সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক জাতীয় কমিটির সভা সুজন-এর জাতীয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

সুজন-এর জাতীয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত


গত ৭ নভেম্বর ২০২০, শনিবার; সকাল ১০টায়, সুজন-এর জাতীয় কমিটির সভা অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি জনাব এম হাফিজউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ড. হামিদা হোসেন, সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমদ, নির্বাহী সদস্য- বিচারপতি এম এ মতিন, ড. তোফায়েল আহমেদ, ড. শাহনাজ হুদা, প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান (সভাপতি, চট্টগ্রাম জেলা কমিটি), জনাব সফিউদ্দিন আহমেদ (সভাপতি, রাজশাহী জেলা কমিটি), জনাব আকবর হোসেন (সভাপতি, রংপুর জেলা কমিটি), জাতীয় কমিটির সদস্য জনাব মিজানুর রহমান ও জনাব একরাম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

 এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা কমিটির সভাপতি এডভোকেট সালেহা বেগম, চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আমিনুর রহমান টুকু, টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সভাপতি এডভোকেট খান মোহাম্মদ খালেদ, নোয়াখালী জেলা কমিটির সভাপতি এডভোকেট হাবিবুর রসুল মামুন, শেরপুর জেলা কমিটির সভাপতি জনাব রাজিয়া সামাদ ডালিয়া, পিরোজপুর জেলা কমিটির সভাপতি জনাব মনিরুজ্জামান নাসিম, মেহেরপুর জেলা কমিটির সভাপতি জনাব রুহুল কুদ্দুস টিটো, পঞ্চগড় জেলা কমিটির সভাপতি জনাব ফজলে নূর বাচ্চু, কুষ্টিয়া জেলা কমিটির সভাপতি জনাব ইফতেখার হোসেন মিঠু, রাজশাহী মহানগর কমিটির সভাপতি জনাব পিয়ার বক্স, রংপুর মহানগর কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ খন্দকার ফকরুল আনাম বাচ্চু, ময়মনসিংহ মহানগর কমিটির সভাপতি এডভোকেট শিব্বির আহমেদ লিটন, গাজীপুর মহানগর কমিটির সভাপতি জনাব মনিরুল ইসলাম রাজীব, চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আখতার করিব চৌধুরী, খুলনা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কুদরত-এ-খুদা, ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সাধারণ স¤পাদক জনাব ইয়াজদানী কোরায়শী কাজল, হবিগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মিজবাউল বারী লিটন, রাজশাহী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব মাহমুদুল আলম মাসুদ, পিরোজপুর জেলা কমিটির সাধারণ স¤পাদক জনাব শাহ আলম শেখ, বরিশাল জেলা কমিটি সাধারণ সম্পাদক জনাব রনজিৎ দত্ত, সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফজলুল করিম সাঈদ, কুষ্টিয়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব আসিফ ইকবাল, টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব তরুণ ইউসুফ, ফেনী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব শাহাদাত হোসেন, নোয়াখালী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল করিম, দিনাজপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব লোকমান হাকিম, সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শাহ শাহেদা, ঝালকাঠি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব মঈন তালুকদার, বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব এ এস এম হুমায়ূন ইসলাম তুহিন, গাইবান্ধা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চক্রবর্তী, ভোলা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব নাসির লিটন, চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব মাহবুল ইসলাম, রাজবাড়ী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ লুৎফর রহমান লাবু, কুমিল্লা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব অধ্যাপক আলী আহসান টিটু, কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার সরকার, পঞ্চগড় জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব শাহাদাত হোসেন, ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব শরীফ মাহমুদুল হাসান, নীলফামারী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব আনোয়ারুল আলম, বরিশাল মহানগর কমিটি সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল আলম, ময়মনসিংহ মহানগর কমিটির সম্পাদক জনাব আলী ইউসুফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক দীপ রায়, ঝালকাঠি জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব নাছিমা কামাল প্রমুখ। একইসাথে সুজন-এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার, সহযোগী কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী নাবিলা খান, যশোর অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী খোরশেদ আলম,  অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রাজেশ দে, ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী জয়ন্ত কর, ঢাকা ও কুমিল্লা অঞ্চলের আঞ্চলিকসমন্বয়কারী জিল্লুর রহমান, রাজশাহী অঞ্চলের সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান, সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী হাফিজুর রহমান নোমান, চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মাঈনুল ইসলাম, মেহেরপুর অঞ্চলের এলাকা সমন্বয়কারী হেলাল উদ্দিন প্রমূখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ২০১৯-এ অনুষ্ঠিত জাতীয় কমিটির সভার পর থেকে অদ্যাবধি বাস্তবায়িত কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং তা পর্যালোচনা করা হয়। একইসাথে ভবিষ্যত করণীয় নিয়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তসমহ ছিল নিম্নরূপ:

সংগঠনের  ১৮তম  প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন: ১২ নভেম্বর ২০২০ সুজন-এর অষ্টাদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সুজন-এর সকল স্তরের কমিটিতে  বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপনের আহ্বান জানানো হবে। একইসাথে কেন্দ্রীয়ভাবেও দিবসটি উদযাপন করা হবে অনলাইনে আলোচনা সভা আয়োজনের মধ্য দিয়ে। এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য বিষয় :

দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন ও ধর্ষণ-নিপীড়নমুক্ত মানবিক সমাজ চাই

প্রিয় স্বদেশে অসাম্প্রদায়িক ও বহুত্ববাদী চেতনার বিকাশ এবং সুশাসন চাই”

