সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক ড. বদিউল আলম মজুমদার ‘জাতীয় সনদ’ নিয়ে কেন এই অযাচিত বিতর্ক?

‘জাতীয় সনদ’ নিয়ে কেন এই অযাচিত বিতর্ক?


বদিউল আলম মজুমদার
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ১২ মে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আসন্ন সংলাপে একটি ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রস্তাবটি নিয়ে যেন একটি বিতর্কের ঝড় উঠছে। রাজনৈতিক নেতাদের অনেকেই এমনভাবে প্রস্তাবটির বিরোধিতা করছেন, যাতে মনে হয়, যেন প্রধান উপদেষ্টা একটি গুরুতর গর্হিত কাজ করেছেন। আমরা মনে করি যে প্রস্তাবটি নিয়ে বিতর্ক ও বিরোধিতা অযাচিত।

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ শুনে আমরা যা বুঝেছি, তাতে মনে হয় যে তিনি একটি জাতীয় ঐকমত্যের−কতগুলো সম্মিলিত সিদ্ধান্তের কথা বলেছেন। জাতি হিসেবে আজ আমরা অনেকগুলো গুরুতর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। মোটাদাগে চ্যালেঞ্জগুলো হলো: ১. সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান, ২. কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, ৩. সুশাসন কায়েম, এবং ৪. রাজনৈতিক সংস্কৃতির গুণগত পরিবর্তন। এ ছাড়া অর্থনৈতিক স্থবিরতা ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সমাজে বিরাজমান অসমতা ও ন্যায়পরায়ণতাহীনতা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, উদীয়মান উগ্রবাদ প্রভৃতিও আমাদের সামনে পর্বতপ্রমাণ সমস্যা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়েও জনমনে অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে−এটি সংবিধানের মৌলিক গণতান্ত্রিক কাঠামোর শুধু লঙ্ঘনই নয়, এর ফলে রাজনীতিতে দায়িত্বহীনতা ব্যাপক জেঁকে বসেছে।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন হবে একটি গ্রহণযোগ্য ভোটার তালিকা এবং নির্বাচন কমিশন ও সরকারের প্রশ্নাতীত নিরপেক্ষতা। একইভাবে প্রয়োজন হবে রাজনৈতিক দলগুলোর সদাচারণ ও সদিচ্ছা। রাজনৈতিক দলগুলোকে সদিচ্ছা প্রদর্শন করতে হবে কতগুলো সুদূরপ্রসারী দলীয় সংস্কারের স্বতঃপ্রণোদিত উদ্যোগ গ্রহণ এবং কালো টাকা ও পেশিশক্তির মালিক তথা দুর্বৃত্তদের মনোনয়ন প্রদান থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে। একটি সফল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজন হবে একটি কার্যকর জাতীয় সংসদ এবং একটি দক্ষ ও নিরপেক্ষ প্রশাসনিক ব্যবস্থা। আরও প্রয়োজন হবে বিচার বিভাগ, সরকারি কর্মকমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিতকরণ। সুশাসন নিশ্চিত হবে, যদি আইনের শাসন, সমতা, ন্যায়পরায়ণতা, মানবাধিকার সংরক্ষণসহ, বিকেন্দ্রীকরণ ও জনগণের অর্থবহ অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি স্বশাসিত ও শক্তিশালী স্থানীয় সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। সুশাসন নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও প্রয়োজন সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির চর্চা এবং দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন রোধের কার্যকর ব্যবস্থা। আর রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন হবে দলবাজি-ফায়দাবাজির অবসান এবং অসহিষঞুতা, অসহযোগিতা, হানাহানির অবসান ইত্যাদি।
জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসব সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হওয়া আবশ্যক। এমন ঐকমত্যের ডাক নির্বাচিত সরকারগুলো ক্ষমতায় থাকাকালে বহুবার বহুভাবে দিয়েছে, যদিও বিরোধী দলে গেলে তারা নিজেদের ভোল পাল্টেছে এবং প্রায় সব ক্ষেত্রেই সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করেছে। তাই জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সম্পর্কে ঐকমত্য ও সম্মিলিত সিদ্ধান্তের কথা বলে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা দায়িত্বশীলতাই প্রদর্শন করেছেন বলে আমাদের বিশ্বাস।
