ৫ লক্ষ টাকার কম আয় করেন। বছরে ৫ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা আয় করেন ২১ জন। সংরক্ষিত আসনের ৬৫ জন প্রার্থীর মধ্যেও সিংহভাগই (৪০ জন ৬১.৫৩%) কাউন্সিলর প্রার্থীর বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকার নিচে। তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ২৮৪ জন প্রার্থীর মধ্যে চার পঞ্চমাংশের (২২৮ জন বা ৮০.২৮%) বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকার কম।

প্রার্থীদের সম্পদ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মোট ৭ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনের সম্পদ ৫ লক্ষ টাকার নিচে, ১ জনের ৫ লক্ষ থেকে ২৫ লক্ষ টাকার মধ্যে, ১ জনের ২৫ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকার মধ্যে এবং অবশিষ্ট ২ জনের স¤পদ কোটি টাকার অধিক। মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স¤পদ সরফুদ্দীন আহম্মেদের (১,৫৩,৬০,১১৮.০০ টাকা) এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছেন মোঃ কাওছার জামান (১,৫২,০০,০০০.০০ টাকা)। ২১২ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে অধিকাংশই (১৭৫ জন অথবা ৮২.৫৪%) স্বল্প স¤পদের অর্থাৎ ৫ লক্ষ টাকার কম মূল্যমানের স¤পদের মালিক। ২৫ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকার স¤পদ রয়েছে ২৩ জন (১০.৮৪%) কাউন্সিলর প্রার্থীর। ৬৫ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৫২ জনের (৮০%) সম্পদ ৫ লক্ষ টাকার কম। ২৫ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকার সম্পদ রয়েছে ১০ জন (১৫.৩৮%) সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীর। বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৮৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৩০ জনই (৮০.৯৮%) ৫ লক্ষ টাকার কম স¤পদের মালিক।

তিনি বলেন, ‘প্রার্থীদের স¤পদের হিসাবের যে চিত্র উঠে এসেছে, তাকে কোনোভাবেই স¤পদের প্রকৃত চিত্র বলা যায় না। কেননা, প্রার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই প্রতিটি স¤পদের মূল্য উল্লেখ করেন না, বিশেষ করে স্থাবর স¤পদের। আবার উল্লেখিত মূল্য বর্তমান বাজার মূল্য না; এটা অর্জনকালীন মূল্য। বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরেও আমরা হলফনামার ভিত্তিতে শুধুমাত্র মূল্যমান উল্লেখ করা স¤পদের হিসাব অনুযায়ী তথ্য তুলে ধরলাম। অধিকাংশ প্রার্থীর স¤পদের পরিমাণ প্রকৃত পক্ষে আরও অনেক বেশি বলে আমরা মনে করি।’

প্রার্থীদের দায়-দেনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘৭ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৪ জনের দায়-দেনা ও ঋণ রয়েছে। সাধারণ আসনের ২১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ২৬ জন (১২.২৬%) এবং সংরক্ষিত আসনের ৬৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে মাত্র ১ জন (১.৫৩%) ঋণ গ্রহীতা। সর্বমোট ২৮৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ঋণ গ্রহীতার সংখ্যা মাত্র ৩১ জন (১০.৯১%)। মোট ২৮৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনের (১.০৫%) কোটি টাকার উপরে ঋণ রয়েছে।

প্রার্থীদের আয়কর সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘৭ জন মেয়র প্রার্থীর সকলেরই আয়কর বিবরণী পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে করের আওতায় পড়েছেন ৪ জন। সর্বশেষ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ১,২৭,৮৪৬.০০ টাকা কর প্রদান করেছেন জনাব সরফুদ্দীন আহম্মেদ; দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫২,৮৭৫.০০ কর প্রদান করেছেন জনাব হোসেন মকবুল শাহরিয়ার। ২১২ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ১২৫ জন (৫৮.৯৬%) আয়কর প্রদানকারী। ৬৫ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে মধ্যে ৩৬ জনের (৫৫.৩৮%) আয়কর প্রদান সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তারা সকলেই কর প্রদান করেন ৫ হাজার টাকার কম। বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে যে, সর্বমোট ২৮৪ জন প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ১৬৫ জন (৫৮.০৯%) কর প্রদানকারী।’

