সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক ড. বদিউল আলম মজুমদার,লেখালেখি তথ্যপ্রাপ্তি ভোটারের মৌলিক অধিকার

তথ্যপ্রাপ্তি ভোটারের মৌলিক অধিকার

বদিউল আলম মজুমদার

গণতন্ত্রের জন্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আবশ্যক। আর নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের সম্পর্কে জেনে-শুনে-বুঝে নির্বাচকদের ভোটাধিকার প্রয়োগ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একান্ত অপরিহার্য। এ অপরিহার্যতার স্বীকৃতি আমাদের ও প্রতিবেশী ভারতের উচ্চ আদালত ইতিমধ্যে প্রদান করেছেন।

কল্পনা করুন, আপনি বাংলাদেশের কোনো এক প্রত্যন্ত এলাকায় কাজে গেছেন। গ্রীষ্মকালের ভরা দুপুরে আপনি একটি গ্রামীণ হাটে উপস্থিত। আপনি তৃষ্ণার্ত। আপনি একটি 'ভ্যারাইটিজ স্টোরে' থামলেন। দোকানে কয়েকটি কোম্পানির উৎপাদিত পানির বোতল সাজানো আছে। সবগুলোর মূল্যই প্রায় সমান এবং সবগুলো ব্র্যান্ডই মানসম্মত। আপনি কোনটি কিনবেন?

আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য হতে পারে, কোন বোতলে কোন উপাদান কী পরিমাণে রয়েছে সে সম্পর্কিত তথ্য। এসব তথ্য অবশ্য বোতলের গায়ের লেবেলে লেখা থাকে। উৎপাদনকারী এগুলো প্রকাশ করতে বাধ্য। কারণ এগুলো পাওয়া ক্রেতার আইনগত অধিকার। উৎপাদনকারী ভুল, অসম্পূর্ণ ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষও রয়েছে। যে কোনো ব্যক্তি উৎপাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও প্রতারণামূলক তথ্য প্রদানের অভিযোগ আনতে পারেন। এমনকি সংশিল্গষ্ট কর্তৃপক্ষও স্বপ্রণোদিত হয়ে উৎপাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।

এমনকি আমাদের মতো স্বল্পোন্নত দেশেও সামান্য এক বোতল পানি কেনার সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে ক্রেতার তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের সম্পর্কে ভোটারদের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার কয়েক বছর আগ পর্যন্তও আমাদের সমাজে স্বীকৃতি লাভ করেনি। এখনও সর্বস্তরের নির্বাচনে প্রার্থীদের তথ্য প্রদান বাধ্যতামূলক নয়। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, নির্বাচন গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত এবং রাষ্ট্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা আমাদের সাংবিধানিক অঙ্গীকার (অনুচ্ছেদ ১১)।

প্রতিবেশী ভারতে প্রার্থীদের সম্পর্কে ভোটারদের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার প্রথম স্বীকৃতি পায় আদালতের নির্দেশে। ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে 'ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট'-এর কয়েকজন অধ্যাপক 'অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস'-এর (এডিআর) ব্যানারে দিলি্লর হাইকোর্টে এ ব্যাপারে একটি মামলা করেন। মামলার আর্জিতে আদালতের কাছে রাজ্যসভা ও লোকসভার নির্বাচনে সব প্রার্থীর অপরাধের ইতিহাস, শিক্ষাগত যোগ্যতা, আয় এবং দেনা ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য বাধ্যতামূলক করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ প্রদানের আবেদন করা হয়। এডিআর হাইকোর্টে বিজয়ী হলেও মামলাটি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়।

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ২০০২ সালের ২ নভেম্বর ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়া বনাম অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস [(২০০২) ৫ এসসিসি] মামলার এক ঐতিহাসিক রায়ে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীদের কাছ থেকে হলফনামা আকারে এসব তথ্য সংগ্রহ করে তা বিতরণ করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ প্রদান করেন। রায়ে আদালত স্বীকৃতি দেন যে, 'নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোট প্রদান ভোটারের মতপ্রকাশ করার স্বাধীনতার অন্তর্ভুক্ত, কারণ ভোটার মতপ্রকাশ বা বাকস্বাধীনতা প্রয়োগ করেন ভোট প্রদানের মাধ্যমে।' অর্থাৎ আদালত প্রার্থীদের সম্পর্কে ভোটারের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকার বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। বলাবাহুল্য, নাগরিকের মৌলিক অধিকার খর্ব করার এখতিয়ার কারোরই নেই, এমনকি আইন করেও না।