জাতীয় ইস্যুগুলোতে ঐকমত্য সৃষ্টির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতাদের অনীহা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। কারণ তারাই ভবিষ্যতে ক্ষমতায় যাবেন এবং এসব সমস্যার সমাধান তাঁদেরই করতে হবে। পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে সমঝোতায় পৌঁছানো গেলে ভবিষ্যতে যাঁরা সরকার গঠন করবেন, তাঁদের পক্ষে শাসনকাজ পরিচালনায় সফল হওয়া এবং জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা সহজ হবে। অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে আমাদের আশঙ্কা যে, ভবিষ্যতেও নির্বাচিত সরকারকে চলমান নেতিবাচক সংস্কৃতিরই মুখোমুখি হতে হবে এবং প্রতিপক্ষের প্রতিরোধ মোকাবিলায়ই তাদের অনেক সময়ক্ষেপণ করতে হবে। কারণ আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এখনো কোনো পরিবর্তন লক্ষ করা যায় না এবং রাজনীতি অদ্যাবধি নীতি ও নৈতিকতা-বিবর্জিতই রয়ে গেছে; এবং এখনো সামন্ততান্ত্রিক পদ্ধতিতে ও ক্ষুদ্র স্বার্থ দ্বারাই পরিচালিত হচ্ছে।
এ ছাড়া নির্বাচনপূর্ব সময়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো গেলে যে ইতিবাচক ফল সৃষ্টি হয়, তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ ১৯৯১ সালে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় ব্যবস্থার প্রবর্তন। স্নরণ করা প্রয়োজন, ১৯৯০ সালে প্রণীত তিন জোটের ‘যুক্ত ঘোষণায়’ সংসদীয় ব্যবস্থা প্রবর্তনের অঙ্গীকার অন্তর্ভুক্ত ছিল। তাই আমরা যদি সত্যিকারার্থেই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো সমাধানের মাধ্যমে জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, তাহলে এখনই সংলাপের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো সম্পর্কে সম্মিলিত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো জরুরি।
উপরন্তু পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা না গেলে তার মাশুল আমাদের অবশ্যই গুনতে হবে। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ আব্দুল জলিল ও আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার তথাকথিত সংলাপের এবং ড. ইয়াজউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কয়েকজন উপদেষ্টার দ্বারা পরিচালিত সমঝোতা-চেষ্টার ব্যর্থতা। সেসব ব্যর্থতাই আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে খাদে ফেলে দিয়েছিল এবং ডেকে এনেছিল ১১ জানুয়ারির ঘটনাবলি। তাই সংলাপের মাধ্যমে আমাদের সরকার ও রাজনীতিবিদদের হয় এখন সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে, তা না হলে জাতিকে এর জন্য ভবিষ্যতে বড় মূল্য দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে পাশ্চাত্যের গাড়ি-মেরামতকারীদের সেই পুরোনো স্লোগানের কথা মনে পড়ে−ইউ পে নাউ, অর ইউ পে মোর লেইটার। তবে আমাদের ক্ষেত্রে মূল্য দিতে হবে পুরো জাতিকে, জাতির ভবিষ্যৎকে জলাঞ্জলি দিয়ে। কারণ আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে বিরাজমান সমস্যাগুলো সম্পর্কে সমঝোতায় পৌঁছা না গেলে, আমাদের প্রিয় রাষ্ট্রটিই ভবিষ্যতে শাসনের অনুপযোগী হয়ে পড়তে পারে।
আর এ সংলাপ হওয়া প্রয়োজন প্রধানত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেই এবং এতে বর্তমান সরকারের ভূমিকা হওয়া উচিত মূলত অনুঘটকের। গত অক্টোবরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে সংলাপে দাবি উত্থাপনের পর, বর্তমান লেখক সরকারের এমন সহায়ক ভূমিকার প্রস্তাবই করেছিল (‘রাজনৈতিক সংস্কৃতির রূপান্তরে ঐকমত্য প্রয়োজন’, প্রথম আলো, ৩১ অক্টোবর, ২০০৭)। কারণ উল্লিখিত যে চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্য হওয়া দরকার, সেগুলো সম্পর্কে প্রধানত রাজনৈতিক দলগুলোরই আগ্রহী হওয়া উচিত। বস্তুত শুধু সুষ্ঠু ও অর্থবহ নির্বাচনের ক্ষেত্রেই সরকার এবং রাজনৈতিক দলের সংলাপ প্রয়োজন, ভবিষ্যতে ফলপ্রসূভাবে সরকার পরিচালনার লক্ষ্যে অন্য সব ইস্যুতে রাজনীতিবিদদের মধ্যেই ঐকমত্য আবশ্যক। সংলাপে উপনীত সিদ্ধান্তগুলোকে আমরা জাতীয় সনদ বলতে পারি অথবা ১৯৯০ সালের মতো ‘যুক্ত ঘোষণা’ বলে নামকরণ করতে পারি−এতে কিছু আসে-যায় না।
এ ছাড়া সংলাপে বসে পরস্পর খোলামেলা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান বের করাই রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার একতরফা সমাধান বা সমাধান চাপিয়ে দেওয়ার সংস্কৃতি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। অতীতেও রাজনৈতিক দলগুলো সংলাপে বসেছিল। ১৯৯০ সালে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরাই সংলাপে বসে সফলতার সঙ্গে তিন জোটের ‘যুক্ত ঘোষণা’ প্রণয়ন করেছিল। যদিও সংসদীয় পদ্ধতি চালু করা ছাড়া যুক্ত ঘোষণার অন্য অঙ্গীকারগুলো ক্ষমতাসীনেরা পরবর্তী সময়ে বাস্তবায়ন করেননি।
