সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক ড. বদিউল আলম মজুমদার,লেখালেখি বিএনপির সম্মেলন ও নাগরিক প্রত্যাশা

বিএনপির সম্মেলন ও নাগরিক প্রত্যাশা

samakal_logo

সাময়িক প্রসঙ্গ
বদিউল আলম মজুমদার
আর কয়েকদিন পরই বিএনপির জাতীয় সম্মেলন। প্রায় ১৬ বছর পর এটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সম্মেলনটিকে ঘিরে দলের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। তেমনিভাবে ঔৎসুক্য ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে নাগরিকদের মনেও।দলের মধ্যকার আগ্রহ প্রতিফলিত হচ্ছে প্রবল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। প্রতিযোগিতা চলছে দলে পদ ও আধিপত্য নিয়ে। প্রতিযোগিতা অনেক ক্ষেত্রে দ্বন্দ্বে পরিণত হচ্ছে। দ্বন্দ্ব আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে হোন্ডা-গুণ্ডার ব্যবহার ও হামলা-মামলার রূপ নিচ্ছে। কিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা পর্যন্ত জারি করতে হয়েছে। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে?
দলের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মারামারির অন্যতম কারণ হলো স্বার্থের দ্বন্দ্ব_ হালুয়া-রুটির ভাগের দ্বন্দ্ব। বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার এবং দলে সক্রিয় থাকার অন্যতম কারণ হলো ফায়দা পাওয়া। দল ক্ষমতায় থাকলে কিংবা ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে বৈধ-অবৈধ অনেক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়_ বাংলাদেশের রাজনীতির অভিজ্ঞতা থেকে তা সবার কাছেই পরিষ্কার। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলে বেশি ফায়দা পাওয়া যায়, তাও কারও অজানা নয়। যেখানে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেখানে মানুষ ভিড় করবে, এটাই স্বাভাবিক; কারণ মানুষ সাধারণত স্বার্থ দ্বারা পরিচালিত হয়। আওয়ামী লীগ-বিএনপির বেলায়ও তা-ই ঘটছে।
তবে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রাক্কালে মারামারি ঘটেনি; কারণ তাদের দল ক্ষমতায় এবং প্রথম দিকে সবাই ফায়দাপ্রাপ্তির আশায় বিভোর ছিল। এছাড়াও দ্বন্দ্বে লিপ্ত হলে তা দমন করার ক্ষমতা ক্ষমতাসীনদের হাতে ছিল। উপরন্তু আওয়ামী লীগের সম্মেলন অতি স্বল্প নোটিশে সম্পন্ন হয়েছে_ এর প্রস্তুতি অনেকদিন ধরে চললে বোঝা যেত, দলে দ্বন্দ্ব হয় কি-না।
স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপির সম্মেলন নিয়ে মারামারি হওয়া নিঃসন্দেহে কেলেঙ্কারিমূলক। তবে এ ব্যাপারে আরও বেশি কেলেঙ্কারিমূলক হলো, বিএনপির পক্ষ থেকে এর দায়ভার এড়িয়ে গিয়ে সরকারের ওপর তা চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হওয়া। ভাবখানা এমন যে, সরকার যেন কোনো ভুলই করছে না, যা নিয়ে সমালোচনা করা যায়_ সমালোচনার জন্য তার ঘাড়ে একটি অমূলক দোষ চাপিয়ে দিতে হবে! দুর্ভাগ্যবশত এমন অবস্থা আমাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনারই প্রতিফলন।
‘ব্লেম গেমে’র বা উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর এ অরাজনীতির অবসান কবে আমাদের দেশে হবে? আর সমস্যা সমাধানের পূর্বশর্ত সমস্যা স্বীকার করা। বিএনপি যদি স্বীকার না-ই করে যে তাদের দলের অভ্যন্তরে গুরুতর কোন্দল রয়েছে, তাহলে তাদের পক্ষ থেকে তা সমাধানের জন্য এগিয়ে আসার প্রশ্নই আসে না। একথা সবারই জানা যে, সমস্যার সমাধান না করলে সমস্যা দূর হয়ে যায় না; বরং তা আরও ব্যাপক ও প্রকট হয় এবং পরিণতিও ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
একথা আরও বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বাংলাদেশের এখনকার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমাদের প্রধান দলগুলোতে নীতি-আদর্শের তেমন বালাই নেই। নীতি-আদর্শ বা কোনো সুস্পষ্ট কর্মসূচি বাস্তবায়নের আকাঙ্ক্ষায় সাধারণত মানুষ আর এখন বড় দলে যোগ দেয় না। বস্তুত রাজনীতি বর্তমানে অতি আকর্ষণীয় একটি ব্যবসা_ লেনদেনের ব্যবসা_ নীতি-আদর্শ হয়েছে যার নগ্ন বলি। স্লোগান, ‘সিম্বলিজম’ বা প্রতীক ও ফায়দা প্রদানই হয়েছে এখন রাজনীতির অন্যতম হাতিয়ার। অতি ক্ষমতাধর নেতা-নেত্রীদের; অর্থাৎ ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুর কাছাকাছি যাওয়াই এখন প্রায় সব রাজনীতিকের লক্ষ্য। কারণ এর ফলে ফায়দাপ্রাপ্তির পরিমাণ ও সম্ভাবনা বাড়বে। তাই এত প্রতিযোগিতা ও দ্বন্দ্ব!
