সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক সংবাদ সম্মেলন ‘রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনে কেমন জনপ্রতিনিধি পেলাম’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

‘রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনে কেমন জনপ্রতিনিধি পেলাম’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ তথা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনাক্রমে একটি জাতীয় সনদ বা সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর হওয়ার দরকার বলে মন্তব্য করেন সুজন নেতৃবৃন্দ।  বলে মন্তব্য করেছেন ‘সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক’-এর নেতৃবৃন্দ। তাঁরা আজ ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার, সকাল ১১.০০টায়, সাগর-রুনী মিলনায়তন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, ঢাকায় ‘রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনে কেমন জনপ্রতিনিধি পেলাম’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে কারা নির্বাচিত হলেন তাঁদের তথ্যসহ প্রাসঙ্গিক তথ্যাবলী ও বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সুজন নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সুজন আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল এবং সুজন ঢাকা মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তথ্যের বিশ্লেষণ তুলে ধরেন সুজন-এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গত ৩০ জুলাই ২০১৮, একই দিনে অনুষ্ঠিত হয় রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনের দিনেই রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকলেও ইতিমধ্যেই সামগ্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। বরিশালে ১টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত ও ১৫টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে যে, অনেকগুলো ভোটকেন্দ্র সম্পর্কে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায়, সেগুলোতে অভিযোগের তদন্ত করছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই ৩০ ভোটকেন্দ্রের অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে, বাকি রয়েছে আরও ২৭টি ভোটকেন্দ্রের তদন্ত। তদন্তকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে না বলে জানা গেছে’।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত সর্বমোট ৪১ জন জনপ্রতিনিধির মধ্যে ১৮ জনের (৪৩.৯০%) শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তার নিচে। পক্ষান্তরে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীর সংখ্যা ১৪ জন (৩৪.১৪%)। ৪১ জন নবনির্বাচিত জন প্রতিনিধির মধ্যে ১১ জন (২৬.৮২%) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি অতিক্রম করতে পারেননি। বিষয়টি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, প্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনায় উচ্চ শিক্ষিতদের নির্বাচিত হওয়ার হার যেমন বেশি, তেমনি স্বল্প শিক্ষিতদের নির্বাচিত হওয়ার হার প্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনায় কম। বিষয়টি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। অন্যদিকে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত সর্বমোট ৩৭ জন জনপ্রতিনিধির মধ্যে ১৭ জনেরই (৪৫.৯৪%) শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তাঁর নিচে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীর সংখ্যা ১৫ জন (৪০.৫৪%)। ৩৫ জন নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মধ্যে ১৫ জন (৪০.৫৪%) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি অতিক্রম করতে পারেননি। বিষয়টি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, প্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনায় উচ্চশিক্ষিতদের নির্বাচিত হওয়ার হার যেমন কিছুটা বেশি, তেমনি স্বল্প শিক্ষিতদের নির্বাচিত হওয়ার হার প্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনায় অনেক কম। বিষয়টি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক।’

নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পেশা সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নবনির্বাচিত সর্বমোট ৪১ জন জনপ্রতিনিধির মধ্যে ২৩ জনই (৫৬.০৯%) ব্যবসায়ী। পেশার ক্ষেত্রে দেখা যায়, ব্যবসায়ীদের নির্বাচিত হওয়ার হার প্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনায় বেশি। কেননা, ৩টি পদে ৪৮.৩৮% (২১৭ জনের মধ্যে ১০৫ জন) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হয়েছেন ৫৬.০৯% (৪১ জনের মধ্যে ২৩ জন)। অন্যদিকে, সিলেট সিটিতে নবনির্বাচিত সর্বমোট ৩৭ জন জনপ্রতিনিধির মধ্যে ২২ জনই (৫৯.৪৫%) ব্যবসায়ী। পেশার ক্ষেত্রে দেখা যায়, ব্যবসায়ীদের নির্বাচিত হওয়ার হার প্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনায় বেশি। কেননা, ৩টি পদে ৫২.৮২% (২১৭ জনের মধ্যে ১০৩ জন) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হয়েছেন ৫৯.৪৫% (৩৭ জনের মধ্যে ২২ জন)।’

নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মামলা সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নবনির্বাচিত সর্বমোট ৪১ জন জনপ্রতিনিধির মধ্যে ১৬ জনের (৩৯.০২%) বিরুদ্ধে বর্তমানে, ১৭ জনের (৪১.৪৬%) বিরুদ্ধে অতীতে এবং ৯ জনের (২১.৯৫%) বিরুদ্ধে উভয় সময়ে মামলা আছে বা ছিল। ৩০২ ধারায় বর্তমানে মামলা রয়েছে ৫ জনের (১২.১৯%) বিরুদ্ধে এবং অতীতে ছিল ৩ জনের (৭.৩১%)। বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে যে, প্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনায় মামলা সংশ্লিষ্টদের নির্বাচিত হওয়ার হার বেশি। অন্যদিকে, সিলেট সিটিতে নবনির্বাচিত সর্বমোট ৩৭ জন জনপ্রতিনিধির মধ্যে ১০ জনের (২৭.০২%) বিরুদ্ধে বর্তমানে, ১৩ জনের (৩৫.১৩%) বিরুদ্ধে অতীতে এবং ৭ জনের (১৮.৯১%) বিরুদ্ধে উভয় সময়ে মামলা আছে বা ছিল। বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে যে, প্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনায় মামলা সংশ্লিষ্টদের নির্বাচিত হওয়ার হার বেশি।’

নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বাৎসরিক আয় সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরে দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘রাজশাহী সিটিতে নবনির্বাচিত সর্বমোট ৪১ জন জনপ্রতিনিধির মধ্যে ২৩ জনের (৫৬.০৯%) বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকার কম। আয় উল্লেখ না করা ২ জনসহ এই সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫ জন (৬০.৯৭%)। নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বছরে ৫০ লক্ষ টাকার অধিক আয় করেন ১ জন (২.৪৩%)। বিশ্লেষণে বলা যায় যে, স্বল্প আয়কারী প্রার্থীদের নির্বাচিত হওয়ার হার প্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনায় কম হলেও অপেক্ষাকৃত অধিক আয়কারী প্রার্থীদের নির্বাচিত হওয়ার হার প্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনায় কিছুটা বেশি। অন্যদিকে, সিলেট সিটিতে নবনির্বাচিত সর্বমোট ৩৭ জন জনপ্রতিনিধির মধ্যে ১৪ জনের (৩৭.৮৩%) বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকার কম। আয় উল্লেখ না করা ৬ জনসহ এই সংখ্যা দাঁড়ায় ২০ জন (৫৪.০৫%)। নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে ২৫ লক্ষ টাকার অধিক আয়কারী রয়েছেন ১ জন (২.৭০%)। বিশ্লেষণে বলা যায় যে, স্বল্প আয়কারী প্রার্থীদের নির্বাচিত হওয়ার হার প্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনায় কম হলেও অপেক্ষাকৃত অধিক আয়কারী প্রার্থীদের নির্বাচিত হওয়ার হার প্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনায় বেশি।’

নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সম্পদের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘রাজশাহী সিটিতে নবনির্বাচিত সর্বমোট ৪১ জন জনপ্রতিনিধির মধ্যে ১৮ জনের (৪৩.৯০%) সম্পদের পরিমান ৫ লক্ষ টাকার কম। ৫০ লক্ষ টাকার অধিক মূল্যমানের সম্পদ রয়েছে ২ জনের (৪.৮৭%)। অন্যদিকে, সিলেট সিটিতে নবনির্বাচিত সর্বমোট ৩৭ জন জনপ্রতিনিধির মধ্যে ১৩ জনের (৩৫.১৩%) সম্পদের পরিমান ৫ লক্ষ টাকার কম। কোটিপতি রয়েছেন মাত্র ১ জন (২.৭০%)। সিলেট সিটির নবনির্বাচিত সর্বমোট ৩৭ জন জনপ্রতিনিধির মধ্যে ঋণগ্রহীতা মাত্র ৫ জন (১৩.৫১%)। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঋণগ্রহীতাদের নির্বাচিত হওয়ার হার প্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনায় বেশি।’

নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কর সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘রাজশাহী সিটিতে নবনির্বাচিত সর্বমোট ৪১ জন জনপ্রতিনিধির মধ্যে ২১ জন (৫১.২১%) করদাতা। এই ২১ জনের মধ্যে ৫ হাজার টাকা বা তার চেয়ে কম কর প্রদান করেন ৭ জন (৩৩.৩৩%) এবং লক্ষাধিক টাকা কর প্রদান করেন ৩ জন (১৪.২৮%)। বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, কর প্রদানকারীদের নির্বাচিত হওয়ার হার প্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনায় বেশি। অন্যদিকে, সিলেট সিটিতে নবনির্বাচিত সর্বমোট ৩৭ জন জনপ্রতিনিধির মধ্যে ২২ জন (৫৯.৪৫%) করদাতা। এই ২২ জনের মধ্যে ৫ হাজার টাকা বা তার চেয়ে কম কর প্রদান করেন ৫ জন (২২.৭২%) এবং লক্ষাধিক টাকা কর প্রদান করেন ৪ জন (১৮.১৮%)। বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, কর প্রদানকারীদের নির্বাচিত হওয়ার হার প্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনায় বেশি।’