আমরা মনে করি, ১৯৯০ সালে তিন জোটের যুক্ত ঘোষণাই হতে পারে প্রস্তাবিত জাতীয় সনদের প্রাথমিক খসড়া। নব্বইয়ের যুক্ত ঘোষণায় তিনটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল−১. সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের কাছে কিছু সুস্পষ্ট দাবি, ২. সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে একটি আচরণবিধি প্রণয়ন এবং তা মেনে চলার অঙ্গীকার, এবং ৩. নির্বাচিত সরকারের করণীয় সম্পর্কে কতগুলো অঙ্গীকার। প্রস্তাবিত জাতীয় সনদে একই কাঠামো ব্যবহৃত হতে পারে। নির্বাচন কমিশন ও সরকারের সন্দেহাতীত নিরপেক্ষতা এবং জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো দাবি করতে পারে। আরও দাবি করতে পারে অভিযুক্ত নেতা-নেত্রীদের স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচার।
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রস্তাবিত আচরণবিধি পরিপূর্ণভাবে মেনে চলার অঙ্গীকার রাজনৈতিক দলগুলো করতে পারে। একই সঙ্গে অঙ্গীকার করতে পারে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নিজেদের সংস্কারের−দলের গণতন্ত্রায়ণ, আর্থিক স্বচ্ছতা এবং দুর্বৃত্তদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার লক্ষ্যে মনোনয়ন-প্রক্রিয়ার পরিবর্তনের। সংসদকে কার্যকর করা, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিচার বিভাগসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর করা, প্রশাসনিক সংস্কার করা, দলবাজি-ফায়দাবাজি বন্ধ করা, বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে সত্যিকারের স্বশাসিত স্থানীয় সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন রোধ করা, নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিত করা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার সংরক্ষণ প্রভৃতির ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সুস্পষ্ট অঙ্গীকার হওয়া প্রয়োজন নির্বাচিত সরকারের করণীয়র অন্তর্ভুক্ত। উগ্রবাদ রোধের এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কার্যকর পদক্ষেপও রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকারের অংশ হওয়া বাঞ্ছনীয়। এ ছাড়া সংবিধান পর্যালোচনার লক্ষ্যে একটি কমিটিও গঠিত হতে পারে। সংশ্লিষ্টদের সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রণীত জাতীয় সনদের বাস্তবায়ন নিরীক্ষণের লক্ষ্যে দেশের সর্বাধিক সম্মানিত নাগরিকদের নিয়ে আরেকটি কমিটি গঠনের কথাও ভাবা যেতে পারে। উল্লেখ্য, ১৪ দল তাদের ১৫ জুলাই ২০০৫-এর সংস্কারের রূপরেখা এবং ২২ নভেম্বর ২০০৫-এর ২৩ দফার অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি ঘোষণার মাধ্যমে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের অঙ্গীকার ইতিমধ্যে ব্যক্ত করেছে। জনস্বার্থের কথা বিবেচনায় নিলে বিএনপি ও তার সহযোগীদেরও এসব পরিবর্তনের বিরোধিতা করার কোনো কারণ নেই।
আমরা মনে করি যে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনুষ্ঠিত সংলাপের মধ্য দিয়ে অতীতের ব্যর্থতার যবনিকা টেনে জাতির জন্য একটি নতুন ভবিষ্যৎ সৃষ্টির দ্বার উন্নোচন করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অতীতে আমরা বহু সুযোগ নষ্ট করেছি এবং এর মাশুলও জাতিকে দিতে হয়েছে। বর্তমান সুযোগ আমরা হাতছাড়া করতে চাই না। আশা করি আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতার সংস্কৃতির ঊর্ধ্বে উঠবে এবং দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে। একই সঙ্গে সরকারও পরিপূর্ণভাবে পক্ষপাতহীন আচরণ করবে। আমরা আরও আশা করি যে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো সংলাপে অংশগ্রহণ করবে। আর আওয়ামী লীগ নিঃশর্ত সংলাপের প্রস্তাব করে, নিজেরা শর্ত জুড়ে দিয়ে, তা বর্জন করলে এটি হবে একটি বড় দুঃখজনক ঘটনা।
ড. বদিউল আলম মজুমদার: সম্পাদক, সুজন−সুশাসনের জন্য নাগরিক।
তথ্য সূত্র: প্রথম আলো, ২৬ মে ২০০৮

Related Post

উপসর্গ নয়, রোগের চিকিৎসা জরুরিউপসর্গ নয়, রোগের চিকিৎসা জরুরি

বদিউল আলম মজুমদার ২৫ নভেম্বর দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে গত সপ্তাহ তিনেক চলমান সহিংসতায় শতাধিক ব্যক্তির প্রাণহানি ঘটেছে। অসংখ্য ব্যক্তি আহত হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকার

জাতীয় সংসদ কি কার্যকর?জাতীয় সংসদ কি কার্যকর?

ড. ব দি উ ল আ ল ম ম জু ম দা র নবম জাতীয় সংসদের মেয়াদ প্রায় এক বছর পূর্ণ হতে চললো। বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সংসদের কার্যকারিতা নিয়ে অনেকের মনেই