বিএনপির সম্মেলন সম্পর্কে আমাদের মতো নাগরিকদের আগ্রহ অন্য কারণে। আমাদের প্রত্যাশা যে, বিএনপি অতীতের দুঃখময় অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং তা কাজে লাগাবে। যেসব অনৈতিক ও অন্যায় আচরণ অতীতে তাদের বিপদে ফেলেছে, তা থেকে তারা দূরে থাকবে। শুধু দলের নয়, জাতীয় স্বার্থে তারা দলে গণতন্ত্র ও স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার চর্চায় মনোযোগী হবে। দুর্নীতিগ্রস্তদের কবল, ব্যক্তিতন্ত্র ও পরিবারতন্ত্র থেকে মুক্ত করে বিএনপিকে একটি গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ, দায়বদ্ধ ও আধুনিক রাজনৈতিক দলে পরিণত করবে।
নাগরিক হিসেবে আমাদের আকাঙ্ক্ষা যে, বিএনপি নবম জাতীয় সংসদে পাস করা Representation of the People Order (Amendment) Act, 2009- [গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধিত) আইন, ২০০৯] বিধানগুলো, বিশেষত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের শর্তগুলো মেনে চলবে। উল্লেখ্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রণীত যে অল্প কয়টি অধ্যাদেশ নবম জাতীয় সংসদ অনুমোদন করে আইনে পরিণত করেছে, তার মধ্যে সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অন্যতম।
স্মরণ করা প্রয়োজন যে, সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইনের ৯০বি ধারায় নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের শর্তগুলো অন্তর্ভুক্ত, যা দলের গঠনতন্ত্রে যুক্ত করতে হবে। সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্তগুলো হলো : ‘90(1)(b)political party desiring to be registered with the commission, shall have the following specific provisions in its constitution, namely- (i) to elect the members of the committees at all levels including members of the central committee;
(ii) to fix the goal of reserving at least 33% of all committee positions for women including the central committee and successively achieving this goal by the year 2020;
(
iii) to prohibit formation of any organization or body as its affiliated or associated body consisting to the teachers or students of any educational institution or the employees or labourers of any financial, commercial or industrial institution or establishment or the members of any other profession: Provided that nothing shall prevent them from organizing independently in their respective fields or forming association, society, trade union etc. and exercising all democratic and political rights, and individual, subject to the provisions of the existing laws, to be a member of any political party.
(iv) to finalize nomination of candidate by central parliamentary board of the party in consideration of panels prepared by members of the Ward, Union, Thana, Upazila or District committee, as the case may be, of concerned constituency.