দুর্ভাগ্যবশত, ভারতের তৎকালীন সরকার একটি সর্বদলীয় সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তাদের রিপ্রেজেন্টেশন অব পিপল অ্যাক্ট, ১৯৫১ (আরপিএ) সংশোধন করে আদালতের রায় ভণ্ডুল করার উদ্যোগ নেয়। এ অপচেষ্টার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজ (পিইউসিএল) বনাম ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়া [(২০০৩) ৪ এসসিসি] মামলার রায়ে আরপিএ-এর উপরোক্ত সংশোধনী অসাংবিধানিক বলে বাতিল করেন এবং সুপ্রিম কোর্টের আগের সিদ্ধান্ত মূলত বহাল রাখেন। আদালত বলেন, "গণতন্ত্র টিকে থাকা নির্ভর করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ওপর… নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয় যদি ভোটাররা প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের সম্পর্কে তথ্য না জানেন। এ অবস্থায় তাদের 'ক' অথবা 'খ' প্রার্থীর পক্ষে ভোট দেওয়ার কোনো ভিত্তি থাকে না। এমন নির্বাচন সুষ্ঠু অথবা নিরপেক্ষ হয় না… গণতন্ত্র যাতে গুণ্ডাতন্ত্র এবং উপহাস বা প্রহসনে পরিণত না হয়, তা নিশ্চিত করতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ভোটারদের তথ্য পাওয়া জরুরি।"

পরবর্তীকালে ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি মোঃ আবদুল মতিন ও বিচারপতি আবদুর রহমান আবদুল মোমেন চৌধুরী বনাম বাংলাদেশ (২০০৫ সালের রিট পিটিশন নং-২৫৬১) মামলায় একই ধরনের রায় প্রদান করেন। আদালত রায়ে নির্বাচন কমিশনকে প্রত্যেক প্রার্থী থেকে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে নিম্নলিখিত তথ্যাবলি হলফনামার মাধ্যমে সংগ্রহ করার এবং এগুলো গণমাধ্যমের সহায়তায় জনগণের মধ্যে প্রচার করার নির্দেশ দেন : ক. সার্টিফিকেটসহ প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, খ. বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে রুজুকৃত ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগের তালিকা (যদি থাকে), গ. অতীত ফৌজদারি মামলার তালিকা ও ফলাফল, ঘ. প্রার্থীর পেশা, ঙ. প্রার্থীর আয়ের উৎস এবং উৎসসমূহ, চ. অতীতে সংসদ সদস্য হলে জনগণের প্রতি প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকার বর্ণনা, ছ. প্রার্থী ও প্রার্থীর ওপর নির্ভরশীলদের সম্পদ এবং দায়দেনার বর্ণনা এবং জ. ব্যাংক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যক্তিগতভাবে বা যৌথভাবে এবং কোম্পানি কর্তৃক_ যে কোম্পানিতে প্রার্থী চেয়ারম্যান, নির্বাহী পরিচালক কিংবা পরিচালক_ গৃহীত ঋণের পরিমাণ ও বর্ণনা। উলেল্গখ্য, এগুলো আদালত নির্দেশিত 'আট-তথ্য' বলে পর সময়ে বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

এরপর বহু ঝড়-ঝাপটা, এমনকি জনৈক আবু সাফার নাম ব্যবহার করে সর্বোচ্চ আদালতে জালিয়াতি ও অকল্পনীয় নাটকীয়তার পর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ২০০৭ সালের ১১ ডিসেম্বর প্রদত্ত এক রায়ে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আদালত প্রার্থীদের সম্পর্কে ভোটারদের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকার বলে স্বীকৃতি এবং এসব তথ্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপরিহার্য বলে রায় দিলেও আমাদের সব নির্বাচনের ক্ষেত্রে এ অধিকার আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

'সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক'সহ অন্যান্য নাগরিক সমাজ এবং গণমাধ্যমের সোচ্চার ভূমিকার ফলে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রণীত সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এ এবং সব স্থানীয় সরকার আইনে প্রার্থীদের সম্পর্কে ভোটারদের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকারের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সুজনের সঙ্গে যুক্ত স্বেচ্ছাব্রতীদের উদ্যোগে ২০০৮ সালের ৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত চারটি সিটি করপোরেশন ও নয়টি পৌরসভা নির্বাচন এবং পরবর্তীকালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ, উপনির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনে ভোটারদের তথ্যপ্রাপ্তির এ অধিকার কার্যকর করা হয়। দুর্ভাগ্যবশত, নবনির্বাচিত নবম জাতীয় সংসদ জাতীয় নির্বাচন ও সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছাড়া অন্যসব স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটারদের এ অধিকার বাতিল করে দেয়। উলেল্গখ্য, সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে ঘোষিত 'দিনবদলের সনদ' শীর্ষক নির্বাচনী ইশতেহারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সুস্পষ্টভাবে অঙ্গীকার করেছিল যে, 'নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন পদ্ধতির চলমান সংস্কার অব্যাহত থাকবে।'