বিভাগীয় পরিকল্পনা সভা: ২০২১ সালের পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে ডিসেম্বর ২০২০-এ অনলাইনে বিভাগীয় পরিকল্পনা সভা অনুহবে। এজন্য পূর্বে প্রেরিত নির্দেশনা অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর ২০২০-এর মধ্যেই জেলা ও মহানগরভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সচিবালয়ে পাঠাতে হবে।

বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের আসন্ন নির্বাচনে কার্যক্রম পরিচালনা: আসন্ন পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। তবে কাজের ধরন কি হবে তা নির্ভর করবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ সংক্রান্ত পরিস্থিতির ওপর।

তথ্য অধিকারভিত্তিক কার্যক্রমসহ জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে কার্যক্রম পরিচালনা: সারাদেশে তথ্য অধিকারভিত্তিক কার্যক্রমসহ জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে এবং এই কাজে সাংবাদিকদের যুক্ত করা হবে।

বিভিন্ন ইস্যুতে জনমত সৃষ্টিতে গোলটেবিল বৈঠক, মতবিনিময় সভা, সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন ইত্যাদি আয়োজন: বিভিন্ন ইস্যুতে জনমত সৃষ্টিতে গোলটেবিল বৈঠক, মতবিনিময় সভা, সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন ইত্যাদি আয়োজন প্রক্রিয়াটি চলমান রাখা হবে।

বিভিন্ন অনিয়ম ও অন্যায়ের প্রতিবাদ ও স্থানীয় সমস্যাভিত্তিক আন্দোলন: স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও অন্যায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিবাদসহ স্থানীয় সমস্যাভিত্তিক আন্দোলন পরিচালনার বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে।

সদস্য সংগ্রহ অভিযান: সংগঠনের সদস্য সংগ্রহের বিষয়টি চলমান রাখা হবে। সাধারণ সদস সংগ্রহের পাশাপাশি আজীবন সদস্যও সংগ্রহ করতে হবে।

সাংগঠনিক বিস্তৃতি: সংগঠনের মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিষ্ক্রিয় কমিটিসমূহ পুনর্গঠন ও নতুন এলাকায় কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

তরুণদের সংগঠিত করার লক্ষে গণতন্ত্র অলিম্পিয়াড, মুক্তিযুদ্ধ অলিম্পিয়াড ইত্যাদির আয়োজন: তরুণদের সংগঠিত করার লক্ষে গণতন্ত্র অলিম্পিয়াড, মুক্তিযুদ্ধ অলিম্পিয়াড ইত্যাদির আয়োজন করাসহ সুজনবন্ধুর কমিটি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তবে বিষয়টি নির্ভর করবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ সংক্রান্ত পরিস্থিতির ওপর।

মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ: সারাদেশে যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটুক, তাৎক্ষণিকভাবে তার প্রতিবেদন কেন্দ্রে প্রেরণ করতে হবে।

কমিটির তথ্য সংগ্রহ: সকলের কাছে প্রেরিত নির্ধারিত ছকে সকল স্তরের কমিটির তালিকা পাঠাতে হবে।

প্রকাশনা: করোনাকালে শুরু হওয়া সুজন ই-সংবাদ প্রকাশ চলমান থাকবে এবং সুজন সংবাদ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রকাশিত হবে।

উপরোক্ত সিদ্ধান্তসমূহ গ্রহণ ছাড়াও মুক্ত আলোচনা পর্বে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কার নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা; সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির ব্যাপারে সোচ্চার হওয়া; মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইস্যুগুলো নিয়ে সোচ্চার হওয়া; শিক্ষা ব্যবস্থার ধ্বস নিয়ে কথা বলা; অটোপাসের বিকল্প (পরীক্ষা পদ্ধতি) খোঁজা; পিএসসি পরীক্ষা তুলে দেওয়া; আর্থিক সেক্টর নিয়ে কথা বলা; নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া; ছেলেশিশুদের বলৎকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া; ফেসবুকে গঠনমূলক পোস্ট দেয়া; সাংগঠনিক কাঠামোকে শক্তিশালী করা ও সমমনা মানুষদের সংগঠনের পতাকাতলে সংগঠিত করা; তরুণদেরকে ‘সুজনবন্ধু’র পতাকাতলে সংগঠিত করা; ধর্ষণের প্রতিশব্দ ব্যবহার করা, বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দৃর্বৃত্তদের প্রার্থী হওয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া; হাওর অঞ্চলের দুর্নীতি নিয়ে কথা বলা এবং হাওর অঞ্চলের কৃষকদের কাছ থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় সরকারি উদ্যোগে ধান ক্রয়ের ব্যাপারে কথা বলা; আইনের যথাযথ প্রয়োগের বিষয়ে সোচ্চার হওয়া; সুশাসন বিষয়ে সারা দেশের সুজন নেতৃবৃন্দকে ওরিয়েন্টেশন দেওয়া; প্রতিটি জনস্বার্থবিরোধী ঘটনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা এবং স্থানীয়ভাবে প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করা; স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলভিত্তিক না করার বিষয়ে এ্যাডভোকেসি করা; কোটিং বাণিজ্য বন্ধ করা; বিচার বিভাগে দলভিত্তিক প্রসিকিউটর নিয়োগ বন্ধে সোচ্চার হওয়া; বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে পুলিশের দুর্নীতি নিয়ে কথা বলা; জনস্বার্থে যে কোনো ধরনের নাগরিক আন্দোলন গড়ে তোলা ইত্যাদি প্রসঙ্গ উঠে আসে।