পূর্ববর্তী ও বর্তমান নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীগণ প্রদত্ত তথ্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘২০১২ এবং ২০১৭ সালে এ টি এম গোলাম মোস্তফার আয় একই রয়েছে, মোঃ কাওছার জামানের ১৪৩.৩৬% এবং জনাব সরফুদ্দীন আহম্মেদের আয় ৮০৯.৬৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। বার্ষিক এই আয় বৃদ্ধির হার জনাব সরফুদ্দীন আহম্মেদের সবচেয়ে বেশি। ২০১২ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে মোঃ আব্দুল কুদ্দুছের স¤পদের পরিমাণ ২৯৩০%, মোঃ কাওছার জামানের ১৯৭২.৭৩%, মোঃ মোস্তাফিজার রহমানের ১০.৩৬% এবং সরফুদ্দীন আহম্মেদের ৬৭৫.৭৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। স¤পদ বৃদ্ধির এই হার মোঃ আব্দুল কুদ্দুছের সবচেয়ে বেশি (২৯৩০%) হলেও, টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে মোঃ কাওছার জামানের (১,৪৪,৬৬,৬৬৭ টাকা)। জনাব সরফুদ্দীন আহেম্মেদেরও স¤পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ১,৩৩,৮০,১১৮ টাকা।’

এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, ‘দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের ফলে বাংলাদেশে ভোটারদের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হলো, ভোটররা যাতে প্রার্থীদের সম্পর্কে জেনে-শুনে-বুঝে ভোট দিতে পারেন। কিন্তু আমরা দেখছি যে, প্রার্থীদের মানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি।’

রংপুর সিটি নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, যাতে ভোটাররা নির্বিঘেœ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন এবং ভালো প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে আসতে পারেন, যারা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকবেন এবং জনকল্যাণে কাজ করবেন।’

সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘যে রাষ্ট্রে নাগরিকরা সক্রিয় থাকেন সেখানে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই যে কোনো নির্বাচনে প্রার্থীদের সম্পর্কে জেনে-শুনে-বুঝে ভোট দেয়া দরকার, যাতে ভালো প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়ে আসতে পারেন। বর্তমানে প্রার্থীরা হলফনামায় যে তথ্যগুলো দেন নির্বাচন কমিশন থেকে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হয় না।’ প্রার্থীদের দেওয়া তথ্যগুলো ভোটারদের জানানো জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে উদ্যোগ নেয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি। কমিশনের উদ্যোগেই প্রার্থী ও ভোটারদের নিয়ে জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘রংপুর সিটি নির্বাচন উপলক্ষে সুজন বিভিন্নমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। কার্যক্রমগুলো হলো: প্রার্থী ও ভোটারদের নিয়ে জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠান, প্রার্থীদের তথ্যগুলো প্রকাশ করে ভোটারদের সামনে তুলে ধরা, নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা, নির্বাচনে সহিংসতা নিবারণের লক্ষ্যে পিস অ্যাম্বাসেডর ও সুজন সদস্যদের মাধ্যমে প্রচারাভিযান ও সামাজিক গণমাধ্যমে প্রচারাভিযান ইত্যাদি।’

সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণের জন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। সুজন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তথ্য তুলে ধরে নাগরিকদের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত করার চেষ্টা করছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চাই। তবে শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয়। এজন্য সরকার, প্রশাসন ও ভোটারদেরও দায়িত্ব রয়েছে।’

জাকির হোসেন বলেন, ‘যে উদ্দেশ্যে হলফনামার বিধান প্রবর্তন করা হয়েছিল বর্তমানে সে প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না। অনেক প্রার্থীই হলফনামায় সঠিক তথ্য দেন না। এছাড়া হলফনামায় অর্জনকালীন মূল্য উল্লেখ করা হয়, যার মাধ্যমে প্রার্থীর প্রকৃত সম্পদ নিরুপন করা যায় না।’ তাই হলফনামার ছকে পরিবর্তন আনা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মূল প্রবন্ধ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Related Post

‘নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২০১৬: নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তথ্য উপস্থাপন ও প্রাসঙ্গিক বক্তব্য’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত‘নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২০১৬: নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তথ্য উপস্থাপন ও প্রাসঙ্গিক বক্তব্য’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

গত ৪ জানুয়ারি ২০১৭ সকাল ১০.৩০টায়, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সুজন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি আয়োজিত ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২০১৬: নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তথ্য উপস্থাপন ও প্রাসঙ্গিক বক্তব্য’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে

‘সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ত থাকার কোনো সুযোগ নেই’‘সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ত থাকার কোনো সুযোগ নেই’

‘সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের মূল নির্বাচন কমিশনের। তাই নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি যে কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা রোধে নির্লিপ্ত না থেকে কমিশনকে কঠোর ভূমিকা পালনের আহবান জানিয়েছেন

‘নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করুন’: সংবাদ সম্মেলনে সুজন নেতৃবৃন্দ‘নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করুন’: সংবাদ সম্মেলনে সুজন নেতৃবৃন্দ

নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে এবং এসডিজি, পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও দলের ভিশনকে বিবেচনায় নিয়ে তিন বছর, পাঁচ বছর ও দীর্ঘমেয়াদে অর্জন করা যাবে এমন সংখ্যাগত ও গুণগত টার্গেট নির্ধারণ করে একটি কর্ম-পরিকল্পনা