সংবাদ সম্মেলনে দিলীপ কুমার সরকার রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন উপলক্ষে ‘সুজন’ পরিচালিত কার্যক্রমের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরেন।

এরপর তিনি ‘সুজন’-এর দৃষ্টিতে নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, ‘সার্বিক বিবেচনায় রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ‘খুলনা মডেল’রই পুনরাবৃত্তি বহুলাংশে ঘটেছে। খুলনা মডেলের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ ছিল: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় ক্ষমতাসীনদের প্রধান প্রতিপক্ষকে মাঠছাড়া করা; বিএনপি প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করা; নির্বাচনের দিনে জোর-জবরদস্তি করা ও নির্বাচন কমিশনের নির্বিকার থাকা। একইসাথে উন্নয়নের নামে ভোটারদের ‘জিম্মি’ করাও ছিল একটি নির্বাচন কৌশল। তবে, পুলিশকে ব্যবহার করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মাঠছাড়া করার বিষয়টি নিয়ে ব্যাপকভাবে সমালোচনার মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন। ফলে তফসিল ঘোষণার পর পরই আদালতের রায়ের সূত্র ধরে নির্বাচন কমিশন তিনটি সিটিতেই নির্বাচনের পূর্বে মামলা বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার না করার না করার নির্দেশনা দেয়া হয়, যা কাজ করেনি। কেননা, নির্দেশনা প্রদানের পর বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন নতুন মামলা হতে দেখা যায় সিটিগুলোতে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরাতন মামলার অজ্ঞাতনামা আসামীর দেখিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করতে দেখা গিয়েছে।’

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘খুলনা মডেলেই ৩০ জুলাই নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো তিনটি সিটিতে। উক্ত নির্বাচনগুলো আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করেনি। প্রত্যাশা পূরণ হয়নি সচেতন নাগরিকদের। ফলে আস্থাহীনতা বেড়েছে নির্বাচন কমিশনের প্রতি।’

তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন যাতে অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ তথা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সেজন্য একটি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনাক্রমে একটি জাতীয় সনদ বা সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর হওয়ার দরকার। উক্ত জাতীয় সনদে নির্বাচনের পূর্বে, নির্বাচনকালে এবং নির্বাচনের পর কখন কী ধরনের পরিবেশ-পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে, কার কী ভ‚মিকা হবে, সরকার গঠন করলে কোন বিষয়গুলোকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিতে হবে, বিরোধী দলে থাকলে সংসদকে কার্যকর রাখার জন্য কী ধরনের ভ‚মিকায় অবতীর্ণ হতে হবে, সনদের শর্ত ভঙ্গ করলে কী হবে তা উল্লেখ থাকবে।’ রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য ছাড়া হঠাৎ করে ইভিএম মেশিন ব্যবহার করা ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

মূল প্রবন্ধ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Related Post

‘নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করুন’: সংবাদ সম্মেলনে সুজন নেতৃবৃন্দ‘নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করুন’: সংবাদ সম্মেলনে সুজন নেতৃবৃন্দ

নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে এবং এসডিজি, পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও দলের ভিশনকে বিবেচনায় নিয়ে তিন বছর, পাঁচ বছর ও দীর্ঘমেয়াদে অর্জন করা যাবে এমন সংখ্যাগত ও গুণগত টার্গেট নির্ধারণ করে একটি কর্ম-পরিকল্পনা

‘নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২০১৬: নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তথ্য উপস্থাপন ও প্রাসঙ্গিক বক্তব্য’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত‘নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২০১৬: নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তথ্য উপস্থাপন ও প্রাসঙ্গিক বক্তব্য’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

গত ৪ জানুয়ারি ২০১৭ সকাল ১০.৩০টায়, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সুজন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি আয়োজিত ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২০১৬: নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তথ্য উপস্থাপন ও প্রাসঙ্গিক বক্তব্য’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে

‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পৌর নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশন, সরকার ও রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পৌর নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশন, সরকার ও রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সুজন নেতৃবৃন্দ। গত ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ১১.০০টায়, প্রগতি