[‘৯০(১)(বি) … যদি কোন রাজনৈতিক দল … কমিশনের অধীনে নিবন্ধিত হতে চায়, তাহলে তার গঠনতন্ত্রে নিম্নের সুস্পষ্ট বিধান থাকতে হবে,_ যেমন … (i) কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সকল পর্যায়ের কমিটির সদস্যদের নির্বাচিত হবার; (ii) কেন্দ্রীয় কমিটিসহ রাজনৈতিক দলের সকল কমিটির পদে অন্তত ৩৩% নারী প্রতিনিধিত্ব সংরক্ষণের এবং ২০২০ সালের মধ্যে তা পর্যায়ক্রমে অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করবার; (iii) কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক অথবা ছাত্র অথবা আর্থিক, বাণিজ্যিক অথবা শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী-কর্মকর্তা অথবা শ্রমিকদের অথবা অন্য কোনো পেশার সদস্যদের নিয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনকে অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন হিসেবে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ রাখবার; তবে শর্ত থাকে যে, কোনো কিছুই তাদেরকে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে সংগঠিত হবার অথবা সংগঠন, সমিতি, ট্রেড ইউনিয়ন ইত্যাদি গঠন করবার এবং সকল প্রকার গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার চর্চা করবার; এবং ব্যক্তি হিসেবে, বিদ্যমান আইনের বিধানাবলীসাপেক্ষে, কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য হবার ক্ষেত্রে বাধা হবে না। (iv) কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টারি বোর্ড কর্তৃক সংশিল্গষ্ট নির্বাচনী এলাকার ক্ষেত্রমত ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, উপজেলা বা জেলা কমিটির দলীয় সদস্যগণের তৈরি প্যানেলের ভিত্তিতে মনোনয়ন চূড়ান্ত করবার।’]
এছাড়াও সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৯০সি ধারা অনুযায়ী : ‘90C(1) A political party shall not be qualified for registration under this Chapter, if….(e) there is any provision in its constitution for the establishment or operation of any office, branch or committee outside the territory of Bangladesh.’ [‘৯০সি(১) কোনো রাজনৈতিক দল এই অনুচ্ছেদের অধীনে নিবন্ধিত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে না, যদি_ … (ই) এর গঠনতন্ত্রে বাংলাদেশের সীমানার বাইরে এর কোনো অফিস, শাখা বা কমিটি পরিচালনার বিধান থাকে।’]
অর্থাৎ সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আইনের বিধান অনুযায়ী দলে গণতন্ত্রের চর্চা বাধ্যতামূলক। দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন থাকা বেআইনি। এছাড়াও দেশের বাইরে দলের কোনো অফিস বা শাখা থাকা আইনসিদ্ধ নয়। এসব বিধান দলের গঠনতন্ত্রে অন্তর্ভুক্ত করলেই হবে না, দল পরিচালনায় এগুলোর চর্চা নিশ্চিত করতে হবে। উল্লেখ্য, রাজনৈতিক দলের দেশের বাইরের শাখা দেশের অভ্যন্তরের বিভক্তি, দ্বন্দ্ব ও মারামারি বিদেশের মাটিতে নিয়ে যায়, যা বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে চরমভাবে ক্ষুন্ন্ করে। এছাড়াও অনেকের মতে, বিদেশি রাজনীতি ও সমাজ কাঠামোর সঙ্গে আরও বেশি সম্পৃক্ত হওয়ার মাধ্যমেই বাঙালিরা বাংলাদেশের জন্য আরও বড় অবদান রাখতে পারবে।
উল্লেখ্য, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি আইনের এসব বিধান মেনে চলেনি। নির্বাচনের মাধ্যমে ওই দুই দলের কমিটি গঠিত হয়নি। আর দলের অঙ্গ সংগঠনকে সহযোগী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগ একটি অনাকাঙ্ক্ষিত খেলা খেলেছে, যদিও আইন অনুযায়ী দুটিই অবৈধ। বিএনপি কি আইন অমান্য করার এ সংস্কৃতির উর্ধ্বে উঠতে পারবে? একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আইন অমান্য করলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে না। আর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত না হলে জঙ্গলের শাসন তথা অপশাসন সৃষ্টি হয়, যা রাষ্ট্রের প্রাণশক্তি নিঃশেষ করে দেয়।
এ প্রসঙ্গে আরও উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, নবম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রণীত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অধ্যাদেশকে সংশোধন করতে গিয়ে অধ্যাদেশের ৯০(১)(বি) ধারায় অন্তর্ভুক্ত রাজনৈতিক দলের বাধ্যতামূলক নিবন্ধনের শর্তগুলো আইনে রাখা হলেও এগুলো অমান্য করার কারণে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দলের নিবন্ধন বাতিল করার বিধান রহিত করা হয়। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন দলের নিবন্ধনের শর্তগুলো মানা দলের জন্য ঐচ্ছিক হয়ে যায়, তেমনিভাবে কমিশনের ক্ষমতা হ্রাস করে এটিকে কাগুজে বাঘে পরিণত করা হয়। উল্লেখ্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অধ্যাদেশটি নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল ও সব স্বার্থসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ব্যাপক মতবিনিময় ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রণীত হয়, কমিশন তা একতরফাভাবে ঘোষণা করেনি।
গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসন নিজে দলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব ঠিক করে দেবেন, যা হবে আইনের বরখেলাপ এবং কোনোভাবেই কাম্য নয়। এছাড়াও শোনা যায়, দল গঠনতন্ত্রে সংশোধনী আনছে চেয়ারপারসনের ক্ষমতা ঠিক রেখেই। বিএনপির বর্তমান গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারপারসন একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী_ তিনি যা ইচ্ছে তা করতে পারেন_ যা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে এটি সুস্পষ্ট যে, সুযোগ থাকলে ক্ষমতা ক্রমাগতভাবে কেন্দ্রীভূত হতে থাকে এবং একচ্ছত্র ক্ষমতা যথেচ্ছাচারের জন্ম দেয়, যার পরিণতি অশুভ হতে বাধ্য। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে এটি আরও সুস্পষ্ট যে, এমন অশুভ পরিণতি সৃষ্টি হয় শুধু দলের জন্যই নয়, দেশের জন্যও।
পরিশেষে, অনেক রাজনীতিবিদই প্রশ্ন তোলেন_ রাজনৈতিক দল কী করল না করল তা তাদের নিজস্ব ব্যাপার, এতে নাগরিক সমাজের মাথাব্যথা কেন? রাজনীতি করবেন রাজনীতিবিদরা, রাজনীতিতে তাদের নাক গলানো কেন? অবশ্যই মাথাব্যথার ও নাক গলানোর সঙ্গত কারণ রয়েছে। রাজনৈতিক দল প্রাইভেট ক্লাব নয়_ এগুলো আমাদের সংবিধানস্বীকৃত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক দলের কার্যকারিতার ওপরই রাষ্ট্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা মূলত নির্ভরশীল। অর্থাৎ রাজনৈতিক দল গণতান্ত্রিক না হলে রাষ্ট্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আশা করা যায় না। রাজনৈতিক দল স্বচ্ছ, দায়বদ্ধ ও জনকল্যাণমুখী না হলে রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা দুরাশা মাত্র। এছাড়া প্রাইভেট ক্লাবও যা ইচ্ছে তা করতে পারে না_ তাদেরও কিছু নিয়মনীতি ও আইন-কানুন মেনে চলতে হয়, তারাও জনকল্যাণের পরিপন্থী কোনো কাজে লিপ্ত হতে পারে না। তাই রাজনৈতিক দলের ভবিষ্যৎ আর নাগরিকের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য একই সুতায় গাঁথা; কারণ রাজনৈতিক দলের যথেচ্ছাচারের মাসুল শুধু দলকেই নয়, সব নাগরিককেই গুনতে হয়।
– ড. বদিউল আলম মজুমদার : সম্পাদক সুজন_সুশাসনের জন্য নাগরিক

সূত্র: দৈনিক সমকাল, ৪ ডিসেম্বর, ২০০৯

Related Post

দুর্নীতি তদন্তে স্বচ্ছতা চাইদুর্নীতি তদন্তে স্বচ্ছতা চাই

বদিউল আলম মজুমদার দুর্নীতির অভিযোগে রেলমন্ত্রী হিসেবে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পদত্যাগ করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তদন্ত হচ্ছে বলে আমরা শুনেছি এবং এসব তদন্ত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী ও তার তাৎপর্য-২সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী ও তার তাৎপর্য-২

ধর্মনিরপেক্ষতা ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ইত্যাদি ড. ব দি উ ল আ ল ম ম জু ম দা র সংবিধানের ধর্ম ও ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কিত ঘোষণার মধ্যে একটি চরম গোঁজামিল রয়েছে। সংবিধানের

তারুণ্যের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎতারুণ্যের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ

বদিউল আলম মজুমদার | তারিখ: ০৩-০৪-২০১২ সম্প্রতি ঢাকার ব্রিটিশ কাউন্সিল মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী ‘অ্যাকটিভ সিটিজেন এচিভার্স সামিট’ বা সফল সক্রিয় নাগরিকদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। সারা দেশ থেকে প্রায় দেড়