ক্ষমতাসীন দলের এমন সুস্পষ্ট অঙ্গীকার সত্ত্বেও নবম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে পাস করা উপজেলা আইন থেকে প্রার্থীদের তথ্য প্রদানের বিধান বিলুপ্ত করা হয়। একই সঙ্গে গত বছর সংসদে পাস করা পৌরসভা আইন থেকেও প্রার্থীদের তথ্য প্রদানের বাধ্যবাধকতা রহিত করা হয়। তবে নির্বাচন কমিশন তার বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা প্রয়োগ করে পৌরসভা নির্বাচনী বিধিমালায় তথ্য প্রদানের বিধান অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেছে বলে আমরা শুনেছি। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ থেকেও জাতীয় সংসদ তথ্য প্রদানের বিধান রহিত করে। কিন্তু এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন বিধি প্রণয়ন করে আইনের এ দুর্বলতা দূর করেনি, যে সিদ্ধান্ত আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। বিশেষত প্রার্থীদের সম্পর্কে তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার ভোটারদের মৌলিক অধিকার এবং এ ধরনের তথ্যপ্রাপ্তি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পূর্বশর্ত_ আদালতের এমন রায় প্রদানের পরও।

বর্তমানে আরও দুটি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও ভোটারদের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার স্বীকৃত নয়। সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন আইন, ২০০৪-এর অধীনে। এ আইনে ভোটারদের তথ্যপ্রাপ্তির কোনো বিধান নেই, যদিও গত নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন আইনের ৮-ধারার বিধানানুযায়ী এ বাধ্যবাধকতা কার্যকর করেছে। নবম জাতীয় সংসদ অনুমোদন না করার কারণে গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রণীত জেলা পরিষদ সম্পর্কিত আইন অকার্যকর হয়ে যায় এবং সংসদও এ ব্যাপারে আজ পর্যন্ত নতুন আইন প্রণয়ন করেনি। তাই জেলা পরিষদ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও প্রার্থীদের তথ্য প্রকাশের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। প্রসঙ্গত, সংবিধান লঙ্ঘন ও পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনা উপেক্ষা করে স্বাধীন বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি এবং তা হওয়ার কোনো লক্ষণও দেখা যায় না।

পরিশেষে এটি সুস্পষ্ট, গণতন্ত্রের জন্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আবশ্যক। আর নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের সম্পর্কে জেনে-শুনে-বুঝে নির্বাচকদের ভোটাধিকার প্রয়োগ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একান্ত অপরিহার্য। এ অপরিহার্যতার স্বীকৃতি আমাদের ও প্রতিবেশী ভারতের উচ্চ আদালত ইতিমধ্যে প্রদান করেছেন। এছাড়াও আদালত প্রার্থীদের সম্পর্কে তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার ভোটারদের মৌলিক বাক্স্বাধীনতার অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও ভোটারদের এমন অধিকার আমাদের সংশিল্গষ্ট সবগুলো আইনে এখনও স্বীকৃতি লাভ করেনি। আশা করি, সংশিল্গষ্ট সব কর্তৃপক্ষ ভোটারদের তথ্য দিয়ে ক্ষমতায়িত করার বিষয়টির প্রতি জরুরি ভিত্তিতে মনোনিবেশ করবে। আরও মনোনিবেশ করবে এ বিধানের কঠোর প্রয়োগের প্রতি, যাতে গণতন্ত্র উপহাস বা প্রহসনে পরিণত না হয়।
২ নভেম্বর, ২০১০

ড. বদিউল আলম মজুমদার : সম্পাদক সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক

সূত্র: সমকাল, ৪ নভেম্বর ২০১০

Related Post

বাজেট নিয়ে ভাবনাবাজেট নিয়ে ভাবনা

লেখক: ড. বদিউল আলম মজুমদার । গত ৯ জুন আমাদের মাননীয় অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বকালের বৃহত্তম বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করেছেন। মোট বাজেটের পরিমাণ ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা,

সামন্তবাদী প্রথারই বিজয়সামন্তবাদী প্রথারই বিজয়

ড. ব দি উ ল আ ল ম ম জু ম দা র সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চারটি সিটি কর্পোরেশন ও নয়টি পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায়, এসব নির্বাচনে অনেক

সুশাসন: আজ জাতীয় ঐক্য জরুরিসুশাসন: আজ জাতীয় ঐক্য জরুরি

বদিউল আলম মজুমদার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, বৈষম্যহীন একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ সৃষ্টি করা আমাদের জাতীয় অঙ্গীকার। এ লক্ষ্যেই ১৯৭১ সালে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন এবং অনেকে প্রাণও দিয়েছেন। আমাদের সংবিধানেও এ